নেত্রকোণা
নেত্রকোণায় এক রাতে বৃদ্ধ-যুবক ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নেত্রকোণায় এক রাতে ৭৩ বছর বয়সি এক বৃদ্ধ ও ১৮ বছর বয়সি এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পূর্বধলা থানা পুলিশ। বুধবার (২০ আগস্ট) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ নূরুল আলম।
মৃতরা হলেন, পূর্বধলার আগিয়া ইউনিয়নের মৃত রাম চরণ বিশ্বাসের ছেলে জয়চরণ বিশ্বাস এবং নারান্দিয়া ইউনিয়নের জাওয়ানি গ্রামের আবুল হোসেন তালুকদারের ছেলে বোরহান উদ্দিন ওরফে বিল্লাল।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে প্রথম ঘটনা ঘটে আগিয়া ইউনিয়নের হাটধলা গ্রামে। বাড়ির ট্রাংক ও খাটের ড্রয়ার থেকে ৬৫ হাজার টাকা হারানোর কষ্ট সহ্য করতে না পেরে জয়চরণ বিশ্বাস তার স্ত্রীকে গালিগালাজ করে ঘর থেকে বের করে দেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া পর জয়চরণ বিশ্বাসও বাড়ি থেকে বের হয়ে যান।
আজ (বুধবার) ভোরে প্রতিবেশী আরতী রানী দাস বারান্দার সামনে জয়চরণ বিশ্বাসকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: সিলেটে শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ওসি আরও জানান, একই রাতে নারান্দিয়া ইউনিয়নের জাওয়ানি গ্রামে আরেকটি ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ভোরের দিকে জনৈক আনিসুজ্জামান সোহেলের পুকুরপাড়ের পশ্চিম পাশে স্থানীয় পাহারাদার আব্দুল মজিদ, বোরহান উদ্দিনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।
বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালামের মাধ্যমে শ্যামগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
বৃদ্ধ ও যুবক এই দুজনের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এবং তদন্তের পর দুজনের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
১০৬ দিন আগে
নেত্রকোণায় ফুটবল মাঠে শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ হামলা, কুপিয়ে জখম
নেত্রকোণায় ফুটবল খেলা দেখতে গিয়ে সংঘবদ্ধ হামলার শিকার হয়েছেন এক স্কুলশিক্ষার্থী। কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে তাকে। ঘটনাটি ঘটেছে কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের পাচপীর কান্দাপাড়া গ্রামে।
আহত আরমান (১৫) কেন্দুয়ার সায়মা শাহজাহান একাডেমির সপ্তম শ্রেণির ছাত্র এবং স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হকের ছেলে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) কেন্দুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এরআগে গত শুক্রবার(১ আগস্ট) বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে পাচপীর কান্দার ফুটবল মাঠে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী আরমান বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে একটি খুনের মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন আরমানের বাবা আব্দুল হক। সেই মামলাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্তদের সঙ্গে বাদীর পারিবারিক বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন বিকালে আব্দুল হক, তার দুই ছেলে আরমান ও কবীর ফুটবল খেলা দেখতে যান। খেলায় কবীর অংশ নিলেও আরমান দর্শক সারিতে বসে খেলা দেখছিল।
অভিযোগে বলা হয়, গত শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে সানোয়ার হোসেন, আবুল মিয়া, রুমান, খোকা মিয়া, রইছ উদ্দিন ও রবিন মিয়াসহ আরও কয়েকজন সংঘবদ্ধভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাঠে হাজির হন। তারা প্রথমে আব্দুল হককে ঘেরাও করে হামলার চেষ্টা করে। তিনি দৌড়ে পালিয়ে বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে তার দুই ছেলেকে লক্ষ্য করে মাঠে ঢুকে পড়ে হামলাকারীরা।
আরও পড়ুন: খুলনায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
সাক্ষীদের ভাষ্যমতে, হামলাকারীরা প্রথমে কবীরকে ঘিরে ধরলেও সে পালিয়ে যায়। পরে তারা আরমানকে ঘিরে ধরে। এসময় রইছ উদ্দিন ‘হক্যার পোলারে খুন কর’ বলে হুকুম দিলে সানোয়ার রামদা দিয়ে আরমানের মাথায় কোপ মারতে যায়। আরমান সামান্য কাত হয়ে পড়ায় কোপ তার ডান পায়ের হাঁটুর নিচে পড়ে এবং হাড়ভাঙা জখম হয়। এরপর রুমান বাম পায়ে কোপ দেন এবং খোকা মিয়া ও রবিন লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে দুই পায়ের হাঁটুর নিচে হাড়চূর্ণ করে দেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। আত্মরক্ষায় হাত তুললে আরমানের আঙুলেও মারাত্মক জখম হয়।
স্থানীয়রা ও স্বজনরা রক্তাক্ত অবস্থায় আরমানকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন এবং ইতোমধ্যে তার শরীরে দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে।
১২১ দিন আগে
নেত্রকোণায় স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২০ জুলাই) ভোরে উপজেলার কুল্লাগাড়া ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামে স্ত্রীর বাবার বাড়ি থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
নিহতরা হলেন—কুড়ালিয়া গ্রামের রহিম উদ্দিনের মেয়ে ঝুমা আক্তার (২১) ও চকলেংগুরা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে সোহাগ মিয়া (২৪)। সোহাগ পেশায় দিনমজুর ছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে দম্পতির। এক সপ্তাহ আগেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল, পরে মিলও হয়। রবিবার ভোরে ঘর থেকে শিশুর কান্নার শব্দ শুনে ঝুমার বাবা রহিম উদ্দিন গিয়ে দেখেন—ঘরের ধরনার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন ঝুমা ও সোহাগ। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে পুলিশে খবর দেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লিফটের নিচ থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
পরে দুর্গাপুর থানা পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে থানায় নেয়।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি পারিবারিক কলহ থেকে আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
১৩৭ দিন আগে
নেত্রকোণায় ডলার নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে দুই ভাই গ্রেপ্তার
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় অনলাইনে ডলার বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) তাদের গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার মামলা করা হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে ‘ট্রেজার এনএফটি’ নামে একটি অনলাইন ভিত্তিক স্কিম চালু করে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছেন। তাদের প্রতারণার জাল কতদূর বিস্তৃত, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।
এর আগে, এ ঘটনায় থানায় করা মামলা ও নেত্রকোনা জেলা এনএসআইয়ের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার (১৫ জুন) রাত ৯টার দিকে আশুজিয়া ইউনিয়নের চান্দপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন— মৃত আব্দুল জাহেদের দুই ছেলে আরিফুল হক (৪৩) ও শরিফুল হক (৩২)।
তাদের বিরুদ্ধে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বড় পরিসরে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। অভিযানে তাদের মোবাইল ফোনসহ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করা হয়েছে। তবে প্রধান অভিযুক্ত মঞ্জুরুল হকের ছেলে মাসুদুল হাসান সৈকত (৩০) পালিয়ে যান বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় কেন্দুয়া থানায় ভবানীপুর গ্রামের মো. নাহিদুল ইসলাম (২০) নামের এক যুবক বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ‘সন্ত্রাসী’ তূর্য গ্রেপ্তার
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ট্রেজার এনএফটি প্ল্যাটফর্মে প্রতিদিন ১ দশমিক ৮ শতাংশ হারে লভ্যাংশ ও রেফারেন্স ইনকামের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে মোট ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা বিনিয়োগে বাধ্য করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কোনো লাভ বা মূলধন ফেরত না পেয়ে তিনি প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা বাইন্যান্স (Binance), বাইবিট (Bybit), বিটগেট (Bitget), ট্রাস্ট ওয়ালেট (Trust Wallet), মেটামাস্কের (MetaMask) মতো আন্তর্জাতিক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কেন্দুয়ার আশুজিয়া ও দলপা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় দুই-তিন হাজার মানুষের কাছ থেকে কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতারক চক্রের অন্যান্য সদস্য ও গোপন নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
১৬৯ দিন আগে
নেত্রকোণায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় হামলায় নিহত ১
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় ইভটিজিংয়ের ঘটনার প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীদের হামলায় একজন নিহত এবং অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের ধনাচাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে। আহতরা হলেন— সাইদুল ইসলাম (৪৫), হাবিবুর রহমান (৩২), আনিছুর রহমান (৪৩), সম্রাজ (৫৫), খোদেজা (৩২)।
এদের মধ্যে রাত আনুমানিক সোয়া ৮টার দিকে গুরুতর আহত মৃত চান মিয়া ফকিরের ছেলে আনিছুর রহমান (৪৩) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অন্যদিকে অভিযুক্তরা হল—সিদ্দিক মিয়া (৪০), আমিন (১৭), মনির (২৬), সজিব (২৭), কালাম (৪০), সালাম (৩৬) সহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন।
আরও পড়ুন: ‘ইভটিজিং নিয়ে হত্যা’ মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, পাঁচজনের যাবজ্জীবন
পরিবার বরাত দিয়ে পুলিশ জানান, গতকাল (মঙ্গলবার) বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে ধনাচাপুর গ্রামের সাইদুল ইসলামের বাড়ির সামনে পরিবারের কিছু নারী সদস্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় একই এলাকার সাদেক মিয়ার ছেলে আমিন এবং বাচ্চু মিয়ার ছেলে সজিবসহ কয়েকজন যুবক ওই নারীদের উদ্দেশ্যে অশ্লীল মন্তব্য করে এবং গান গেয়ে ইভটিজিং করে। নারীরা প্রতিবাদ করলে স্থানীয়রা অভিযুক্তদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।
তবে এর মাত্র ১০ মিনিট পর মো. সিদ্দিক মিয়ার নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্রসহ সাইদুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে এবং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে পরিবারের সদস্যদের মারধর করে গুরুতর জখম করে।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। পরিস্থতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
১৭৬ দিন আগে
নেত্রকোণা সীমান্তে ৩২ জনকে পুশ ইন বিএসএফের
নেত্রকোণার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুরের বিজয়পুরের জংখল এলাকা দিয়ে ৩২ জনকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)
মঙ্গলবার (৩ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে বিএসএফের পুশইন রকা ৩২ জন আটক করে বিজিবি। এদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ২২ জন মহিলা ও একজন শিশু রয়েছেন।
৩২ জন পুশইনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নড়াইল জেলার কালিয়া থানাধীন ১১ জন। তারা হলেন- মো. রমজান আলী (১৮), নুর ইসলাম সরদার (৪২), আলম সরদার (১৮), মিরাজগাজী (২৩), রোজিনা বানু (৩৫), ছামিরা গাজি (১৪), সিরাজ গাজী (২২), ফনুফা (২০), মাসুদ সরদার (৯), মরিয়ম (১২) ও নাসরিন বেগম (৩২)।
খুলনা জেলার বৈইটাঘাটনা থানার মো. শাকিল ইজাদ্দার (২২), মোসা. সোনিয়া (১৯) ও হালিমা ইজ্জাদার (০২) এবং একই জেলার রূপসা থানার মোসাম্মাৎ কবিতা খাতুন (২০), মোসাম্মাৎ এলিনা বেগম (৩০)।
আরও পড়ুন: সিলেট সীমান্তে ২২ জনকে পুশ ইন করল বিএসএফ
তিনজন করে বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও যশোর জেলার। তারা হলেন- বাগেরহাটের রামপাল থানার মোসাম্মাৎ হাসনা খাতুন (২৫), মোংলা থানার মোসাম্মাৎ মাহমুদা বেগম (২৮) ও কচুয়া থানার ইভা শেখ (১৮)। সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া ধানার মোসম্মাৎ টুম্পা খাতুন (২২), মোসাম্মাৎ সায়েরা খাতুন (৩০) ও আসমা খাতুন (২৮) এবং যশোর জেলার মনিরামপুর থানার মোসাম্মাৎ তানিয়া খাতুন (২৬), মোসাম্মাৎ রেখা খাতুন (২৬) ও ঝিকরগাছা থানার মোসাম্মাৎ পরভিনা শেখ (৩০)।
ঢাকা জেলার দুজন দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ফাতেমা (২৫) ও ডেমরা থানার রিতা আক্তার (৩০)। এছাড়া একজন করে রয়েছেন দিনাজপুরের কোতোয়ালী থানার মো. জাকারিয়া (৩০), টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার, মোসাম্মাৎ সাবিনা বেগম (৩৫), শেরপুরের নকলা থানার মো. মনঞ্জুরুল ইসলাম (৩৭), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার জাহানারা বেগম (৪০) এবং জামালপুরের মেলান্দহ থানার জুথি আক্তার (১৭)।
বিজিবি’র নেত্রকোণা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল আওয়াল এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পুশ ইন করার ব্যক্তিদের বাড়ি টাঙ্গাইল, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর নড়াইল, ঢাকা, জামালপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, শেরপুর ও দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়। তাদের দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে তিনজন ভারতীয়সহ পুশ ইন করা ৭৮ জন উদ্ধার
১৮৩ দিন আগে
নেত্রকোণায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত
নেত্রকোণা সদর উপজেলায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার নেত্রকোণা-মোহনগঞ্জ রেলপথের সতরশ্রী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মোহনগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৫০ হবে বলে জানায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ যুবক নিহত
এসআই মোবারক বলেন, ‘ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জগামী আন্তঃনগর ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনে কাটা পড়ে ওই ব্যক্তি মারা যান। খবর পেয়ে রাতেই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ওই ব্যক্তি সম্ভবত মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। কয়েকদিন ধরে স্থানীয় বাজারে তাকে ঘোরাফেরা করতে দেখেছেন এলাকাবাসী। তবে কেউই তাকে চেনেন না।’
২১৯ দিন আগে
নেত্রকোণায় ধর্ষণচেষ্টায় প্রেমিকের বন্ধুকে ব্লেড দিয়ে আঘাত তরুণীর
নেত্রকোণার পূর্বধলায় ধর্ষণচেষ্টার সময় প্রেমিকের বন্ধুর পুরুষাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে দিয়েছেন এক তরুণী। সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার রাজধলা বিলের পশ্চিম পাশে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণচেষ্টাকারী আহত যুবকের নাম পারভেজ (২৫)। তিনি উপজেলা সদর ইউনিয়নের তারাকান্দা গ্রামের মান্নাফ মিয়ার ছেলে।
আর যৌন নিপীড়নের শিকার তরুণী একই উপজেলার বিশকাকুনী ইউনিয়নের বিষমপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলার স্থানীয় একটি ডিগ্রি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
স্থানীয়দের হাতে আটক ওই তরুণীর দাবি, জনৈক জাহিদ নামের এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে সে বিকাল ৪টার দিকে উপজেলা রাজধলা বিলপাড়ে আসে। এসময় প্রেমিক জাহিদ ফোনে তার বন্ধু পারভেজকে সেখানে ডেকে আনেন। পরে তারা দুজন মিলে তাকে বিলের পশ্চিম পাশে একটি বাগানের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে জোরপূর্ব ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় ওই তরুণীর ব্যাগে থাকা একটি ব্লেড দিয়ে পারভেজের পুরুষাঙ্গে আঘাত করে। এতে পারভেজের পুরুষাঙ্গের অর্ধেক কেটে যায়। পরে তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
স্থানীয় লোকজন ওই তরুণীকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয়।
আরও পড়ুন: যশোরে ফের শিশু ‘ধর্ষণের চেষ্টা’, পুলিশি হেফাজতেও অভিযুক্তের ওপর চড়াও স্থানীয়রা
পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, যুবকের পুরুষাঙ্গের প্রায় অর্ধেক কেটে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল আলমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান। তবে এই বিষয়ে কোনো অভিযোগ পেলে আইগত ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান ওসি।
২৪১ দিন আগে
নেত্রকোণার ধনু নদ থেকে ৩ জনের লাশ উদ্ধার
নেত্রকোণার খালিয়াজুরীর উপজেলার ধনু নদ থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১০ মার্চ) বিকাল ৩টার দিকে ধনু নদের নাওটানা এলাকা সংলগ্ন আশালিয়া ঘাট থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় লাশ তিনটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃতরা হলেন— জেলার আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া এলাকার শহীদ মিয়া, কেন্দুয়া উপজেলার বোয়ালবাড়ি এলাকার হৃদয় মিয়া ও মদন উপজেলার বাগজান গ্রামের রোকন মিয়া।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে অজ্ঞাত দুই নারীর লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার (৮ মার্চ) খালিয়াজুরীতে ইজারা করা জলাশয়ে মাছ শিকার করতে যাওয়া লোকজনের সঙ্গে রসুলপুর ফেরিঘাট এলাকায় নদী পারাপারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জগন্নাথপুর ও রসুলপুর গ্রামের লোকজনের সংঘর্ষ হয়। এ সময় কমপক্ষে শতাধিক পিকআপ, অটোরিকশা, সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। তখন মদন উপজেলার রোকন মিয়া, ইয়াছিন মিয়া, আটপাড়ার শহীদ মিয়া ও কেন্দুয়া হৃদয় মিয়াসহ বেশ কয়েকজন নিখোঁজ হন। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে অর্ধশত লোকজনকে আটক করেন।
খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
২৬৯ দিন আগে
নেত্রকোণায় রাইফেল জব্দ, আটক ৩
নেত্রকোণার মদনে রাইফেল বহন করার অভিযোগে তিন যুবককে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি রাইফেল জব্দের দাবি করেছে সেনা সদস্য।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কদমতলী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকেরা হলেন- কুলিয়াটি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে কামরুল ইসলাম (২২), মদন দক্ষিণ পাড়া গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে ছোটন মিয়া (৪৫) ও একই গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে দীপু (২৫)।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মদন সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন ইমামুন নূর জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর ৩ সিগন্যাল ব্যাটালিয়নের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর একটি টিম মদন উপজেলার সদর ইউনিয়নের কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন জনকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি রাইফেল ও ১টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকেরা মাদক ব্যবসা ও মাদক চোরাচালানের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন।
আটকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুপুরে মদন থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
৩৯৪ দিন আগে