স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, প্রতিনিয়ন বাঁধ ভাঙছে। অথচ ভাঙন রোধে এখন পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড বা স্থানীয় প্রশাসন কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। এতে এলাকাবাসী শঙ্কিত। ভাঙন রোধে দ্রুত কোনো পদক্ষেপ না নেয় হলে এ বছর আমন ধান ঘরে তুলতে পারবেন না তারা।
বটবুনিয়া ও তিলডাঙ্গার স্থানীয়রা জানান, তাদের এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৩১ নম্বর পোল্ডারের বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বাঁধ ভেঙে গেলে পানি ঢুকে লোকালয় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। উপকূলের অসহায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ সংস্কারের দাবি জানান তারা।
তিলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রণজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, ‘যেকোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে ১০ হাজার বিঘা জমির ফসল বিনষ্টের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বটবুনিয়া জিসি থেকে মোজামনগর রাস্তার ১০০ মিটার নদীর মধ্যে চলে গেছে। আমরা স্থানীয় লোকজন নিয়ে রিংবাঁধ দিয়ে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘৩১ নম্বর পোল্ডার ভেঙে তিলডাঙ্গা ইউনিয়ন, পানখালি ইউনিয়ন ও চালনা পৌরসভার বিশাল এলাকা পানিতে প্লাবিত হবে। বেড়িবাঁধে ভাঙনের বিষয়ে পাউবোকে বার বার জানানো হচ্ছে। কিন্তু কোনো প্রতিকার হচ্ছে না। পাউবোর প্রকৌলশীরা জানিয়েছেন বরাদ্দ নেই, এ কারণে বাঁধ সংস্কার করা যাচ্ছে না।’
খুলনা জেলা পাউবো-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কান্তি ব্যানার্জি বলেন, ‘বাঁধ ভাঙনের বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। আমি ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি, স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি। ১০-১৫ দিন পর ধান উঠে গেলে রাস্তা ঠিক করার কাজ শুরু করব। আশা করি, এ কয়েক দিনে সমস্যা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘ভাঙনকবলিত বেশ কিছু জায়গার জন্য জিওব্যাগ দিয়েছি। ৩১ নম্বর পোল্ডারের পুনর্বাসনে ১২৪৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, বর্তমানে যা পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।’