বিজিবি
জয়পুরহাট সীমান্তে ১ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের বার উদ্ধার
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি সীমান্ত এলাকা থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা মূল্যের ৫৭ ভরি ১১ আনা ওজনের ৩টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
শুক্রবার ( ৬ জুন) রাতে জয়পুরহাটের বিজিবি ব্যাটালিয়ান সদর দপ্তরে ২০ বিজিবির অধিনায়ক আরিফুর দৌলা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জেলার পাঁচবিবি উপজেলার হাটখোলা বিওপির বিজিবির টহল দল ২৮১/৩১ এস নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছে পূর্ব উঁচনা ঘোনাপাড়া নামক স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি কাপড়ের প্যাকেট উদ্ধার করে। পরে ওই প্যাকেটের ভেতর থেকে ২১ ক্যারেট মানের ৩টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: শার্শা সীমান্তে বিদেশি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ২
স্থানীয় জুয়েলারী সমিতি পরীক্ষা করে উদ্ধারকৃত স্বর্ণের ৩টি বারের মোট ওজন ৫৭ ভরি ১১ আনা(৬৭২ গ্রাম) বলে জানায়। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৯৪ লাখ ৮৯ হাজার ৪২০ টাকা ।
শুক্রবার রাতেই ওই স্বর্ণের বারগুলো পাঁচবিবি থানায় জমা দিয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে একটি চোরাচালানের মামলা করা হয়েছে বলে জানান আরিফুর দৌলা।
৬ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে আরও ৮ জনকে পুশইন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট সীমান্ত দিয়ে ৮ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
মঙ্গলবার (৩ জুন) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার চাঁদশিকারি সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়। পরে চাঁদশিকারি বিজিবি ক্যাম্পের একটি টহল দল তাদের আটক করে।
৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সিলেট সীমান্তে ২২ জনকে পুশ ইন করল বিএসএফ
তিনি জানান, আটকদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ভোলাহাট থানায় হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে, গত ২৭ মে গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ১৭ জনকে পুশইন করেছিল বিএসএফ।
১০ দিন আগে
ফেনীর পশুরাম সীমান্তে শূন্যরেখায় বিএসএফের খাল খননের চেষ্টা, বিজিবির বাধা
ফেনীর পরশুরামের বল্লামুখার বাঁধের পাশে শূন্যরেখায় (নো ম্যান্স ল্যান্ড) খাল খননের চেষ্টা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে, তাদের এ অপতৎপরতা স্থানীয়দের সহায়তায় থামিয়ে দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাত ১১টার দিকে মির্জানগর ইউনিয়নের পূর্ব রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে বল্লামুখার বেড়িবাঁধের উত্তরে নোম্যান্সল্যান্ডের ১৫০ মিটারের ভিতরে এ ঘটনা ঘটেছে।
পূর্ব রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের বাসিন্দা মমতাজ মিয়া (৬০) জানান, বৃহস্পতিবার রাতে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টির মধ্যে স্কেভেটর ও যন্ত্রপাতি নিয়ে খাল খননের চেষ্টা করে বিএসএফ ও ভারতীয়রা। সীমান্তের পিলার থেকে ২০-৩০ গজ ভিতরে তারা খনন করার চেষ্টা করে। আমরা বিজিবির সঙ্গে উপস্থিত থেকে তাদের বাধা দিলে তারা চলে যায়।
স্থানীয় সংবাদকর্মী এম এ হাসান জানান, ভারত পূর্বের খননকৃত একটি খাল খননের কাজ পুনরায় শুরু করতে চাইলে বিজিবি বাধা দেয়। এরপর ভারতীয়রা সেখান থেকে সরে গেছে।
আরও পড়ুন: দুই জেলায় আরও ২৭ জনকে ঠেলে পাঠালো বিএসএফ
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান বলেন, ভারত সীমান্তে টিলা কেটে পানি বাংলাদেশের ভেতরে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। বিজিবি ও স্থানীয় মানুষ এটি প্রতিরোধ করেছে। আমরা সতর্ক রয়েছি। এ ধরনের কাজ আমরা করতে দেব না।
বিজিবি ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোশারফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ অংশে বাঁধ দেওয়ার ফলে যে পানি জমে তা সরানোর জন্য ভারতের নিজেদের জমিতে একিটি মোটা ড্রেন করে। সেটি শুন্য লাইন থেকে ভারতের দিকে ১৫০ গজের মধ্যে পড়ায় সেটার আমরা প্রতিবাদ করি।
তিনি বলেন, নোম্যান্সল্যান্ডে স্থাপনা তৈরি উভয় দেশের আইনে নিষেধ রয়েছে। তাদের খাল খননের জায়গা নোম্যান্সল্যান্ডে হওয়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে। বিজিবি-বিএসএফ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
১৩ দিন আগে
লালমনিরহাটে বিজিবির বাধায় পুশইনে ব্যর্থ বিএসএফ
লালমনিরহাটের বিভিন্ন উপজেলার অন্তত ৬টি সীমান্ত দিয়ে ৫৮ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) বাধায় ব্যর্থ হয়ে ওই ৫৮ জনকে নিজ দেশে ফেরত নিয়েছে বিএসএফ।
বুধবার (২৮ মে) রাতে সীমান্তে ফ্লাডলাইট নিভিয়ে পুশ-ইনের চেষ্টা চালায় তারা। প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর এসব মানুষকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
এর আগে, বুধবার ভোরে একযোগে এসব মানুষকে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে পাঠানোর চেষ্টা করে বিএসএফ। কিন্তু বিজিবির বাধায় তারা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ঢুকতে পারেনি।
আরও পড়ুন: সিলেট সীমান্তে ২২ জনকে পুশ ইন করল বিএসএফ
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, যাদের বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা করা হয়েছে তারা সবাই ভারতের আসাম রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বৈধ বাসিন্দা। বিকালে পতাকা বৈঠকে ওই ভারতীয় নাগরিকদের গ্রহণে আপত্তি জানায় বিজিবি। পাশাপাশি তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এর ফলে রাতেই জেলার পাটগ্রাম, আদিতমারী, হাতীবান্ধাসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে শেষ পর্যন্ত তাদের ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম জানান, আদিতমারীর দুর্গাপুর ও হাতীবান্ধার বনচৌকি সীমান্ত দিয়ে ১৯ জন ভারতীয় নাগরিককে সীমান্তে ফ্লাডলাইট নিভিয়ে নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, রংপুর ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে থাকা হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে বুধবার রাতে আরও ৩৯ জনকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্প।
১৫ দিন আগে
ফুলবাড়ী সীমান্তে বিএসএফের হাতে আটক ২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত এনেছে বিজিবি
ভারতে কাজের সন্ধানে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক হওয়া ২৪ জন বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশুকে ফেরত এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শুক্রবার (২৩ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বালাতাড়ী সীমান্তের ৯৩২ নম্বর পিলারের পাশে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
ভারত থেকে ফেরত আসা ওই ২৪ জন হলেন— কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ার ছড়া সমন্বয়টারী গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে তাজুল ইসলাম (২৫) তার স্ত্রী আম্বিয়া বেগম (১৯) মেয়ে তাসলিমা (৭) মাতা তানেকা বেগম(৪৬) বোন তাহেরা খাতুন(৭), দাসিয়ার ছড়া কামালপুর গ্রামের আছর আলীর ছেলে মানব আলী (২৩) তার স্ত্রী রুমি বেগম (২০), একই গ্রামের নজির হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদের (৩১) তার স্ত্রী সাথী বেগম (২৮) ছেলে শহিদুল (৯) মেয়ে কাজলী (২), উপজেলার আরাজী নেওয়াশী গ্রামের কাজী উদ্দিনের ছেলে জায়দুল হক (৫৫) তার স্ত্রী আন্জুমা বেগম (৪৩) ছেলে আশিক বাবু (১৪) মেয়ে জান্নাতি খাতুন (১৯) জামাতা রবিউল (২২) ও ১০ মাস বয়সী নাতি জুনায়েদ, উপজেলার ভাঙ্গামোড় বটতলা গ্রামের নজির হোসেনের ছেলে হাসেন আলী (৩৫) তার স্ত্রী আলমিনা বেগম (২৯) মেয়ে হাছিনা (১৩) ছেলে আরিফ (৪) আরমান (২) এবং জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আব্দুস ছালাম (৫০)।
ফেরত আসা ব্যক্তিদের মধ্যে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ার ছড়া, কামালপুর, নেওয়াশী ও ভাঙ্গামোড় গ্রাম এবং নাগেশ্বরীর গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দারা রয়েছেন।
বৈঠকে বিএসএফের পক্ষে ৩ নম্বর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের এসি এসএইচএল সিমতি এবং বিজিবির পক্ষে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর হাসনাইন নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে ফের পুশ-ইনের চেষ্টা, স্থানীয়দের নিয়ে বিএসএফকে রুখে দিল বিজিবি
এ ছাড়াও পতাকা বৈঠকের সময় নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী, খলিশাকোঠাল ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল আলিম, বালাতাড়ি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহির উদ্দিন, বালারহাট বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার সাইদুর রহমানসহ বিজিবির ১০ সদস্য ও বিএসএফের ১০ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, বিএসএফের বাংলাদেশি নাগরিকদের পুশ-ইন চেষ্টার বিষয়ে আগাম বার্তা পেয়ে বিজিবি সজাগ অবস্থান নেয়। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, প্রকৃত বাংলাদেশি নাগরিক হলে যাচাই-বাছাই শেষে গ্রহণ করা হবে, কিন্তু বিদেশি কেউ বাংলাদেশে ঢুকতে পারবে না।
পরবর্তীতে বিএসএফ ২৪ জনের একটি তালিকা দেয়। যাদের মধ্যে ১২ জন নারী, আটজন পুরুষ ও চারজন শিশু ছিল। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর বিজিবি তাদের গ্রহণ করেন এবং পরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর হাসনাইন বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ২৪ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশুকে ফেরত আনা হয়েছে। স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৯ দিন আগে
সিলেটে দেড় কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শনিবার (১৭ মে) দিবাগত রাতে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে এসব পণ্য জব্দ করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সিলেট ব্যাটালিয়ন ৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক। বিজিবি সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে ৪৮ বিজিবির দায়িত্বাধীন সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী তামাবিল, সংগ্রাম, দমদমমিয়া এবং সোনালীচেলা বিওপির টহল টিম অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় স্কিন ব্রাইট ক্রিম, অরিস সিগারেট, সনপাপড়ি, বিস্কুট, চকলেট ও গরু জব্দ করে। এ ছাড়া, অভিযানে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত বাংলাদেশী বারকী নৌকাও জব্দ করা হয়। এসব পণ্যের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে তিনজন ভারতীয়সহ পুশ ইন করা ৭৮ জন উদ্ধার
এ বিষয়ে কর্নেল নাজমুল হক জানান, সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির অভিযান কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা সর্বোতভাবে অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ অভিযানেরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিপুল পরিমানে চোরাচালানি মালামাল জব্দ করা হয়েছে।’
আটক করা মালামাল নিয়ে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
২৬ দিন আগে
সীমান্তে ফের পুশ-ইনের চেষ্টা, স্থানীয়দের নিয়ে বিএসএফকে রুখে দিল বিজিবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সীমান্ত দিয়ে প্রায় ৭৫০ জনকে বাংলাদেশে পুশ-ইনের চেষ্টা করেছিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে স্থানীয় জনতাকে সঙ্গে নিয়ে বিএসএফের সেই প্রচেষ্টা রুখে দিয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষা বাহিনী (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে ত্রিপুরা রাজ্যে আটক ৬০০ জনের বেশি ও রাজস্থানে আটক ১৪৮ জনকে পুশ-ইনের সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। আটকদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি এবং কয়েকজন রোহিঙ্গাও রয়েছেন।
তাদের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদশে পাঠিয়ে দিতে গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত ২টার দিকে বিজয়নগর সীমান্তে আসে বিএসএফ।
এ খবর জানতে পেরে সীমান্তে সতর্ক অবস্থান নেয় বিজিবি। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় স্থানীয়রা। সে সময় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সিঙ্গারবিল, বিষ্ণুপুর, নলঘরিয়া, মেরাসানী, নোয়াবাদী সীমান্তে শত শত লোক দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে সবাইকে সীমান্তে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানান। সীমোন্তে জনতার ভিড় দেখে পিছিয়ে যায় বিএসএফ।
আরও পড়ুন: সিলেট সীমান্তে পুশ-ইন হওয়া ১৬ জনের পরিচয় মিলেছে
এ বিষয়ে সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মামুন চৌধুরী বলেন, ‘বিএসএফ পুশ-ইনের চেষ্টা করলে এলাকায় মাইকিং করা হয়। বিজিবির সহযোগিতায় এলাকার মানুষ সীমান্তে গিয়ে জড়ো হয়। লোকজন জড়ো হলে বিএসএফ সরে যায়।’
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা বলেন, ‘সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। পুশ-ইন চেষ্টার খবরে জনগণ বিজিবির সঙ্গে থেকে প্রতিহত করেছে। এখনও সতর্ক অবস্থানে আছেন সবাই।’
বিজিবি-২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাব্বার আহাম্মেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএসএফ পুশ-ইন করবে বলে খবর আসলে বিজিবি সতর্ক অবস্থান নেয়। পাশাপাশি উৎসুক জনতাও সীমান্তে জড়ো হন। সবার যৌথ প্রচেষ্টায় এ ঘটনায় সফল হয়েছি আমরা।’
২৭ দিন আগে
সিলেট সীমান্তে পুশ-ইন হওয়া ১৬ জনের পরিচয় মিলেছে
সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ-ইন হওয়া ১৬ জনের পরিচয় মিলেছে। পরিচয় শনাক্তের পর তাদেরকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্র থেকে জানা যায়, প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে তারা ভারতে বসবাস করতেন। পুশ-ইন হওয়া ওই ১৬ জনের মধ্যে ১২ জনই নয়াদিল্লির একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। এ ছাড়া, একজন খাসিয়ার একটি রেস্টুরেন্টে এবং অন্য আরেকজন সেখানে একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন।
পুশ-ইন হওয়া ব্যক্তিরা হলেন— বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার ডেপুয়ারপার গ্রামের আলী খান (২৪), একই থানার বাইজরা গ্রামের রহিম আলী (৩৫), আফসানা আক্তার (১৯), কুড়িগ্রাম জেলার কচাকাটা থানার বালারহাট গ্রামের জয়নাল মন্ডল ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫৫), একই জেলার ফুলবাড়িয়া থানার পূর্ব ধনিয়াম গ্রামের মো. জকুরুল (৬০) ও তার স্ত্রী লাইলী বেগম (৪৬), তাদের ছেলে মো. নয়ন (২৫), মো. মিলন (১৪), একই গ্রামের নুর ইসলাম (৩০), তার ছেলে মো. মমিন (৬), শরিফা বেগম (১৭), মরিয়ম বেগম (২৫), একই থানার আজ-অটোয়ারী গ্রামের মৃত জিতেশের ছেলে শ্রী মিলন (৩৪) ও তার স্ত্রী ফুলমতি (২২) এবং তাদের সন্তান শ্রী মিতুন (৪)।
আরও পড়ুন: বিএসএফের পুশ-ইন, সিলেট সীমান্তে নারী-শিশুসহ আটক ১৬
এর আগে, বুধবার (১৪ মে) সকালে কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৬ জনকে বাংলাদেশে পুশ-ইন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। খবর পেয়ে সীমান্তবর্তী সুরমা বাজার থেকে তাদের আটক করে বিজিবি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়।
আটক ব্যক্তিরা জানান, প্রায় ১০ দিন আগে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী (সিআইডি) ইটভাটা সংলগ্ন কলোনিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। পরে কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশ-ইন করে বিএসএফ।
কানাইঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সায়েম জানান, আটকদের থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। এখন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৯ দিন আগে
বিএসএফের পুশ-ইন, সিলেট সীমান্তে নারী-শিশুসহ আটক ১৬
সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় নারী ও শিশুসহ ১৬ জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
কাল ৮টার দিকে বিজিবির ১৯ ব্যাটালিয়নের একটি টহল দল কানাইঘাটের আটগ্রাম সীমান্ত থেকে তাদের আটক করে।
আটকদের মধ্যে আটজন পুরুষ, ছয় জন নারী ও দুইজন শিশু রয়েছে।
বিজিবি জানিয়েছে, তারা সবাই দীর্ঘদিন ধরে ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি জোরদার করা হলে আটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় তাদের আটক করা হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, আটকরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছিলেন। এরপর আজ (বুধবার) সকালে বিএসএফ তাদের পুশ-ইন করে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে ভারতের পুশ-ইন: সরকারের নীরবতায় ক্ষোভ ঝাড়লেন রিজভী
বিষয়টি নিশ্চিত করে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন বয়সী নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ১৬ জনকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হয়েছে। তারা বাগেরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।’
তিনি আরও জানান, বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে, তবে এখনো তারা বিজিবির হেফাজতেই রয়েছেন।
বিজিবি ১৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার বলেন, ‘আটকদের পরিচয় নিশ্চিত করার কাজ চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির টহল কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
২৯ দিন আগে
সীমান্তে ভারতের ‘পুশ ইন‘ সুপরিকল্পিত ও ন্যাক্কারজনক: বিজিবি ডিজি
ভারত তাদের দেশের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়াকে (পুশ ইন) মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলে দাবি করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
সোমবার (১২ মে) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে বিজিবি মহাপরিচালক এ কথা বলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তে ভারতের পুশ-ইনের ঘটনা সুপরিকল্পিত ও ন্যাক্কারজনক বলেও মন্তব্য করেন বিজিবি ডিজি।
তিনি বলেন, ‘গত ৭ ও ৮ মে দুই দিনে আমরা ২০২ জনকে পেয়েছি। তাদের বিএসএফ বিভিন্নভাবে জনবসতি নেই—এমন সব জায়গায় পুশ-ইন করেছে। আপনারা জানেন, সীমান্তের প্রতিটি জায়গা শারিরীকভাবে দখলে রাখা যায় না। যেসব জায়গায় কেউ ছিলো না, সেখানেই পুশ-ইন করেছে।’
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ৮১ ভারতীয়কে পুশ-ইন করল বিএসএফ
তাদের নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানতে চাইলে ডিজি বলেন, ‘আমরা পুলিশ ভেরিফিকেশনে যাদের বাংলাদেশি পেয়েছি, তারা গত ২ থেকে ৩ বছর মধ্যে এমনকি অনেকে ২০ থেকে ২৫ বছর আগে নানান কাজে ভারতে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে অনেকেরই সন্তান-সন্তানদি আছে। তাদের মধ্যে অনেকেই ভারতের আধারকার্ডসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস ছিল। ভারতের পুলিশ বা বিএসএফ সেগুলো রেখে দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে বলে জানান বিজিবি মহাপরিচালক।
পুশ-ইনের পর বাংলাদেশি নাগরিকদের নিজ নিজ এলাকায় ফেরত পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘সীমান্তে আটকদের মধ্যে ৩৯ জন রোহিঙ্গা পাওয়া গেছে। তারা আমাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। তাদের আমরা ক্যাম্পে ফেরত পাঠিয়েছি।’
ডিজি বলেন, ‘এরমধ্যে একটি উদ্বেগজনক বিষয় হলো কিছু রোহিঙ্গা পাওয়া গেছে—যারা ভারতের ইউএনএইচসিআর (জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক কমিশন) এর তালিকাভুক্ত শরণার্থী। তাদের আইডি কার্ডও আমাদের কাছে আছে।’
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সামনে ইউএনএইচসিআর-এর পরিচয়পত্রগুলো তুলে ধরেন।
আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সকলকে জানাতে চাই, এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। যে দেশের শরণার্থী সেখানেই তাদের রাখার দরকার ছিল। আমরা এমন পাঁচজন শরণার্থী পেয়েছি।’
বিএসএফ বরাবরের মতো এ অভিযোগ অস্বীকার করছে জানিয়ে ডিজি বলেন, ‘তারা (বিএসএফ) বলছেন, এ বিষয়ে তারা জানেন না। হয়তো তারা নিজেই চলে গিয়েছিল ভারতে, হয়তো তারা নিজেরাই ফেরত আসছে–এ ধরনের কথা বলছে। এটা আমরা মানছি না। আমরা পতাকা বৈঠক করে প্রতিবাদ লিপি দিয়েছি। একই সঙ্গে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলেছি৷ তারা যদি বাংলাদেশি হয়—তাহলে আমরা তাদের গ্রহণ করব। তবে সেটি এমন লুকোচুরির মাধ্যমে না হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবেই করা হবে বলে জানান বিজিবির ডিজি।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা জানতে পেরেছি খাগড়াছড়ির দিকে আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনের মতো শরণার্থী ওপারে আছে। যাদেরকে বিএসএফ পুশ-ইন করার চেষ্টা করেছিল। আমাদের টহল বাড়ানোয় ও সীমান্তে সজাগ দৃষ্টি থাকায় গত দুই দিন ধরে তারা চেষ্টা করেও পারছে না।’
ডিডি বলেন, স্থলপথ দিয়ে পুশ-ইন দিতে না পেরে বিএসএফ সুন্দরবনের দুর্গম মান্দারবাড়িয়া চরে ভারতীয় একটি জাহাজে করে ৭৮ জনকে ফেলে গেছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে ভারতের পুশ-ইন: সরকারের নীরবতায় ক্ষোভ ঝাড়লেন রিজভী
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করেছে। তাদের নিজ নিজ এলাকায় পাঠানোর প্রক্রিয়ায় আছে। আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি, একই সঙ্গে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিজিবি ডিজি বলেন, ‘মূলত খাগড়াছড়ির বানছগি, জামিনি পাড়া, খেদাছড়া সীমান্ত ও কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারির চর অঞ্চল এবং সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া দিয়ে পুশ-ইনের ঘটনা ঘটেছে। বিএসএফ যেসব এলাকায় জনবসতি নাই বা টহল যেতে সময় লাগে সেসব এলাকা টার্গেট করে পুশ-ইনের চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।
৩১ দিন আগে