রাজনীতি
নির্বাচনে অপপ্রচার রোধে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ফেসবুক: ইসি সচিব
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর অপপ্রচার রোধে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে ইসির সঙ্গে বৈঠকে বসে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকরপোরেশনের একটি প্রতিনিধি দল।
কমিশনের পক্ষে জানানো হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠকটি হওয়ার থাকলেও পরে কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথের নেতৃত্বে পৌনে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়।
অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে নানা কর্মসূচি শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। সময় যত গড়াবে নির্বাচন নিয়ে তৎপরতাও তত বাড়বে। ফলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: অপপ্রচার রোধ: ফেসবুকের সঙ্গে ইসির বৈঠক বৃহস্পতিবার
এমন পরিস্থিতিতে অপপ্রচার রোধে ফেসবুকের সহায়তা নিতে চায় ইসি, উল্লেখ করেন তিনি।
মেটা’র বাংলাদেশবিষয়ক হেড অব পাবলিক পলিসি রুজান সারোয়ারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকটিতে অংশ নেন। প্রতিনিধি দলে বাকিরা হলেন- এপিএসি গ্লোবাল রেসপন্সের প্রধান এইড্যান হো এবং নিয়ন্ত্রক বিশেষজ্ঞ ইউজিন পো।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আইডিইএ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম এবং এনআইডি সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন ভবনে সিইসির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
বৈঠক শেষে অশোক কুমার বলেন, ‘আজকে আমরা ফেসবুকের একটা টিমের সঙ্গে মিটিং করেছি। আমাদের যে টেকনিক্যাল লোক আছে, তাদের নিয়ে বসেছিলাম। কারণ এখানে কিছু টেকনিক্যাল ব্যাপার ছিল। মূল বিষয়টি হচ্ছে, ফেসবুকে যেসব অপপ্রচার হয়, সেই অপপ্রচারগুলো কীভাবে রোধ করা যায়। বিশেষ করে ঘৃণাত্মক মন্তব্য, সাম্প্রদায়িকতা বা অন্যান্য যেসব ভায়োলেশন হয় সেগুলো তারা ডিলিট করবে, ব্লক করবে। মূলত এই ছিল মিটিংয়ের বিষয়।’
আজকের আলোচনাকে প্রাথমিক উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী নির্বাচন কমিশনের ‘ফোকাল পয়েন্ট’ নির্ধারণ করা হবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য। আমাদের কাছে যেটা ‘নেগেটিভ’ মনে হবে আমরা তাদের সেটা জানাব। পরে তারা সেটাকে রিমুভ করবে।’
শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক বিভিন্ন কনটেন্টের বিষয়ে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হবে উল্লেখ করে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর এই কার্যক্রম শুরু হবে। কমিশন নয়, ফেসবুক কর্তৃপক্ষই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারাই কমিশনের কাছে সময় চেয়েছিল।’
আরও পড়ুন: সংকট সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ প্রয়োজন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে সিইসি
তারেক-জুবাইদার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার দেশব্যাপী বিএনপির সমাবেশ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ের প্রতিবাদে শুক্রবার রাজধানীসহ সারাদেশে সমাবেশ করবে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে দলের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিট এবং ঢাকা জেলা ইউনিটের আয়োজনে সমাবেশ শুরু হবে।
ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে বেআইনি ও অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার পরপরই হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছে।’
তিনি বলেন, তাদের দলের সব মহানগর ও জেলা ইউনিট আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানাতে সমাবেশ করবে।
মহানগরের বিষয়ে তিনি বলেন, দলের জেলা ইউনিটগুলো সিটি ইউনিটের সঙ্গে যৌথভাবে সমাবেশের আয়োজন করবে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ‘হামলার’ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের জানাল বিএনপি
এর আগে বুধবার ২০০৭ সালের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নয় বছর ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত।
লন্ডনে অবস্থানরত তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে এ রায় দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান।
একই সঙ্গে তারেককে ৩ কোটি টাকা ও জুবাইদাকে ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত।
রায় ঘোষণার কয়েক মিনিট পর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, আবদুস সালাম ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে নয়াপল্টন এলাকায় বিক্ষোভ করেন বিএনপির অনুসারীরা।
রায়ের প্রতিবাদে বিএনপির বিভিন্ন নগর ও জেলা শাখাও একই ধরনের বিক্ষোভ করেছে।
নয়াপল্টনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম শুক্রবার নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ঘোষণা দেন।
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও ছাত্রদল।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তারেক-জুবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতির রায়: বিএনপি
নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক কোনো চাপে নেই আওয়ামী লীগ: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ কোনো আন্তর্জাতিক চাপে নেই।
তিনি বলেন, ‘কেন আমরা চাপ অনুভব করব? অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান আমাদের অঙ্গীকার। আপনারা যদি চাপের কথা বলেন, তাহলে এটা আমাদের বিবেকের চাপ।’
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় কাদের বলেন, ‘আমেরিকার সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে, আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখি। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আমাদের পার্টি অফিসে এসেছিলেন। তারা আগে কখনো আমাদের অফিসে আসেনি। তিনি এসেছেন ও দেখেছেন।’
আরও পড়ুন: আ.লীগের সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছি। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমরা সবার সঙ্গে কথা বলছি। এটা দেশের মানুষের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার।’
এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘গণতন্ত্র রক্ষা করা আমাদের পবিত্র কর্তব্য। আমরা এই কর্তব্য পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ। বাংলাদেশে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা কোনো অভিযোগ নিয়ে কথা বলিনি। মার্কিন রাষ্ট্রদূত তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সংসদ ভেঙে দেওয়া বা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের কথা উল্লেখ করেননি। আমরাও অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথা বলেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকানরা আমাদের কোনো পরামর্শ দেয়নি এবং সংলাপের বিষয়েও কোন কথা হয়নি।’
আরও পড়ুন: বিএনপির ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ করা উচিত: ওবায়দুল কাদের
খেলা হবে তারেক ও হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে: ওবায়দুল কাদের
রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ‘হামলার’ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের জানাল বিএনপি
দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং রাজধানীর প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচিতে 'হামলা' সহ আরও কিছু বিষয়ে ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকদের অবহিত করেছে বিএনপি।
বুধবার (০২ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা কূটনীতিকদের এসব বিষয়ে অবহিত করেন।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, চীন ও রাশিয়াসহ প্রায় ২৫টি দেশের কূটনীতিকরা প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে অংশ নেন।
এ সময় বৈঠকে মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে আমির খসরু সাংবাদিকদের বলেন, তারা বর্তমান রাজনৈতিক ঘটনা, বিশেষ করে গত ২৯ জুলাই বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র ক্যাডারদের 'যৌথ' হামলার বিষয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের অবহিত করেছেন।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদার কারাদণ্ডের রায়ের প্রতিবাদে শুক্রবার ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ
তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়ার কথাও বলেছি। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ও মানবাধিকার দেখতে চায়, তাদের এসব বিষয় জানা দরকার। আমরা বুধবার ব্রিফিংয়ে কূটনীতিকদের এসব বিষয় জানিয়েছি।
আমির খসরু বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা জানতে চেয়েছেন আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ কোন দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি কর্মকর্তাদের যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল, সরকার সেভাবেই ব্যবহার শুরু করেছে, তা আমরা বলেছি।
খসরু বলেন, গত ২৮ ও ২৯ জুলাই রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের 'সন্ত্রাসী' হামলা, গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের ঘটনা সম্পর্কে তারা বিদেশি কূটনীতিকদের বিস্তারিতভাবে অবহিত করেন।
তিনি বলেন, তারা বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের বলেছেন, যারা হামলা ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়েছে। এমনকি হজ পালনের জন্য বিদেশে বা সৌদি আরবে অবস্থানরত অনেকের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। তাদের (সরকারের) উদ্দেশ্য পরিষ্কার। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে নির্বাচনে ভোটচুরির কৌশলের অংশ হিসেবে জনগণকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ক্ষমতা দখল করা।
তিনি বলেন, দেশ-বিদেশে এখন এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তারেক-জুবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতির রায়: বিএনপি
তারেক-জুবাইদার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ
দুর্নীতির মামলায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের রায়ের প্রতিবাদে শুক্রবার রাজধানীতে সমাবেশ করবে বিএনপি।
বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার আহ্বায়ক আবদুস সালাম।
তিনি জানান, শুক্রবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ বাংলাদেশকে ‘ডিপ স্টেটে’ পরিণত করেছে: ফখরুল
এর আগে তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে আদালতের রায়ের প্রতিবাদে নয়াপল্টন এলাকায় বিক্ষোভ করেন বিএনপির শত শত নেতাকর্মী।
বুধবার দুপুর ১টা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতিতে বিএনপি নেতাকর্মীরা এলাকায় জড়ো হতে শুরু করে।
আদালতের রায় ঘোষণার পর বিকাল ৪টা ৫ মিনিটে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দলের সিনিয়র নেতাদের নেতৃত্বে নয়াপল্টন থেকে নাইটিঙ্গেল ক্রসিংয়ের দিকে মিছিল বের করেন বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা।
তারা ‘শেখ হাসিনার রায়’ মানি না বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবাইদার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ
২০০৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা একটি মামলায় তারেককে ৯ বছরের কারাদণ্ড এবং জোবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক ও জোবাইদার বিরুদ্ধে এ রায় দেন।
একই সঙ্গে তারেককে ৩ কোটি টাকা ও জোবাইদাকে ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত।
এদিকে বিএনপিপন্থী একদল আইনজীবীও সকাল থেকে ঢাকা কোর্ট এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশঙ্কা করেছিলেন, সরকারের নীলনকশা অনুযায়ী দুর্নীতি মামলার ‘আজ্ঞাবহ’ রায়ে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের সাজা হতে পারে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তারেক-জুবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতির রায়: বিএনপি
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তারেক-জুবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতির রায়: বিএনপি
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।
বুধবার (২ আগস্ট) বিএনপি বলেছে, চলমান এক দফা আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই রায় দেওয়া হয়েছে।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশের জনগণ বিচারের নামে বিদ্বেষমূলক প্রহসন প্রত্যাখ্যান করেছে। এই রায়ে সরকার প্রধানের প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, তাদের বর্তমান আন্দোলন যখন দাবানলের মতো সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, তখন জনগণকে বিভ্রান্ত করার কৌশল হিসেবে এই রায় দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘চলমান আন্দোলন নেতৃত্বহীন করতে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড দিয়ে বিএনপির চলমান আন্দোলন দমন করা যাবে না। আমরা এই রায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তাদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলায় সাজা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন:বিএনপির আন্দোলনে আ.লীগ গুগলিতে বোল্ড আউট হয়ে গেছে: ফখরুল
ফখরুল অভিযোগ করেন, ‘আদালতে প্রায় ৪৯ লাখ মামলা বিচারাধীন। অথচ এই মামলার কার্যক্রম দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হয়েছে, যাতে বোঝা যায় শেখ হাসিনার নির্দেশেই এই রায় দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, এই রায় বিচার বিভাগের রাজনীতিকরণের আরেকটি উদাহরণ। ‘এই নির্দেশিত রায় দেশের গণতন্ত্রকে বিলুপ্ত করার ক্রমাগত ষড়যন্ত্রের অংশ।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ বাংলাদেশকে ‘ডিপ স্টেটে’ পরিণত করেছে: ফখরুল
এর আগে ২০০৭ সালের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান লন্ডনে অবস্থানরত তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে এ রায় দেন।
একই সঙ্গে তারেককে ৩ কোটি টাকা ও জুবাইদাকে ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবাইদার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ
‘নৌকায়’ ভোট দিয়ে আ. লীগকে আরেকবার সুযোগ দিন: রংপুরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী
‘নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবারও আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেন।’ বুধবার রংপুরের জিলা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় জনগণের কাছে এভাবেই ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবারও আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন। আমি আপনাদের উন্নতির জন্য আমার জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত।’
এসময় সমাবেশে আসা জনতা উল্লাস প্রকাশ করে স্লোগান দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির ‘সহিংসতার’ বিরুদ্ধে ১৪ দলের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি
রংপুর জিলা স্কুল মাঠে রংপুর মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ জনসভাটির আয়োজন করে। জনসভার মাঠ পূর্ণ হয়ে আশেপাশের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা আওয়ামী লীগের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ও উৎসাহী জনতার ঢল নেমে জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
নৌকা আকৃতির বিশাল মঞ্চ থেকে বক্তব্য দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘নৌকা জিতলেই দেশের উন্নয়ন হয়। কৃষকদের অবস্থার পরিবর্তন আনে, প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়।’
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি তার পরিবারের বাবা-মা, ভাইসহ সবাইকে হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ কখনো জনগণকে ছেড়ে পালায় না: প্রধানমন্ত্রী
তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, ‘প্রয়োজনে আমার বাবার মতো আমিও বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমার জীবন উৎসর্গ করব।’
তিনি ব্যানার-দোলান ও স্লোগান-স্লোগানে মুখরিত জনতার কাছে জানতে চান- ‘আপনারা কি নৌকায় ভোট দেবেন? দয়া করে আমাকে বলবেন।’
জনতা ‘হ্যাঁ’ বলে তাদের হাত তুলে এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাদের ধন্যবাদ জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্যে বলেন, সড়কে খেলা হবে। আমরা আমরা রাজপথে এবং নির্বাচনে তাদের (বিরোধী দল বিএনপি) মোকাবিলা করব।
আওয়ামী লীগের শিকড় বাংলাদেশের মাটির গভীরে গেঁথে যাওয়ায় দেশ থেকে পালিয়ে যাবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
জনসভায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক একেএম সায়াদত হোসেন বকুল, আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচএন আশেকুর রহমান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে উৎসবমুখর পরিবেশ রংপুরে
তারেক-জোবাইদার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ
দুর্নীতির মামলায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের রায়ের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছে বিএনপির শত শত নেতা-কর্মী।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতির মধ্যে বুধবার (২ আগস্ট) দুপুর ১টা থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা এলাকায় জড়ো হতে শুরু করে।
আদালতের রায় ঘোষণার পর বিকাল ৪টা ৫ মিনিটে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দলের সিনিয়র নেতাদের নেতৃত্বে নয়াপল্টন থেকে নাইটিঙ্গেল ক্রসিংয়ের দিকে মিছিল বের করেন বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলনে আ.লীগ গুগলিতে বোল্ড আউট হয়ে গেছে: ফখরুল
তারা ‘শেখ হাসিনার রায়’ মানি না বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
২০০৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা একটি মামলায় তারেককে ৯ বছরের কারাদণ্ড এবং জোবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক ও জোবাইদার বিরুদ্ধে এ রায় দেন।
একই সঙ্গে তারেককে ৩ কোটি টাকা ও জোবাইদাকে ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত।
এদিকে বিএনপিপন্থী একদল আইনজীবীও সকাল থেকে ঢাকা কোর্ট এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশঙ্কা করেছিলেন, সরকারের নীলনকশা অনুযায়ী দুর্নীতি মামলার ‘আজ্ঞাবহ’ রায়ে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের সাজা হতে পারে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ বাংলাদেশকে ‘ডিপ স্টেটে’ পরিণত করেছে: ফখরুল
অসহিষ্ণুতা থেকে সহিংসতা-সন্ত্রাসের উৎপত্তি: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা জাগ্রত করতে পারলে জাতির মধ্যে স্থায়ী শান্তি আসতে পারে।
তিনি বলেন, আসুন আমরা এমন একটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য একসঙ্গে কাজ করি।
পররাষ্টমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে এখানে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সব দেশ ও জাতির শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) ঢাকার সবুজবাগে অনুষ্ঠিত “বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বৌদ্ধ ধর্ম ও বৌদ্ধ সার্কিট উন্নয়ন” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন।
মোমেন বলেন, বৌদ্ধ সংগঠন এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ভগবান বুদ্ধের শিক্ষা শান্তিপূর্ণ সমাজ ও অঞ্চলের জন্য অমূল্য ভিত্তি হতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় বিশ্বাস করতেন যে উন্নয়নের জন্য শান্তি অপরিহার্য।
বঙ্গবন্ধুর দর্শন অনুসরণ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তির শক্তিশালী প্রবক্তা হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: ইসিতে অডিট রিপোর্ট: গত বছর আ. লীগের উদ্বৃত্ত ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সবার শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
এ ছাড়া তিনি শান্তির সংস্কৃতি শিরোনামে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাব প্রচার করেছিলেন।
তিনি বলেন, সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ ও যুদ্ধ অন্যদের প্রতি অসহিষ্ণুতা ও অসম্মানের মানসিকতা থেকে সৃষ্টি হয়।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সব ধর্মের মানুষ একে অপরকে ভালোবাসে, সহানুভূতিশীল, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমর্থন করে।
তিনি বলেন, দেশের প্রতি তাদের গভীর অনুরাগ স্পষ্ট। কারণ তারা সম্মিলিতভাবে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন।
মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন। তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচার করছেন। আমরা বৈষম্য করি না।’
মোমেন আরও বলেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের প্রতি সমান আচরণ করা হয়।
তিনি বলেন, বৌদ্ধধর্ম হলো বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ধর্ম। যার অনুসারী ৫২০ মিলিয়নেরও বেশি। বা বিশ্ব জনসংখ্যার ৭ শতাংশেরও বেশি। বাংলাদেশে প্রায় ১০ মিলিয়ন বৌদ্ধ বসবাস করেন।
তিনি বলেন, মূল শিক্ষার উপর ভিত্তি করে বৌদ্ধধর্ম বিভিন্ন ঐতিহ্য, বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিক অনুশীলনগুলিকে ধারণ করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ বৌদ্ধ। বৌদ্ধ জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশের বেশি পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত।
মোমেন বলেন, দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে বৌদ্ধধর্মের ঐতিহাসিক ভিত্তি ও উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক পরিক্রমা রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়া বৌদ্ধ ধর্মের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। যা দুই দেশের মধ্যে জনগণের যোগাযোগ ও বন্ধনকে আরও গভীর করতে পারে।
মোমেন এই ক্ষেত্রে আরও সম্পৃক্ততার জন্য পাঁচটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবের উপর জোর দেন।
তিনি বলেন, বৌদ্ধধর্ম ও এর ঐতিহ্যকে দেশগুলোর মধ্যে 'বন্ধুত্বের' মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার কো প্রয়োজন।
এ জন্য তিনি বলেন, এসব ঐতিহ্যের সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও প্রচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, এটি শুধু আধ্যাত্মিক অনুসারীদের জন্যই নয়। যারা দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য অনুসন্ধান করতে আগ্রহী তাদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
মোমেন বলেন, যদিও আমরা দ্বিপাক্ষিকভাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারি তাহলে আমাদেরও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি আঞ্চলিক-স্তরের পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য এই অঞ্চলের বৌদ্ধ ঐতিহ্যের সম্ভাবনাকে উন্মোচন করতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এটিকে সম্প্রসার করতে হবে।
তিনি বলেন, সার্ক ও বিমসটেকের মতো আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর মধ্যে কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। যাতে এই অঞ্চলে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও প্রচারের উপায় বের করা যায়। বিশেষ করে বৌদ্ধ ধর্মের দর্শন প্রচার করা।
আরও পড়ুন: বিএনপির ‘সহিংসতার’ বিরুদ্ধে ১৪ দলের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি
মোমেন বলেন, এ অঞ্চলের সামগ্রিক টেকসই উন্নয়নের পরিপূরক হিসেবে টেকসই পর্যটন উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করতে হবে।
তিনি বৌদ্ধ ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রচার সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা, সর্বোত্তম অনুশীলন এবং চ্যালেঞ্জগুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য দক্ষিণ এশিয়ায় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং পর্যটন উন্নয়নের উপর নিয়মিত আঞ্চলিক ফোরাম এবং সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব করেন।
থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক এবং বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন তাদের যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী এবং বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি বুদ্ধপ্রিয় মহাথেরো প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আ. লীগ কখনো জনগণকে ছেড়ে পালায় না: প্রধানমন্ত্রী
অপপ্রচার রোধ: ফেসবুকের সঙ্গে ইসির বৈঠক বৃহস্পতিবার
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার রোধে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক করবে ফেসবুকের একটি প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) বেলা ১১টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ফেসবুকের প্রতিনিধি দল সাক্ষাতের সময় চেয়েছে।
সাক্ষাতের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেন অপপ্রচার বন্ধ করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
ফেসবুকের সিঙ্গাপুর অফিসের ৩ কর্মকর্তা সিইসির সঙ্গে বৈঠক করবেন। ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটা’র বাংলাদেশবিষয়ক হেড অব পাবলিক পলিসি রুজান সারোয়ারের নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধি দল আসবে বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।