ভোটদানের সুবিধার্থে এ দুটি প্রতিষ্ঠানের ১৭৭টি কারখানার প্রায় তিন লক্ষাধিক শ্রমিক ছুটির আওতায় থাকবেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সিইপিজেড মহাব্যবস্থাপক এনামুল হক ইউএনবিকে জানান, কর্ণফুলী ইপিজেডের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘শ্রমিকরা যেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন সে বিষয়টি আমরা বিবেচনায় রেখেছি। এছাড়া, নির্বাচনের দিন যান চলাচলও কম থাকবে।’
কর্ণফুলী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (কেইপিজেড) কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: চসিক নির্বাচন: নগরজুড়ে চলছে বিজিবির টহল
চসিক নির্বাচনে সরকার হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের
এর আগে, সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী এলাকায় এবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত জানায় নির্বাচন কমিশন। গণপরিবহন চলাচলেও কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি।
রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘অনেক ভোটার শহরের বাইরে থাকতে পারেন। এছাড়া, সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলে ব্যবসায়ীরা ভোগান্তিতে পড়েন।’
এদিকে, চসিক নির্বাচনকে ঘিরে নগরজুড়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) টহল চলছে। মোতায়েন করা হয়েছে বাহিনীর ২৫ প্লাটুন সদস্য।
সোমবার রাত থেকে বিজিবির গাড়িগুলো বন্দর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় টহল কার্যক্রম শুরু করে।
প্রশাসন সূত্র জানায়, আগামীকাল বুধবার হতে যাওয়া নির্বাচনকে সামনে রেখে মোতায়েন করা বিজিবির মধ্যে ২২ প্লাটুন দায়িত্ব পালন করবে চসিক এলাকায়। তিন প্লাটুন থাকবে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে। প্রতি প্লাটুনে ১৬ জন করে বিজিবি সদস্য আছেন।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (মেট্রো) সুমনী রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন থেকে জারি হওয়া পরিপত্র অনুযায়ী শহরে ২৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি সদস্যরা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় এবং জেলা প্রশাসনে রিপোর্ট করে টহল দিতে শুরু করেছেন।’
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসী, ‘অতিউৎসাহি’ পুলিশ চসিক নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে: অভিযোগ বিএনপির
চসিক নির্বাচন: নৌকার পক্ষে নায়ক-নায়িকাদের প্রচারণা
চসিক নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা নেই: সিইসি
তিনি জানান, বিজিবি সদস্যদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা তত্ত্বাবধান করবেন। নির্বাচনের পরদিন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিজিবি নগরীতে দায়িত্ব পালন করবে।
নির্বাচনী এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় নয় হাজার পুলিশ সদস্যও কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।
চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন সাতজন। কাউন্সিলর পদে আছেন ১৭২ জন। আচরণবিধি অনুযায়ী সোমবার মধ্যরাতের পর থেকে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা বন্ধ হয়ে গেছে।