রাজনীতি
টেলিকমসহ সব নীতিমালা রিভিউ করবে নির্বাচিত সরকার: আমীর খসরু
টেলিকম নীতিমালা ‘ক্রিটিক্যাল’ বা জটিল উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচিত সরকার টেলিকমসহ সব নীতিমালা রিভিউ (পর্যালোচনা) করবে।
আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের চ্যালেঞ্জ: টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি খাতের দেশীয় উদ্যোক্তাদের ভবিষ্যত নিয়ে শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকার একটি হোটেলে টিআরএনবি আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, টেলিকম নীতিমালা ক্রিটিক্যাল। অংশীজনদের মতামত নিয়ে এসব নীতিমালা করতে হবে। গত ১৫ বছরে এই খাতে যে ধরনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, বিটিআরসির স্বাধীনতা ধ্বংস করা হয়েছে, তাতে এখানে একটা বড় ধরনের পরিবর্তন দরকার। যে পরিবর্তনের ফলে দেশীয় উদ্যোক্তা এবং ডিজিটাল সিকউরিটিকে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে। যে খাতে এত লাভ, সেখানে দেশীয় বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে পারবে না কেন? নীতিমালা করার সময় এগুলো মাথায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, টেলিকম খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, আগামী দিনে যারা নির্বাচিত হবে, দায়িত্ব তাদের। অনির্বাচিত সরকার যে নীতিমালা করল, টেলিকমসহ সব নীতিমালা নির্বাচিত সরকার রিভিউ করবে।
সর্বোত্তম, দ্রুত ও সুরক্ষিত নেটওয়ার্ক তৈরিতে নতুন টেরলিকম নীতিমালায় স্পেকট্রাম ও ব্রডব্যান্ডের বিকাশে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের মধ্যে কোনো বৈষম্য রাখা যাবে না বলে মনে করেন এই বিএনপি নেতা।
অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, নীতিমালার ক্ষেত্রে ডিজিটাল সভরেন্টি (সার্বভৌমত্ব) নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। নীতিমালায় ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় কিনা, সে বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। জবাবদিহিতাবিহীন নীতিমালা হতে পারে না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রয়োজন।
বিদেশি কোম্পানিগুলো কতটা জবাবদিহিতার আওতায় রয়েছে—প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, নীতিমালায় এমন সব ধারা রাখা হয়েছে যা দেশীয় প্রতিষ্ঠানের হাত থেকে বাজারকে সরিয়ে বিদেশি কোম্পানির কাছে তুলে দেওয়ার পথ তৈরি করছে।
তিনি বলেন, আমরা দেখছি বন্দর পরিচালনাসহ বিভিন্ন খাত বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। অথচ আমরা চাই আমাদের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য নিজস্ব ভিত্তির ওপর দাঁড়াক। এই খাতে কর্মরত পাঁচ থেকে সাত লাখ মানুষের কর্মসংস্থান ঝুঁকির মধ্যে ফেলে এমন নীতিমালা আমরা মেনে নিতে পারি না।
বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ডা. আবদুন নূর তুষার বলেন, ব্যবসায় বৈষম্য দূর না হলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাজার দখল করে নেবে। আমাদের দেশীয় উদ্যোক্তাদের টিকে থাকার সুযোগ নিশ্চিত করতেই হবে। তিনি দেশীয় ব্যবসায়ীদের স্বাধীন ও সুরক্ষিত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ফাইবার অ্যাট হোমের চেয়ারম্যান মইনুল হক সিদ্দিকী বলেন, ঢাকার বাইরেও এনটিটিএন সংস্থাগুলো সেবা সম্প্রসারণ করেছে—তার প্রমাণ পাবেন আপনারা সেখানে গেলে। সেখানে গিয়ে ইন্টারনেটের গতি দেখলেই তা বোঝা যায়। অথচ বর্তমান টেলিকম নীতিমালায় দেশীয় উদ্যোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে না, বরং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত দেশের আইএসপিরা সেবা দিয়ে আসছে। এ খাতে আড়াই হাজার ব্যবসায়ী এবং সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। টেলিকম নীতিমালার বিরুদ্ধে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো সংবাদ সম্মেলন করেছিল, তাই আমরা আশা করেছিলাম সরকার নীতিমালা বাতিল করবে, কিন্তু তা করা হয়নি। তিনি বলেন, আপনারা (বিএনপি) আগামীতে সরকার গঠন করলে এমন নীতির বিষয়ে ভেবে দেখবেন; মানুষ মেরে ফেলার পলিসির বিষয়ে আপনারা ভাববেন বলে আমরা আশা করি।
ফাইবার অ্যাট হোমের সুমন আহমেদ সাবির অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আরও বক্তব্য দেন এআইওবি সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান, বাহন লিমিটেডের রাশেদ আমিন বিদ্যুৎ, সাংবাদিক মাসুদ কামাল ও শাহেদ আলম, টেলিযোগাযোগ নীতি বিশ্লেষক আবু নাজম তানভীর হোসাইন, টিআরএনবি সভাপতি সমীর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক মাসদুজ্জামান রবিন প্রমুখ।
২৩ দিন আগে
নির্বাচনের দিন গণভোট হলে জেনোসাইড হতে পারে: জামায়াত আমীর
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট হলে নির্বাচন জেনোসাইড (জাতিগত গণহত্যা) হওয়ার আশঙ্কা আছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের জন্য এখনো লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি হয়নি। আমাদের সবাইকে নিয়ে লেভেল প্লেইং তৈরি করতে হবে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন বিকেলে একটি বেসরকারি হেলিকপ্টারযোগে নগরীর চকবাজারস্থ চট্টগ্রাম কলেজ মাঠ প্যারেড ময়দানে পৌঁছান ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় দলের নেতারা ফুল দিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের দলের সংগ্রাম দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘোষিত সময়েই হতে হবে। যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে জাতীয় সংকট দেখা দিতে পারে। তাই জনগণকে নিয়ে নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেইন ফিল্ড তৈরি করতে হবে।
ক্ষমতায় গেলে জামায়াত পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়ন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা তৈরি থাকুন, নির্বাচন যথাসময়ে হতেই হবে। নির্বাচন না হলে দেশের সংকট তৈরি হবে। আমরা দেশে কোনো সংকট তৈরি হতে দেব না। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। আমাদের দাবি অব্যাহত আছে। এই দাবি বাস্তবায়ন হবে জনগণের স্বার্থে, এমনকি আমরা ক্ষমতায় গেলেও পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়ন করব।
নির্বাচনের দিন গণভোট প্রসঙ্গে জামায়াতের অবস্থান জানতে চাইলে দলটির আমীর বলেন, ‘এটা আমরা ভালোভাবে দেখছি না। আমরা আগেই বলেছি, নির্বাচনের দিন গণভোট হলে নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা আছে।’
এই সময় চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর দক্ষিণ জামায়াতের নেতারা তার সঙ্গে ছিলেন।
পরে নগরীর আকবর শাহ থানার ফিরোজ শাহ এলাকায় জামিয়াতুল ইসলামিয়ার মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ডা. শফিকুর রহমান। রাতে তার জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগের নির্বাচনি দায়িত্বশীল সম্মেলনে উপস্থিত থাকারও কথা রয়েছে।
২৩ দিন আগে
নোয়াখালীতে কাফনের কাপড় পরে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি
নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট-সদর আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দলটির একটি অংশ।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে কবিরহাট বাজারে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে স্থানীয় নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
বিক্ষোভকারীরা বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী ফখরুল ইসলামের পরিবর্তে বজলুল করিম চৌধুরী আবেদকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে ‘বয়কট ফখরুল ইসলাম’, ‘মনোনয়ন পরিবর্তন চাই’সহ নানা স্লোগান দেন।
জানা যায়, বিকেলে কাফনের কাপড় পরে আবেদপন্থী নেতাকর্মীরা কবিরহাট কলেজের সামনে জড়ো হয়ে মিছিল বের করেন, যা বাজার প্রদক্ষিণ শেষে জিরো পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়।
২৬ দিন আগে
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ইসির পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোও ওয়াদাবদ্ধ: সিইসি
সুন্দর, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যে প্রতিশ্রুতি, সেটিতে সংস্থাটি অটল বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোও জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাতটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সংলাপ চলাকালে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, একটি সুন্দর নির্বাচন জাতির কাছে সব দলেরই ওয়াদা এবং ইসি দেশের মানুষের কাছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ওয়াদাবদ্ধ।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা উৎসব মুখর নির্বাচনের কথা বলেন। আপনারা (রাজনৈতিক নেতারা) নির্বাচনের মূল প্লেয়ার (খেলোয়াড়)। আপনাদের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে এগুতে চাই। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছি। আমরা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর। নিরপেক্ষ, সুন্দরভাবে করতে গেলে আপনাদের সহযোগিতা লাগবে। দল, ভোটার সবাইকে নিয়েই নির্বাচন করতে হবে।
২৬ দিন আগে
হাসিনা রায়ের পর আওয়ামী লীগের বিচারও হওয়া উচিত: নাহিদ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে গণহত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে তারা সন্তুষ্ট, তবে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকেও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরে অবস্থিত এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যেদিন আমাদের ভাই আবু সাঈদ শহীদ হয়েছিলেন, সেদিন আমরা শপথ নিয়েছিলাম যে, এই হত্যার বিচার আদায় করেই ছাড়ব। জুলাই বিপ্লবে যে হাজারো শহীদ এবং কয়েক হাজার আহতের ওপর যে জুলুম করা হয়েছিল, সেই জুলুমের রায় আমরা আজকে পেয়েছি।
‘বিগত ১৬ বছর ধরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এদেশের সাধারণ মানুষের ওপর যে জুলুম-নির্যাতন করেছিল, গুম-খুন ও মানবাধিকার হরণসহ পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা ও জুলাইয়ের গণহত্যা করেছিল—এসব কিছুর বিচারের রায় আমরা পেয়েছি। আমরা এই রায়কে স্বাগত জানাই। এ দেশের বিচারিক ইতিহাসে এই রায় একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।’
এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা কেবল এই রায় পেয়েই সন্তুষ্ট নই। আমরা সেদিনই সন্তুষ্ট হব, যেদিন এই রায় কার্যকর করা হবে। আমরা যেদিন আমাদের জীবদ্দশায় শুনতে পাব যে, শেখ হাসিনাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকর করা হয়েছে, সেদিনই আমরা শান্তি পাব। সেদিনই জুলাই বিপ্লবের শহীদদের আত্মা শান্তি পাবেন, শহীদ পরিবার ও আহতরা শান্তি পাবেন।’ এ সময় তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে রায় কার্যকর করার দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে নয়, বরং জুলাই-আগস্টের ভিক্টিম হিসেবে বিচারের রায় ও তা কার্যকর দেখতে চাই। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আজকের রায়ে ব্যক্তি হিসেবে শেখ হাসিনাকে অপরাধী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তবে এই রায়ের মধ্য দিয়ে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, শেখ হাসিনা শুধু ব্যক্তি হিসেবে নয়, বরং দল ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এই গণহত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী ছিলেন। ফলে আওয়ামী লীগও দল হিসেবে এই মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত।’
২৮ দিন আগে
এই রায় শুধু হাসিনার অপরাধের বিচার নয়, স্বৈরশাসনের কবর: মির্জা ফখরুল
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সাবেক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের মাটিতে সকল ধরনের স্বৈরশাসকদের কবর রচিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) রায় ঘোষণার পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, 'আমরা বিশ্বাস করি, আজকের রায় শুধু শেখ হাসিনার অপরাধের বিচার নয়, বরং এই দেশের মাটিতে সব ধরনের স্বৈরশাসনের কবর রচনা।’
তিনটি অপরাধের পৃথক অভিযোগে হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি আরও দুটি অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং মামলার রাজসাক্ষী সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২৮ দিন আগে
ট্রাইব্যুনালের রায় মাইলফলক, ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা: সালাহউদ্দিন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশকে ‘ইতিহাসের এক মাইলফলক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাদা দল আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ শিক্ষার রূপান্তর একটি কৌশলগত রোডম্যাপ’ শীর্ষক সেমিনার শেষে ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে, এ রায় মাইলফলক। অপরাধ বিবেচনায় সাজা যথেষ্ট না হলেও, আগামীতে কোনো সরকার বা কোনো ব্যক্তি ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার ও একনায়ক হয়ে উঠতে না পারে, তার জন্য উদাহরণ হবে এ রায়।
তিনি বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, ফ্যাসিবাদ যত শক্তিশালী হোক, যতই ক্ষমতা দখলে রাখুক, তাদের একদিন না একদিন আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মামলা আরও রয়েছে, সেগুলোতেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। বাংলাদেশে গুম, খুন ও অপশাসন এবং বৈষম্যের রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করেছিল শেখ হাসিনা। এই বিচার অপরাধের তুলনায় যথেষ্ট নয়, তবে সামনের দিনের জন্য উদাহরণ। যাতে ভবিষ্যতে কেউ ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র কায়েম করতে না পারে, নিজে ফ্যাসিস্ট না হয় এবং কেউ যেন একনায়কতন্ত্র না হয়—তার একটি উদাহরণ। ভবিষ্যতের জন্য এই বিচার একটি শিক্ষা।
এদিন দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আদালত শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণা করেন। পাশাপাশি মামলায় রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২৮ দিন আগে
শেখ হাসিনার রায়ে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচারের দাবি ফখরুলের
জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামীকাল সোমবার রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ রায়ে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই দাবি জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগামীকাল (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা করতে যাচ্ছে, যেখানে গত বছরের ঢাকায় সংঘটিত প্রাণঘাতী সহিংসতা ও দমন-পীড়নের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা পূর্ণ ন্যায়বিচার এবং স্বচ্ছতা দাবি জানাই।’
এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। সাবেক আইজিপি মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় প্রথম মামলাটি (মিসকেস বা বিবিধ মামলা) হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। গত বছরের ১৭ অক্টোবর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের প্রথম বিচারকাজ অনুষ্ঠিত হয়। সেদিনই এ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
প্রথম দিকে এ মামলায় শেখ হাসিনাই একমাত্র আসামি ছিলেন। চলতি বছরের ১৬ মার্চ এ মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আসামি করার আবেদন করে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ) এবং ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন।
চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মোট পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন।
অভিযোগগুলো হলো— গত বছরের ১৪ জুলাই গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান; হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ প্রদান; রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা; রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছয় আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে পোড়ানোর অভিযোগ।
গত ১২ মে প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে, তথ্যসূত্র ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি ৪ হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে।
এর ভিত্তিতে ১ জুন ট্রাইব্যুনালে হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান ও আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। ওই দিনই ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নেন। এরপর ১০ জুলাই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
এক পর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে (অ্যাপ্রুভার) রাজসাক্ষী হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের করা আবেদন মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। পরবর্তীতে এই মামলার রাজসাক্ষী হয়ে সাক্ষ্য দেন তিনি।
গত ২৩ অক্টোবর মামলায় অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সমাপনী বক্তব্য দেন। তিনি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থনা করেন। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্যের জবাব দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনিও শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সর্বোচ্চ শাস্তি চান।
এরপর গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ওই তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আগামী সোমবার (১৭ নভেম্বর) হবে বলে ঘোষণা করেন।
২৯ দিন আগে
ভারতের দাদাগিরি আর দেখতে চাই না, পানির হিস্যা আমাদের ন্যায্য অধিকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পাশের দেশ ভারত পানি বন্ধ করে দিবে, সীমান্তে মানুষ হত্যা করবে, যখনতখন চাল, পেয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেবে—এই দাদাগিরি আমরা আর দেখতে চাই না। আমরা দেখতে চাই যে ভারত আমাদের সঙ্গে সমমর্যাদার ভিত্তিতে সহযোগিতা করবে, অন্যথায় বাংলাদেশের মানুষকে তারা বন্ধু হিসেবে পাবে না।
শনিবার (নভেম্বর) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে এক ঐতিহাসিক বিশাল গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাঁচাও পদ্মা, বাঁচাও দেশ, সবার আগে বাংলাদেশ— ‘চলো জি ভাই হাঁরঘে পদ্মা বাঁচাই’ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
মওলানা ভাসানীর পর খালেদা জিয়া ভারতের কাছে পানির ন্যায্য হিস্যা দাবি করেছিলেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, পানির হিস্যার আন্দোলন আরও জোরদার রাখতে হবে। আন্তর্জাতিক মহলকে বোঝাতে হবে, পানির হিস্যা আমাদের ন্যায্য অধিকার, কারো দয়া নয়। আগামী সরকার শক্তিশালী না হলে পদ্মা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যতক্ষণ না পানির ন্যায্য হিস্যা পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দিল্লিতে বসে হাসিনা জ্বালাও-পোড়াওয়ের হুকুম দিচ্ছে। হাসিনাকে কী এদেশে আমরা আর আসতে দেব? তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে, যার রায় আগামী ১৭ নভেম্বর।
এই রায়কে ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা চলছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাতে চাই, এই ফ্যাসিস্ট শক্তি যেন আগামীতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে; দেশের মানুষকে হত্যা করতে না পারে; দেশের সম্পদ নষ্ট করতে না পারে; বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে যেন ধ্বংস করতে না পারে। এসব দিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ্যে করে মির্জা ফখরুল বলেন, একটি রাজনৈতিক দল দেশকে গভীর সংকটে ঠেলে দিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ জামায়াতকে ভোট দেবে না, কারণ জামায়াতকে দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। এই নির্বাচন যদি না হয়, দেশের মানুষকে যদি আবার বোকা বানানোর চেষ্টা করা হয়, তাহলে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, তারকে রহমান বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে ১৫ মাসের মধ্যে তিনি এক কোটি বেকারের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবেন। কৃষকদের ফার্মাস কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেবেন। তিনি বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করতে চান। জনগণের জন্য একটি নিরপেক্ষ প্রশাসন তিনি তৈরি করবেন।
এর আগে, এদিন দুপরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীর ওপর নির্মিত রাবার ড্যাম পরিদর্শন শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সমতার সম্পর্ক থাকবে, দাদাগিরির সুযোগ নেই। প্রত্যেক দেশ তার নিজের স্বার্থ দেখবে—এটাই স্বাভাবিক। তবে নির্বাচিত সরকার না থাকলে দাবি আদায় সম্ভব হয় না। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পদ্মা-তিস্তার পানি বণ্টনকে গুরুত্ব দেবে। আমরা বিগত দিনে দেখেছি, তৎকালীন মন্ত্রী-এমপিরা ভারতে গিয়ে দেন দরবার করেছে, কিন্তু দেশের জন্য কেউ ভাবেনি। যে সরকারই আসুক, দেশের জন্য কাজ করতে হবে; দেশের স্বার্থ সবার আগে দেখতে হবে।
পদ্মা বাঁচাও আন্দোলেনের সমন্বয়ক চাঁপাইবাবগঞ্জ সদর আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে গণসাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, পদ্মা নদীর ন্যায্য পানিবণ্টন ও ভারতীয় আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে জাতীয় জনমত গড়ে তোলার লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে সমাবেশ করে আসছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। তাদের অভিযোগ, বর্ষাকালে বন্যা, ভয়াবহ নদীভাঙন, আর শুষ্ক মৌসুমে পানির সংকটে ফসল উৎপাদনে বাধা—এই তিন দুর্যোগই এখন পদ্মাপাড়ের মানুষের নিত্যদিনের বাস্তবতা। ফারাক্কার বিরূপ প্রভাব থেকে বাঁচতে পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি জানিয়ে আসছেন পদ্মাপাড়ের মানুষ। এ দাবিতে শনিবার ঐতিহাসিক সমাবেশের আয়োজন করে দলটি।
৩০ দিন আগে
নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে সরকারের ৯ দিনের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নয় দিনের জন্য বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামবে। এর মধ্যে নির্বাচনের আগে পাঁচ দিন, নির্বাচনের দিন এক দিন এবং নির্বাচনের পরে তিন দিন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। তবে দেশের পরিস্থিতি অনুযায়ী সময়সীমা সমন্বয় করা হতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে পটুয়াখালী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনী এখন মাঠে আছে ৩০ হাজার সদস্য। নির্বাচনের সময় প্রায় এক লক্ষ সেনা সদস্য মোতায়েন থাকবে। বিজিবি থাকবে প্রায় ৩৫ হাজার, নৌবাহিনী পাঁচ হাজার, কোস্টগার্ড চার হাজার, র্যাব প্রায় আট হাজার এবং আনসার বাহিনীর সদস্য থাকবে সাড়ে পাঁচ লাখের মতো। নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় আনসার এবার বড় ভূমিকা পালন করবে। তাদের জন্য অস্ত্র এবং বডিক্যামও সরবরাহ করা হবে।’
নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সন্দেহের সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন খুবই শান্তিপূর্ণভাবে হবে—এ নিয়ে সন্দেহের কিছু নেই।’
সরকার পরিবর্তন বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দেশে যে সরকার পতন হয়েছে, তা কোনো তিনজনের কারণে হয়নি। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের কারণেই সরকার পতন ঘটেছে। আপনারা দেখেছেন—কীভাবে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তাদের আত্মীয়স্বজনরা পালিয়েছে। এটি একজন বা দুজনের কারণে হয়নি, হয়েছে জনগণের ইচ্ছার কারণে।’
মতবিনিময় শেষে তিনি পটুয়াখালী পুলিশ লাইন্স ও কোস্টগার্ড স্টেশন পরিদর্শন করেন। পরে কুয়াকাটা উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
৩০ দিন আগে