তিনি বলেন, ‘সেনা মোতায়েনের প্রয়োজনীতা আমরা অনুভব করছি না। তবে ভোট কেন্দ্রে ইভিএম মেশিন পাহারায় সশস্ত্র পুলিশ থাকবে।’
চট্টগ্রামে সার্কিট হাউসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন নূরুল হুদা।
যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের কাছে শেখার আছে: সিইসি
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা থাকবে, কিন্তু প্রতিহিংসা যেন না থাকে। এর মধ্যেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, এটা কাম্য হতে পারে না।’
‘আশ্বস্ত করার মতো নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজ করছে। বিপুল পরিমাণ মানুষ প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছে,’ বলেন তিনি।
পোলিং এজেন্ট এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ভোট সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কে এম নূরুল হুদা।
উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম নিয়ে যে যুক্তি দেখালেন সিইসি
তিনি বলেন, ভোটারদের মাঝে ইভিএম গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। নির্বাচনের বর্তমান পরিবেশ ধরে রাখতে হবে। সকল প্রার্থী যেন সমান অধিকার পায় এবং নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলে সেটিও সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
নির্বাচনী সহিংসতায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তিনি বলেন, ‘একটি জীবন এই নির্বাচনের চাইতে অনেক মূল্যবান।’
নির্বাচনের প্রার্থী ও সমর্থকরা সতর্কতার সাথে নির্বাচনী কার্যাবলী পালন করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন কে এম নূরুল হুদা।
যুদ্ধ ঝড় ভূমিকম্প যাই হোক, নির্বাচন করতে হবে: সিইসি
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে স্থগিত হয়ে যাওয়া চসিক নির্বাচন আগামী ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণ চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নেয়া হবে।
চসিক নির্বাচন: এজেন্টদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিইসির নির্দেশ
এর আগে, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের ৫ আগস্ট।
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ৫ আগস্টের পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা ছিল। সে হিসেবে ইসির সিদ্ধান্ত অনুসারে ২৯ মার্চ এ সিটির ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯-এর কারণে পরে নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। এখন করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে জনগণ কিছুটা মানিয়ে ওঠায় নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেছে।