রবিবার দিবাগত রাতে পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে মোট গ্রেপ্তার করা হলো ১০ জনকে।
পুলিশ জানায়, গত ২৯ অক্টোবর বিকালে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে সহিদুন্নবী জুয়েল (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে-পুড়িয়ে হত্যা করে বিক্ষুব্ধ জনতা।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে কোরআন অবমাননার ঘটনা ঘটেনি: মানবাধিকার কমিশন
নিহত জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।
ওই ঘটনায় পাটগ্রাম থানায় নিহতের চাচাত ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩১ অক্টোবর একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ এবং পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক আরও দুটি মামলা দায়ের করে। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) টি এম মোমিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত করেছে জাতীয় মানবাধিকার সংস্থাও।
এর আগে মামলায় পূর্বে গ্রেপ্তারকৃত পাঁচ আসামিকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক মাহমুদুন্নবী। সোমবার রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আমলি আদালত ৩ এর বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফেরদৌসী বেগম।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অন্য কারও ইন্ধন থাকতে পারে: পুলিশ
এছাড়া রবিবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তারকৃত পাঁচ আসামিকে দুপুরে লালমনিরহাট জেল হাজতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত।