অভিযানে বৈধ কাগজপত্র না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ২৪টি ট্রাভেল এজেন্সিকে পৌনে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
গত ৯ মে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে সিলেট বিভাগের ৯ যুবক নিহতের পর মানবপাচারের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। ট্রাভেল এজেন্সির নামে অবৈধভাবে বিদেশ পাঠানোর ব্যবসা নিয়ে আলোচনা হয়।
এ ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে সিলেট জেলা প্রশাসন। সোমবার ৫ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৫টি টিম গঠন করে অবৈধ ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়।
অভিযানে ২৪টি ট্রাভেলস এজেন্সি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও মোট ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর জিন্দাবাজারের ওয়েস্ট ওয়ার্ল্ড শপিং সিটি থেকে তিনজন মানব পাচারকারীকে আটক করা হয় এবং তাদেরকে এক মাসের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল চৌধুরী।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ইউসিএস এডুকেশনের হীরা, রিচ রিলেশন গ্রুপের মাহবুব এবং জাকির এডুকেশনের কর্মচারী।
নগরীর আম্বরখানা এলাকায় অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট ইরতিজা হাসান। অভিযানে আবুসাইদ এন্টারপ্রাইজকে ২০ হাজার, ট্রাভেল টাইমকে ২৫ হাজার টাকা, জিলানী এয়ার ইন্টারন্যাশনালকে ৫ হাজার, মিরাজ এয়ার ইন্টারন্যাশনালকে ২০ হাজার, জে স্কয়ার কনসালটেন্সিকে ২০ হাজার, রেন্জার ইন্টারন্যাশলকে ২০ হাজার ও নিউ জান্নাত ট্রাভেলসকে ৩০ হাজার এবং ট্রাভেলস কর্মচারী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ১৫ দিনের ও নাজমুল ইসলাম খানকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হকের নেতৃত্বে নগরীর উপশহর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে রোজভিউ কমপ্লেক্সের আবিদ ওভারসিজকে ২০ হাজার, আসসালাম হজ্জ এবং ওমরাকে ১৫ হাজার, আলকেফা ২০ হাজার, খাজা এয়ার ইন্টান্যাশনাল সার্ভিসকে ২০ হাজার, হোয়াইট ট্রাভেলসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৯ মে দালালদের মাধ্যমে সাগর পথে ইতালি প্রবেশ করতে গিয়ে ট্রলারডুবিতে প্রাণ হারান সিলেটের বেশ কয়েকজন। এর মধ্যে ৯ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তাদেরকে ইতালি পাঠানোর জন্য ৮ লাখ টাকার চুক্তি করেছিলেন সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের রাজা ম্যানশনের ইয়াহিয়া ওভারসিজ নামক এজেন্সির মালিক এনামুল হক। এ ঘটনার পরই অবৈধ ট্রাভেলসের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে।