ব্যবসা
বড়দিন উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানি বানিজ্য বন্ধ রয়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ শামসুর রহমান জানান, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে সরকারি ছুটির কারণে আজ সারা দিন দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়ছে। আগামী মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে।
আরও পড়ুন: ৬ দিন পর খালাস হলো বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকা টিসিবির পেঁয়াজ
বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টে যাত্রী যাতায়াত অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস হাউসের কার্গো শাখায় কর্মরত রাজস্ব কর্মকর্তা কলিম উল্লাহ বলেন, খ্রিস্টানদের বড়দিন উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে বেনাপোল বন্দরে পণ্য আনলোড করে ভারতীয় খালি ট্রাক ফিরে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে চারমাসে ভারতের সঙ্গে রাজস্ব ঘাটতি ৩১৩ কোটি
টানা তৃতীয় বারের মতো দেশের সর্বপ্রিয় ই-কমার্স ব্র্যান্ড খেতাব জিতল দারাজ
এক জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে টানা তৃতীয়বারের মত বাংলাদেশের এক নম্বর ই-কমার্স ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি পেল দেশের সর্ববৃহৎ অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ।
এর পাশাপাশি গত বছর সর্বোপরি দ্বাদশ জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হলেও, এ বছর প্রতিষ্ঠানটি সকল ব্র্যান্ডের মাঝে সপ্তম সর্বপ্রিয় ব্র্যান্ড হিসেবে পুরস্কৃত হয়।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাওয়ে অনুষ্ঠিত ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড’-এর ১৫ তম আসরে দারাজ এই স্বীকৃতি পায়।
২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম দেশের ব্র্যান্ডগুলোকে বাজারে তাদের অবদানের জন্য স্বীকৃতি দিয়ে আসছে। এ বছর সারাদেশের ১০ হাজার ভোক্তাদের উপর চালানো এক জরিপ অনুসারে দেশের ১৫টি সেরা ব্র্যান্ডকে তাদের উল্লেখযোগ্য প্রভাব ও অবদানের জন্য স্বীকৃতি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: স্থানীয় ব্যবসা ও কমিউনিটিকে সংযুক্ত করে ই-কমার্সকে সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ ১১.১১ সেল
সব গ্রাহক ও অংশীদারদের তাদের অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, ‘গত ৯ বছর ধরে দারাজ অবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে এমন একটি সেক্টরে যেখানে বিশ্বাস নিয়ে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন উঠে। এর মাঝেই আমরা বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজের জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছি যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ক্রেতা, বিক্রেতা এবং অন্যান্য অংশীদারদের জন্য সর্বোত্তম গুনমান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের দৃঢ় মনোভাব। সেরাদের সেরার পুরস্কার পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই স্বীকৃতি আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে যুগান্তকারী উদ্ভাবন এবং মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি কোণার ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে সংযোগ স্থাপন করতে।’
এ ব্যাপারে দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) তালাত রহিম বলেন, ‘এ ধরনের স্বীকৃতি আমাদের অনুপ্রাণিত করে কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে সকলের জন্য বিনোদনমূলক করার লক্ষ্যে আরও নিবেদিতভাবে কাজ করে যেতে। এছাড়াও আগামীর দিনে ই-কমার্স শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতেও উদ্বুদ্ধ করে।’
২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে এবং ২০১৮ সাল থেকে সম্পূর্ণরূপে আলিবাবার মালিকানাধীনে, দারাজ গত নয় বছরে অসাধারণ ক্রয়াদেশ বৃদ্ধি অর্জন করেছে।
প্লাটফর্মটিতে বর্তমানে ১ দশমিক ৫ কোটিরও বেশি পণ্য রয়েছে যার মাঝ থেকে গ্রাহক তার পছন্দের জিনিসটি বেছে নিতে পারে। এছাড়াও তিন হাজারেরও বেশী রাইডার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ৬৪টি জেলায় ২ কোটির অধিক গ্রাহকের কাছে সময়মত ডেলিভারি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে।
আরও পড়ুন: স্যুট অ্যাওয়ার্ডের বর্ষসেরার সম্মাননা পেলেন দারাজের সিসিএও-সিওও
দারাজের ১১.১১ সেল উৎসবে মেতে ছিলেন বাংলাদেশের ২৯ লক্ষাধিক ক্রেতা
ব্র্যান্ড প্র্যাক্টিশনার্সের ফুড অ্যান্ড বেভারেজ মার্কেটিং ফেস্ট ৩.০ অনুষ্ঠিত
ব্র্যান্ড প্র্যাক্টিশনার্স বাংলাদেশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফুড অ্যান্ড বেভারেজ মার্কেটিং ফেস্ট ৩.০।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে নেসলে প্রেজেন্টস ফুড অ্যান্ড বেভারেজ মার্কেটিং ফেস্ট ৩.০ পাওয়ার্ড বাই বেকম্যান'স অ্যান্ড পুষ্টি, ইন এ্যাসোসিয়েশন উইথ মোজো শীর্ষক এই আয়োজনটি।
এই আয়োজনে খাদ্য এবং পানীয় ব্যবসায় বর্তমান অবস্থায় টিকে থাকা এবং আগামীর সম্ভাবনা নিয়ে ৯টি গুরুত্বপূর্ণ ইনসাইট, কি-নোট এবং প্যানেল আলোচনা করেছেন দেশের খাদ্য ও পানীয় প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং
ডিরেক্টর, প্রধান নির্বাহী, চিফ মার্কেটিং অফিসার, সেলস ডিরেক্টর, সাপ্লাই চেইন হেড, মার্কেট রিসার্চার এবং কমিউনিকেশন ক্ষেত্রের পেশাজীবীরা।
২৫০ জনেরও অধিক মার্কেটিং এবং সেলস পেশাজীবী এই আয়োজনে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ফুড ব্লগার বা ভ্লগার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়
অনুষ্ঠানের কি-নোট স্পিকার ছিলেন এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি আশরাফ বিন তাজ। বৈশ্বিক এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে খাদ্যপণ্য উৎপাদন, সরবরাহ, এবং ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যয়ের সমন্বয় করা, বিক্রয় ও ব্যাবসা বৃদ্ধি বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।
এছাড়া এসিআই গ্রুপের চেয়ারম্যান আনিস উদ দৌলার সঙ্গে ‘কনভার্সেশন অব এ বিজনেস মায়েস্ত্রো অ্যান্ড এ মার্কেটিং মায়েস্ত্রো’ সেশনটি মডারেট করেন তিনি।
পরে টেকসই এবং সহনীয় মার্কেট অপারেশন নিয়ে প্যানেল আলোচনায় যোগ দেন টি.কে. গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ডিরেক্টর অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং মো. মোফাচ্ছেল হক, আকিজ বেকার্স লিমিটেডের চিফ মার্কেটিং অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম তুষার, গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপেশ নাগ, সিটি গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জাফর উদ্দিন সিদ্দিকী, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট পিএলসির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার শাখাওয়াত হোসেন। প্যানেলটি মডারেট করেন মেঘনা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের হেড অব স্ট্র্যাটেজিক বিজনেস ইউনিট গালীব বিন মোহাম্মদ।
এরপর প্রতিযোগিতাপূর্ণ মার্কেটে ক্রেতা ধরে রাখার স্ট্র্যাটেজি নিয়ে কথা বলেন মার্কেটিং জগতের প্রাজ্ঞ ব্যক্তিরা। মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (ব্র্যান্ড) কাজী মহিউদ্দিন এর মডারেশনে এই প্যানেলে অংশগ্রহণ করেন ডট বার্থরে ম্যানেজিং ডিরেক্টর
সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন, মাইন্ডশেয়ার বাংলাদেশের ম্যানেজিং পার্টনার তাসনুভা আহমেদ টিন, এনগেজ ৩৬০ এর সিইও সৈয়দা উম্মে সালমা ঝুমুর এবং প্রথম আলোর চিফ ডিজিটাল বিজনেস অফিসার এ বি এম জাবেদ সুলতান।
খাদ্য ও পানীয় মার্কেটের চ্যালেঞ্জ বিষয়ক প্যানেলে কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট লিমিটেডের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং জেনারেল ম্যানেজার এস. এম. এম. ইব্রাহীম মাহমুদের মডারেশনে কথা বলেন ইমরানুল কবির ক্যাটাগরি হেড, মার্কেটিং বসুন্ধরা গ্রুপ, ইফতেখারুল ইসলাম দস্তগীর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি বাংলাদেশ পিএলসি এবং ফারাজ হোসেন রুম্মান ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্ট ম্যানেজার (লিড) নাভানা গ্রুপ।
এরপর একটি ইনসাইট সেশন পরিচালনা করেন নেসলে বাংলাদেশ পিএলসির সেলস ডিরেক্টর সৈয়দ ইকবাল মাহমুদ হোসেন।
কাঁচামালের সোর্সিং থেকে শুরু করে ভোক্তাদের কাছে পণ্য পৌঁছানো পর্যন্ত কমিউনিকেশন চ্যানেল, কোয়ালিটি মেইনটেন এবং ক্রেতা সন্তুষ্টি ধরে রাখার বিষয়ে কথা বলেন নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি কোম্পানি সেক্রেটারি অ্যান্ড হেড অব লিগাল অ্যান্ড ট্যাক্সেশন দেবব্রত রায় চৌধুরী, একমি কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেডের চিফ বিজনেস অফিসার আশফাকুর রহমান, পারটেক্স স্টার গ্রুপের হেড অব বিজনেস সাইদুল আজহার সারওয়ার, পারফেটি ভ্যান ম্যালে-এরত এসোসিয়েট হেড অব কর্মাশিয়াল (এইচআর) রিফাকত রাশেদ। এই প্যানেলটি মডারেট করেছেন এসিআই লিমিটেডের বিজনেস ডিরেক্টর কামরুল হাসান।
এছাড়াও তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করা কনটেন্ট ক্রিয়েটর ‘রাফসান দ্যা ছোটভাই’ খ্যাত ইফতেখার রাফসান আলোচনা করেন কন্টেন্ট ক্রিয়েশন থেকে নিজম্ব ড্রিংকস ব্র্যান্ড তৈরির পেছনের গল্প।
সমাপনী সেশনে মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন টুল আর টেকনিক ব্যবহার করে কিভাবে খাদ্য ব্যবসা সফলতার দিকে এগিয়ে যাবে সে বিষযে আলোচনা করেন বক্তারা। এই সেশনের মডারেটর ছিলেন সুরাইয়া সিদ্দীকা, ডিরেক্টর মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস, গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেড। সেশনে প্যানেলে আলোচক হিসেবে ছিলেন মো. মাইদুল ইসলাম চিফ মার্কেটিং অফিসার আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড, শরফুদ্দিন ভূঁইয়া শ্যামল হেড অব মার্কেটিং, ট্রান্সকম বেভারেজ লিমিটেড এবং শহীদ বিন সরোয়ার, হেড অব মার্কেটিং, ড্যান ফুড বাংলাদেশ, সামিদ বিন সালাম ম্যানেজিং ডিরেক্টর, কিভা হান গ্রুপ্পো এবং আবু ওবায়েদ ইমন, কান্ট্রি মার্কেটিং লিড, ডমিনো’জ পিজ্জা বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: করপোরেট সেবার জন্য ফুডপ্যান্ডা’র সঙ্গে ব্র্যাক আইটি’র চুক্তি
আগামী দশকের কৌশল হবে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ, প্রযুক্তি ও জটিল দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ: বিজিএমইএ পরিচালক
বিজিএমইএয়ের পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেছেন, বিশ্ব বাজারের অর্থনৈতিক মন্দা, ভূ-রাজনৈতিক সংকট, বৈশ্বিক বাণিজ্য নীতির পরিবর্তন, জলবায়ু কর্মকাণ্ড এবং ইএসজি অগ্রাধিকার এবং সরবরাহ চেইন বা ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট আগামী বছরে প্রধান সমস্যা হতে পারে।
ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবেল বলেন, ‘আমাদের জন্য পরবর্তী দশকের কৌশলটি হবে পশ্চাৎপদ সংযোগ, প্রযুক্তি, জটিল দক্ষতা উন্নয়ন এবং টেকসই গতিতে বিনিয়োগ করা।’
তিনি বলেন, সবুজ রূপান্তরের উদ্যোগকে ত্বরান্বিত ও সমর্থন করতে হবে।
রুবেল তার ‘বিয়োন্ড চ্যালেঞ্জেস: কম্প্রেহেনসিভ রিক্যাপ অব বাংলাদেশ রেডি-মেড গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রি ইন ২০২৩’-শীর্ষক নিবন্ধে লিখেছেন, ‘বৈশ্বিক হওয়া আমাদের পরবর্তী এজেন্ডা, যেখানে ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেস একটি কৌশলগত উপায় হিসেবে কাজ করতে পারে, বিশেষ করে এসএমইগুলোর জন্য।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমরা ২০২৪ সালে পদার্পণ করতে প্রস্তুত, একটি নতুন অধ্যায়ে শুরু করার জন্য প্রস্তুত; আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি ২০২৩ আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর ছিল। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দ্বিগুণ চ্যালেঞ্জের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া সত্ত্বেও আমরা সফলভাবে সেগুলো অতিক্রম করেছি এবং শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি।’
রুবেল বলেন, ‘শুধু ২০২৪ সালে নয়, আগামী দশকেও আমাদের অর্জনের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’
পণ্য, ফাইবার ও বাজারের বহুমুখীকরণ এবং মূল্য সংযোজনে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন এই সেক্টরের মূল সুযোগ।
রুবেল বলেন, ‘ব্যাকওয়ার্ড ও ফরোয়ার্ড লিংকেজ শিল্পে আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে আমাদের উদ্ভাবন, প্রযুক্তিগত আপ-গ্রেডেশন, ডিজাইন ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং সামগ্রিক ব্যবসায়িক সক্ষমতার প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে।’
তৈরি পোশাক শিল্পের এই নেতা বলেন, অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে, কারণ উন্নত অর্থনীতিগুলোও মুদ্রাস্ফীতি ও মন্দার সঙ্গে লড়াই করছে। সেইসঙ্গে মহামারির সংকট এখনও আমাদের অর্থনীতিকে তাড়িত করছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মতো ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা প্রতিকূলতার একটি বাড়তি স্তর তৈরি করেছে।
মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধি ২০২২ সালে ৮ দশমিক ৮ শতাংশসহ রেকর্ডের শীর্ষে পৌঁছেছে, ২০২১ সালে যা ছিল ৪ দশমিক ৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
এর প্রভাবে ২০২৩ পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ অব্যাহত ছিল, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে পোশাকের জন্য ভোক্তাদের চাহিদাকেও প্রভাবিত করেছে।
২০২৩ সালের প্রথম ৯ মাসে ইউরোপীয় দেশগুলোর সামগ্রিক আমদানি ১২ দশমিক ০৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি মূল্যের পোশাক কিনতে কেয়ারফোরের প্রতি বিজিএমইএ সভাপতির আহ্বান
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি-অক্টোবরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ আমদানি হ্রাস রেকর্ড করা হয়েছে।
ফলে বাংলাদেশও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আমদানিতে ১৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং মার্কিন বাজারে ২৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ হ্রাসের সম্মুখীন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই চাপটি প্রধান পোশাক আইটেমগুলোর মূল্য নির্ধারণের গতিশীলতায় একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে, যার ফলে আমাদের গড় ইউনিটের দাম উল্লেখযোগ্য ৭-৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।’
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প মূল্য সংযোজন পোশাক উৎপাদন শুরু করেছে, একটি কৌশলগত পদক্ষেপ যা আমাদের গড় ইউনিট মূল্য বজায় রাখার অনুমতি দিয়েছে।
একইভাবে, প্রতিকূলতার মধ্যে আমাদের সাফল্যের তালিকায় যোগ হয়েছে বেশ কিছু অর্জন।
ইউএসজিবিসির লিড প্রত্যয়িত সবুজ পোশাক কারখানার সংখ্যা ৭৬টি প্লাটিনাম রেটেডসহ ২০৬টিতে পৌঁছেছে।
অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ২০২২ সালে ডব্লিউটিও’র ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ’ অনুসারে, বাংলাদেশ বিশ্ববাজারে ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ শেয়ারসহ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে র্যাংকিং পুনরুদ্ধার করেছে।
রুবেল বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর জন্য শীর্ষ ডেনিম-সোর্সিং দেশে পরিণত হয়েছে। এখন আমরা ইইউ বাজারে চীনের সবচেয়ে বড় পোশাক রপ্তানিকারকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রতিযোগিতায় আছি।
আরএমজি সেক্টরের উন্নতি অব্যাহত রয়েছে, গত অর্থবছর ২০২২-২০২৩ সালে ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
এটি আমাদের আরএমজি উৎপাদনের ইতিহাসে একটি নতুন অর্জন, কারণ ৪০ বছরের যাত্রায় আমরা ৪০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছি।
প্রধান বাজার ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অপ্রচলিত বাজারে আমাদের রপ্তানি ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশ হয়েছে।
দেশের অভ্যন্তরে পদ্মাসেতু ও রেলওয়ে সেতু, মেট্রোরেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেল (কর্ণফুলী), ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন, পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ অনেক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩, মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
রুবেল বলেন, ‘বছরজুড়েই চ্যালেঞ্জ ছিল, কারণ আমরা বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বর্ধিত দাম, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস এবং ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি।’
মার্কিন প্রকাশনা এবং ইউরোপীয় শ্রম নিয়ন্ত্রণের উপর বিশ্বব্যাপী মনোযোগ অতিরিক্ত চাপ তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, ‘তবে আমরা জোর দিতে চাই এই ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখেও আমরা যেন শিল্পকে টেকসই করতে এবং আমাদের কর্মী ও সম্প্রদায়ের আরও ভালো যত্ন নেওয়ার জন্য সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিতে পারি।’
আরও পড়ুন: টেকসই উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বনেতা: বিজিএমইএ পরিচালক
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির কোনো বৈধ ভিত্তি নেই: বিজিএমইএ সভাপতি
ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
সুশাসনের অভাব ও দুর্বল আর্থিক অবস্থার অভিযোগে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক জানান, নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে।
সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার নতুন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বর্তমানে তিনি মেঘনা ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ১৫.৮২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে: সূত্র
নতুন বোর্ডে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল হোসেন, খলিলুর রহমান, পারভীন হক সিকদার, শফিকুর রহমান ও মোয়াজ্জেম হোসেন।
আগের বোর্ডের তিনজন পরিচালক নতুন বোর্ডে জায়গা পেয়েছেন।
মেজবাউল আরও জানান, আগের বোর্ডে মোট পরিচালকের সংখ্যা ছিল আটজন।
আরও পড়ুন: সেরা করদাতা সম্মাননা-ট্যাক্স কার্ড পেলেন সালমান এফ রহমান
সেরা করদাতা সম্মাননা-ট্যাক্স কার্ড পেলেন সালমান এফ রহমান
সেরা করদাতা সম্মাননা ও ট্যাক্স কার্ড পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। ও তার ভাই এ এস এফ রহমান।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর আয়োজিত করদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে তাদের প্রতিনিধি সম্মাননা গ্রহণ করেন।
সম্মাননা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ সচিব ডক্টর খায়েরুজ্জামান মজুমদার ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
বৃহৎ করদাতা ইউনিট এলটিইউ ট্যাক্সে নিবন্ধিত সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা-১ আসন (নবাবগঞ্জ - দোহারের) সংসদ সদস্য। আর এ এস এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: বিএনপি ভোটে না এলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে: সালমান এফ রহমান
তারা দুজনই ২০২২-২৩ করবর্ষে ঢাকা সিটি করপোরেশন শ্রেণিতে সর্বোচ্চ করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন।
দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প বেক্সিমকো গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন সালমান এফ রহমান ও এ এস এফ রহমান।
তৈরি পোশাক, ওষুধ, জ্বালানি, সিরামিক, প্রযুক্তি, গণমাধ্যম, ব্যাংকসহ নানা খাতে বিনিয়োগ আছে বেক্সিমকোর। দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশে পণ্য রপ্তানি করছে প্রতিষ্ঠানটি। ৬০ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান করেছে বেক্সিমকো।
এবার সর্বোচ্চ কর দেয়ায় সারা দেশের ১৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দিয়েছে এনবিআর। আয়কর প্রদানে নাগরিকদের উৎসাহিত করতে এ সম্মাননা দিচ্ছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: সৌদি বিনিয়োগ দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদাহরণ: সালমান এফ রহমান
ফুড ব্লগার বা ভ্লগার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়
ব্যক্তির পারদর্শিতার জায়গাগুলোকে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর স্তরে নিয়ে গেছে হাল ফ্যাশনের স্বাধীন কন্টেন্ট নির্মাণ। ছোট ছোট বিষয়ে দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই নানা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন একদম কৈশোর থেকেই। এগুলোর মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয়গুলোর একটি হচ্ছে খাবারের মূল্যায়ন করা। এর শুরুটা মূলত ফুড ক্রিটিক থেকে, যেটি অনেক আগে থেকেই একটি স্বতন্ত্র মর্যাদা সম্পন্ন শিল্প। প্রযুক্তির ক্রমবিকাশে অনলাইন কন্টেন্টের সান্নিধ্যে এরই অবারিত অবতারণা ফুড ব্লগার এবং ফুড ভ্লগার। সদ্যপ্রাপ্ত কোনো স্বাদের অভিজ্ঞতা কেউ শব্দে প্রকাশ কছেন, কেউ বা ক্যামেরা হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রেস্তোরাঁ থেকে রেস্তোরাঁয়।
এই ধরনের কন্টেন্ট নির্মাণও হতে পারে ক্যারিয়ারের হাতিয়ার। আর ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির এই সম্ভাবনাময় পেশার নানা দিক নিয়েই আজকের নিবন্ধ। চলুন, একজন ফুড ব্লগার বা ভ্লগার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
যেভাবে একজন ফুড ব্লগার বা ভ্লগার হয়ে উঠবেন
ফুড ব্লগিং বা ভ্লগিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা
হোক সে কলম হাতে ব্লগ লেখা অথবা ক্যামেরার সামনে কথা বলা; এ সময়ের একজন স্বাধীন ফুড ক্রিটিকের প্রথমেই কিছু দক্ষতা অর্জন আবশ্যক। চলুন দেখে নিই, এ ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা জরুরি।
খাবার ও রান্নার ব্যাপারে সঠিক জ্ঞান
উদ্দেশ্য যখন খাদ্যের বিচার করা, স্বভাবতই তখন প্রথমেই এই বিচারের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এখানে রন্ধনশিল্প বা খাদ্যের উপর একাডেমিক কোনো ডিগ্রী নেওয়া জরুরি নয়। এমনকি পাকা রাঁধুনি হওয়ারও প্রয়োজন নেই। দরকার শুধুমাত্র বিষয়টির প্রতিটি প্রচণ্ড ভালো লাগা। আর এর উপর ভিত্তি করে বই ও ইন্টারনেটের তথ্য ভান্ডার থেকে জ্ঞানার্জনটা হবে স্বতঃস্ফূর্ত।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে বুফে খেতে যেসব রেস্তোরাঁয় যেতে পারেন
শুধু তাই নয়; এই তাড়না তাদেরকে প্রাসঙ্গিক অন্যান্য ব্যবহারিক জ্ঞানার্জনের দিকেও ধাবিত করবে। যেমন- নতুন নতুন রেসিপি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, খাদ্যের ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক প্রভাব ইত্যাদি। এই প্রস্তুতি তাদের খাদ্যের খুটিনাটি বিশ্লেষণ করে তথ্যপূর্ণ সমালোচনা করার ক্ষমতা বিকাশে সহায়তা করবে।
এছাড়া একটি পূর্ণাঙ্গ আর্টিকেল লেখার আগে তার প্রয়োজনীয় রসদ খোঁজার জন্যও মস্তিষ্কে সঠিক তথ্যের যোগান দরকার। এটি ক্যামেরার সামনে অনর্গল কথা বলে যাওয়ার জন্যও প্রযোজ্য।
গল্প বলার ও পরিবেশনের দক্ষতা
প্রতিটি রাঁধুনিই মানেন, শুধু রাধলেই হয় না, খাবারটিকে সুন্দর করে পরিবেশনও করতে হয়। রান্নার বাইরে যারা খাদ্য নিয়ে কন্টেন্ট বানাচ্ছেন, বিষয়টি তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। গবেষণা লব্ধ তথ্যগুলোর প্রকাশ হওয়া উচিত জটিলতা বিবর্জিত এবং সাবলীল। পাঠক পড়ার সময় যেন এই অনুভূতি পান, লেখক সরাসরি তাকে উদ্দেশ্য করেই কথা বলছেন।
এটি ব্লগারদের ক্ষেত্রে কঠিন হলেও ভ্লগারদের জন্য অনেকখানি সহজ। বলাই বাহুল্য- শব্দবহুল লেখা থেকে ছোট্ট ভিডিও উন্নত অভিজ্ঞতার সঞ্চার করতে পারে। এরপরেও একটি ভিডিও স্ক্রিপ্ট প্রস্তুত রাখা আবশ্যক। পরিকল্পিত চিত্রনাট্য অনুসরণ করা হলে শ্যুটের সময় ভুল-ভ্রান্তি কম হয়। এতে ভিডিওর পোস্ট-প্রোডাকশনে সময় বাঁচায়।
অনেক ব্লগার লেখার মাঝে প্রাসঙ্গিক ও মান সম্পন্ন ছবি যুক্ত করেন। এতে করে লেখার প্রতি পাঠকদের আকর্ষণ বাড়ে। এমনকি অনেকে ভিডিও সংযুক্ত করে দেন। ব্লগিং ও ভ্লগিংয়ের এই সংমিশ্রণটি অনেক বেশি পরিমাণে পাঠক ও দর্শক আকৃষ্ট করার একটি মোক্ষম উপায়।
আরও পড়ুন: বাজেটের মধ্যে ঢাকার সেরা ১০টি বুফে রেস্টুরেন্ট
আবারও হিলি দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় গত ১১ দিন ধরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। রপ্তানি বিধি-নিষেধ শিথিল করায় আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ভারত থেকে প্রায় ৩০ টন পেঁয়াজবাহী দুইটি ট্রাক হিলি স্থল বন্দরের পানামা পোর্টের ওয়্যারহাউজে প্রবেশ করে।
নতুন করে আমদানির ফলে দেশে পেঁয়াজের দাম অনেকটা কমবে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রামে অভিযান শুরু
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকেরা জানান, ভারত সরকার হঠাৎ করেই গত ৭ ডিসেম্বর অভ্যন্তরীণ সংকট ও দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ফলে দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ শূন্য হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় হিলি স্থলবন্দরের মোকামে কেজিতে ১০০-১২০ টাকা করে দাম বেড়ে ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি হয়। গত কয়েকদিন ধরে অবশ্য দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়।
বন্দরের আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে বাড়তি দামেই পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ৬ দিন পর খালাস হলো বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকা টিসিবির পেঁয়াজ
কিন্তু অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকটের অজুহাত দেখিয়ে গত ৭ ডিসেম্বর হঠাৎ ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ৭ তারিখের আগে করা এলসির পেঁয়াজ রপ্তানি করার জন্য সেদেশের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে চাপ তৈরি করা হচ্ছিল।
এমতাবস্থায় ভারত সরকার আগের এলসির পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত দিলে মঙ্গলবার থেকে দেশে আমদানি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি নির্বাচিত হলেন আশরাফ আহমেদ
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) ২০২৪ সালের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) রিভারস্টোন ক্যাপিটাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আশরাফ আহমেদ।
জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ইউনিমার্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিক তালহা ইসমাইল বারী। আর সহসভাপতি হিসেবে পুণঃনির্বাচিত হয়েছেন হাইটেক স্টিল অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রাইভেট) লিমিটেড ও জাবের স্টিলের চেয়ারম্যান এবং জে এন কর্পোরেশন ও ট্রেড ল্যান্ড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. জুনায়েদ ইবনে আলী।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ঢাকা চেম্বারের ৬২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় আশরাফ আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান ডিসিসিআইয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল হাসান ফজলে রাব্বি।
ডিসিসিআইর নবনির্বাচিত অন্য পরিচালকরা হলেন- মো. সালিম সোলায়মান, মো. সিয়াম আল-দ্বীন মালিক, মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সাইফ, নাইমুর রহমান ও সাইফ উদ্দৌলাহ্।
আরও পড়ুন: ঢাকা চেম্বারের সভাপতি শামস মাহমুদ
ঢাকা চেম্বারের নবনির্বাচিত সভাপতি আশরাফ আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
ডিসিসিআইর নবনির্বাচিত জেষ্ঠ সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ লন্ডন থেকে ব্যবসা ব্যবস্থাপনায় স্নাতক এবং অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
জুনায়েদ ইবনে আলী বাংলাদেশ সেকেন্ডারি কোয়ালিটি টিনপ্লেট ইমপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস্ অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইমপোরটার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেষ্ঠ সহসভাপতি এবং বাংলাদেশ-থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও কানাডা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন:সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বারে ‘এসএমই উন্নয়ন বিভাগ’ চালু
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি এফবিসিসিআইয়ের আহ্বান
রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) মতিঝিলের এফবিসিসিআই আইকন টাওয়ারে আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের স্বাভাবিক সরবরাহ ও স্থিতিশীল মূল্যের বিষয়ে আলোচনায় ব্যবসায়ীদের প্রতি এ আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
২০২৪ সালের ১০ মার্চ বিশ্বজুড়ে রমজান শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশের প্রাণ, তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। আর সে কারণেই দেশ এত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘একটি শিল্প স্থাপনের জন্য ৪৩টি সংস্থার কাছ থেকে লাইসেন্স নেওয়ার প্রয়োজন হয়, তবুও ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এত কষ্টের পরেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে পুরো ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বদনাম হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: রাজনীতি যার যার, অর্থনীতি সবার: এফবিসিসিআই সভাপতি
তিনি বলেন, কোনো ব্যবসায়ী বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ ব্যাহত করতে চাইলে এফবিসিসিআইয়ের তাতে আপত্তি রয়েছে, তাই এফবিসিসিআই সবসময় সুষ্ঠু ব্যবসার পক্ষে।
মাহবুবুল আরও বলেন, ‘যারা অনৈতিকভাবে বাজারে সংকট তৈরি করবে আমরা তাদের সঙ্গে নেই। আমরা ব্যবসায়ীদের অসৎ বা সিন্ডিকেট করার কোনো কথা শুনতে চাই না। আমরা চাই ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করুক। সমস্যা থাকলে সমাধান হোক। তবে আমরা কোনো বদনাম চাই না।’
তিনি বলেন, ‘এলসি খোলা নিয়ে জটিলতা রয়েছে, এই নিয়েই আমরা কথা বলছি। প্রয়োজনে আরও কথা বলব। তবে আমি মনে করি, বাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, খেজুরসহ ফলমূলের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে এফবিসিসিআই আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য জেলা চেম্বারদেরও আহ্বান জানান মাহবুবুল।
বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি আমিন হেলালী, সহসভাপতি খায়রুল হুদা চপল, পরিচালক ও বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অবরোধ অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভয় পায়: এফবিসিসিআই সভাপতি
এনবিআরকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বান এফবিসিসিআই’র