এছাড়া, পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়াহাব ভূঞা।
শনিবার দুপুরে উপজেলার শহীদ আফজাল হোসেন হলরুমে আলেম সমাজের সাথে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা এসব কথা বলেন।
ডিআইজি দেবদাশ বলেন, ‘বুড়িমারীতে কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর আগুনে লাশ পোড়ানো ও ভাঙচুরের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি পরে জানানো হবে। ছোট একটি ঘটনাকে রঙ দিয়ে পেছন থেকে কেউ সুযোগ নিতে পারে। তাই পুরো ঘটনাটি একাধিক সংস্থা তদন্ত করছে। একটু অপেক্ষা করুন, প্রকৃত রহস্য বের হবে।’
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে একজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি
বৈঠকে জেলা প্রশাসক আবু জাফর, পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা, পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল, ইউএনও কামরুন নাহার, ওসি সুমন কুমার মোহন্ত ছাড়াও উপজেলার ইমাম-মোয়াজ্জিনসহ পাঁচ শতাধিক আলেম উপস্থিত ছিলেন।
বুড়িমারী স্থলবন্দর কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআন শরীফ অবমাননার গুজব ছড়িয়ে গত ২৯ অক্টোবর শহিদুন্নবী জুয়েলকে হত্যা করে স্থানীয় জনগণ। পরে জুয়েলের মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে দেয় তারা।
নিহত জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক লাইব্রেরিয়ান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। গত বছর চাকরিচ্যুত হওয়ার পর থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন জুয়েল।