সময়ের সাথে সাথে বাড়ছে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কবল থেকে রক্ষা পেতে মানুষ ছুটছে আশ্রয় কেন্দ্রে। জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, উপকুলীয় এলাকার লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের বিষয়ে সতর্ক করে উপকূলে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বত্র মাইকিং করছে সিপিপি সদস্যরা। তোলা হয়েছে লাল পতাকা। উপকূলীয় দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা, পদ্মপুকুরসহ অন্যান্য ইউনিয়নের সাধারণ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনতে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি কাজ করছে পুলিশ, বিজিবি, নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস।
ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলার এক হাজার ২৭২টি আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। উপকূলীয় দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা ও পদ্মপুকুরের ৫৫ হাজার মানুষের মধ্যে ১০ হাজার মানুষকে নদী পার নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। বাকীদের স্থানীয় আশ্রয় কেন্দ্র এবং বিভিন্ন স্কুল ও মসজিদসহ বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়া হয়েছে।
তবে, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে আতংকে রয়েছেন উপকূলের মানুষ। শ্যামনগর ও আশাশুনির অন্তত ৪৩টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বালুর বস্তা ফেলে সেগুলো মেরামত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম আবুজর গিফারী জানান, উপকূলীয় শ্যামনগরের ৬৫ হাজার মানুষ বর্তমানে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, শ্যামনগর ও আশাশুনির লক্ষাধিক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পর্যাপ্ত মাস্ক ও গামছা দেয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ প্রত্যেক ইউনিয়নে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
দুর্গতদের জন্য ২৫০ মেট্রিক টন চাল ও ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।