তিনি বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে কর্মরত প্রকৌশলীদের অফিসে বসে থাকলে চলবে না। মাঠে গিয়ে কাজ দেখতে হবে। সময়মতো কাজ আদায় করতে হবে। পদোন্নতির জন্য ঢাকায় এসে ঘোরাফেরা করে লাভ নেই। আগামীতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে কাজের দক্ষতাকে গুরুত্ব দেয়া হবে।’
বুধবার সওজ সিলেট জোনের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
করোনা পরিস্থিতির কারণে যেসব প্রকল্পে স্থবিরতা নেমে এসেছে সেখানে এখন প্রয়োজনে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করে কাজ এগিয়ে নেয়ারও নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘বদলে যাওয়া বিশ্বের সাথে সমন্বয় করে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে কাজ করতে হবে। জনগণের সুবিধার কথা চিন্তা করে উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করতে হবে। যেভাবে মানুষ উপকৃত হয় সেভাবেই আমাদের কাজ এগিয়ে নিতে হবে।’
উন্নয়ন কাজের জন্য সরকার প্রচুর অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের এসব অর্থের অপচয় করা যাবে না। কাজের মানের ক্ষেত্রে দৃষ্টি রাখতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজ বুঝে নিতে হবে। প্রয়োজনে মান ঠিক রাখার জন্য ঠিকাদারদের চাপ প্রয়োগ করতে হবে।’
সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘এ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ নানা কারণে শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে। তবে এবার সব বাধা কেটে গেছে। এডিবির অর্থায়নে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হবে। ইতোমধ্যে এডিবি অর্থায়ন চূড়ান্ত করেছে। চলমান রিটেইল ডিজাইন এবং ডিপিপি প্রণয়নের কাজ দ্রুতার সাথে শেষ করতে হবে। পাশাপাশি ভূমি অধিগ্রহণের কাজ এগিয়ে নিতে হবে, যাতে আর কোনো বিলম্ব না হয়।’
এ প্রকল্প সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কথা দিয়েছি, কিন্তু নানা কারণে কথা রাখতে পারিনি। তবে এবার স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে।’
সময়মতো কাজটি শুরু এবং শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।
সভায় সিলেট জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তুষার কান্তি সাহা বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, সিলেট জোনে বর্তমানে সওজের ১২টি প্রকল্প পুরোদমে চলমান রয়েছে। এর মধ্যে চারটি উচ্চ অগ্রাধিকার, চারটি মধ্য অগ্রাধিকার এবং চারটি নিম্ন অগ্রাধিকার প্রকল্প। এ অর্থবছরে একটি প্রকল্প শেষ হবে।
তিনি আরও জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে সিলেট জোনে ১৮৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে ঢাকা-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেনসহ চার লেনে উন্নীত করার লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে সওজ সিলেট জোনের বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও জানান তিনি।
সওজ সিলেট সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আনোয়ারুল আমিন, নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া, সহকারী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম হাওলাদারসহ সওজ সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ সার্কেলের প্রকৌশলী এবং বিআরটিসি ও বিআরটিএ-এর প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।