বুধবার মোহনগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। আলপনা খালিয়াজুরী উপজেলার সাতগাঁও গ্রামের মানিক মিয়ার স্ত্রী।
রোগীর স্বজনরা জানায়, বুধবার সকালে অসুস্থ অবস্থায় রোগীকে মোহনগঞ্জ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। পরে জরুরি বিভাগের দোতলায় লেবার ওয়ার্ডে পাঠায় চিকিৎসক। লেবার ওয়ার্ডে গেলে কোনো রকম চিকিৎসা না দিয়েই জটিল অবস্থা বলে ময়মনসিংহ রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে ‘চিকিৎসকের অবহেলায়’ প্রসূতির মৃত্যু
কেরানীগঞ্জে নাড়ি কেটে ফেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ
পরে দোতলা থেকে নামার পথে সিঁড়িতে স্বাভাবিকভাবে ছেলে সন্তানের জন্ম দেয় প্রসূতি মা।
বিষয়টি প্রচার হলে তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আলপনাকে। গণমাধ্যমের কর্মীরা জানার আগেই কৌশলে আলপনাকে তড়িঘড়ি করে বিদায় দিয়ে দেন দায়িত্বরত ডাক্তার ও নার্সরা।
এ সময় মেডিকেল অফিসার ডা. মারুফুল আলম তালুকদার, নার্স রিনা পাল ও শিল্পী রাণী কর দায়িত্বে ছিলেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুবীর সরকার বলেন, ‘বিষয়টি শুনে তাদেরকে শোকজ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় এক প্রসূতির ৫ সন্তান প্রসব
ফমেক হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসকষ্টে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ
মোহনগঞ্জ পৌর সভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাজমুল হুদা লিটন বলেন, ‘বিকালে গিয়ে হাসপাতালে রোগী পাইনি। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বলেছেন, সিঁড়িতে বাচ্চা প্রসব হয়েছে। উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো), নার্স ও ডাক্তাররা প্রাইভেট রোগী নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সরকারের স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে না।’ ঘটনা সত্য হলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।