পদোন্নতি
পরীক্ষা ছাড়া উপসচিব ও যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতি নয়
পরীক্ষা ছাড়া সিভিল সার্ভিসের উপসচিব ও যুগ্মসচিব পর্যায়ে কেউ পদোন্নতি পাবেন না বলে সরকারকে সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে জনপ্রশাসনের সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভায় কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা ছাড়া আর কেউ পদোন্নতি পাবে না। পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা নেবে এবং ৭০ মার্ক না পেলে কেউ পদোন্নতি পাবেন না। প্রতিটি পর্যায়ে (উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত) এটি হবে না, উপসচিব ও যুগ্মসচিব- এই দুই পর্যায়ে (পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতি) হবে। এর পরের পর্যায়ে সরকার পদোন্নতি দিতে পারবে।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন
কমিশন প্রধান বলেন, ‘পরীক্ষায় যদি একজন কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তা সবচেয়ে বেশি নম্বর পান, তিনি তালিকায় এক নম্বরে চলে আসবেন। উপসচিবের তালিকায় তিনি এক নম্বরে আসবেন।’
উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য ৫০ এবং অন্য ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কর্মকর্তাদের নেওয়ার সুপারিশ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
বর্তমানে এক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা ৭৫ এবং অন্য ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়ে থাকেন।
৪ দিন আগে
ডিসেম্বরেই পদোন্নতি পাচ্ছেন বঞ্চিত উপসচিবরা
প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্যান্য ২৫ ক্যাডারের বঞ্চিত উপসচিবদের ডিসেম্বর মাসেই পদোন্নতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ওবায়দুর রহমান ইউএনবিকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বাকি ২৫ ক্যাডারের মধ্যে পদোন্নতির পাওয়ার যোগ্য- এমন উপসচিবদের নিয়ে আমরা কাজ করছি। এসএসবির যারা সদস্য রয়েছেন, তারা আমাদের বলেছেন- এই কাজটি আগে ধরে শেষ করুন। আমরা ওটা নিয়েই কাজ করছি। কাজ হয়ে গেলে আমরা একটি তারিখ নিয়ে এটা করে দেব।’
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার বিশেষ নজর দিয়েছে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব
ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘যাদের এসিআর (বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন) ও ডিপি (ডিপার্টমেন্টাল প্রসেডিং) রয়েছেন, তারা পদোন্নতি পাবেন না। ১৯৪ জনের সবাই তো যোগ্য নন। বিভিন্ন ধরনের রিপোর্ট আছে, যারা যোগ্য আমরা তাদের পদোন্নতি দেব। ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই এই কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি আমরা।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জ্যেষ্ঠ কয়েকজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, যারা একটু বেশি সিনিয়র (জ্যেষ্ঠ) এবং যারা একটু দেরিতে উপসচিব হয়েছেন, আমরা তাদের আগে বিবেচনা করব। তাদের জন্য আমরা সর্বোচ্চটা করার চেষ্টা করব।
তারা জানান, পদোন্নতির ক্ষেত্রে একটি নিয়ম রয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, যদি কারও মোট চাকরিকাল ১৫ বছর হয় এবং উপসচিব হিসেবে তিনি ৫ বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করে থাকেন, তাহলে তাকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদোন্নতির দেওয়ার একটি বিধান রয়েছে। এছাড়া যদি কারও মোট চাকরিকাল ২০ বছর হয় এবং উপসচিব হিসেবে তিনি ৩ বছরের বেশি দায়িত্ব পালন করেন তাহলে তাকেও যুগ্মসচিব হিসেবে পদোন্নতি দেওয়ার একটি বিধান রয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসি নিয়োগে হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলা করায় ১৭ উপসচিবকে শাস্তির সুপারিশ
২ সপ্তাহ আগে
ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি পদে ৬ জনের পদোন্নতি
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন ছয়জন।
এরা হলেন- মাহমুদুর রহমান, মো. রফিকুল ইসলাম, মুহাম্মদ সাঈদ উল্লাহ, কে. এম. মুনিরুল আলম আল-মামুন, ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম ও মো. মাকসুদুর রহমান। এর আগে উনার সবাই ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মাহমুদুর রহমান ঢাকা সেন্ট্রাল জোনের প্রধান হিসেবে কর্মরত। তিনি ১৯৯৫ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড উইং, নোয়াখালী জোনসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: তরুণরা আগামীতে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে: ভিপি নূর
মো. রফিকুল ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড উইংয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত। তিনি ১৯৯৮ সালে সিনিয়র অফিসার হিসাবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ক্যামেলকো এবং ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিভিশনের প্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মুহাম্মাদ সাঈদ উল্লাহ স্পেশাল ইনভেস্টমেন্ট উইংয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত। ১৯৯২ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের হিউম্যান রিসোর্সেস উইং, ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট উইং, রিটেইল ইনভেস্টমেন্ট উইং, ঢাকা নর্থ জোন ও সিলেট জোনসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
কে. এম. মুনিরুল আলম আল-মামুন ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমির প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত। তিনি ১৯৯২ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ফরেন ট্রেড অপারেশন্স ডিভিশনের প্রধান, নওয়াবপুর রোড ও পল্টন শাখার প্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম ব্যাংকের ক্যামেলকো এবং অপারেশন্স উইংয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত। ১৯৯২ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ঢাকা ইস্ট জোনপ্রধান ও বিজনেস প্রমোশন অ্যান্ড মার্কেটিং ডিভিশন, হেড অফিস কমপ্লেক্স করপোরেট শাখা, ধানমন্ডি ও ফার্মগেট শাখার প্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মো. মাকসুদুর রহমান ব্যাংকের ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স উইংয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত। তিনি ১৯৯৫ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ডেভেলপমেন্ট উইং, ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি উইং, ফরেন রেমিট্যান্স ডিভিশনের প্রধান, যশোর ও খুলনা জোনপ্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
১ মাস আগে
অতিরিক্ত আইজি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন ৬ ডিআইজি
উপমহাপরিদর্শক পদমর্যাদার ৬ কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি দিয়ে তাদের নতুন পদায়ন করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আকরাম হোসেন, আবু নাসের মোহাম্মদ খালেদ ও মোসলেহ উদ্দিন আহমেদকে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এআইজি), গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার রফিকুল ইসলামকে স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের ডিআইজি মোস্তফা কামাল ও শিল্প পুলিশের ডিআইজি মো. সিবগাতুল্লাহকে নিজ নিজ কর্মস্থলে রেখেই অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
শিগগিরই এ আদেশ কার্যকর হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানে হত্যা, ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমোদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
১ মাস আগে
যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি চান ২৫ ক্যাডারের ‘বঞ্চিত’ ১৯৪ কর্মকর্তা
যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি চান প্রশাসন ক্যাডারের বাইরের ২৫ ক্যাডারের ১৯৪ জন ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তারা।
এসময় ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তারা জানান, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দফায় দফায় পদোন্নতি দেওয়া হলেও তাদের শুধু আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা পদোন্নতি নিয়ে নানা টালবাহানা করছেন।
আরও পড়ুন: ২২ উপসচিবকে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নুরুল আমিন বলেন, আমরা বিসিএস ১৩ থেকে ২২তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্য ২৫ ক্যাডারের ১৯৪ জন বঞ্চিত উপসচিব। আমাদের সঙ্গে যারা উপসচিব হয়েছিলেন তারা অনেকেই যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক মিটিং করেছি। আমাদের পদোন্নতির যৌক্তিকতা বুঝিয়েছি তারাও রাজি হয়েছেন। সব প্রস্তুত থাকলেও এসএসবি সভা ডাকা নিয়ে টালবাহানা করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
অর্থ বিভাগের উপসচিব জাহিদ হোসেন বলেন, আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব স্যারের কাছে গেছি, তাকে সবকিছু বলেছি। উনি তখন বললেন, এসএসবির সভাপতি মন্ত্রিপরিষদ সচিব। যদি তারিখ দেন তবে আমি সেদিন মিটিং আয়োজন করব।
উপসচিব বলেন, এরপর আমরা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে যাই। তিনি বলেন, জনপ্রশাসন সচিব চাইলেই আমি সময় দেব। এটা যখন আবার জনপ্রশাসন সচিবকে বললাম, তিনি বললেন তোমরা তো সিস্টেমই জানো না। আমরা আবার মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এটা বললে তিনি বলেন, আমি যেটা বলেছি সেটাইতো নিয়ম। আমিতো জানি না উনি রেডি কি না, সময় চাইলেই সময় দেব। আমরা এভাবেই ইনি এবং উনির মধ্যে আছি।
উপসচিব আরও বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব পরামর্শ দিয়েছেন যে, তোমাদের বিষয়গুলো নিয়ে আবার জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে কথা বলব। তাকে বুঝিয়ে বলব। আমি রেডি সময় দেওয়ার জন্য, উনি সময় চাইলেই দেব।
আরও পড়ুন: ২০১ জন উপসচিবকে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি
শিগগিরই পদোন্নতি পাচ্ছেন বঞ্চিত উপসচিব ও যুগ্মসচিবরা
৩ মাস আগে
শিগগিরই পদোন্নতি পাচ্ছেন বঞ্চিত উপসচিব ও যুগ্মসচিবরা
দলীয় কারণে গত ১৭ বছর প্রশাসনে পদোন্নতিবঞ্চিত আমলাদের শিগগিরই পদোন্নতি দেওয়া হবে। আর এই তালিকায় রয়েছেন বঞ্চিত উপসচিব, যুগ্মসচিবরা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সুত্রে এ তথ্য জানা যায়, বিসিএসের বিভিন্ন ব্যাচের উপসচিব ও যুগ্ম সচিব পদের কর্মকর্তাদের যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বঞ্চিত বিএনপি-জামায়াত ঘরানার কর্মকর্তাদের ক্ষোভ-অসন্তোষ কমানোর জন্যই এই পদোন্নতির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক কারণে আওয়ামী শাসনামলের গত ১৬ বছরে প্রশাসনে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন শত শত কর্মকর্তা। গোয়েন্দা তদন্ত প্রতিবেদনে নামের সঙ্গে ‘নেগেটিভ’ উল্লেখ থাকায় বঞ্চিত করা হয় তাদের। অনেককে বছরের পর বছর ওএসডি থাকতে হয়েছে। কিংবা ফেলে রাখা হয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে। এমনকি অনেককেবাধ্যতামূলক অবসরেও পাঠানো হয়েছে।
ইতিমধ্যে গত ১৩ আগস্ট রাতে বঞ্চিত ১১৭ জন সিনিয়র সহকারী সচিবকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। আগের যারা বঞ্চিত উপসচিব আছেন তারা যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি পাবেন। একইভাবে অতিরিক্তি সচিব পদেও পদোন্নতি হবে অনেকের।
প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন প্রশাসন ছাড়া অন্য ২৫ ক্যাডারের বঞ্চিত উপসচিবরা। স্মারকলিপিতে বলা হয়, সচিবালয়ে সরকারের নীতিনির্ধারণী কার্য সম্পাদনের জন্য উপসচিব ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সিনিয়র সার্ভিস পুল গঠন করা হয়। ‘সরকারের উপসচিব, যুগ্ম-সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা ২০০২’ অনুযায়ী প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৭৫ শতাংশ এবং অন্য ২৫টি ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ উপসচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে এ পুল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। যদিও প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য সংখ্যা ৪ হাজার ৮৯৯ জন (৯ দশমিক ৬২ শতাংশ) এবং অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের সদস্য সংখ্যা ৪৬ হাজার ২৩ জন (৯০ দশমিক ৩৮ শতাংশ)।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্য নির্ধারণে বিইআরসির ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
এতে আরও বলা হয়, পরবর্তী পদোন্নতি, অর্থাৎ যুগ্ম সচিব ও এর ওপরের পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে পিএসসির সুপারিশ পাওয়া নিজ নিজ ব্যাচের সম্মিলিত মেধাতালিকা, সরকারি চাকরি আইন, পদোন্নতি বিধিমালা, সুপ্রিম কোর্টের রায় কোনো কিছুই মানা হয় না। এক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের সব কর্মকর্তার নিয়মিত ব্যাচের সঙ্গে পদোন্নতি নিশ্চিত থাকলেও অন্য ২৫টি ক্যাডারের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক কোটা আরোপ করে প্রশাসন ক্যাডারের অনেক জুনিয়র ব্যাচের সঙ্গে স্বেচ্ছামূলক নামমাত্র ১০ থেকে ১২ শতাংশ পদোন্নতি দেওয়া হয়। এ কারণে ২৫ ক্যাডারের ১৩ থেকে ২২ ব্যাচের অত্যন্ত মেধাবী, দক্ষ ও যোগ্য দুই শতাধিক কর্মকর্তা জ্যেষ্ঠতা হারিয়ে পদোন্নতিবঞ্চিত হয়ে তাদের অনেক জুনিয়র কর্মকর্তার অধীনে কাজ করতে হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন গোটা জনপ্রশাসন মেধাহীন ও দক্ষ জনবলশূন্য হয়ে পড়েছে, অপরদিকে জনপ্রশাসনে চেইন অব কমান্ডও পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। এমতাবস্থায় অতি দ্রুত ক্যাডার নির্বিশেষে বৈষম্যহীন মেধাভিত্তিক জনপ্রশাসন গড়তে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া ২৫ ক্যাডারের বেআইনিভাবে পদোন্নতিবঞ্চিত ১৩ থেকে ২২তম ব্যাচের উপসচিবদের পিএসসির মেধাতালিকা অনুযায়ী স্ব-স্ব ব্যাচের সঙ্গে জ্যেষ্ঠতা নিশ্চিত করে যুগ্ম সচিব পদে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়ার জোর দাবি জানানো হয় স্মারকলিপিতে।
সম্প্রতি ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সামনে আসেন প্রশাসনে বিএনপি-জামায়াত ঘরানার বঞ্চিত কর্মকর্তারা। পরদিন ৬ আগস্ট সচিবালয়ে বৈঠক করেন পদোন্নতিবঞ্চিত অন্তত ২০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী। সভায় জ্যেষ্ঠতাসহ ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির দাবি জানান তারা। এরপর তারা প্রশাসনে কর্মরত বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ব্যাচভিত্তিক তালিকা তৈরি করে পদোন্নতির জন্য সচিবের দপ্তরে জমা দেওয়া হয়।
জনপ্রশাসনে জমা দেওয়া তালিকা সূত্রে জানা যায়, ওই তালিকায় অন্তত ২৪৪ জনের নাম ছিল। এর মধ্যে বিসিএস ১১তম ব্যাচের ৪ জন, ১৩তম ব্যাচের ৮ জন, ১৫তম ব্যাচের ২১ জন, ১৭তম ব্যাচের ৮ জন, ১৮তম ব্যাচের ২২ জন, ২০তম ব্যাচের ২১ জন, ২১তম ব্যাচের ১০ জন, ২২তম ব্যাচের ৮১ জন, ২৪তম ব্যাচের ১২ জন, ২৫তম ব্যাচের ১২ জন, ২৭তম ব্যাচের ১৩ জন, ২৮তম ব্যাচের ১০ জন ও ২৯তম ব্যাচের ২২ জন রয়েছেন। এই তালিকায় থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা সিনিয়র সহকারী সচিব এবং যাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও দুদকের মামলা নেই, মঙ্গলবার রাতে প্রথম দফায় তাদের ১১৭ জনকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঢেলে সাজানো হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রশাসন
৪ মাস আগে
প্রশাসনে ১৩০ জন যুগ্মসচিবকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি
প্রশাসনে ১৩০ জন যুগ্মসচিবকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। তারমধ্যে তিনজন লিয়েনে আছেন।
সোমবার পদোন্নতির আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেলেন ২২১ কর্মকর্তা
পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রশাসনে অতিরিক্ত সচিবের সংখ্যা হলো ৪১৫ জন। যদিও অতিরিক্ত সচিবের স্থায়ী পদের সংখ্যা ২১২টি।
অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিতে ১৮তম ব্যাচকে মূল ব্যাচ হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়।
একই সঙ্গে এর আগের ব্যাচগুলোর বঞ্চিতরাও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: উপসচিব পদে পদোন্নতি পেলেন ২৪০ সরকারি কর্মকর্তা
৭ মাস আগে
উপসচিব পদে পদোন্নতি পেলেন ২৪০ সরকারি কর্মকর্তা
জনপ্রশাসনে সর্বশেষ রদবদলে ২৪০ সরকারি কর্মকর্তাকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় শনিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে বিদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাস ও মিশনে পদায়ন করা সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার ৯ জন কর্মকর্তা রয়েছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতি পেলেন ২৯০ পুলিশ কর্মকর্তা
১ বছর আগে
নৌপ্রধান এম নাজমুল হাসানের অ্যাডমিরাল পদে পদোন্নতি
নৌবাহিনী প্রধান এম নাজমুল হাসানকে অ্যাডমিরাল পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নৌবাহিনীর প্রধানকে নতুন পদমর্যাদায় ভূষিত করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান তাকে নতুন র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন।
এ সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব গোলাম মো. হাশিবুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পুলিশের ৭ ডিআইজিকে এআইজিপি পদে পদোন্নতি
জনগণের কল্যাণে কাজ করুন: পদোন্নতিপ্রাপ্ত ডিআইজিদের আইজিপি
১ বছর আগে
মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে ৯ম গ্রেড ও শতভাগ পদোন্নতি দাবি এটিইওদের
মানসম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে ৯ম গ্রেড ও শতভাগ পদোন্নতির দাবি জানিয়েছেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারেরা (এটিইও)।
তারা বলেন, মাঠ পর্যায়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাগণ। সরকারের যেকোনো নির্দেশনা, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, তদারকি করেন তারা। কিন্তু বিপুল সংখ্যক এই কর্মকর্তাদের বঞ্চিত ও বৈষম্যের মধ্যে রেখে গুণগত প্রাথমিক শিক্ষা সম্ভব নয়। শিক্ষার মূলভিত্তি মজবুত করতে এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কাঙ্খিত ৯ম গ্রেড প্রদান এবং শতভাগ পদোন্নতির দাবি জানিয়েছেন এটিইওরা।
শনিবার (৬ মে) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে করণীয় ও প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন’- শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ এস রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ উদ্দিন আহমেদ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দেশের বিভিন্ন উপজেলা হতে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ৪টি ভিত্তি উল্লেখ করেছেন- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি। এসব ভিত্তির বাস্তবায়নে প্রাথমিক শিক্ষার ভূমিকা অপরিসীম। যেহেতু সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারবৃন্দ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক কাজের সাথে ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত সেহেতু আমরা প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের ম্যাসেজ ও তাদেরকে উদ্বুদ্ধকরণে ভূমিকা রেখে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর দাবি
সভাপতি এম এ এস রবিউল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। তার সেই স্বপ্নকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারেরা। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের যারা নেতৃত্ব দিবেন তাদেরকে মানসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। আমরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষদের মাঝে মা সমাবেশ, অভিভাবক সমাবেশ, উঠান বৈঠকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের মূল বার্তা ও আমাদের করণীয় সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছি। তবে এসব কর্মকর্তাবৃন্দ নানাভাবে বৈষম্যের শিকার। চাকরিজীবী জীবনে একটিও পদোন্নতি না পেয়ে অবসর গ্রহণ, দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রেডে চাকরি করাসহ নানা বিষয় রয়েছে। বিশেষ করে ৯ম গ্রেড ও শতভাগ পদোন্নতির সুযোগ না থাকায় অনেকের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার ভিত্তিকে মজবুত করতে এসব বিষয়ে সমাধানে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান রবিউল ইসলাম।
সভায় বাংলাদেশ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার তৌহিদুর রহমানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি বিশেষজ্ঞদের
১ বছর আগে