খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ একরাম হাসান খান শ্রমিক দিয়ে গত তিন দিন ধরে খাদ্যগুদামে রাখা ভিজিডির চালের সাথে নিম্নমানের চাল মিশিয়ে বস্তায় ভরছেন, এমন খবরে আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহিদুল হাসান জাহিদ ঘটনাস্থলে যান। সেখানে তিনি সরকারি খাদ্যগুদামের ভালো চালের সাথে নিম্নমানের চাল মিশিয়ে বস্তায় ভরার ঘটনার সত্যতা পান।
একরাম হোসেন জানান, চলতি চাল ক্রয় বছরে ৩৮৫ মেট্রিক টন চাল ক্রয় ধার্য হয়েছে। ইতোমধ্যে ১০২ মেট্রিক টন চাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ভাই নূরুজ্জামানের মালিকানাধীন ‘নূর এন্ড ব্রাদার্স রাইস মিল’ এবং ফজলুর রহমানের মালিকাধীন ‘বিসমিল্লাহ রাইস মিল’ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
এছাড়া বাকি চাল কোথা থেকে ক্রয় করা হয়েছে তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
নিম্নমানের চাল মেশানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেক সময় মিলারদের কাছ থেকে প্রাপ্ত চালের সব বস্তা পরীক্ষা করা হয় না। এ কারণে এমনটি হতে পারে।’
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল হাসান বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানার সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানাই। ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুর রহমান বলেন, ‘চাল মেশানোর খবর পেয়ে দ্রুত গুদামে যাই। সেখানে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আমি তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ফরিদপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. সাহিদার রহমান বলেন, ‘খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত টিম গঠন করা হবে। নিম্নমানের চালের অস্তিত্ব পেয়েছি। খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দোষী প্রমাণিত হলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘খাবার চালে ভেজাল বা পচা চাল মেশানো ঘটনার সত্যতা মিললে সে যেই হোক না কেন, কোনো ছাড় দেয়া হবে না। সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে পার পাওয়া যাবে না। এ বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে।’