রবিবার সকালে পশ্চিম তল্লা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মো. বাবুল জানান, স্থানীয় বিদ্যুত মিস্ত্রী মোবারক হোসেন বাইতুস সালাত জামে মসজিদের বিদ্যুত মিস্ত্রী হিসেবে নিয়মিত কাজ করতো। মসজিদটিতে বিদ্যুতের বৈধ সংযোগের পাশাপাশি অবৈধ সংযোগের কাজ মোবারকই করে দিয়েছিল এবং এ কাজে সে ছিল উৎসাহ যোগানদাতা। এ কারণে তাকে গ্রেপ্তার করে বিস্ফোরণের মামলায় আসামি করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে মোবারক তার অপরাধের বিষয়টি স্বীকার করেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরও জানান, মসজিদে বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ প্রদানে ডিপিডিসির কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে আসামি মোবারককে পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে হাজির করার কথাও জানান সিআইডির এই কর্মকর্তা।
নারায়ণগঞ্জ সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, বায়তুস সালাত জামে মসজিদে দুটি বৈদ্যুতিক সংযোগ রয়েছে। এর মধ্যে একটি সংযোগ অবৈধ এবং সেই সংযোগসহ যাবতীয় মসজিদের ওয়ারিং করেছিল মোবারক।
এর আগে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ফতুল্লা অঞ্চলের বহিস্কৃত চার কর্মকর্তাসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। পরে আদালতে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে আটজনের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর ওই মসজিদে বিস্ফোরণে ৩৯ জন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন তিনজন।
এ ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা থানার এসআই হুমায়ন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ৭ সেপ্টেম্বর মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।