বাংলাদেশ
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ঢাকা মহানগর জেষ্ঠ স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সালমান এফ রহমান ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মামলার অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক এবং ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা লোপাট/আত্মসাতের অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধানাধীন আছে।
অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পাঁচ সদস্যের দল গঠন করা হয়েছে।
২৭৯ দিন আগে
ধর্ষকের বিচারসহ ৬ দফা দাবিতে উত্তাল শাহবাগ
মাগুরায় ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের বিচারের দাবিসহ চলমান একের পর এক ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার সকাল-সন্ধ্যা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকার ২০ কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘কণ্ঠে আবার লাগা জোড়, ধর্ষকদের কবর খোড়’ প্রতিপাদ্যে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
তবে রমজানে জনভোগান্তির কথা মাথায় রেখে আপাতত ব্লকেডের বদলে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
কর্মসূচিতে ইতোমধ্যে নটরডেম কলেজ, ঢাকা কলেজ, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, ভিকারুন্নেসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, হলিক্রস কলেজ, উইলস্ লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ এবং আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজসহ অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরা যোগ দিয়েছেন। সময় যত এগোচ্ছে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা এসে যোগ দিচ্ছেন বিক্ষোভে।
আরও পড়ুন: ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে বাকৃবিতে নারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
এ সময় ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখার পাশাপাশি জনসমক্ষে ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করে দৃষ্টান্ত গড়াসহ ধর্ষণ প্রতিরোধে ৬ দফা দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
এছাড়া ধর্ষণের বিচার দ্রুত করতে আলাদা ট্রাইবুন্যাল গঠনের দাবিও তুলেছেন তারা।
২৭৯ দিন আগে
রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানো নিয়ে রুল জারি
রাষ্ট্রপতিকে স্পিকারের শপথ পড়ানো বিধানের বৈধ কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে জাতীয় সংসদের স্পিকারের শপথ পড়ানোর বিষয়ে যুক্ত করা বিধান কেন ১৯৭২ সালের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) গীতিকবি, লেখক শহীদুল্লাহ ফরায়জীর করা রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে আট সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে বুধবার (১১ মার্চ) রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ওমর ফারুক।
আইনজীবী বলেন, ‘সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর আগে প্রধান বিচারপতিকে শপথ পাঠ করাতেন রাষ্ট্রপতি, আর রাষ্ট্রপতিকে শপথ পাঠ করাতেন প্রধান বিচারপতি। চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির শপথ পাঠ করানোর বিধানে পরিবর্তন আনা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতিকে শপথ পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার। পরে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে এই বিধান বাতিল করে দেওয়া হয়। কিন্তু ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে শপথ পাঠ করাবেন স্পিকার, সেই বিধান ফিরিয়ে আনা হয়। তাই বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করলে আদালত আজ রুল জারি করেছেন।’
এর আগে গত সোমবার কবি, গীতিকার, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট শহীদুল্লাহ ফরায়েজী এ রিট দায়ের করেন। রিট আবেদেনে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘রাষ্ট্রপতির শপথে প্রধান বিচারপতির অনিবার্যতা’ শীর্ষক প্রকাশিত একটি কলামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যেটি লিখেছেন রিটকারী শহীদুল্লাহ ফরায়জী।
আরও পড়ুন: সম্মানসূচক রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান
ওই কলামের একটি অংশে বলা হয়, বিশ্বের অধিকাংশ দেশে রাষ্ট্রপতি বা প্রেসিডেন্টকে শপথ বাক্য পাঠ করান সেই দেশের প্রধান বিচারপতি। সংসদীয় সরকার পদ্ধতি বা রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতির দেশেও রাষ্ট্রপতি শপথ গ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতির নিকট।
এটা বিশ্বব্যাপী সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত রেওয়াজ। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যত্যয় দেখা যাচ্ছে। আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার। রাষ্ট্রের প্রধানের শপথ গ্রহণের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগকে উপেক্ষা করা প্রকারান্তরে রাষ্ট্রের তিন বিভাগের মধ্যে ভারসাম্য বিনষ্ট করা। এতে সংবিধানের গভীর দার্শনিক ভিত্তি থেকে রাষ্ট্র বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সেই দার্শনিক ভিত্তি হচ্ছে- রাষ্ট্রপতি সংসদের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে প্রধান বিচারপতির নিকট শপথ গ্রহণ করে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন, এটাই হচ্ছে প্রজাতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য সাংবিধানিক নির্দেশনা।
রাষ্ট্রপতির প্রধান বিচারপতির নিকট শপথ বাক্য পাঠ করার এই বাধ্যবাধকতা এবং মহিমান্বিত সাংবিধানিক মর্যাদা প্রজাতন্ত্রের কেউ বিনষ্ট করতে পারেন না, কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার তা করেছে।
সংবিধানের চতুর্থ ও পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই আইন বলবৎ করা হয়েছে, যা প্রজাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে চরমভাবে সাংঘর্ষিক। এটা আইন ও বিচারবিভাগের প্রতি ছিল আওয়ামী সরকারের অসম্ভব বিদ্বেষমূলক আচরণ প্রকাশের নজির— যা সাংবিধানিক ন্যায্যতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ করেছে।
‘৭২ সালের সংবিধানে প্রজাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য ও প্রধান বিচারপতির মর্যাদা সুরক্ষার প্রশ্নে শপথ ও ঘোষণার তৃতীয় তফসিলে বলা হয়েছিল— ‘রাষ্ট্রপতি, স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকারের শপথ প্রধান বিচারপতি কর্তৃক পরিচালিত হইবে।’ এগুলো আইনবিভাগ ও শাসনবিভাগের সঙ্গে বিচারবিভাগের ভারসাম্যপূর্ণ নীতি, যা সংবিধান প্রণয়নের সময়ই চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত।
১৯৭২ সালের সংবিধানে প্রজাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য এবং চরিত্র যতোটুকু সুরক্ষা দেওয়া হয়েছিল, আওয়ামী লীগ অতি দ্রুত তা ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। বাংলাদেশ নামক প্রজাতন্ত্রকে আওয়ামী লীগ নামক দলটি কীভাবে দেখতে চায়— তার প্রতিফলন ঘটেছে তাদের আনীত সংবিধানের চতুর্থ ও পঞ্চদশ সংশোধনীতে। রাষ্ট্রপতির শপথ স্পিকারের নিকট; এমন দেশ খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর । বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশসমূহের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং প্রজাতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য পুনরুদ্ধারে— রাষ্ট্রপতি, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের শপথ প্রধান বিচারপতি কর্তৃক পরিচালিত হবে, এ বিধান বাংলাদেশে আবার চালু বা পুনর্বহাল করতে হবে। প্রজাতন্ত্রের গণতান্ত্রিক ও শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিকাশের স্বার্থেই তা করা প্রয়োজন।
২৭৯ দিন আগে
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের সিদ্ধান্ত রহিত
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের (মরণোত্তর) স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৫ প্রদান সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করাএকটি প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ১০ জনেরও কম: আসিফ নজরুল
এতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের যে রায়ের পটভূমিতে ২০১৬ সালে সরকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে (মরণোত্তর) ২০০৩ সালে প্রদত্ত স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিল করে- সেই রায়ে তার স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের কোনো নির্দেশনা ছিল না। তাই মুক্তিযুদ্ধে তার অসাধারণ অবদান বিবেচনায় তার স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের সিন্ধান্ত সরকার রহিত করেছে।
২৭৯ দিন আগে
এ বছরের জনপ্রতি ফিতরা সর্বনিম্ন ১১০ টাকা, সর্বোচ্চ ২৮০৫ টাকা
এ বছরের ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা, সর্বোচ্চ ২৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বেলা ১১টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এতে বলা হয়, ১৪৪৬ হিজরি সনের সাদাকাতুল ফিতরের হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সাদাকাতুল ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি আবদুল মালেক।
সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ইসলামী শরীয়াহ মতে, আটা, যব, কিসমিস, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যগুলোর যেকোনো একটি দিয়ে ফিতরা দেওয়া যায়। গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা’ বা ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১১০ (একশ দশ) টাকা প্রদান করতে হবে।
আরও পড়ুন: রমজানে বাজার নিয়ে স্বস্তিতে চাঁদপুরবাসী
যব দিয়ে আদায় করলে এক সা‘ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৫৩০ টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ৩১০ টাকা, কিসমিস দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য এক হাজার ৯৮০ টাকা ও পনির দিয়ে আদায় করলে এক সা' বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার আটশ পাঁচ টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।
দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপর্যুক্ত পণ্যগুলোর যেকোনো একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দিয়ে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন।
যদিও এসব পণ্যের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। সে অনুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও সাদাকাতুল ফিতরা আদায় হবে।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, ড. খলীলুর রহমান মাদানী, মাওলানা শাহ নেছারুল হক, শায়খ যাকারিয়া (রহ), রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাইদ, ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন অধ্যাপক ড. ওয়ালিউল্লাহ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব (মহাপরিচালক রুটিন দায়িত্ব) মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার, মুহাম্মদ জালাল আহমদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুফাসসির ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবু সালেহ পাটোয়ারী, পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী, দ্বীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের উপ-পরিচালক মাওলানা জাকির হোসেন প্রমুখ অংশ নিয়েছেন।
২৭৯ দিন আগে
গাজীপুরে শ্রমিক অসন্তোষ, মহাসড়ক অবরোধ
বকেয়া বেতন পরিষদের দাবি ও এক শ্রমিককে মারধরের প্রতিবাদে গাজীপুরে ঢাকা -ময়মনসিংহ ও ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এতে দুটি মহাসড়কেই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে টঙ্গী হোসেন মার্কেট এলাকায় বিএসআইএস অ্যাপারেলস পোশাক কারখানার শ্রমিকরা গত এক মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে তারা মিছিল নিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।
আরও পড়ুন: কারখানা বন্ধ ও ছাঁটাই: ফতুল্লায় পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
এছাড়া আরও কয়েকটি এলাকার পোশাক কারখানায় বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। এতে করে অন্তত পাঁচটি কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
শ্রমিকদের অবরোধে ওই সড়কের উভয়পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে অফিসগামী যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
খবর পেয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করছে পুলিশ।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম জানান, শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা চলছে।
অপরদিকে, জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকার একটি পোশাক কারখানায় একজন শ্রমিককে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। এতে ওই সড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে যানবাহন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন।
মৌচাকে শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় নগরের ইটাহাটা ও ইসলামপুর এলাকার বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: বনানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পোশাক শ্রমিক নিহত, অবরোধে তীব্র যানজট
২৭৯ দিন আগে
রাজশাহীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩
রাজশাহীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। সোমবার বিকালে নগরীর বিহাস মোড়, পবা উপজেলার কাটাখালী ও পুঠিয়া উপজেলার ধাদাস এলাকায় দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।
নিহত তিনজনই মোটরসাইকেল আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে দুজন স্কুল ও কলেজছাত্র।
নিহতরা হলেন- রাজশাহী নগরীর মৌলভী বুধপাড়া এলাকার মো. সাকলাইনের ছেলে স্কুলছাত্র মো. সাদিক (১৫)।
পবা উপজেলার কাটাখালীর বাখরাবাজ এলাকার রবিউল ইসলামের সালেহ আহমেদ (৩২)।
এছাড়া, পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর চেকপোস্ট এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে আলিফ (১৮)। তিনি বেলপুকুর ভোকেশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এইচএসসির শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
কাটাখালী থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জয়নাল বলেন, বিকাল ৩টার দিকে কোচিং শেষে বাড়ি ফেরার পথে নগরীর উপকন্ঠ পবার কাটাখালীর আদর্শ কলেজ এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়ে সাদিকের মৃত্যু হয়।
নিহত সাদিক পবার হরিয়ান এলাকায় কোচিং শেষে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিল। পথে আদর্শ কলেজ এলাকায় অজ্ঞাত যানবাহনের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
এদিকে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজশাহী নগরীর বিহাস মোড় এলাকায় ড্রাম ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী সালেহ আহমেদ (৩২) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি কাটাখালী বাজারের দিক থেকে বুধপাড়া ফ্লাইওভারের দিকে যাচ্ছিল। পথে বিহাস মোড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে তার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। পরে নিহতের স্বজনরা তার লাশ নিয়ে যান।
অন্যদিকে বেলপুকুর থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলমগীর হোসেন বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুঠিয়ার বেলপুকুরে ধাদাস এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল আরোহী আলিফ (১৮) আহত হন। পরে তাকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যু
২৭৯ দিন আগে
আমিনবাজার পাওয়ার গ্রিডের আগুন নিয়ন্ত্রণে
সাভারের আমিনবাজারের ৪০০/২৩০ কেভি সাবস্টেশন পাওয়ার গ্রিডে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল সোয়া ৯টার সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ফোম ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। সম্পূর্ণ নির্বাপনে কাজ করছে দমকল কর্মীরা।
এর আগে আজ সকাল সোয়া ৭টার দিকে গ্রিডে আগুনের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর চলাচল স্বাভাবিক
ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. সালেহ উদ্দিন ব্রিফিংয়ে বলেন, আমিনবাজরের পাওয়ার গ্রিডে আগুনটি তেল সংশ্লিষ্ট হওয়ায় নির্বাপন ক্রিটিক্যাল পদ্ধতিতে করতে হয়। সেকারণে আমাদের ইউনিটগুলো একটু বেশি লেগেছে। প্রথমে আগুন লাগা ট্রান্সফরমার শনাক্তের চেষ্টা করা হয়। আমরা একটি ট্রান্সফরমারে আগুন শনাক্ত করেছি। আশেপাশে কোথাও আগুন ছড়াতে পারেনি।
তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুনের কারণ এখনো জানা যায়নি। প্রযুক্তিগত বিষয় থাকায় আগুন নির্বাপনের পর গঠিত তদন্ত কমিটি বিস্তারিত বলতে পারবে। নাশকতার কিছু পাইনি, তবে তদন্ত কমিটিই এটি বলতে পারবেন।
আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, আগুনে কোনো হতাহত নেই। আগুন শুধু একটি ট্রান্সফরমারে লেগেছে। ব্যাকআপ ট্রান্সফরমার থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন হচ্ছে না।
কল্যাণপুর, সাভার, মিরপুর, চামড়াশিল্প, কুর্মিটোলা, সিদ্দিক বাজারসহ বিভিন্ন স্টেশন থেকে মোট ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ৩৬ মিনিট পর নিয়ন্ত্রণে মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরের আগুন
২৭৯ দিন আগে
ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে বাকৃবিতে নারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
দেশজুড়ে চলমান ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মশাল মিছিল করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শতাধিক নারী শিক্ষার্থী।
সোমবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মশাল মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কে আর মার্কেট চত্বরে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে মশাল হাতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি জব্বারের মোড় ঘুরে আবার কে আর মার্কেট এলাকায় এসে শেষ হয়। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী পুষ্পিতা ভট্টাচার্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "সরকার ধর্ষণের ঘটনায় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছ থেকেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। অবিলম্বে তার পদত্যাগ করা উচিত। নারীদের জন্য একটি নিরাপদ রাষ্ট্র নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে জরুরি।"
বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সিদরাতুল মুনতাহা বলেন, ‘দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলছে, কিন্তু অপরাধীদের যথাযথ শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। প্রতি ৯ ঘণ্টায় দুইজন নারী বা শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, যা আমাদের রুমে বসে থাকার সুযোগ দেয় না। যতদিন না ধর্ষকদের বিচার হবে, আমাদের আন্দোলন চলবে।’
২৭৯ দিন আগে
হাবিবউল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষ সাইফুর খুন
রাজধানীর উত্তরখান থানাধীন পুরানপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় খুন হয়েছেন হাবিবউল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষ সাইফুর রহমান ভুঁইয়া।
সোমবার (১০ মার্চ) ভোরের দিকে কোনো এক সময় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। উত্তরখানা থানার ডিউটি অফিসার হুমায়ুন কবির ইউএনবিকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে উত্তরখানা থানার ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, ‘তিনি ভাড়া বাসায় একাই থাকতেন। গতকাল ভোর রাতে আনুমানিক পাঁচটায় কয়েকজন লোক এসে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এরপর তাকে উদ্ধার করে উত্তরা স্থানীয় লিংক ইউ হাসপাতাল ভর্তি করা হলে সেখানেই তিনি মারা যান।
সাইফুর রহমান ভুঁইয়ার লাশ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ কমিশনার আহাম্মদ আলী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘তাকে ছুরিকাঘাত করে বাসার বাথরুমে আটকে রাখা হয়। পরে তিনি কোনোরকমে বাথরুমের দরজা ভেঙে বের হয়ে এসে চীৎকার করতে থাকেন।’
‘ভোরে তেমন লোক ছিল না রাস্তায়। এরপরও একজন শুনতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন,’ বলেন তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তা আহাম্মদ আলী বলেন, ওই বাসায় সাইফুর রহমান একাই থাকতেন। দুদিন আগে তার বাসায় একজন নারী ও একজন পুরুষ এসে উঠেছিলেন। পুলিশ তাদের খোঁজ করছে।আরও পড়ুন: উত্তরায় দম্পতিকে রামদা দিয়ে কোপানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ জানা গেছে, সাইফুর রহমান ভূঁইয়া পরিবার নিয়ে শান্তিনগর এলাকায় থাকতেন। তবে উত্তরার উত্তরখান থানা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় মাঝে মাঝে থাকতেন। সেই বাসায় একাই ছিলেন বলেও জানা গেছে।ওই কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী রেজাউল রায়হান বলেন, সাইফুর রহমান স্যারকে কে বা কারা গতকাল ভোর রাতে (সেহেরির সময়) দেশী অস্ত্র দিয়ে হামলা করে হত্যা করেছে। তার গলায় ও মাথায় রামদার কোপের দাগ রয়েছে। হাসপাতালে শিক্ষকরা থাকলেও কেউ থানার সহযোগীতা নেয়নি বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, সরকার পরিবর্তেনের পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে অধ্যক্ষ থেকে শুরু করে সবাইকে পদত্যাগ করিয়ে নতুন করে শিক্ষকদের পদন্নতি দেওয়া হয়। সেখানে সাইফুর রহমান ভূঁইয়াকে উপাধ্যক্ষ করা হয়েছিলো। তিনি (সাইফুর) একসময় বিএনপির মতদর্শী থাকলেও আওয়ামী লীগের আমলে বিভিন্ন সেমিনারে যাওয়ার কিছু ছবি ভাইরাল হয়। সেই ছবি দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে কিছু শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন। এ নিয়ে ওই কলেজে শিক্ষকদের মধ্যে কোন্দল ছিলো বলে জানা গেছে।
২৮০ দিন আগে