রাজনীতি
বিদেশি শক্তির ‘দালালি’ করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না: গয়েশ্বরের হুঁশিয়ারি
প্রতিবেশী দেশের 'দালাল' সেজে কাজ করে সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, 'আমাদের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমাদের কর্মীরা ক্লান্ত কিন্তু হতাশ নয়। দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আমাদের নেতাকর্মীরা যেভাবে নির্যাতন ও অন্যায় সহ্য করে বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, তা ছিনিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা প্রতিবেশী দেশসহ কারোরই নেই’
শুক্রবার (১০ মে) এক সমাবেশে ক্ষমতাসীনদের হুঁশিয়ার করে গয়েশ্বর বলেন, দমন-পীড়ন চালিয়ে কোনো সরকার বিদেশিদের সহায়তায় ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশীদের সঙ্গে দালালি করে শেখ হাসিনা বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। বিভিন্ন দেশে যারা অন্যায়ভাবে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় আকঁড়ে ছিল তাদের পরিণতির ইতিহাস পড়ুন। তাহলে আপনারা বুঝতে পারবেন যে, আপনারা যেভাবে নিপীড়নমূলক কাজ ও লুটপাটে লিপ্ত হয়েছেন, তাতে আপনি কারো কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার এবং মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগও পাবেন না।’
খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
বিএনপিকে কারা নিয়ন্ত্রণ করছে এমন প্রশ্নের জবাবে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, তাদের দলের রিমোট কন্ট্রোলার খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন মির্জা ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ‘আপনার দলের রিমোট কন্ট্রোলার কোথায়?’ আপনার সরকারের রিমোট কন্ট্রোলার কি মোদির (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) হাতে, নাকি অজিত দোভালের (জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা) হাতে নাকি অমিত শাহের (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) হাতে। তাদের রিমোট কন্ট্রোলে আপনাদের চলতে হবে।’
‘গণতন্ত্রের নামে অনেক দেশের ষড়যন্ত্রের মধ্যে ভারত পাশে না দাঁড়ালে আওয়ামী লীগ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করতে পারত না’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনাও করেন গয়েশ্বর।
সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি হত্যা বন্ধে নীরব ভূমিকার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন তিনি।
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ব্যানার, ফেস্টুন এবং খালেদা ও তারেক রহমানের ছবি নিয়ে সমাবেশে অংশ নেন।
সমাবেশ শেষে তারা নয়াপল্টনে বিভিন্ন সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে মিছিল করেন।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন প্রমাণ করে জনগণ এই সরকারের সঙ্গে নেই: মান্না
৫৮৪ দিন আগে
উপজেলা নির্বাচন প্রমাণ করে জনগণ এই সরকারের সঙ্গে নেই: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কম ভোটার উপস্থিতিই প্রমাণ করে দেশের মানুষ সরকারের সঙ্গে নেই।
তিনি বলেন, 'জনগণ এই সরকারকে (৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে) ভোট দেয়নি এবং এখনও তারা সরকারকে ভোট দেয় না। প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং দেখা গেছে বাংলাদেশের ইতিহাসে উপজেলা নির্বাচনে এত কম ভোটার উপস্থিতি আর কখনো হয়নি।’
শুক্রবার (১০ মে) একটি অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জনগণ তার সঙ্গে আছে বলে তিনি কোনো কিছুর পরোয়া করেন না।
তিনি বলেন, 'জনগণ বলতে আপনি কী বোঝাতে চেয়েছেন? তার মানে কি ওবায়দুল কাদের আপনার সঙ্গে আছেন? আপনার সঙ্গে কি কেউ আছে? এমনকী, আপনার দলের লোকজনও আপনার সঙ্গে নেই। তারা যদি আপনার সঙ্গে থাকতেন তাহলে ৭ জানুয়ারি ভোট দিতে যেতেন এবং উপজেলা নির্বাচনে ভোট দিতে যেতেন।’
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নাগরিক অধিকার আন্দোলন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা আ. লীগের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ: রিজভী
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার মধ্যে ইউটিলিটি সার্ভিসের মূল্যবৃদ্ধির জন্য সরকারের সমালোচনা করেন মান্না।
তিনি বলেন, ‘এই সরকার পণ্য ও বিদ্যুতের দাম কমাতে পারবে না। কিন্তু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ এখন একশ’ বিলিয়ন ডলারের বেশি। বিদেশিদের চাপে ঋণ পরিশোধের জন্য অর্থনৈতিক পরিষদের বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, সরকারের হাতে আমদানি করার মতো পর্যাপ্ত ডলার নেই। আর প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠাচ্ছে না, কারণ তারা জানে যে এই সরকার চোর।
তিনি বলেন, দেশের শোচনীয় অর্থনৈতিক অবস্থা প্রমাণ করছে বিরোধী দলগুলো নয়, সরকারই দুর্বল হয়ে পড়েছে।
ভঙ্গুর সরকারকে উৎখাত করে দুঃশাসন ও দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে দেশবাসীকে নতুন করে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান মান্না।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান বিএনপির
৫৮৪ দিন আগে
বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসংযোগ-ধ্বংসযজ্ঞ-রক্তপাত: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসংযোগ, ধ্বংসযজ্ঞ ও রক্তপাত।
তিনি আরও বলেন, ‘এজন্য জনগণের জানমাল রক্ষায় আমাদের সক্রিয় থাকতে হবে এবং মাঠে থাকতে হবে।’
শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক যৌথসভায় এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন বানচালে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি আবারও আন্দোলনের নামে দেশে বিশৃঙ্খলা ও ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নির্বাচন ভীতি পেয়ে বসেছে: হাছান মাহমুদ
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো পাল্টা কর্মসূচি দেয় না বরং জনগণের নিরাপত্তার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের মাঠে থাকতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে যারা রাজনীতি করতে পারে তারা দেশের বিরুদ্ধে অনেক কিছুই করতে পারে।
তাই এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ: কাদের
উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'এবারে যে ভোট পড়ছে খুব ভালো ভোট পড়েছে বলব না, মোটামুটি পড়েছে। বিএনপির অনেক নেতা দলের ভোট বর্জনকে প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। পার্টিতে কেউ কারো কথা শোনে না। বিএনপি প্রকৃতপক্ষে ভুল আর ব্যর্থতার চোরাবালিতে আটকে গেছে। ইতিবাচক রাজনীতিতে না ফেরা পর্যন্ত তারা কিছুই অর্জন করতে পারবে না।’
বিএনপির শাসনামলে কোনো নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং সেখানে কোনো সংঘাতের খবর পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, এই শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কৃতিত্ব নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে দিতে হবে।
'দেশের জনগণকে নয়, প্রতিবেশী দেশকে খুশি করেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে' বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ ও পরীক্ষিত বন্ধু। তারা আমাদের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেনি। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তি নিয়েই ক্ষমতায় টিকে আছে, ভারতকে তুষ্ট করে নয়, ভারতের দয়ায় নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘৭৫-এর পর অনেক বছর আমরা ক্ষমতায় ছিলাম না, তখন ভারত কোথায় ছিল? ভারত কি আমাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে?’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা জনগণের ম্যান্ডেটে ক্ষমতায় আছি, ভারতকে খুশি করে নয়।’
সভায় আরও ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনি।
আরও পড়ুন: উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে হবে: কাদের
৫৮৪ দিন আগে
ব্যাংক সংকট সমাধানে সরকার ব্যর্থ : জিএম কাদের
ব্যাংকিং খাত সঠিকভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের।
তিনি বলেন, ‘দেশের ব্যাংকগুলো যে দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক তার উদাহরণ।’
বৃহস্পতিবার (৯ মে ) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে তিনি বলেন, এই ব্যাংকটি দুর্নীতিতে ডুবে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, গত ৩০ এপ্রিল এনআরবিসি ব্যাংকের ১৩ জন পরিচালক তাকে চিঠি দিয়ে বলেন, এই ব্যাংকটি দুর্নীতিতে ডুবে আছে।
জিএম কাদের বলেন, ‘উদ্যোক্তা পরিচালকরা বলছেন, তারা এখানে বিনিয়োগ করেছেন। এখন ব্যাংকটি থাকবে কিনা তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন তারা। টাকা ফেরত পাবেন কিনা তা তারা জানেন না। তারা দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।’
লোডশেডিং প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, এটা বাড়ছে।
তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং বাড়ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা দিলে গ্রামীণ মানুষ সবচেয়ে বেশি লোডশেডিংয়ের শিকার হয়।
তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে রংপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, রাজশাহী, সিলেট অঞ্চল ছাড়াও ঢাকার আশপাশের জেলা, বরিশাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী সব এলাকায় ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং সহ্য করতে হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আ.লীগকে কটাক্ষ করে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সমালোচনায় জিএম কাদের
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে সরকার প্রয়োজনের সময় লোডশেডিং কমাতে পারেনি এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারেনি।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রয়োজনের তুলনায় ১০ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র অলস বসে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ প্রক্রিয়ায় পিডিবির কর্মকর্তাদের সুষ্ঠু পরিকল্পনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে উৎপাদন ছাড়াই ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে সরকারি কোষাগার থেকে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হবে।
তিনি বলেন, এখন বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। ক্যাপাসিটি চার্জ না দিলে দাম বাড়ানো হতো না।
আরও পড়ুন: পাহাড় সামলাতে ব্যর্থ সরকার: জি এম কাদের
৫৮৫ দিন আগে
উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ: ইসি আলমগীর
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
কমিশনার আলমগীর বলেন, গতকাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ চলছে
সোনাতলা, মিরসরাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে ১৭ শতাংশ এবং জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে ৭৩ দশমিক ১ শতাংশ।
এর আগে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার জন্য বৃষ্টি ও ধান কাটাকে দায়ী করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ভোটার উপস্থিতি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ হতে পারে।
বুধবার (৮ মে) অনিয়ম ও ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার অভিযোগের মধ্যেই দেশের ৫৯ জেলার ১৩৯টি উপজেলায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩০-৪০ শতাংশ: সিইসি
৫৮৫ দিন আগে
সন্তোষজনক ভোটার উপস্থিতিতে স্থানীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে: হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনে বিএনপির আহ্বানে ভোটাররা কর্ণপাত করেনি এবং সন্তোষজনক ভোটারের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি বলব ভোটার উপস্থিতি খুবই সন্তোষজনক ছিল।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই অঞ্চলের মধ্যে ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানেও স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ: কাদের
তিনি বলেন, দেশের অন্যান্য নির্বাচন এবং এ অঞ্চলের অন্য দেশের নির্বাচনের তুলনায় বাংলাদেশে সহিংসতার মাত্রা খুবই কম। 'শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।'
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে ভোটারদের ভোট বর্জনের আহ্বান জানালেও ভোটাররা সেই আহ্বানে কর্ণপাত করেনি।
তিনি বলেন, 'তাদের প্রার্থীরাও কথা শোনেনি এবং তারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তাই নির্বাচন অত্যন্ত সন্তোষজনক হয়েছে।'
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নির্বাচন ভীতি পেয়ে বসেছে: হাছান মাহমুদ
৫৮৫ দিন আগে
উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩০-৪০ শতাংশ: সিইসি
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বুধবার (৮ মে) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘প্রকৃত সংখ্যা পরে জানা যাবে। বৃষ্টি ও ফসল কাটা নিয়ে ব্যস্ততার কারণে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে অনীহা প্রকাশ করছে।’
কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান সিইসি।
তিনি বলেন, 'ঘটনার খবর পেয়ে নির্বাচন কমিশন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং দুটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক ছিল।’
ভোটাররা আসতে পেরেছেন কি না, ভোট দিতে পেরেছেন কি না, কোথাও কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা দেখাই ইসির কাজ। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে সফল হয়েছি।’
দেশের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দেশের ৫৯ জেলার ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিন বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলে।
১৩৯টি উপজেলা পরিষদে প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৪১৭টি পদের বিপরীতে প্রায় ৫৭০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ মোট ১৬৩০ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এই ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ২ কোটি ৮০ লাখের বেশি ভোটার রয়েছে।
৫৮৬ দিন আগে
বিএনপিকে নির্বাচন ভীতি পেয়ে বসেছে: হাছান মাহমুদ
একের পর এক নির্বাচন বর্জন করে নির্বাচনভীতি থেকে বিএনপির আকার ছোট হয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (৮ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি করলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না এটা এখন নিয়ম হয়ে গেছে। বিএনপির নেতাদের কাছে আমার প্রশ্ন, বিএনপির এমন রাজনীতি তারা আর কতদিন করবে, যে রাজনীতি তাদের কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে দেয় না। এটি একটি বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।’
বিএনপির উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ ও সংসদ নির্বাচন বর্জনের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি একটি আত্মহননমূলক পথ অনুসরণ করছে।
ক্রমাগত নির্বাচন থেকে দূরে থাকলে কোনো দল গণমানুষের দল হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিএনপি কারওয়ান বাজারসহ রাজধানীর অন্যান্য স্থানে লিফলেট বিতরণ করছে।
তিনি আরও বলেন, কখন যে তারা বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে লিফলেট বিতরণ শুরু করে- তা বলা যাচ্ছে না।
গত ১৩ দিনে একাধিক দেশে সফরের বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন মিয়ানমার উইংয়ের মহাপরিচালক মিয়া মো. মইনুল কবীর এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন।
৫৮৬ দিন আগে
সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন মির্জা ফখরুল
ওমরাহ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির একান্ত সহকারী এম ইউনুস আলী ইউএনবিকে জানান, জেদ্দা থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বুধবার দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান বিএনপি মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।
বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল বলেন, 'আমি ওমরাহ পালন করতে গিয়েছিলাম। দেশের মানুষের জন্য দোয়া করেছি।’
আরও পড়ুন: ওমরাহ পালন করলেন মির্জা ফখরুল
এর আগে গত ৫ মে ওমরাহ পালন ও মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করেন মির্জা ফখরুল ও তার স্ত্রী। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী।
বাংলাদেশ ও দেশের জনগণ তথা সমগ্র মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের লাখ লাখ নেতা-কর্মীর অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মোনাজাত করেছেন তারা।
এর আগে ২ মে ফখরুল ও তার স্ত্রী ঢাকা থেকে মদিনায় যান। সেখানে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কবর জিয়ারত করেন তারা।
শুক্রবার (৩ মে) মসজিদে নববীতে জুমার নামাজও আদায় করেন তারা।
৫ মে ওমরাহ পালন শেষে মক্কার বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখেন এই দম্পতি।
আরও পড়ুন: ওমরাহ পালনে সৌদি আরব গেলেন মির্জা ফখরুল
৫৮৬ দিন আগে
উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ চলছে
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ চলছে সারা দেশে ১৩৯টি উপজেলায়। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোনো বিরতি ছাড়াই ভোটগ্রহণ চলবে।
বুধবার ইতিবাচক ভোটার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটের আগের রাতে নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ করা হলেও ভোরে ব্যালট বিতরণ করা হয়।
জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান নির্বাচনী প্রক্রিয়া তদারকির জন্য চারজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েনের বিষয়টি তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ বুধবার
বাগেরহাটের কচুয়া ও রামপাল উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা গেছে, যেখানে বিশেষ করে নারী ভোটাররা সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন। জেলার কচুয়ায় ৩০টি এবং রামপালে ৪৯টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে, যার সবগুলোই ভোটারদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
মেহেরপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলাতেও ভোটার উপস্থিতি বেশ লক্ষ্য করা গেছে। মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলায় ভোটারদের উপস্থিতি বেশি এবং কিশোরগঞ্জে প্রাথমিকভাবে সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া উপজেলায় ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
কুমিল্লার লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও মেঘনা উপজেলায় বেশ ভোটার উপস্থিতি দেখা গেছে। যেখানে মোট ভোটার ৫ লাখ ৫৬ হাজার। এদিকে খাগড়াছড়ির রামগড়, মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ২ লাখ ১৩ হাজার ৮৯৭ জন ভোটার রয়েছেন এবং শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ চলছে।
সমতল এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ও দুর্গম এলাকায় প্রতি ভোটকেন্দ্রে যথাক্রমে ১৭-১৯ জন এবং ১৯-২১ জনের দল পাহারায় নিয়োজিত। দেশজুড়ে প্রায় ১০ হাজার ৪০০ ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান বিএনপির
৫৮৬ দিন আগে