সারাদেশ
গাজীপুরে কারখানা বন্ধের ঘোষণায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশে শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। কারখানা খুলে দেওয়া এবং তাদের কিছু দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে কারখানার প্রধান ফটকে জড়ো হয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী থানাধীন আমবাগ এলাকার পি এন কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার এক শ্রমিক গত ৭ ডিসেম্বর জরুরি কাজে কারখানা থেকে বের হয়ে বাইরে যান। যখন তিনি কাজ শেষ করে ফিরে আসেন, তখন কারখানার এক কর্মকর্তার সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরের দিন, অর্থাৎ গতকাল (সোমবার) শ্রমিকদের কয়েকজন ওই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সারা দিন শ্রমিকদের বুঝিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। বিকেলে শ্রমিকরা চলে গেলে কর্তৃপক্ষ রাতেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। বন্ধের নোটিশ কারখানার প্রধান ফটকে সেঁটে দেওয়া হয়।
নোটিশে লেখা রয়েছে, পি এন কম্পোজিট লিমিডেটের সংশিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ৭ ডিসেম্বর থেকে কারখানার শ্রমিকরা কিছু অযৌক্তিক দাবি উত্থাপন করে, অবৈধভাবে কারখানায় সংঘবদ্ধ হয়ে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে। চরম বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করে এবং অবৈধ ধর্মঘটে লিপ্ত হয়, যা আজও চলমান। এর ফলশ্রুতিতে কারখানার অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটে। এ ছাড়াও কারখানার নির্ধারিত রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার কারণে কোম্পানি বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুক্ষীন হয়েছে।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের আহ্বান জানায় যে, যে কোনো প্রকার দাবি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব এবং সবাইকে উৎপাদন কার্যক্রম সচল রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু শ্রমিকরা কাজে যোগদান করা থেকে বিরত থাকে। ফলে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। শ্রমিকদের এই আচরণ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী বেআইনি ধর্মঘট হিসেবে গণ্য হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কারখানার কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় কারখানা কর্তৃপক্ষ এই কারখানার শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করল। পরবর্তীতে কারখানা চালু করার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে খোলার তারিখ নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।
মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে জানতে পারেন, কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে তারা উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশ ও কোনাবাড়ি থানা পুলিশ শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে কারখানার ব্যবস্থাপক তাপসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর ডিউটি চলাকালীন একজন শ্রমিক কারখানার বাইরে যায়। পরে তার সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হলে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেয়। একাধিকবার সমাধানের চেষ্টা করলেও তারা কথা না শুনে সোমবারও কাজ বন্ধ করে দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পরে কর্তৃপক্ষ সকাল থেকে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ঘটনাস্থলে শিল্প ও থানা পুলিশ রয়েছে। শ্রমিক এবং কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি কীভাবে সমাধান করা যায় সেই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
৬ দিন আগে
পরকীয়ার অভিযোগে শালিসে মারধর, পরে মিলল গৃহবধূর মরদেহ
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে পরকীয়ার অভিযোগে শালিস বৈঠকে এক গৃহবধূকে মারধরের পরদিন তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্যসহ কয়েকজনের নির্যাতন ও সামাজিক অপমান সহ্য করতে না পেরে তৃপ্তি রায় (২৩) নামের ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) উপজেলার বৈরচুনা ইউনিয়নের দক্ষিণ দোপাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রামের পবিত্র চন্দ্র রায়ের সঙ্গে একই এলাকার তৃপ্তি রায়ের প্রেমের সম্পর্ক আছে—এলাকায় এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এর সূত্র ধরে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে পবিত্র রায়ের বাড়িতে তৃপ্তি রায়কে ডেকে নিয়ে বৈরচুনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান টেলিনা সরকার হিমুর উপস্থিতিতে শালিস বসে।
শালিসে চেয়ারম্যান হিমু ও ইউপি সদস্য মুসলিম উদ্দিন পরকীয়ার অভিযোগ তুলে তৃপ্তিকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। এ সময় তাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে অপমান করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। শালিস শেষে গৃহবধু তৃপ্তি রানীকে তার স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়। তবে স্বামী যতীশ চন্দ্র রায় তাকে ঘরে তুলতে অস্বীকৃতি জানান।
পরদিন সকালে নওডাঙ্গা নয়াপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের পুকুরপাড়ের এক জাম্বুরা গাছে তৃপ্তি রায়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
তৃপ্তির স্বামী যতীশ চন্দ্র রায় বলেন, স্ত্রীকে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে দিনভর নির্যাতন করা হয়েছে। ঘটনার মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত আমি তাকে ঘরে তুলিনি। অপমান সইতে না পেরে হয়তো সে আত্মহত্যা করেছে।
তৃপ্তির বাবা শীরেন চন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেন, মেয়েকে শালিসের নামে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এরপর থেকেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে জামাই খবর দেয়, মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া গেছে।
দক্ষিণ দোপাইল গ্রামের বাসিন্দা দ্বীপঙ্কর রায় বলেন, এভাবে শালিস ডেকে একজন মেয়েকে চড়-থাপ্পড় মারা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। ঘটনার দিন অনেক লোক জড়ো হয়েছিল। সবাই চাপা গলায় কথা বলছিল। পরে শুনি মেয়েটা অপমান সহ্য করতে না পেরে লজ্জায় আত্মহত্যা করেছেন। খুব খারাপ লাগছে।
স্থানীয় মোসলেম উদ্দিন বলেন, শুনেছি সকাল থেকেই ওকে নিয়ে টানাটানি হচ্ছিল। বিকেলের দিকে শালিস বসে। যেভাবে গালিগালাজ আর মারধর করা হলো, মানুষ হলে তো কষ্ট লাগবেই। আত্মহত্যা করুক বা যাই হোক, খুব অন্যায় হয়েছে মেয়েটার সঙ্গে।
স্থানীয় কৃষক সাদেকুল বলেন, পরকীয়া নিয়ে গুঞ্জন ছিল, তাই বলে শালিসে মারধর করবে? ইউনিয়ন পরিষদ যদি বিচার করতে গিয়ে নিজেরাই অপমান করে, তাহলে মানুষ কোথায় যাবে?
ইমন আলী নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, আমরা খবর পাই যে মেয়েটাকে রাতে বাড়িতে নেয়নি তার স্বামী। দিনভর অপমান আর রাতে কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকলে যে কেউ ভেঙে পড়বে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বৈরচুনা ইউপি চেয়ারম্যান টেলিনা সরকার বলেন, এ ব্যাপারে কিছু বলব না। থানায় এজাহার হয়েছে, পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তেই সব বেরিয়ে আসবে।
ঘটনা সম্পর্কে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এটি আত্মহত্যা নাকি কোনো ধরনের প্ররোচনা বা হত্যার ঘটনা—সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
৭ দিন আগে
লন্ডন পাঠানোর নামে সিলেটে প্রতারণা, যশোরে ‘দম্পতি’ গ্রেপ্তার
লন্ডন পাঠানোর নামে সিলেটের একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে কথিত এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে যশোরের কোতোয়ালী থানার সেক্টর ৭-এর ৬ নম্বর বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রতারণার শিকার তরুণ-তরুণীরা সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মুকিত মিয়া।
গ্রেপ্তাররা হলেন ঢাকার কদমতলী থানার রায়েরবাগ মিরজানগর সি ব্লকের বাসিন্দা মো. নাজিম উদ্দিন আদিল (৩৫) ও তার কথিত স্ত্রী ফারজানা শারমীন সোমা (৩৭)।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) তাদের সিলেট নিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা জানান, সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের এলিগেন্ট মার্কেটের এস আই ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি ট্রাভেলসের মালিক ওই দম্পতি। সম্প্রতি তাদের প্রচারে আকৃষ্ট হয়ে লন্ডন যাওয়ার জন্য আইইএলটিএস সম্পন্ন করা অনেক তরুণ-তরুণী নিজেদের গহনা, জায়গা-জমি বিক্রি করে তাদের টাকা দেন। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করে দেওয়ার নামে তারা জনপ্রতি ১৫ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন।
এক তরুণী বলেন, অনেক কষ্ট করে, গহনা বিক্রি করে আমরা উনাদের টাকা দিয়েছি, কিন্তু পরে দেখি সবকিছু ভুয়া। আমরা এর ন্যায়বিচার এবং টাকা ফেরত চাই।
ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতারকরা বেশ কৌশলী ছিলেন। ভিসা হয়ে গেছে, এমন ছবি দেখিয়ে টাকা আদায় করেছেন তারা। পরে দেখা গেছে, ভিসা সঠিক নয়। এরপর অফিসে গেলে তা খোলা পাওয়া যায়নি। এমনকি তারা তাদের মোবাইলও বন্ধ করে দেন। হতাশায় জর্জরিত ভুক্তভোগীরা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যশোর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
৭ দিন আগে
সুন্দরবন থেকে ৭ জেলে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি
মুক্তিপণের দাবিতে ডন বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৭ জেলেকে অপহরণ করেছে জলদস্যুরা।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মালঞ্চ নদীর হাঁসখালী, চেলাকাটা, হেতালবুনি খাল থেকে জেলেদের অপহরণ করা হয় বলে জানিয়েছেন ফিরে আসা জেলেরা।
অপহৃত জেলেরা হলেন— সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের আব্দুল আজিজ (৫০), ইব্রাহিম হোসেন (৪৫), আনারুল ইসলাম (২২), নাজমুল হক (৩৪), শামিম হোসেন (৩৬), আনোয়ার হোসেন (৩২) ও হরিনগর জেলেপাড়ার মুজিবুল হোসেন (৩৫)।
ফিরে আসা দুই জেলে ফজের আলী ও সবুজ মিয়া জানান, সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশন থেকে পাশ নিয়ে কাঁকড়া ধরার জন্য তারা সুন্দরবনে যান। বনে কাঁকড়া শিকারের জন্য রবিবার তারা মালঞ্চ নদীর বিভিন্ন খালে অবস্থান করছিলেন। একপর্যায়ে তিনটি নৌকায় ১০ জন বন্দুকধারী তাদের ঘিরে ধরে। এ সময় তারা প্রতি নৌকা থেকে একজন করে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিকাশ নম্বর দিয়ে সেটিতে মুক্তিপণের মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
তারা আরও জানান, ঋণ করে তারা বনে গিয়েছিলেন। এখন চালান তো উঠবেই না, উল্টো মুক্তিপণ দিয়ে সহকর্মীদের ছাড়াতে হবে। এমন দুরবস্থার মধ্যে পড়ার চেয়ে মৃত্যুও ভালো ছিল বলে আক্ষেপ করেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দরবনের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ফজলুল হক বলেন, বনবিভাগের স্মার্ট পেট্রোল টিমের সদস্যরা নিচে রয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। বিষয়টি আপনারা কোস্টগার্ডকে একটু অবহিত করেন।
কোস্টগার্ড কৈখালী বিসিজি স্টেশন সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে বিষয়টি তারা শুনেছেন। অপহরণের শিকার জেলেদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে। সবকিছু নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
৭ দিন আগে
হবিগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা
হবিগঞ্জে ফারজানা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। নিহত ফারজানার স্বামী নুর আলী এখন পুলিশের হেফাজতে আছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে চুনারুঘাট উপজেলার শিমুলতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ফারজানা চুনারুঘাট উপজেলার উত্তর গোড়ামী গ্রামের আছকির মিয়ার মেয়ে। প্রায় ৪ বছর আগে একই উপজেলার লাদিয়া গ্রামের সুরুজ আলীর পুত্র নুর আলীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের আড়াই বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
ফারজানার মা আছমা বেগম জানান, তার মেয়ে স্বামীসহ শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজসংলগ্ন শিমুলতলা গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ফারজানা ও নুর আলীর মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল। নুর আলী ফারজানাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ঘটনার দিন সকালে তিনি তার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার পর নুরও একই অস্ত্র দিয়ে নিজের শরীরে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
৮ দিন আগে
রাজধানীতে অটোরিকশার ধাক্কায় যুবক নিহত
রাজধানীর ডেমরায় রাস্তা পারাপারের সময় অটোরিকশার ধাক্কায় মো. বাবুল মিয়া (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ডেমরা থানার বামৈল মোল্লা ডাইং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার পরপরই আহত বাবুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী আশিকুর জানান, বাবুল কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়া এলাকার মতি মিয়ার ছেলে। তিনি ডেমরা এলাকায় বসবাস করতেন।
তিনি আরও বলেন, রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগামী একটি অটোরিকশার ধাক্কায় বাবুল গুরুতর আহত হন। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাই।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হলে তারা অটোরিকশা জব্দ ও চালককে আটক করে থানায় নিয়েছে বলে জানিয়েছে।
৮ দিন আগে
নাটোরে সারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে কৃষকদের বিক্ষোভ
সারের দাবিতে নাটোরের নলডাঙ্গায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন কৃষকরা। আসন্ন বোরো মৌসুমের জন্য ডিলার পয়েন্টে গিয়ে সার না পেয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে এ কর্মসূচি পালন করেছেন তারা।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নলডাঙ্গা উপজেলা মোড়ে কৃষকরা এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
বিক্ষোভে উপস্থিত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ সকাল ১০টার দিকে উপজেলা মোড়ে অবস্থিত সার ডিলার শ্যাম সুন্দর আগরওয়ালের দোকানে গিয়ে সারের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন তারা। সেখানে সার না থাকার খবর পেয়ে একপর্যায়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন তারা। পরে উপজেলা কৃষি অফিসের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন। সেখান থেকে ফিরে উপজেলা মোড়ে গিয়ে প্রধান সড়ক অবরোধ করেন।
এ সময় কৃষকরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কিশোয়ার হোসেনের অপসারণ দাবি করেন। পরে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন সার প্রপ্তি নিশ্চিতে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে প্রায় এক ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অবরোধ তুলে নেন কৃষকরা।
শ্যাম সুন্দরের ব্যবস্থাপক বকুল দাস জানান, বরাদ্দ অনুযায়ী সব সার তারা উত্তোলন করতে পারেননি। অনেক কৃষক চলতি রবি ও আসন্ন বোরো মৌসুমের একবারে সার সংগ্রহ করার কারণে চাপ তৈরি হয়েছে। বরাদ্দ অনুযায়ী সকল সার কৃষক-পর্যায়ে বিক্রি করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল এমরান খান বলেন, ডিলার পয়েন্টে সার পৌঁছলেও কৃষকরা কেন পাচ্ছে না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
৮ দিন আগে
যশোরে যুবক খুন, পকেটে পাওয়া গেল ৬১ পিস ইয়াবা
যশোরে তানভীর (২২) নামে এক যুবক ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে শহরের বেজপাড়া আনসার ক্যাম্পের পেছনে ঘটে এ ঘটনা।
নিহত তানভীর শহরের শংকরপুর হাজারিগেট এলাকার মিন্টু মিয়ার ছেলে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বেজপাড়া আনসার ক্যাম্প এলাকার মুদি ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম রিপন জানান, তানভীর ক্যাম্পের পেছনের দিক থেকে দৌড়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় সড়কে পড়ে যান। পরে কয়েকজন নারী তাকে দেখতে পেয়ে রিকশায় তুলে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতালে তাকে দেখতে যায়। সেখানে গিয়ে তল্লাশি করে তানভীরের পকেট থেকে ৬১ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।
থানা সূত্রে আরও জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শংকরপুর বেলের মাঠ এলাকায় যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে পাঁচটি বোমা ও একটি চাকুসহ নাঈম ও সাজু নামে দুই যুবককে আটক করে। সে সময় তানভীর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
আটক দুই যুবকের ভাষ্যমতে, উদ্ধার হওয়া বোমাগুলো তানভীরের ছিল। পালিয়ে তিনি বেজপাড়া আনসার ক্যাম্পের পেছনে অবস্থান নিলে সেখানেই তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, রাত সোয়া ১২টার দিকে কে বা কারা তাকে ছুরিকাঘাত করেছে, তা এখনো জানা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
৮ দিন আগে
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের তিন আরোহী নিহত
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন মোটরসাইকেলআরোহী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন দুই আপন ভাই।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— সুমন (২৫) ও তার ভাই ইমন (২২)। তারা কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সদকী মোহাম্মদপুরের করিম মন্ডলের ছেলে। আরেকজন হলেন আশিক মোল্লা (২২)।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে মোটরসাইকেলযোগে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া যাচ্ছিলেন তারা। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা অজ্ঞাতনামা একটি যানবাহন মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সুমন ও ইমন নিহত হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় আশিককে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারও মৃত্যু হয়।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর সার্জেন্ট রাসেলকে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেলটিকে একটি অজ্ঞাত গাড়ি ধাক্কা দিয়ে চলে যায়।
তিনি বলেন, নিহতদের মরদেহ আজ (রবিবার) সকালে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপরাধী গাড়িটি ও তার চালককে শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে।
৮ দিন আগে
রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রীকে ‘গলাকেটে হত্যা’
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় এক মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃদ্ধ এই দম্পতিকে কেন এমন নৃশংসভাবে খুন করা হলো, তা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের খিয়ারপাড়া গ্রামে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মুক্তিযোদ্ধা হলেন যোগেশ চন্দ্র রায় (৭৫) এবং তার স্ত্রী সুবর্ণা রায় (৬০)। যোগেশ চন্দ্র রায় ওই এলাকার রহিমাপুর নয়াহাট মুক্তিযোদ্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, যোগেশ দম্পতির দুই ছেলে, তারা বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত। ফলে বাড়িতে একাই থাকতেন ওই দম্পতি। প্রতিদিনের মতো গতরাতেও তারা ঘুমাতে যান। এরপর আজ (রবিবার) সকালে দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরও তাদের কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশী দীপক নামের এক ব্যক্তি বাড়ির গেটের সামনে মই লাগিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি সুবর্ণা রায়কে রান্নাঘরে এবং যোগেশ চন্দ্র রায়কে খাবার ঘরে গলা কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বিষয়টি স্থানীয়দের জানান।
ঘটনাটি এলাকায় শোক ও ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু সাইয়ুম তালুকদার বলেন, ঘটনাস্থলে ক্রাইম সিনের সদস্যরা রয়েছেন। পাশাপাশি এই হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে তদন্তে নেমেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
৮ দিন আগে