রাজনীতি
জোটের ভোটে দলীয় প্রতীকের বিধান চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধ নির্বাচন করলেও স্বস্ব দলীয় প্রতীকে ভোট করার বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বাধ্যবাধকতা যুক্ত করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন বাতিল চাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)-এর মহাসচিব মোমিনুল আমিন এ রিট দায়ের করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
এনডিএমের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার সাহেদুল আজম বলেন, আগামী সপ্তাহে বিচারপতি ফাতেমা নজীবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটির ওপর শুনানি হতে পারে। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম রিটের পক্ষে শুনানি করবেন।
গত ৩ নভেম্বর নির্বাচনে নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বাধ্যবাধকতা যুক্ত করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশ জারি করে সরকার।
উল্লেখ্য, আগে কোনো দল জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে তারা জোটের শরিক যেকোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করার সুযোগ পেত।
এর আগে গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। জোট করলেও দলীয় প্রতীকেই ভোট করার বিধান নিয়ে তখন আপত্তি জানিয়েছিল বিএনপি। দলটি নির্বাচন কমিশন ও আইন মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে আপত্তির কথা জানায়। জোটভুক্ত হতে আগ্রহী কিছু ছোট দলও সিদ্ধান্তটি নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করেছিল।
পরে সরকার এটি বাদ দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে— এমন খবর পাওয়ার পর জামায়াতে ইসলামী তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। শেষ পর্যন্ত সংশোধিত বিধান রেখেই অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
১৮ দিন আগে
৭ দেশে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন স্থগিত
‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় ভোটাররা সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা প্রদান না করায় সাতটি দেশে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে আয়েজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
নিবন্ধন স্থগিত রাখা দেশগুলো হচ্ছে— বাহরাইন, কুয়েত, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা দেয়া ব্যাতিরেকে পোস্টাল ব্যালট পেপার কোনো ভোটারের কাছেই পাঠানো সম্ভব হবে না। এ কারণে বাধ্য হয়েই এই সাতটি দেশে নিবন্ধন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে একই দিনে অনষ্ঠিত হতে যাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের গণভোটে প্রথমবারের মতো প্রবাসী ভোটারদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ গত ১৮ নভেম্বর উদ্বোধন করে ১৯ জুলাই থেকে প্রাথমিকভাবে চালু করা হয়। পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার ৫৩ দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমদ বলেন, বুধবার (২৬ নভেম্বর) থেকে নির্বাচন কমিশন অঞ্চলভিত্তিক নিবন্ধনের সময়সীমা তুলে দিয়েছে। এখন থেকে বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে ২৬ নভেম্বর রাত ১২ টা থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইন নিবন্ধন করা যাবে।
১৮ দিন আগে
খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ারের সিসিইউতে স্থানান্তর
হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে। এ অবস্থায় তার দ্রুত আরোগ্যের জন্য দেশবাসীর দোয়া চেয়েছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘ম্যাডামকে সিসিইউতে রেখে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডে যুক্ত আছেন।’
বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য সায়রুল কবির খান ইউএনবিকে জানান, দলের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালের একটি কেবিনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে, খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিএনপি সারা দেশে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করেছে বলে জানিয়েছেন শায়রুল কবির খান। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বাদ জুমা দোয়া ও মোনাজাতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলেও জানান তিনি।
১৮ দিন আগে
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভারত থেকে পর্যবেক্ষক আসার অনুমতি বাংলাদেশ দেবে কি না, তা সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা বলেন, এটি পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার, এ ব্যাপারে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সহায়তা না চাইলে পর্যবেক্ষকদের অনুমোদন বা আসার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। অন্তর্বর্তী সরকার বিদেশি পর্যবেক্ষক মিশনকে আলাদাভাবে কোনো সহায়তা দেবে না।
মো. তৌহিদ হোসেন জানান, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ইতিমধ্যেই আসন্ন নির্বাচনের পরিচালনার কাঠামো নির্ধারণ করেছেন এবং এর বাস্তবায়ন সম্পূর্ণভাবে কমিশনের ওপর নির্ভর করছে।
মিয়ানমারে বাংলাদেশ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, কেন পাঠাবো এটা হলো প্রথম প্রশ্ন। এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
১৯ দিন আগে
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তির দোয়া
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি ও সুস্থতার জন্য দোয়া করা হয়েছে।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। এতে নায়েবে আমীর, সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া ও জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহেরের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দোয়া করা হয়।
সভায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও ভয়মুক্ত পরিবেশে সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয়তা এবং দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘হ্যাঁ’ ভোটের পক্ষে জনমত সৃষ্টির জন্য প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে আগামী ২৮ ও ২৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার বার্ষিক অধিবেশনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা হয়।
সভার সমাপ্তিতে দেশ ও জাতির কল্যাণ, ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠা এবং শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের জন্য জনগণের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করা হয়।
১৯ দিন আগে
সারা দেশে বাউলদের ওপর হামলায় মির্জা ফখরুলের নিন্দা
বাউল শিল্পীদের ওপর হামলার ঘটনাকে ‘ন্যাক্কারজনক’ আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এই হামলাকে ‘উগ্র ধর্মান্ধদের হামলা’ বলে মনে করেন এবং এর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ে গত বছরের ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ কর্মীদের জ্বালিয়ে দেওয়া বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সংস্কার করে নির্মিত নতুন ভবন উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি মনে করি বাউলদের ওপর হামলা এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এটা নিশ্চিত যে বাংলাদেশের যে আবহমান সংস্কৃতি, গ্রামীণ বাংলার সংস্কৃতি, আমাদের বাউল যারা, তারা বাংলাদেশের মাঠে-ঘাটে প্রান্তরে এই বাউল গান গেয়ে বেড়ান। তাদের ওপর হামলা, এটা একটা উগ্র ধর্মান্ধদের হামলা বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, এই ধরনের হিংসা-প্রতিহিংসার পথ বেছে নেওয়া কারো জন্যই শোভনীয় নয়। আমরা অবশ্যই এটার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করি।
রাজধানীর কড়াইল বস্তির অগ্নিকাণ্ডে সহস্রাধিক মানুষের ঘরবাড়ি পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঢাকা শহরে অনেক বস্তি আছে, তার মধ্যে কড়াইল বস্তিটা সব থেকে বড়। এখানে কয়েক হাজার মানুষ বসবাস করে এবং সবাই দরিদ্র, নিঃস্ব মানুষ।
নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমার বাসায় যে মহিলা রান্না করে, তারও বাসা সেখানে। তার বাড়িটিও পুড়ে একদম নিঃশেষ হয়ে গেছে। এটা এই দরিদ্র মানুষগুলোর জন্য একটা চরম আঘাত। আমি সরকারের কাছে দাবি করব, সরকার যেন এদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও প্রতিরোধ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাবকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, আমাদের যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকেন, বিশেষ করে গার্মেন্টস অথবা কারখানাগুলোতে, তাদের কিছুটা নেগ্লিজেন্সি (অবহেলা), অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার অপ্রতুলতা এবং আইন না মেনে চলা—সবকিছু মিলে এই অগ্নিকাণ্ডগুলো ঘটে। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয়, সত্যিকারে অর্থে যদি আইনের প্রয়োগ হয় এবং যথাযথ অগ্নিনিরোধক ব্যবস্থা থাকে, তাহলে এগুলোকে এড়ানো অনেক সহজ।
কড়াইল বস্তির অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে তিনি বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের মধ্য দিয়ে প্রকৃত ঘটনাকে বের করে যদি প্রকৃতপক্ষে কোনো ব্যক্তি দায়ী হয়ে থাকে, তাহলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আমি দাবি জানাচ্ছি।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল বলেন, আমি এগুলোকে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মনে করি না, বরং আমি মনে করি, আমাদের যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেমন: কলকারখানা, গার্মেন্টস—এসবের দায়িত্বে যারা রয়েছেন তাদের অবশ্যই অবহেলা রয়েছে। যদি সত্যিকারের আইনের প্রয়োগ হয় এবং যথাযথ অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা থাকে তাহলে খুব সহজেই এসব এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
কিছু আসনে এখনো প্রার্থী না দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা খুব শিগগিরই বাকি আসনগুলোতেও মনোনয়ন দেব এবং দেশবাসী তা দেখতে পাবে। আমরা যোগ্য প্রার্থীদেরই মনোনয়ন দেব।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমিন, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদসহ দলটির অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
১৯ দিন আগে
নির্বাচনে জিতলে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি, তারেক হবেন প্রধানমন্ত্রী: বুলু
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করলে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি এবং তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের ৫০ শতাংশ ভোটার হচ্ছেন নারী। এই মায়েদের ভোটে খালেদা জিয়া ৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ভোটে এই মা-বোনরাই ভোট দিয়ে ধানের শীষকে বিজয়ী করবেন। ইনশাআল্লাহ খালেদা জিয়া বেঁচে থাকবেন এবং এই ভোটের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হবেন, তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন। এটাই হলো আগামী দিনের বাংলাদেশ। এর বাইরে যদি কিছু হয় এই বাংলাদেশ থাকবে না।’
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পল্টনে ভাসানী ভবনে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে জিয়া মঞ্চ আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও কোরআন খতম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বুলু বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আজ অসুস্থ। কিন্তু দেশ ও দেশের মানুষের জন্য তার বেঁচে থাকা প্রয়োজন।
তিনি অভিযোগ করেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র চলছে এবং দেশের অস্তিত্বকেও ঝুঁকির মুখে ফেলা হচ্ছে।
বুলু বলেন, দেশকে এই ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত করতে জাতীয়তাবাদী শক্তির এখন ঐক্য প্রয়োজন। বেগম খালেদা জিয়া সেই ঐক্যের প্রতীক। আসুন, সবাই তার জন্য দোয়া করি। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যেন আগের মতোই আমাদের মাঝে ফিরে কাজ করতে পারেন। তিনি আমাদের জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অনুপ্রেরণার উৎস।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠায় শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে বিভিন্ন দল ও শ্রেণিপেশার মানুষ একত্র হলেও এটিকে পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক দলে রূপ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। ৯ বছর ধরে সারা দেশে ঘুরে তৃণমূলের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে বিএনপিকে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন এবং দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলে পরিণত করেছেন খালেদা জিয়া।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ৩১ দফা বাংলাদেশের আগামী ১০০ বছরের মুক্তির সনদ। এর বাইরে গিয়ে কেউ কোনো নতুন সংস্কারের রূপরেখা দিতে পারবে না। আর সংস্কার একটি চলমান রূপরেখা। পৃথিবীর সৃষ্টি থেকে কেয়ামত পর্যন্ত সংস্কার চলতেই থাকবে। এটার কোনো শেষ নেই।
এ সময় ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারকারীদেরও সমালোচনা করেন বুলু। তিনি বলেন, জাতি এখন কঠিন প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। অনেকে ধর্ম ব্যবহার করে ব্যবসা করছে, ইসলামের নাম ভাঙিয়ে করছে রাজনীতি।
দেশবাসীকে সতর্ক করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে তাদের হাত থেকে, যারা এটিকে আফগানিস্তান, সিরিয়া বা ইরাকের মতো বানাতে চায়।
এ সময় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক সুস্থতা কামনা করে দোয়া এবং কোরআন খতম দেওয়া হয়।
২০ দিন আগে
বাংলাদেশ এখন গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে যাচ্ছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্র উত্তোরণের পথে যাচ্ছে, সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়ে গেছে। কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্ববর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির হলরুমে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে যাচ্ছে। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করেছেন এবং বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল তাদের ক্যান্ডিডেট ঘোষণা করেছে। নির্বাচনের আবহাওয়া শুরু হয়ে গেছে।
‘সুতরাং আমরা আশাবাদী, কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই ২৬-এর ফেব্রুয়ারির প্রথম এবং মধ্যবর্তী সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ে আমি মনে করি যথেষ্ট উপযোগী আছে। এখন আর এমন কোনো পরিস্থিতি নেই, যেখানে আপনার নির্বাচন ব্যাহত হবে; সেটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
বিএনপিকে একটি ‘বিশাল রাজনৈতিক দল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি (বিএনপি) স্রোতস্বতী নদীর মতো। এখানে একেকটা আসনে ৪/৫ জন করে প্রার্থী থাকে। কিছু তো সমস্যা হবেই। এগুলো বরাবরই হয়ে আসছে। এতে কোনো অসুবিধা নাই। এটা হওয়াতেই বোঝা যায়, বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল।’
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সাল আমিন, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদিন, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য আইনজীবীরা।
২০ দিন আগে
ক্ষমতায় গেলে স্বাধীন গণমাধ্যম তৈরি করবে বিএনপি: ফখরুল
সাংবাদিকদের মধ্যে বিভাজন বা মেরুকরণের ফলে তারা নিজেরাই রাজনৈতিক নেতাদের পকেটে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম নিশ্চিত করবে বিএনপি।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) আয়োজিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের কমিটমেন্ট (অঙ্গীকার) খুব পরিষ্কার। আপনারা দেখেছেন যে আমরা ৩১ দফায় খুব পরিষ্কার করেই বলেছি যে আমরা একটা স্বাধীন গণমাধ্যম দেখতে চাই এবং আমরা সেটাকে তৈরি করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় গেলে গণমাধ্যম সংস্কারে কমিশন করার পরিকল্পনা ছিল বিএনপির। ইতিমধ্যে সেই কমিশন করা হয়েছে। তবে কমিশনের প্রতিবেদন তৈরি হলেও সেটি নিয়ে পরবর্তীকালে কোনো আলোচনা হয়নি।
‘আমরা আশা করি, সরকার পরিচালনার দায়িত্ব যদি জনগণের মাধ্যমে পাই, তাহলে আমরা নিঃসন্দেহে এটাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখব বলে বিশ্বাস করি।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘একটা কথা না বলে পারছি না, আপনাদের সাংবাদিকদের তো অনেকগুলো ইউনিয়ন আছে—বিএফইউজে, ডিইউজে। আবার দুই দলের দুই ভাগ আছে, তিন ভাগ…
‘নিজেরাই তো আপনারা দলীয় হয়ে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক দলগুলো আপনাদের পকেটে ঢুকতে দিতে চায় না, কিন্তু আপনারাই যদি পকেটে ঢুকে যান, তখন কিন্তু দ্যাট বিকামস্ অ্যা প্রবলেম।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি তো গত ১৫ বছরে কী হয়েছে? গত ১৫ বছর আপনারা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে ফ্যাসিস্টকে সমর্থন করেছেন। এটা আমাদের দেখা, এ দেশের মানুষের দেখা। সেই জায়গাগুলোতে আপনাদেরও কমিটমেন্টের প্রয়োজন আছে, আপনারা ওই জায়গাগুলো থেকে নিজেরা বাইরে থাকবেন। আপনাদের কমিটমেন্ট থেকে জনগণের কাছে স্বাধীন সাংবাদিকতা করবেন।’
বিএনপি ক্ষমতায় গেলেই সংবাদমাধ্যমের উন্নয়ন হয় দাবি করে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। দেশের সমস্ত পত্রিকাগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল মাত্র চারটি পত্রিকা ছাড়া, সে পত্রিকাগুলো সরকারি নিয়ন্ত্রণে চলছিল।
‘এ অবস্থা থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন রাষ্ট্র পরিচালনায় এসছেন, তখন তিনি একটা মুক্ত স্বাধীন সংবাদপত্রের ব্যবস্থা করেছেন। তখন অনেক সংবাদপত্র বেরিয়ে এসেছে এবং মাধ্যমগুলো চালু হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পরবর্তীকালে দেখেছি, বিএনপি যখনই রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে, তখনই গণমাধ্যমকে উন্নত করবার জন্য অনেকগুলো ব্যবস্থা নিয়েছে। তার মধ্যে আজকে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো আমরা দেখছি, সেই সময় কিন্তু কাজগুলো শুরু হয়েছিল।’
রাষ্ট্র সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে খেদ প্রকাশ করে এ প্রবীণ রাজনীতিক বলেন, ‘সংস্কার যদি আমরা হৃদয়ে ধারণ না করি, মনের মধ্যে না নিই; তাহলে এভাবে সংস্কার কতটুকু সম্ভব হবে আমি জানি না।’
মতবিনিময় সভায় বিএনপি ছাড়াও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, সিপিবি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।
মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজেসির নির্বাহী মিলটন আনোয়ার। বিজেসির ট্রাস্টিদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন তালাত মামুন ও ফাহিম আহমেদ। অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করে বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন।
বিজেসির আট দফা প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে—সম্প্রচারমাধ্যমের জন্য আলাদা আইন প্রণয়ন, একটি স্বাধীন জাতীয় সম্প্রচার কমিশন গঠন, টিভি চ্যানেলগুলোকে পে-চ্যানেল ঘোষণা করা ও সম্প্রচারমাধ্যমকে শিল্প ঘোষণা এবং সম্প্রচার সাংবাদিকদের জন্য জবাবদিহিমূলক ‘কোড অব এথিকস’ প্রণয়ন; টিভি লাইসেন্স নীতিমালা ও মালিকানার ধরন নির্ধারণ, পরিচালনা পর্ষদে কর্মীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা এবং দলীয় প্রভাবমুক্ত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার মতো কাঠামোগত সংস্কার, স্বাধীন অ্যাক্রেডিটেশন কর্তৃপক্ষ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে সাংবাদিকতার নীতিমালার প্রণয়ন ইত্যাদি।
২১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডাসহ ১৬ দেশে ভোটার নিবন্ধন শুরু হচ্ছে আজ
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ ১৬টি দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজ সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাত ১২টা থেকে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
পোস্টাল ভোট বিডি (Postal Vote BD) অ্যাপের মাধ্যমে এ নিবন্ধন করা যাবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। আগামী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে।
নিবন্ধন শুরু হওয়া দেশগুলো হলো— যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, মেক্সিকো, কিউবা, জ্যামাইকা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, পানামা, হন্ডুরাস, হাইতি, নিকারাগুয়া, গুয়াতেমালা, ডমিনিকান রিপাবলিক, কোস্টারিকা ও বাহামা দ্বীপপুঞ্জ।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকা অঞ্চলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমও আগামী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলমান থাকবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন প্রথমবারের মতো এবার প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছে। পোস্টাল ভোট অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন চলাকালে ২৪ ঘণ্টা সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন হেল্প ডেস্ক চালু করেছে।
হেল্প ডেস্কের হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমো নম্বর: +৮৮০১৩৩৫১৪৯৯২০, +৮৮০১৩৩৫১৪৯৯২৩–৩২, +৮৮০১৭৭৭৭৭০৫৬২; বোটিম নম্বর: +৮৮০১৩৩৫১৪৯৯২৭, +৮৮০১৩৩৫১৪৯৯২৯–৩০, +৮৮০১৭৭৭৭৭০৫৬২।
২১ দিন আগে