রাজনীতি
উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা লুটপাট করেছে আ. লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো: রিজভী
আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো কুইক রেন্টাল, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভারের মতো উন্নয়নের নামে জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, শুধু আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগই নয়, যারা নির্লজ্জভাবে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছে, বিরোধী দল দমনে সহযোগিতা করেছে তারাও এই লুটপাটের অংশ।
রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলকে ঘায়েল করতে সিএসএ-কে অস্ত্র বানিয়েছে আ. লীগ: রিজভী
বিএনপির আন্দোলনের সময় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তিনি (বেনজীর) বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ জাতি জানতে পেরেছে যে তিনি (বেনজির) একটি আশ্রয়স্থল তৈরি করেছেন যা আলিফ লায়লার গল্পকে হার মানায়।’
কীভাবে তিনি এত বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করলেন জানতে চেয়ে প্রশ্ন তোলেন রিজভী।
আরও পড়ুন: সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত: রিজভী
দ্রব্যমূল্যের আকাশছোঁয়া দামের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ ও মাংস কেনা সাধারণ মানুষের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। লেবুর দাম তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় রোজা ভাঙার জন্য পানীয়ের ব্যবস্থা করাও সম্ভব নয়।
রিজভী বলেন, প্রতি কেজি খেজুর ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা একজন দিনমজুর বা রিকশাচালকের পক্ষে কেনা একেবারেই অসম্ভব।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচারণা চালাচ্ছে জনগণ: রিজভী
বুয়েটকে নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জঙ্গিবাদের আঁতুড়ঘর হতে দেওয়া যাবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডগুলো সরকার গভীরভাবে তদন্ত করছে।
ছাত্র রাজনীতি সরাসরি নিষিদ্ধ করা হলে বুয়েট 'নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জঙ্গিবাদের আঁতুড়ঘর' হয়ে উঠতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সেদিন বুয়েট ক্যাম্পাসে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছিল না। আর আমি যদি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকি, তাহলে বুয়েট ক্যাম্পাসে থাকতে পারব না- এটা কী ধরনের আইন?'
চট্টগ্রাম বিভাগীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংলাপে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা
বুয়েটে চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ অন্যরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় প্যানেলের সদস্য ইমতিয়াজ রহিম রাব্বির জন্য হল বরাদ্দ বাতিল করে দেয়।
২০১৯ সালের অক্টোবরে আবরার ফাহাদের মৃত্যুর পর বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়।
আরও পড়ুন: বুয়েটের হল থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
সংলাপে ওবায়দুল কাদের আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সরকারের দায়বদ্ধতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। দলের অখণ্ডতা বিপন্ন হতে পারে এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে সতর্ক করে তিনি দলীয় সদস্যদের দায়িত্বশীল আচরণ এবং দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলার আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতারা ভারতীয় পণ্য বর্জন ও 'গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের' ডাক দেওয়াকে ফাঁকা বুলি হিসেবে আখ্যায়িত করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান যে ভাষায় কথা বলতেন, বিএনপি সেই ভাষায় কথা বলছে। এখন তাদের ইস্যু ভারতের বিরুদ্ধে। তারা ভারতফোবিয়াকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: আবরার খুনের পর বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ
রিজার্ভ নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি যখন ক্ষমতা ছাড়ে, তখন বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ৩৫০ কোটি ডলার। এখন তারা রিজার্ভের কথা বলছে, যখন রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ঈদ উপলক্ষে তা আরও বাড়বে।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনে বিএনপি দেশের অর্জন ধ্বংস করতে চায়: কাদের
আ. লীগ দেশে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ দিচ্ছে না: ড. মঈন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দেশে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ দিচ্ছে না।
শনিবার (৩০ মার্চ) জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কারাবন্দি সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নের মগবাজারের বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এটা স্বাভাবিক যে বাংলাদেশের কিছু লোক আওয়ামী লীগকে সমর্থন করবে, কেউ বিএনপি বা অন্য কোনো দলের পক্ষ নেবে।
মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে। কিন্তু দেশে এখন তা অনুপস্থিত। এ অবস্থায় আমরা কীভাবে বাঁচব?’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠী সৃষ্টি করা হয়েছে : আমীর খসরু
রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে নয়নের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের কীভাবে হয়রানি করা হচ্ছে সে বিষয় তুলে ধরেন তিনি।
পরিবারটিকে অন্য কোথাও যেতে দেওয়া হচ্ছে না এবং পুলিশ তাদের প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে বলে বিএনপির এই নেতা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিরোধী দলের সদস্যদের দমন-পীড়ন বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
মঈন খান বলেন, জনগণ এখন গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার ও বাক স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে।
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না: গয়েশ্বর
তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ সুগম করুন এবং দেশে জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করুন।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের ভালোবাসা নিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় যেতে হলে গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে হবে, বাকস্বাধীনতা দিতে হবে, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, যার জন্য ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা জীবন দিয়েছিলেন।
মঈন বলেন, ‘আমরা একটি স্বাধীন সমাজে বাস করতে চাই, যার জন্য আমরা পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়েছি। বাংলাদেশের মানুষ এটাই চায়।’
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মঈন বলেন, বিএনপি বিদেশিদের সমর্থনে নয়, জনগণের ভোটে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য লড়াই করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ৮০ শতাংশ নেতা-কর্মী নির্যাতনের শিকার: ফখরুল
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠী সৃষ্টি করা হয়েছে : আমীর খসরু
বাংলাদেশে এখন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠী সৃষ্টি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের নেভাল এভিনিউয়ের মেরিটাইম মিউজিয়াম ক্যাফেতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিএমইউজে) ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র যেভাবে চলছে, রাষ্ট্রের অঙ্গগুলো যেভাবে চলছে, এতে সাংবাদিকতা ভালো অবস্থানে নেই। বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠী এখানে সৃষ্টি করা হয়েছে, যাদের সাংবাদিকতা পরিচালিত হয় সরকারি ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যারা চলে তারা সাংবাদিকতা করতে পারে না। সাংবাদিকদের হতে হবে ওয়াচডগ (পর্যবেক্ষণকারী)। এখন তারা হয়ে গেছে ল্যাপডগ মানে কোলের কুকুর। ওরা ওয়াচডগের বদলে এখন ল্যাপডগ হয়ে গেছে বাংলাদেশে।
আরও পড়ুন: আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক বিএনপির
বিএনপি নেতা বলেন, যারা সাহস করে কথাবার্তা বলছে, লিখছে, তাদের বিরুদ্ধে একটা বড় ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। যেসব সাংবাদিক সংগঠন, মিডিয়ায় কিছু কথা বলার চেষ্টা করছে তারা কিন্তু এখন বড় চাপের মধ্যে আছে। ফ্যাসিস্ট শাসনের (রেজিম) বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এখনও যে সাংবাদিকরা দাঁড়িয়ে আছে, বিশেষ করে আজ এখানে যারা আছে, এখানে অনেক সাংবাদিক চেষ্টা করে যাচ্ছে। ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে অনেক সাংবাদিক চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা কিন্তু অনেক বাধা অতিক্রম করে যাচ্ছে, সাহসিকতার সঙ্গে করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আগে ভারতে আমরা শুনতাম ইন্দিরা গান্ধীর ইমার্জেন্সির সময় সরকার থেকে সাংবাদিকদের বলা হয়েছিল একটু বাঁকা হয়ে সরকারের পক্ষে কথা বলতে। কিন্তু তারা বাঁকা হয়ে হামাগুড়ি দিচ্ছিল। সরকার বলেছিল একটু ব্যাং হয়ে আমাদের পক্ষে লিখেন, কিন্তু অতি উৎসাহী সাংবাদিকরা হামাগুড়ি দিচ্ছিল। বাংলাদেশ সরকার বলেছে হামাগুড়ি দাও, এরা সিজদায় পড়ে গেছে। এই হচ্ছে বাংলাদেশের সাংবাদিকতার অবস্থা।’
আমীর খসরু বলেন, আওয়ামী লীগের বেনিফিশিয়ারি সাংবাদিকরা ছাড়া বাংলাদেশের সাধারণ সাংবাদিকরা মুক্ত হতে চাচ্ছে। তারা মুক্তির পথ খুঁজছে। তারা যদি মুক্ত হতে না পারে এখন, তাহলে আগামী দিনে বাংলাদেশে সাংবাদিকতা বলে কোনো কিছু থাকবে না। সাংবাদিকতা পেশা বলে যে কিছু আছে, এটাও ভুলে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে: আমীর খসরু
গণতন্ত্র ফেরানোর দায়িত্ব বিএনপির একার নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি গুম হবে, খুন হবে, মৃত্যুর মুখে যাবে, চাকরি হারাবে, ব্যবসা হারাবে- শুধু বিএনপির একার দায়িত্ব না। সাংবাদিকদের দায়িত্ব আছে, পেশাজীবীদের দায়িত্ব আছে, সর্বস্তরের মানুষের আজ দায়িত্ব আছে। ৯৫ শতাংশ মানুষ যারা ভোটকেন্দ্রে যায়নি, তারা কিন্তু তাদের একটা দায়িত্ব পালন করেছে। বিএনপি এবং বিরোধী দলের ডাকে তারা দায়িত্ব পালন করেছে, তারা কথা বলেছে, ঘরে বসে কথা বলেছে।
সিএমইউজে সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমানের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী ও মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী।
আরও পড়ুন: জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদেশিদের কাছে সুবিধা চান প্রধানমন্ত্রী: আমীর খসরু
আরও ছিলেন- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর, মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, সিএমইউজের সাবেক সভাপতি ইস্কান্দার আলী চৌধুরী, শামসুল হক হায়দরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট কপিল উদ্দিন চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সাধারণ সম্পাদক ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. নছরুল কাদির, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জানে আলম সেলিম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক নেতা অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন ও আলী আব্বাস প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে আ’লীগ: আমীর খসরু
জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না: গয়েশ্বর
জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়। জিয়াকে ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পূর্ণ হবে না, কারণ তার অবদান জাতির জন্য এব্ং কাজের জন্য ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ও আজকের বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা সভায় গয়েশ্বর এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করবে বিএনপি: গয়েশ্বর
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জিয়ার জীবন ও দেশের জন্য তার অবদান নিয়ে এক-দুই ঘণ্টায় আলোচনা করা যাবে না। দেশের প্রতি তার আত্মোৎসর্গ ছিল অভূতপূর্ব।’
তিনি বলেন, ‘দেশে জিয়াউর রহমানের নাম ও খ্যাতি সর্বজনবিদিত। তিনি তার কাজের জন্য মানুষের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে আছেন, যা কখনও ম্লান হবে না এবং কারো পক্ষে মুছে ফেলা সম্ভব নয়।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘একজন মাঝারি রেঞ্জের সেনা কর্মকর্তা হিসেবে মেজর জিয়া কতটা সাহসী ছিলেন, তিনি একটি শক্তিশালী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন। মেজর জিয়ার সাহস বোঝার মতো একজন মানুষও আওয়ামী লীগে নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের লিপির পাঠক ছিলেন না। তিনি ছিলেন ঘোষক এবং গণমানুষকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: সরকার বিএনপির সংবেদনশীল জায়গায় আঘাত করছে: গয়েশ্বর
গয়েশ্বর বলেন, ‘জিয়াউর রহমানকে ছোট করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মহান করা সম্ভব নয়। দেশে কেউ বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অপ্রীতিকর শব্দ ব্যবহার করে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ যখন মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের অপেক্ষায় ছিল, তখন জিয়াউর রহমানের ঘোষণা তাদের প্রভাবিত করেছিলেন এবং তারা অংশগ্রহণ করেছিল।’
গয়েশ্বর বলেন, জিয়া জনগণের ভাষা ও মন বুঝতে পারতেন।
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল করার ক্ষমতা সরকারেরও নেই: ফখরুল
বিএনপির ৮০ শতাংশ নেতা-কর্মী নির্যাতনের শিকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির ৮০ শতাংশ নেতাকর্মী 'ফ্যাসিবাদী' আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘নির্যাতন ও জনগণকে দমন করা ছাড়া তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না। তাদের দমন-পীড়নের প্রথম শিকার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, যার জন্য তিনি লড়াই করছেন।’
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত গুমের শিকার পরিবারের সদস্যদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মেগা উন্নয়নের নামে মেগা দুর্নীতি হয়েছে: মঈন খান
তিনি বলেন, মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ফ্যাসিস্ট সরকার বা একদলীয় শাসন বা এক নারী শাসনের বিরুদ্ধে বিএনপি আন্দোলন শুরু করলে নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু করে তারা।
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘তারা এমন ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে, যেখানে কেউ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে না, লিখতেও পারছে না।’
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের দমন-পীড়ন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীর বাবা-মা, ছেলে, মেয়ে-স্ত্রীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও রেহাই পায়নি।
আরও পড়ুন: একাত্তরের স্বপ্ন এখন অধরা: মির্জা ফখরুল
তিনি আরও বলেন, জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে নখ উপড়ে ফেলা, পা ভাঙাসহ নানা অমানবিক নির্যাতনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন ভুক্তভোগীরা। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, তারা কোনো চিকিৎসা করাতে পারেননি।
সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা আমাদের সামর্থ্যের চেয়ে বেশি কাজ করে যাচ্ছি।’
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ১৯৬৯, ১৯৭১, ১৯৯০ সালের মতো ঐক্য গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। সেসময় জনগণ একতাবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল।
আরও পড়ুন: মেগা উন্নয়নের নামে মেগা দুর্নীতি হয়েছে: মঈন খান
গণতান্ত্রিক আদর্শ বাস্তবায়নে বিএনপিই প্রধান বাধা: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের জন্য বিএনপি নেতাদের জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত।
বুধবার (২৭ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'এদেশে গণতান্ত্রিক আদর্শ বাস্তবায়নে বিএনপি প্রধান বাধা।
স্বৈরশাসনের গর্ভে জন্ম নেওয়া বিএনপি মহান মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রের আদর্শ ও মূল্যবোধকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের উচিত অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের জন্য জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া। কিন্তু তারা তা না করে বরাবরের মতো অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দিচ্ছেন।’
কাদের বলেন, আজকে গণতন্ত্রের ঘাতকরা যখন গণতন্ত্রের কথা বলেন, তার মানে তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন।
গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য এটা তাদের মায়াকান্না ছাড়া আর কিছুই নয়।’
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেল চলাচলে নজরদারি বাড়ান: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্রের জন্য তাদের কান্না মূলত দেশকে ১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড, হাওয়া ভবনের মাস্টারমাইন্ড, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমানের দুঃশাসনের যুগে দেশকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া।
তিনি বলেন, ২০০১ সালের পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় আওয়ামী লীগের প্রায় ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই অন্ধকারের অপশক্তির বিরুদ্ধে এ দেশের গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক নাগরিক সমাজ আজ ঐক্যবদ্ধ।’
বিএনপি নেতার মিথ্যাচার ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির উদ্দেশ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মেগা উন্নয়নের নামে মেগা দুর্নীতি হয়েছে: মঈন খান
স্বাধীনতা দিবসে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বড় আকারের দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, মেগা উন্নয়নের নামে মেগা দুর্নীতি হয়েছে।
ড. মঈনের মতে, লক্ষ হাজার কোটি টাকা অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা হয়েছে, যা দেশের উন্নয়নে প্রভাব ফেলেছে।
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘দেশের লাখ লাখ মানুষ জীবন উৎসর্গ করেছেন। আজ স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর ১৮ কোটি মানুষের মনে একটি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে: গণতন্ত্র কোথায়?’
আরও পড়ুন: একাত্তরের স্বপ্ন এখন অধরা: মির্জা ফখরুল
তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, তাদের ঘোষণা সত্ত্বেও তারা কার্যকরভাবে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এক লাখ মামলা দায়ের, ৫০ হাজার জনকে কারাগারে বন্দি করাসহ সরকারের কথিত দমনমূলক পদক্ষেপের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
বিএনপির এই নেতা স্বাধীনতা সংগ্রামের আওয়ামী লীগের বর্ণনার সত্যতাকে চ্যালেঞ্জ করে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর দমন-পীড়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে প্রস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
বিপরীতে, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা এবং মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকার ক্ষেত্রে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: পকেট ফাঁকা থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছে না জনগণ: মঈন খান
একাত্তরের স্বপ্ন এখন অধরা: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জনগণ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লেও একাত্তরের স্বপ্ন এখন অধরা।
ফখরুল বলেন, বাঙালি ছাত্র, যুবক, কৃষক, শ্রমিক ও সৈনিকরা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিল; স্বাধীন বাংলাদেশে মানুষের বাকস্বাধীনতা ও জনগণের সরকার এবং অর্থনৈতিক মুক্তি প্রতিষ্ঠা তাদের লক্ষ্য ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় একাত্তরের স্বপ্ন এখন অধরা।
সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে তিনি এসব কথা লেন।
ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের আড়ালে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে।
আরও পড়ুন: অবশেষে গাজা নিয়ে বিএনপির নীরবতা ভাঙলেন মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, 'জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন সরকার গঠন করায় এবং ৭ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন দিয়ে দেশের মানুষকে শাসন করার তাদের কোনো সাংবিধানিক অধিকার নেই, যা আমাদের বিদেশি বন্ধুদের কাছেও গ্রহণযোগ্য ছিল না।’
তিনি দাবি করেন, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখতে সরকার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। জনগণ যখন ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার চেষ্টা করে তখন তাদের দমন করার জন্য স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সহজ নয়, কিন্তু আমরা ১৫ বছর ধরে তা চালিয়ে যাচ্ছি।’
গত দুই বছরে বিএনপির ২২ জন নেতা-কর্মী জীবন উৎসর্গ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী কারাগারে রয়েছেন এবং তারা কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশে একটি স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায় আছে, যেখানে নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা ফখরুল
অবশেষে গাজা নিয়ে বিএনপির নীরবতা ভাঙলেন মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা সফর শেষে দেশে ফেরার পর প্রথম প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ গভীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি। এসময় গাজা সংঘাত নিয়েও কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, 'দেশ যখন চলমান ফ্যাসিবাদী সরকারের অভিশাপে' তখন আমরা এখানে ইফতারের জন্য সমবেত হয়েছি। ৭ জানুয়ারি বিশ্ব বাংলাদেশে একটি নির্বাচন নয়, বরং একটি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার জন্য অপমান দেখেছে।’
রবিবার(২৪ মার্চ) ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর গাজায় ইসরাইলের হামলা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যে সংঘাত চলছে তা নিয়ে বিএনপি প্রথমবারের মতো মত প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘকে এই গণহত্যা বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে এই সংকটের একমাত্র সমাধান বলে বিশ্বাস করি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ মনে করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা শুধু রাজনৈতিক দল দিয়ে অর্জিত হয়েছে: বিএনপি নেতা হাফিজ
মির্জা ফখরুল বলেন, তারা বাংলাদেশের জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির সংগ্রামের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনকে মূল্য দেন, যা একটি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না আমরা তা অর্জন করতে পারছি, ততক্ষণ হয়তো আমাদের শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: পকেট ফাঁকা থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছে না জনগণ: মঈন খান