রবিবার সকালে বুড়িমারী জামে মসজিদ, ইউনিয়ন পরিষদ ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বিভিন্নজনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ফাউজুল কবির বলেন, ‘পুরো ঘটনাকে তিন ভাগে ভাগ করে তদন্ত করা হচ্ছে। সাক্ষীরা ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন, ফলে ঘটনাটি পরিকল্পিত কি না তা মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘মসজিদের ঈমাম ও খাদেমের সাথে কথা বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে জুয়েল কোরআন অবমাননা করেননি। তার বিরুদ্ধে কোরআন অবমাননার গুজব ছড়ানো হয়েছে।’
‘জুয়েল কেন বুড়িমারীতে গিয়েছিলেন, তাকে যখন মারধর করা হচ্ছিল তখন তার সাথে থাকা অপর লোকটি তাকে রক্ষার চেষ্টা করেছেন কি না, আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি তাকে হঠাৎ করে কেন মারধর শুরু করলেন, জুয়েল কোরআন অবমাননা করেছেন কি না, বহিরাগত লোকজন কার ডাকে আসল, এ ঘটনায় অন্য কারও ইন্ধন আছে কি না- এ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে তদন্ত করতে হচ্ছে এবং সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে,’ বলেন ফাউজুল কবির।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অন্য কারও ইন্ধন থাকতে পারে: পুলিশ
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পিএম রাহসিন কবির ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস সরকার এ সময় উপস্থিতি ছিলেন।
উল্লেখ্য, বুড়িমারী স্থলবন্দর কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার জুয়েল (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার পর তার লাশ পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবার, বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ ও পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।