বাংলাদেশ
৪৭তম বিসিএসের লিখিত পেছানোর দাবিতে যমুনা অভিমুখে বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ৫
রাজধানীর শাহবাগে ৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে যমুনা অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের লাঠিচার্জে ৫ জন প্রিলিমিনারি উত্তীর্ণ প্রার্থী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন— মো. শাহিন (২৮), আশিকুর রহমান (২৯), শাকিল আহমেদ (২৮), রিয়াজ (২৭) ও আবরার শাহরিয়ার উল্লাস (২৮)।
আহত শাকিল আহমেদ বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে আমাদের বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়। কিন্তু তারা (কর্তৃপক্ষ) আমাদের লিখিত পরীক্ষার জন্য তেমন কোনো সময় না দিয়ে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে। আমরা গত একমাস ধরে পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে শাহবাগ এলাকায় আন্দোলন করে আসছি।
তিনি বলেন, আমরা আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গেও বসেছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমাদের দাবি ছিল, ২৮ ডিসেম্বরকে লিখিত পরীক্ষা তারিখ ঘোষণা করার জন্য। কিন্তু তারা সেটি না করে চলতি মাসের ২৭ তারিখে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে। আমরা আজ শাহবাগ থেকে যমুনার উদ্দেশে যাওয়ার চেষ্টা করলে সন্ধ্যার দিকে তারা (পুলিশ) আমাদের ওপর লাঠিচার্জ এবং সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করে।
ঢামেক হাসপাতালে এখন পর্যন্ত পাঁচজন এসেছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের মাথা ফেটে গেছে। শাহিনের মাথায় ১০টি সেলাই লেগেছে। আর একজন ভাই গুরুতর আহত হওয়ায় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে আছেন বলেও জানান তিনি শাকিল আহমেদ।
২০ দিন আগে
বগুড়ায় ২ সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার অভিযোগ
বগুড়ায় দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর মা আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) জেলার শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টা পাড়া ইউনিয়নের খলিশা কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, খলিসা কান্দি দহপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সেনাবাহিনীর সদস্য শাহাদাত হোসেন কাজল এর স্ত্রী সাদিয়া মোস্তারিম (২৪) দুই সন্তান সাইফ (৭) ও সাইফা (৫) কে নিয়ে নিজ বাড়িতে বাস করতেন। পারিবারিক অশান্তির কারণে আজ সকাল নয়টার দিকে নিজ ঘরে দুই সন্তানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করেন এই মা।
এরপর সাদিয়া ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
ঘটনা জানতে পেরে প্রতিবেশিরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তিনজনের লাশ উদ্ধার করে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় শাহজাহানপুর থানা পুলিশের ওসিসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে আলামত জব্দ করেছেন।
২০ দিন আগে
নতুন বিধানসহ শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২৫ জারি
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ হালনাগাদ করে শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫-এর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে জানিয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, আগের বিধিমালায় একাধিক সীমাবদ্ধতা থাকায় এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে নানা প্রতিবন্ধকতা ছিল। সেসব সীমাবদ্ধতা দূর করে নতুন চাহিদা, বাস্তবতা এবং প্রযুক্তিগত বিবেচনা যুক্ত করে হালনাগাদ শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ প্রণয়ন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগের বিধিমালায় কেবল ম্যাজিস্ট্রেটদের ক্ষমতা প্রদান করার বিষয়টি উল্লেখ থাকায় সীমিত জনবল দিয়ে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়নি। এজন্য নতুন বিধিমালায় ম্যাজিস্ট্রেটদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হিসেবে ট্রাফিক পুলিশের ক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়েছে (ট্রাফিক সার্জেন্টের নিচের পদ নয়)। ফলে, এখন যদি কোনো ব্যক্তি ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো পুলিশ কর্মকর্তার সামনে বিধি ৬-এর উপ-বিধি (২), (৩) বা (৪)-এর অধীন কোনো অপরাধ করেন, তাহলে ওই কর্মকর্তা ঘটনাস্থলেই তাকে জরিমানা করতে পারবেন।
এ উদ্যোগ শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে নতুন গতি আনবে বলে আশা করছে মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া শব্দদূষণের অন্যতম বড় উৎস হর্ন ব্যবহারের ক্ষেত্রে আগের বিধিতে আমদানি, উৎপাদন, মজুত ও বিক্রি-সংক্রান্ত কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না থাকায় তদারকিতে বড় সীমাবদ্ধতা ছিল। নতুন বিধিমালায় এ বিষয়ে স্পষ্ট শাস্তির বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ফলে অনিয়ন্ত্রিত হর্ন ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন বিধিমালায় আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি ছাড়া কোনো পাবলিক প্লেস বা জনপরিসরে লাউডস্পিকার, মাইক, অ্যাম্প্লিফায়ার ও সুরযন্ত্র বাজানো নিষিদ্ধ; প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থলে বনভোজন নিষিদ্ধ; যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে শব্দসীমা ৯০ ডেসিবল নির্ধারণ এবং অনুষ্ঠান রাত ৯টার মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা; নীরব এলাকায় পটকা, আতশবাজি, হর্ন বা অনুরূপ শব্দসৃষ্টিকারী যেকোনো পণ্য ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ; রাতে নির্মাণকাজ বন্ধ; শিল্পকারখানা ও জেনারেটরের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন বিধান সংযোজন এবং সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দণ্ড নির্ধারণ।
শব্দদূষণ বিধিমালা সংশোধনের জন্য বিভিন্ন সময়ে অংশীজনদের নিয়ে সভা ও কর্মশালা শেষে খসড়া প্রস্তুত করে সরকার। পরবর্তীতে সব মন্ত্রণালয়ের মতামত গ্রহণ এবং জনগণের মতামতের জন্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে খসড়া উন্মুক্ত করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের সর্বোত্তম ব্যবহার পর্যালোচনা করে ২০০৬ সালের বিধিমালায় থাকা দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করা হয় এবং বাস্তবতার নিরিখে সেগুলো শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন বিধিমালা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
২০ দিন আগে
রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২০ ইউনিট
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের কড়াইলের বৌ বাজার বস্তিতে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ২২ মিনিটে এই অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, আগুনের তীব্রতা ধীরে ধীরে কমছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ইউনিটের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ২০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আগুনকে পুরোপুরি কনফাইন্ড করতে পেরেছি। এখন পরবর্তী ধাপ হলো আগুনের মূল উৎস শনাক্ত করা। আশা করছি, আগামী দুই-এক ঘণ্টার মধ্যে ভালো খবর দিতে পারব। তবে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।’
এর আগে, ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। প্রথমে সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ শুরু করে। পরে বাকি চার ইউনিটও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়।
তিনি জানান, পরে আগুনের ভয়াবহতা বিবেচনা করে পাঠানো হয় আরও পাঁচটি ইউনিট, ইতোমধ্যে সবগুলো ইউনিট পৌঁছে মোট ১৬টি ইউনিট মিলে অগ্নি নির্বাপন শুরু করেছে।
২০ দিন আগে
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৫০ লাখ ডলার অনুদান দিল দক্ষিণ কোরিয়া
কক্সবাজারে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করতে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) ৫০ লাখ ডলার সহায়তা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার।
এই অর্থায়নে আইওএম অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ ক্যাম্পে ৭টি ক্যাম্পে জীবনরক্ষাকারী পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) কার্যক্রম জোরদার করবে এবং ১৭টি ক্যাম্পের ৪১ হাজার ৫০০ রোহিঙ্গা পরিবারের জন্য নিয়মিতভাবে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সরবরাহের মাধ্যমে নিরাপদ রান্নার জ্বালানি নিশ্চিত করবে। আইওএমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের সহায়তাটি ক্যাম্পের পানি ও স্যানিটেশন সুবিধার নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করবে, হাইজিন প্রচার জোরদার করবে এবং নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীসহ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ওয়াশ সেবা নিশ্চিত করবে।
প্রকল্পের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো রোহিঙ্গা পরিবারের রান্নার জ্বালানির প্রয়োজন মেটানো। এলপিজি বিতরণ শুধু নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন রান্নার জ্বালানি নিশ্চিত করে না, এটি খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি উন্নত করে, বন উজাড় কমায়, স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস করে এবং বিশেষ করে নারী ও কিশোরীদের জন্য সুরক্ষা বৃদ্ধি করে, যারা জ্বালানি সংগ্রহের সময় লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার ঝুঁকির মুখে পড়ে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেন, চলতি বছরেও বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য কোরিয়া তার মানবিক সহায়তায় দৃঢ় অবস্থান বজায় রেখেছে। আমাদের এবারের সহায়তার মধ্যে রয়েছে এক কোটি মার্কিন ডলার অর্থায়ন এবং বিপুল চাল সরবরাহ যা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি কোরিয়ার অটল প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। কোরিয়া আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠী উভয়েই প্রয়োজনীয় সহায়তা পায়, পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য টেকসই সমাধান নিশ্চিত করা যায়।
রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অব্যাহত সহমর্মিতার প্রশংসা জানিয়ে আইওএম বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ল্যান্স বোনো বলেন, এ সহায়তা ক্যাম্পে বসবাসরত সংকটাপন্ন মানুষের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও টিকে থাকার সক্ষমতাকে বাড়াবে যদিও তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে পুরোপুরি মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভর করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ কোরিয়া সরকার দীর্ঘদিনের সহযোগী। তারা সুরক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন জরুরি খাতে সহায়তা দিয়ে আসছে। নতুন এ সহায়তা কক্সবাজারের মানবিক পরিস্থিতি ও স্থিতিশীলতা জোরদারে তাদের অব্যাহত ভূমিকারই প্রতিফলন।
২০১৭ সালে জরুরি পরিস্থিতির শুরু থেকে কোরিয়া সরকার রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ধারাবাহিকভাবে অবদান রেখে আসছে। শুধু চলতি বছরেই দেশটি বাংলাদেশে আইওএম ও জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাকে মানবিক সহায়তার জন্য এক কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে।
২০ দিন আগে
রাজউকের প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি মামলায় হাসিনা-রেহানার রায় ১ ডিসেম্বর
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা এবং আরও ১৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় আগামী ১ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হবে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হওয়ার পর ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. রবিউল আলম এই তারিখ নির্ধারণ করেন। মামলার একমাত্র কারাগারে থাকা আসামি রাজউকের সদস্য খোরশেদ আলম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। অন্য সকল আসামি পলাতক থাকায় তারা যুক্তিতর্কে অংশ নিতে পারেননি।
আদালত গত ১৮ নভেম্বর এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত করেছেন। বিচার চলাকালে ৩২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এর আগে, আদালত গত ৩১ জুলাই চার্জ গঠন করেছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড, মামুনের ৫ বছরের কারাদণ্ড
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নিয়েছিলেন। এই বিষয়টি নিয়ে মোট ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
এ ছাড়া, তিনটি মামলার রায় ২৭ নভেম্বর ঘোষণা হওয়ার দিন ধার্য রয়েছে।
২০ দিন আগে
গাজীপুরে পোশাক কারখানা বন্ধের নোটিশ, প্রতিবাদে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকার হানিওয়েল গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কারখানা বন্ধের নোটিশ দেওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-২’র (কনাবাড়ি জোন) ইন্সপেক্টর মোর্শেদ জামান জানান, সোমবার সন্ধ্যায় কারখানার প্রধান গেটে নোটিশ দেওয়ার পর মঙ্গলবার সকালেই শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন এবং সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল ব্যাহত করেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, কিছু শ্রমিকের ‘অযৌক্তিক দাবি’ ও কারখানার কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করার কারণে কারখানায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে এবং রপ্তানি কার্যক্রমে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কারখানা পুনরায় চালু হবে।
এর আগে সোমবার শ্রমিকরা কারখানার জেনারেল ম্যানেজার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বরখাস্তের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছিলেন।
পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি সমাধানের চেষ্টা চলমান।
২০ দিন আগে
ফরিদপুরে পদ্মায় মিলল কুষ্টিয়ার শ্রমিকনেতার লাশ
ফরিদপুরের সদর উপজেলার পদ্মা নদীসংলগ্ন ডিক্রির চর ইউনিয়নের কবিরপুর এলাকা থেকে শ্রমিক দল নেতার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ।
মৃত আবেদুর রহমান আন্নু (৫৩) কুষ্টিয়া জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সম্পাদক ও সদর থানা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি গত ১৬ নভেম্বর কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে ডুবে নিখোঁজ হন বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) ফরিদপুর অঞ্চলের কোতোয়ালি নৌ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক নাসিম আহম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাতে নদীতে লাশ ভাসছে এমন খবরে পদ্মা নদীসংলগ্ন ডিক্রির চর ইউনিয়নের কবিরপুর এলাকায় সেখানে যাই। পরে লাশটি উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয় ।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, গত ১৬ নভেম্বর বেলা পৌনে ১২টার দিকে আবেদুর রহমান সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন এলাকার পদ্মা নদী থেকে নিখোঁজ হন। পরদিন ১৭ নভেম্বর আন্নুর স্ত্রী জিয়াসমিন আরা রুমা কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর ফায়ার সার্ভিস ও খুলনা থেকে আসা ডুবুরি দল টানা দুই দিন উদ্ধার অভিযান চালিয়েও তাকে খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়।
সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সকাল ৯টার দিকে আন্নু পদ্মা নদীর হাটশ হরিপুর মোহনায় মাছ কেনার জন্য যান। বেলা ১১টার দিকে চর ভবানীপুর এলাকায় যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবোঝাই বাল্কহেড ট্রলারের সঙ্গে তার ডিঙি নৌকার ধাক্কা লাগে। এতে আন্নু ও নৌকার মাঝি পানিতে পড়ে যান। স্থানীয় জেলেরা নৌকার মাঝিকে উদ্ধার করলেও আন্নুর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
মৃত আন্নুর ভাইয়ের ছেলে অর্ণব হাসান বলেন, রাতেই লাশের ছবি দেখে আমরা নিশ্চিত হয়েছি উদ্ধার হওয়া লাশ আমার চাচার।
ফরিদপুর নৌ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক নাসিম আহম্মেদ বলেন, পরিবারের সদস্যরা লাশ শনাক্ত করেছেন। লাশের শরীরে আঘাতের তেমন কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কিছু আইনগত প্রক্রিয়া আছে। সেগুলো শেষ করে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
২০ দিন আগে
আজ থেকে ঘরে বসেই মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করা যাবে
রাজধানীর মেট্রোরেলে ভ্রমণের জন্য ব্যবহৃত র্যাপিড ও এমআরটি পাস এখন থেকে অনলাইনেই রিচার্জ করা যাবে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হওয়া এই সেবার ফলে স্টেশনে গিয়ে লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা ছাড়াই যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গা থেকে রিচার্জ করা সম্ভব হবে।
সকালে আগারগাঁও স্টেশনে অনলাইন রিচার্জের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটি (ডিটিসিএ)-র নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার বলেন, ‘আজকের দিনটি আমাদের জন্য অনেক প্রত্যাশিত। অনলাইন রিচার্জ চালুর মাধ্যমে গণপরিবহন আরও আধুনিক, সহজ, নিরাপদ ও সময়োপযোগী হবে।’
বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ
তিনি জানান, মেট্রোরেলের ১৬টি স্টেশনের প্রতিটিতে দুইটি করে ভ্যালিডেশন মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। ‘আপনি বাড়ি থেকে বা স্টেশনের বাইরে বসেই রিচার্জ করতে পারবেন। এরপর স্টেশনে এসে মেশিনে ট্যাপ করলে রিচার্জ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে কি না দেখে নিতে পারবেন,’ বলেন তিনি।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নিখিল কুমার দাস বলেন, সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে নীতিগত সহায়তা দেওয়া। ডিএমটিসিএল দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। ‘ভবিষ্যতে যাত্রীরা যেন স্বচ্ছতা ও স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে টিকিট কেনা থেকে শুরু করে ভ্রমণ পর্যন্ত নির্বিঘ্ন অভিজ্ঞতা পান, সেটিই আমাদের লক্ষ্য,’ বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএমটিসিএলের পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম খায়রুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো. শরাফত উল্লাহ খান, বিআরটিসির চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোল্লা এবং এসএসএল কমার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম।
২০ দিন আগে
ভূমিকম্পের ঘটনায় আতঙ্কিত নয়, সচেতন হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ, গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের কারণে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই; বরং প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
গত শুক্রবার ও শনিবার কয়েক দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় বিশেষজ্ঞরা এ মতামত দেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বিশেষজ্ঞদের আহ্বান জানান, তারা যেন স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সরকারের করণীয় সম্পর্কে লিখিত পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা হাত গুটিয়ে রাখতে চাই না, আবার অবৈজ্ঞানিক কোনো পদক্ষেপও নিতে চাই না। আপনাদের পরামর্শগুলো দ্রুত লিখিত আকারে আমাদের দিন; সরকার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে প্রস্তুত।’
এ সময় প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং এক বা একাধিক টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়ে কাজ চলছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ পাওয়ামাত্রই সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
বৈঠকে উপদেষ্টাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, দুর্যোগ ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) প্রফেসর মো. জয়নুল আবেদীন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী, বুয়েটের অধ্যাপক তাহমীদ মালিক আল-হুসাইনী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. জিল্লুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আখতার, বুয়েটের অধ্যাপক ড. তানভীর মনজুর, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. মমিনুল ইসলাম, আবহাওয়াবিদ মো. রুবাইয়াত কবীর, ভূতত্ত্ববিদ ড. রেশাদ মো. ইকরাম আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. শাখাওয়াত হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকিপূর্ণতা ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান এবং বুয়েটের অধ্যাপক ইসরাত ইসলাম।
বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘কদিন আগে ভয়াবহ ভূমিকম্পে যাদের মৃত্যু হলো, যারা আহত হলেন, এটা খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। এমনটি যেন আর না হয়, তার জন্য আমাদের অবশ্যই প্রস্তুতি নিতে হবে।’
বিশেষজ্ঞদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা পত্র-পত্রিকায় লিখেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন, অভিজ্ঞতা ভাগ করেছেন। এই আতঙ্ক থেকে জনগণকে রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। এই পরিস্থিতিতে আমাদের কী করা প্রয়োজন, সরকারকে তা জানান। কী কী প্রস্তুতি নিতে হবে, কোন কোন বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে—সব জানান। দুর্ঘটনা যেভাবেই আসুক, আমরা যেন সকল পূর্বপ্রস্তুতি নিতে পারি।’
ভূমিকম্পের প্রস্তুতি হিসেবে কী ধরনের মহড়া প্রয়োজন হবে, সে বিষয়েও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, পাশাপাশি ভূমিকম্পের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা কোন পর্যায়ে আছি, সেটিও মূল্যায়ন করতে হবে।
এ সময় বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ও ভূমিকম্প-বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও সমন্বয়ের পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা। বলেন, ভূমিকম্প নিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তাদের বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় বাড়াতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান বলেন, “আমরা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘শুভেচ্ছা’ নামে একটি অ্যাপ করেছি। এই অ্যাপের মাধ্যমে বিদেশে থাকা বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যুক্ত হোন। অ্যাপটিতে আরও কী ধরনের ফিচার আনা যেতে পারে, সে বিষয়েও আমাদের পরামর্শ দিন।”
২১ দিন আগে