বাংলাদেশ
এসপি নিয়োগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রতি অনাস্থা জানিয়ে নওগাঁয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিবাদ
দেশের ৬৪ জেলায় নতুন পুলিশ সুপার (এসপি) নিয়োগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রতি অনাস্থা জানিয়ে নওগাঁয় প্রতিবাদ সভা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
প্রতিবাদ সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নওগাঁর নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী আরমান হোসেন, ফজলে রাব্বি, রাফি রেজুয়ান, সাদনান সাকিব, মেহেদী হাসান, রাফিউল বারি রাজনসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, সারা দেশে পুলিশ সুপার (এসপি) নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে লটারির মাধ্যমে। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সংবাদমাধামে প্রকাশিত না হওয়ায় জনমনে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। লটারির সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত রাখার কথা বলা হলেও সেখানে কোনো সাংবাদিককে রাখা হয়নি। ফলে পূর্ব প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসপি নিয়োগ-পরবর্তী সময়ে বলেছেন, সবাইকে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, আমরা মনে করি, বিসিএস ক্যাডারে কর্মরত সকল কর্মকর্তা মেধাবী ও যোগ্যতাসম্পন্ন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কোন মানদণ্ডে যোগ্যতা নির্ধারণ করেছেন, এটিও স্পষ্ট করেননি। আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও কয়েকজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি, যা মাঠপর্যায়ের প্রশাসনকে অবাক করেছে।
একইসঙ্গে বিতর্কিত কিছু কর্মকর্তাকে জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তারা এই নিয়োগ একটি রাজনৈতিক দলের সুপারিশে হয়েছে বলে দাবি করেন।
তারা বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, লটারির সময়ে স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশ প্রধান উপস্থিত ছিলেন না। তাদের উপস্থিতি ছাড়া এই নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈধ। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ৬৪ জেলায় যে এসপি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তা সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে, পক্ষপাতমূলক একটি নির্বাচন হবে বলে তারা মনে করেন।
সমাবেশে বক্তারা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি তিন দফা দাবি জানান। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে— জেলার এসপি নিয়োগ প্রক্রিয়াটি পুনর্মূল্যায়ন করার নির্দেশ প্রদান করা ও সংবাদমাধ্যমে তা তুলে ধরা; স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পূর্বপ্রতিশ্রুত নীতি-যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে পুনরায় পদায়ন নিশ্চিত করা ও যোগ্যতার মানদণ্ড স্পষ্ট করা এবং ভবিষ্যতে পদায়ন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আরও জোরদার করা।
পরে শিক্ষার্থীরা নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন।
১৫ দিন আগে
সাংবাদিকদের বিশেষ ছাড়ে ইলেকট্রিক বাইক দিচ্ছে ন্যামস মোটরস
বাংলাদেশে চীনের শীর্ষ ই-ভেহিকল ব্র্যান্ড হুয়াহাই (Huaihai) স্কুটারের একমাত্র অফিশিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর ন্যামস মোটরস সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ ছাড়ে ইলেকট্রিক বাইক বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে।
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের জিন্দা পার্কে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (ডিইউএমসিজেএএ) ফ্যামিলি ডে-তে উপস্থিত থেকে এই ঘোষণা দেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মোকাম্মেল হোসেন ইভান।
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মীরা দেশের পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তারা প্রতিনিয়ত নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কাজ করেন। তাদের অবদানকে সম্মান জানিয়ে এবং ইভি ব্যবহারে উৎসাহ দিতে এই বিশেষ সুবিধা চালু করা হয়েছে।’
সাংবাদিকদের জন্য ঘোষিত বিশেষ এই সুবিধার আওতায় তিনটি জনপ্রিয় ইভি মডেল স্পার্কিতে (Sparky) ৬ হাজার টাকা ক্যাশব্যাক; ই-থান্ডার (E-Thunder) মডেলে ৫ হাজার টাকা ক্যাশব্যাক এবং ইকো রাইড (EcoRide) মডেলে ৪ হাজার টাকা ক্যাশব্যাক দেওয়া হবে।
ন্যামস মোটরস কর্তৃপক্ষ জানায়, সব সাংবাদিকই এই সুবিধা পাবেন। এ জন্য প্রেস কার্ড ও নিবন্ধিত যেকোনো সাংবাদিক সংগঠনের সদস্যপদের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে।
প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে, এই উদ্যোগ সাংবাদিকদের জন্য যেমন সাশ্রয়ী চলাচলের সুযোগ তৈরি করবে, তেমনি দেশে সবুজ পরিবহন ব্যবহারের প্রসারেও ভূমিকা রাখবে।
৪৭ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হুয়াহাই গ্লোবাল (Huaihai Global) বর্তমানে বিশ্বের ১২০টিরও বেশি দেশে দুই ও তিন চাকার ইভি রপ্তানি করে থাকে। বাংলাদেশে তাদের একমাত্র ডিস্ট্রিবিউটর ন্যামস মোটরস বর্তমানে ৪১টি জেলায় নেটওয়ার্কসহ ইভি অ্যাসেম্বলি, বিক্রয় ও আফটার-সেলস সার্ভিস পরিচালনা করছে।
ইলেকট্রিক যানবাহনকে সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও নির্ভরযোগ্য পরিবহন হিসেবে দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
১৫ দিন আগে
খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় বিকেলে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রার্থনা
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ বাড়ৈ স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব ও সাধারণ সম্পাদক ড. তাপস চন্দ্র পাল খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তারা বিএনপি চেয়ারপারসনের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, খালেদা জিয়ার আশু আরোগ্য কামনায় আজ রোববার (৩০ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে একটি বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
১৫ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুকুর পাহারাদাকে চোখ উপড়ে হত্যা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুকুর পাহারাদারকে দুই চোখ উপড়ে দিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের মুসলিমপুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তোজাম্মেল হক (৬৫) শাহবাজপুর ইউনিয়নের পারদিলালপুর এলাকার মৃত জোনাব আলীর সন্তান।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া জানান, অন্যান্য দিনের মতো শনিবার রাতেও তোজাম্মেল হক ওই এলাকায় একটি পুকুর পাহারায় ছিলেন। রাতের কোন এক সময়ে কে বা কারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তোজাম্মেলের দুই চোখ উপড়ে ফেলেছে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার শরীরে অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। হত্যার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
রবিবার সকালে স্থানীয়রা লাশটি দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। পুলিশ সকালে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠায় বলে জানান ওসি।
১৫ দিন আগে
২ হাজার ৪০৩ টাকা বেড়ে নতুন দরে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ
স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের বাজারে মূল্যবান এ ধাতুটির দাম বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে ২ হাজার ৪০৩ টাকা। ফলে এখন এক ভরি স্বর্ণে দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার ৫৭০ টাকা।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) থেকেই নতুন এই দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
গতকাল (শনিবার) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৪০৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার ৫৭০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৩১০ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ এক হাজার ৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯৭১ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম এক লাখ ৭২ হাজার ২৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৬৭৯ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৪৩ হাজার ৩২৭ টাকা।
বাজুস জানিয়েছে, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম হয় ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকা।
১৫ দিন আগে
বাংলাদেশে তিমুর-লেস্তের স্বাধীনতার ঘোষণার ৫০ বছর উদযাপিত
তিমুর-লেস্তের স্বাধীনতার ঘোষণার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর হোটেল শেরাটনের গ্র্যান্ড বলরুমে এক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন বাংলাদেশে তিমুর-লেস্তের অনারারি কনসাল ইঞ্জিনিয়ার কুতুবউদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী ও দুই দেশের বন্ধুসুলভ প্রতিনিধিরা অংশ নেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উষ্ণ পরিবেশে আয়োজনটি সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আইন, বিচার ও সংসদ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল তিমুর-লেস্তের জনগণের ঐতিহাসিক সংগ্রাম, দৃঢ়তা ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার প্রশংসা করেন। পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন।
তিমুর-লেস্তে সরকারের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা—অ্যাম্বাসেডর জর্জে কেমোয়েন্স, মহাপরিচালক, পররাষ্ট্র ও সহযোগিতা মন্ত্রণালয়, এবং ইমানুয়েল টিলম্যান, পরিচালক, পররাষ্ট্র ও সহযোগিতা মন্ত্রণালয়—অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তারা বাংলাদেশে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, সক্ষমতা বৃদ্ধি, সুশাসন ও কূটনৈতিক সহযোগিতায় দীর্ঘদিনের সমর্থনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশে তিমুর-লেস্তের অনারারি কনসাল ও এনভয় লেগেসি এবং শেল্টেক গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কুতুবউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ও তিমুর-লেস্তের সম্পর্ক আরও গভীর করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, তিমুর-লেস্তের স্বাধীনতার ঘোষণার ৫০ বছর পূর্তি শুধু উৎসব নয়; বরং দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী ও বিস্তৃত করার একটি মাধ্যম। পাশাপাশি সাম্প্রতিক তিমুর-লেস্তের আসিয়ানের ১১তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক যোগদান দুই দেশের জন্য নতুন সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
সংবর্ধনা শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। দুই দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সহযোগিতার প্রতিফলনই আয়োজিত সন্ধ্যার মূল বার্তা ছিল।
১৬ দিন আগে
সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের কার্যক্রম আগামী সপ্তাহে শুরু হবে: গভর্নর
আর্থিকভাবে দুর্বল শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গঠিত ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘চতুর্থ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলনে’ যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা জানান।
দৈনিক বণিক বার্তা আয়োজিত এই সম্মেলনের এবারের প্রতিপাদ্য ছিল, অর্থনীতির ভবিষ্যৎ গতিপথ ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার (Economies Future Trajectory and Political Commitment)।
গভর্নর বলেন, বর্তমান সরকারের সামনে থাকা বড় ধরনের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকারকে গভীরভাবে বুঝতে হবে। কারণ এগুলো ‘সঞ্চিত সমস্যা’ হিসেবে রয়ে গেছে। তিনি বলেন, আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে পরবর্তী নির্বাচিত সরকারকে বাংলাদেশ ব্যাংককে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।
এলসি খোলার ওপর আরোপিত সব ধরনের বিধিনিষেধ ও প্রতিবন্ধকতা বাংলাদেশ ব্যাংক তুলে নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এলসি খোলার বিষয়টি বিভিন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ বেড়েছে; গতবারের এই সময়ের চাইতে বেশি।
তার ভাষ্যে, আমাদের এক্সটারনাল সেক্টরটা (বহির্বাণিজ্য খাত) স্থিতিশীল হয়েছে, সেখানে কোনো ভালনারবিলিটি (দুর্বলতা) নেই। ব্যাংকিং খাতে ডলারের কোনো অভাব নেই; যেকোনো পরিমাণ ডলার আপনারা কিনতে পারবেন যদি আপনি বাংলাদেশের টাকা নিয়ে আসেন।
১৬ দিন আগে
খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি নিয়মিতভাবে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানা যায়।
প্রধান উপদেষ্টা তিনবারের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যেন কোনো ধরনের ঘাটতি না থাকে। প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিতে সরকার প্রস্তুত।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘গণতান্ত্রিক উত্তরণের এই সময়ে বেগম খালেদা জিয়া জাতির জন্য ভীষণ রকম অনুপ্রেরণা। তাঁর সুস্বাস্থ্য দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় সব সহায়তা ও সমন্বয়ে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে, এ দিন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’ উল্লেখ করে দেশবাসীর কাছে তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘গত রাতে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
১৭ দিন আগে
চীনের বিনিয়োগে বাংলাদেশের উৎপাদন খাতের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা
চীনের বিনিয়োগে বাংলাদেশের উৎপাদন খাতের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অব চায়নার (এক্সিম ব্যাংক) ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়াং দোংনিং -এর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে একটি উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করতে পারে, যা উন্নত দেশগুলোসহ চীনের জন্য রপ্তানি পণ্যের উৎপাদন করবে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ফার্মাসিউটিক্যালস ও স্বাস্থ্যসেবা খাতেও চীনা বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, সৌর শক্তির বৃহত্তম উৎপাদক হিসেবে চীন বাংলাদেশের ‘গ্রিন এনার্জি’ সংক্রান্ত বিনিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা চীনা শিল্পগুলোকে বাংলাদেশে কারখানা স্থানান্তরের আহ্বান জানান এবং দেশের তরুণ শ্রমিকদের বড় সংখ্যার ব্যবহার করার সম্ভাবনা তুলে ধরেন। তিনি বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত পাট কলগুলোর পুনঃব্যবহার করে নতুন যৌথ উদ্যোগ শুরু করার প্রস্তাবও দেন।
চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ইয়াং ডংনিং বলেন, চীনা বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের গ্রিন প্রযুক্তি, পাট, বস্ত্র ও ফার্মাসিউটিক্যালসে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তারা পাটের মাধ্যমে শক্তি, জৈব-সার এবং প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্য উৎপাদনের জন্য এক মিলিয়ন টন পর্যন্ত পাট ব্যবহার করতে প্রস্তুত।
চীনা কোম্পানিগুলোর জন্য বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলকে শিল্প স্থানান্তরের জন্য আহ্বান জানিয়ে প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘এই অঞ্চলের সমুদ্র পর্যন্ত প্রবেশ পথ বিশাল। চীনা শিল্প এখানে স্থানান্তরিত হতে পারে, পণ্য উৎপাদন করে ধনী দেশগুলো এবং চীনে রপ্তানি করতে পারে।’
বৈঠকে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত সংস্থা ও রেলপথ সংযোগের মাধ্যমে দক্ষিণ চীনের সঙ্গে কন্টেইনার ও পণ্য পরিবহনের সুযোগ বৃদ্ধির কথাও আলোচিত হয়।
বৈঠকে সিনিয়র সচিব লামিয়া মরশেদ এবং চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উপস্থিত ছিলেন।
১৭ দিন আগে
স্বাধীন ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস কমিশন’ গঠনের দাবি
পুলিশ কমিশনের আদলে একটি স্বাধীন ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস কমিশন’ গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম ও মহাসচিব শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন একটি স্বাধীন ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস কমিশন’ গঠনের দাবি করছে। পুলিশ কমিশনের আদলে এটা প্রশাসনের জন্য একটি স্বাধীন আইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হবে। উক্ত কমিশন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিয়োগ, পদোন্নতি, শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা ইত্যাদি নিরপেক্ষভাবে নির্ধারণ করবে। কমিশন তার পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকদের দ্বারা গঠিত হবে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমান সরকার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রেখে একটি পেশাদার বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি ‘পুলিশ কমিশন’ গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা পুলিশ বাহিনীকে গণমুখী ও পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকারের এই দৃষ্টিভঙ্গিকে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন স্বাগত জানায়।
বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যগণ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে রাষ্ট্র পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রশাসন ক্যাডারের অনেক কর্মকর্তার উপর বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে তাদের পেশাদারিত্ব বিনষ্ট করেছে। দেশের উত্তম প্রশাসন জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের এ প্রতিষ্ঠানটিকে অবশ্যই রাজনৈতিক প্রভাব, পক্ষপাত ও অযাচিত হস্তক্ষেপমুক্ত থাকতে হবে।
এ ছাড়া উন্নত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর মতো একটি আধুনিক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ প্রশাসন কাঠামো গঠন এখন সময়ের দাবি। বর্তমান বাস্তবতায় প্রশাসনকে তার পেশাগত স্বাধীনতা ও আইনসম্মত দায়িত্ব পালনে বিভিন্নভাবে চাপ, প্রভাব ও অনাকাঙ্ক্ষিত নির্দেশনার মুখোমুখি হতে হয়, যা প্রশাসনের নিরপেক্ষতা, কর্মদক্ষতা ও জনবিশ্বাসকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
১৭ দিন আগে