ব্যবসা
চট্টগ্রাম বিভাগে সংরক্ষণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৭৪ হাজার কোরবানির কাঁচা চামড়া
এবার চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলায় লবণ দিয়ে মোট ৭ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫৬টি কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রশাসন থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে পাঠানো তথ্য অনুসারে, বিভাগের মাদরাসা, এতিমখানা এবং লিল্লাহ বোর্ডিং হাউস থেকে সংগৃহীত চামড়ার মধ্যে রয়েছে ৭ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫৬টি গরু ও মহিষের চামড়া এবং ৭৪ হাজার ৩০২টি ছাগলের চামড়া।
জেলাগুলোর মধ্যে, চট্টগ্রামে ২ লাখ ৭২ হাজার ১০০টি চামড়া, কক্সবাজারে ৩৭ হাজার ৮৮৯টি, নোয়াখালীতে ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৩১টি, চাঁদপুরে ২৩ হাজার ৬৫টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে ৯৯ হাজার ৭৮১টি, খাগড়াছড়িতে ৫ হাজার ৮৫৯টি, লক্ষ্মীপুরে ১১ হাজার ৮৩৭টি, ফেনীতে ১৩ হাজার ৫০৯টি, রাঙ্গামাটিতে ২ হাজার ৮৪৮টি, বান্দরবানে ২ হাজার ২৯২টি এবং কুমিল্লায় ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৭৫টি চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে।
জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সরকারের বিনামূল্যে সরবরাহ করা লবণ ব্যবহার করে কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে।
সরকার কোরবানির মৌসুমে চামড়ার যথাযথ সংরক্ষণ এবং এতিম শিশুদের অধিকার রক্ষার জন্য সারা দেশে এতিমখানা, মসজিদ এবং মাদ্রাসাগুরোতে ৩০ হাজার টন লবণ সরবরাহ করেছে।
এই সংরক্ষণ প্রক্রিয়া স্থানীয়ভাবে দুই থেকে তিন মাস ধরে কাঁচা চামড়া ব্যবহারের উপযোগী রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
১৮৯ দিন আগে
সময় গড়াচ্ছে, তবুও ছুরি-চাপাতির দোকানে নেই ক্রেতা
কোরবানির ঈদ মানেই মাংস কাটার ব্যস্ততা, আর সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রাজধানীর কামারশালাগুলোতে ছুরি, চাপাতি, বঁটি, দা এবং খাইট্টা তৈরির ধুম পড়েছে। তবে, দোকানগুলো ভুগছে ক্রেতা সংকটে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কামারশালাগুলো ঘুরে দেখা যায়, মাংস কাটার যন্ত্রপাতিতে ঠাসা একেকটি দোকান।
ছুরি-চাপাতি-বটি-দা থেকে শুরু করে চাইনিজ কুড়াল এবং মাংস কাটার জন্য ব্যবহৃত গাছের গুঁড়ি—সবই সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এই গুঁড়িকেই স্থানীয়ভাবে বলা হয় ‘খাইট্টা’। কিন্তু দোকানিদের দাবি, সরঞ্জাম যতই থাকুক, এখনো তেমন বিক্রি শুরু হয়নি। কোরবানির একদিন বাকি থাকলেও ক্রেতার আনাগোনা কম।
জেরিন হার্ডওয়ারের মালিক মো. জুয়েল জানান, ছোট থেকে মাঝারি আকারের ছুরি ১৫০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। লোহার চাপাতি প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, দেশি কুড়াল ১০০০ টাকা ও চাইনিজ কুড়াল ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
এদিকে, ভোলা সদরের কামারশালায় দেখা যায়, সেখানেও ইস্পাত দিয়ে তৈরি হচ্ছে ছুরি-চাপাতি-বটি। দোকান মালিক মুহিম জানান, ‘আমাদের এখানে দেশি ইস্পাতের যন্ত্রপাতিই বেশি চলে। চাইনিজ পণ্যে ফলমূল কাটা যায়, কিন্তু মাংস কাটতে সুবিধা হয় না।’
তিনি বলেন, ইস্পাতের তৈরি সরঞ্জামের দাম নির্ধারিত হয় কেজি হিসেবে, প্রতি কেজি ৮০০ টাকা হারে বিক্রি করছেন তারা।
এছাড়া, দোকানগুলোতে বিভিন্ন সাইজের খাইট্টাও পাওয়া যাচ্ছে।
বিক্রেতা মো. শামীম জানান, ছোট সাইজের দাম ৩০০ টাকা, মাঝারি ৪০০ টাকা এবং বড়টির দাম ৫০০ টাকা। সবগুলোই তেতুল কাঠ দিয়ে তৈরি বলে জানান তিনি।
তবুও এবারের বাজারটা যেন চুপচাপ। কোরবানির আগের যেই চেনা ব্যস্ততা, সেটা এবার তেমন নেই। ছুরি-চাপাতি বিক্রি হচ্ছে না, গাছের গুঁড়ি পড়ে আছে যেমন তেমন, কামাররাও আছেন দুচিন্তায়।
তারা সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছেন—আগুন জ্বালানো, লোহা গরম করা, ঘাম ঝরিয়ে তৈরি করা সব যন্ত্র। আশানরূপ ক্রেতারা এখনো দোকানে আসছেন না।
১৯২ দিন আগে
ঈদের আগে উত্থান দিয়ে শেষ হলো পুঁজিবাজারের লেনদেন
ঈদের ছুটির আগে পুঁজিবাজারের শেষ কার্যদিবসের লেনদেনে সূচক বেড়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে, উর্ধ্বমুখী বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার।
সারাদিনের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৪ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে ২৭৭ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে লভ্যাংশ দেওয়া ভালো কোম্পানির এ ক্যাটাগরিতে ২১৮ কোম্পানির মধ্যে ১৬০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২৮ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসই ব্লক মার্কেটে ৩২ কোম্পানির ১৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। লাভেলো সর্বোচ্চ ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে সারাদিনে ২২৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ২২৯ কোটি টাকা।
৯.৬৩ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে সোনারগাঁও টেক্সটাইলস এবং ৭.৬৯ শতাংশ দাম কমে তলানিতে নর্দান জুট ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে
চট্টগ্রামেও উত্থান
সূচক বেড়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সার্বিক সূচক বেড়েছে ৪৮ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ১৬৯ কোম্পানির মধ্যে ৮৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৫৪ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ১০ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
৯.৮৩ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে সোনালি লাইফ ইনস্যুরেন্স এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্স।
প্রসঙ্গত, ৭ জুন ঈদুল আযহা সামনে রেখে আগামীকাল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ১০ দিন বন্ধ থাকবে দেশের দুই পুঁজিবাজারের সব ধরণের লেনদেন। ১৫ জুন আগের সময়সূচি অনুযায়ী লেনদেন শুরু হবে বাজারে।
১৯৪ দিন আগে
সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: পতনের মুখে ঢাকার পুঁজিবাজার, চট্টগ্রামে সামান্য উত্থান
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
১৯৪ দিন আগে
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পুঁজিবাজারবান্ধব, সন্তুষ্ট ডিএসই-ডিবিএ ও সিপিডি
পুঁজিবাজারে ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং (আইপিও) তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে ২০২৫-২৬ বাজেটে আলাদা কর সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি বাজারবান্ধব সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার(৩ জুন) সিপিডি নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে আলাদা কর সুবিধার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এ সুবিধা অনুযায়ী, লেনদেনের শর্ত মেনে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানির জন্য করপোরেট কর হবে ২০ শতাংশ। তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির ক্ষেত্রে এ করের হার সাড়ে ২৭ শতাংশ।
করহারে ব্যবধান বাড়ায় ভালো এবং বিদেশি কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হবে বলে মনে করে সিপিডি।
এছাড়া ডিএসই'র পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম পুঁজিবাজার বান্ধব বাজেট উত্থাপন করায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মমিনুল ইসলাম বলেন, ২০২৫-২৬ সালের বাজেটে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির মধ্যে করহারের ব্যবধান বৃদ্ধি, মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার কমানো এবং লেনদেনের উপর উৎসে কর কমানোর মতো সিদ্ধান্ত পুঁজিবাজারের ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
আগামীতে বাজেট প্রস্তাবনায় সরকারের মালিকানা রয়েছে এমন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির সরকারের শেয়ার কমিয়ে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, লাভজনক সরকারি প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করা, বেসরকারি খাতের দেশীয় বড় কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকা করতে প্রণোদনা দিলে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মমিনুল।
বাজেট প্রসঙ্গে আরেক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুঁজিবাজারের স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: পতনের মুখে ঢাকার পুঁজিবাজার, চট্টগ্রামে সামান্য উত্থান
সংগঠনটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, এবারের বাজেটে ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটিজ লেনদেনের উপর উৎসে কর হার ০.০৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.০৩ শতাংশ করা হয়েছে, তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করের পার্থক্য আড়াই শতাংশ বৃদ্ধি করে সাড়ে ৭ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের করপোরেট করের হার ১০ শতাংশ কমিয়ে সাড়ে ২৭ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সাইফুল আরও বলেন, ‘বাজেটে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত এই প্রস্তাবের বাস্তবায়ন বাজার উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা রাখবে এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী, ইস্যুয়ার কোম্পানি, স্টক ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ পুঁজিবাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হবে।’
পুঁজিবাজার নিয়ে সরকারের সঠিক উপলব্ধি, সদিচ্ছা ও কার্যকর পদক্ষেপের জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়েছে ডিবিএ।
১৯৫ দিন আগে
পতনের মুখে ঢাকার পুঁজিবাজার, চট্টগ্রামে সামান্য উত্থান
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে পতনের মুখে পড়েছে ঢাকার পুঁজিবাজার, যদিও সামান্য সূচক বেড়েছে চট্টগ্রামে। সারাদিনের লেনদেনে দাম কমেছে দুই বাজারের বেশিরভাগ কোম্পানির।
সারাদিনের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৪ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস ৬ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৪ কোম্পানির মধ্যে ৯৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২৩৯ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬২ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। বিশেষ করে লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির এ ক্যাটাগরিতে ২১৫ কোম্পানির মধ্যে ৬০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৮ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসই ব্লক মার্কেটে ২২ কোম্পানির ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ১ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে সারাদিনে ২২৯ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ২৭৫ কোটি টাকা।
৯.২০ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে সোনালি আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ৯ শতাংশ দাম কমে তলানিতে মিডল্যান্ড ব্যাংক।
চট্টগ্রামে উত্থান
আরও পড়ুন: সূচকের পতনে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে
এদিকে সূচক বেড়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সারাদিনের লেনদেনে সার্বিক সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ১৭৬ কোম্পানির মধ্যে ৫৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৮১ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৯ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
৮.৭০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে ফ্যামিলিটেক্স বাংলাদেশ এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ফিনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।
১৯৫ দিন আগে
বাজেট উত্থাপনের দিনে উত্থান দেখল ঢাকা, পতন চট্টগ্রামে
বাজেট উত্থাপনের দিনে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেনে ঢাকার সূচকের উত্থান হলেও কমেছে চট্টগ্রামে। তবে দাম বেড়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২১ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে ২০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১০১ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
‘এ’, ‘বি’ এবং ‘জেড’- তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির এ ক্যাটাগরিতে ২১৬ কোম্পানির মধ্যে ১২৭ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৪৯ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।আরও পড়ুন: দুই শেয়ারবাজারেই দরপতন, ডিএসইর সূচকে কমেছে ৩৫ পয়েন্ট
ডিএসই ব্লক মার্কেটে ৩১কোম্পানির ২৫ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ১২ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে সারাদিনে ২৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ২৩৫ কোটি টাকা।
৭.৪৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে দেশ ফার্মা এইডস এবং ৮.৫৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে ফার্স্ট ফাইন্যান্স।
চট্টগ্রামেও উত্থান
এদিকে সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচকের পতন হয়েছে ২৮ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ১৬৮ কোম্পানির মধ্যে ৭৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ১০ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
৯.৬৯ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আফতাব অটো এবং ১০ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে দেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স।
১৯৬ দিন আগে
পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি এলে নতুন বাজেটে বিশেষ করহার
দেশের পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করতে বিশেষ করহারের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে।
সোমবার (২ জুন) বাজেট বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, দেশি-বিদেশি লাভজনক ও নামি-দামি কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করতে লিস্টেড ও ননলিস্টেড কোম্পানির করহারের ব্যবধান বাড়ানো হবে।
এতদিন এ ব্যবধান ৫ শতাংশ থাকলেও নতুন বাজেটে তা বাড়িয়ে সাত দশমিক শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: করমুক্ত আয়সীমা বাড়বে, নতুন অর্থবছরে থাকছে সাড়ে ৩ লাখই
এছাড়া পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ও লেনদেন বৃদ্ধিতে উৎসাহ দিতে সিকিউরিটিজ লেনদেনের মোট মূল্যের ওপর ব্রোকারেজ হাউসের কাছ থেকে নেওয়া উৎসে কর সংগ্রহের হার দশকি শূন্য ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক শূন্য তিন শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তবে এসব সুবিধার বাইরে নতুন বাজেটে সিকিউরিটিজের সুদ থেকে উৎসে কর কর্তনের হার বাড়ানো হয়েছে। এতদিন এ করহার ৫ শতাংশ থাকলেও নতুন অর্থবছরে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
১৯৬ দিন আগে
ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হওয়ার সংবাদ সঠিক নয়: কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ইসলামী ধারার ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হওয়ার যে খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এই ধারার ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান শুক্রবার (৩০ মে) দেওয়া এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে ৬টি দুর্বল ব্যাংক একীভূত হয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসছে। ৬টি ব্যাংকের মধ্যে ৫টি ইসলামী ধারার ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
তিনি জানান, ‘এনবিএল প্রচলিত ধারার ব্যাংক। ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো সংস্কারের সঙ্গে এনবিএল সম্পৃক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এর আগে, একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আহসান এইচ মনসুর জানান, নানা অনিয়ম ও ঋণ জালিয়াতির কারণে দুর্বল হওয়ায় ছয়টি ব্যাংককে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে একীভূত করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো একীভূত করে সাময়িক সময়ের জন্য সরকারি মালিকানায় নেওয়া হবে।
পরবর্তীতে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হবে এই মর্মে নানা সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে- যা সঠিক নয় বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আরও পড়ুন: নতুন নোটের ছবি প্রকাশ, আসল-নকল চেনার উপায় কী?
এ ছাড়া, একীভূত হওয়ার পর সাময়িক সরকারি মালিকানার সিদ্ধান্ত থেকেও সরে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সবশেষ ২৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে বিএফআইইউর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে গভর্নর জানান, ‘একীভূতকরণের আগেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর ওপর সরকার মালিকানা প্রতিষ্ঠা করবে। এতে আমানতকারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ তারা একটি অধিকতর শক্তিশালী ব্যাংকের অংশ হয়ে যাবেন। তবে মোট কতটি ব্যাংক একীভূত হবে এ ব্যাপারে এখনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
গভর্নর জানান, সব দুর্বল ব্যাংক একবারে একীভূত হবে না। প্রথম দফায় কয়েকটি ব্যাংক একীভূত হবে। পরে পরিস্থিতি বিবেচনায় বাকি দুর্বল ব্যাংক নিয়ে সিদ্ধান্ত নিবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
১৯৯ দিন আগে
নতুন নোটের ছবি প্রকাশ, আসল-নকল চেনার উপায় কী?
দুদিন পর ১ জুন থেকে বাজারে আসবে ১০০০, ৫০ এবং ২০ টাকা মূল্যমানের নতুন ডিজাইন এবং সিরিজের নোট। ইতোমধ্যে নতুন নোটের ছবি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, দিয়েছে নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য নিয়ে সম্যক ধারণা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর স্বাক্ষরিত ১০০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোটটির আকার হবে ১৬০ মিমি x ৭০ মিমি। নোটটি ১০০ শতাংশ কটন কাগজে মুদ্রিত এবং জলছাপ হিসাবে আছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ, ইংরেজিতে ‘1000’ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম। নোটটিতে বেগুনি রঙের আধিক্য রয়েছে।
এছাড়া ১০০০ টাকা নোটের সম্মুখভাগের বামপাশে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং মাঝে প্রতিশ্রুত বাক্য ও মূল্যমান (এক হাজার টাকা) মুদ্রিত রয়েছে। নোটের মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলা’র ছবি মুদ্রিত রয়েছে। এছাড়া, নোটের ওপরে বাঁদিকে নোটের মূল্যমান ‘১০০০’, ডানকোণে ‘1000’ ও নিচে ডানকোণে ‘৳১০০০’ মুদ্রিত রয়েছে।
নোটের পেছনভাগের ডিজাইন হিসেবে জাতীয় সংসদ ভবনের ছবি, উপরে বামকোণে মূল্যমান ‘১০০০’, ডানকোণে বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম এবং নিচে ডানকোণ এবং বামকোণে মূল্যমান ‘1000’ মুদ্রিত রয়েছে। এছাড়া, নোটের ডানপাশে উলম্বভাবে ‘1000’ মুদ্রিত রয়েছে।
১০০০ টাকার নোটটিতে মোট ১৩ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংযোজন করা হয়েছে। নোটটির সম্মুখভাগে বামপাশে ৫ মিমি চওড়া নিরাপত্তা সুতায় যাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম এবং ‘১০০০ টাকা’ খচিত আছে। নোটটি নাড়াচাড়া করলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম অংশের নিরাপত্তা সুতার রং লাল হতে সবুজ রঙে পরিবর্তিত হয় এবং ‘১০০০ টাকা’ অংশে একটি উজ্জ্বল রংধনু বার উপর থেকে নিচে উঠানামা করে।
আরও পড়ুন: জুয়েলারি দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বদলালো বাজুস
এছাড়া, নোটের ডানদিকে কোণায় মুদ্রিত মূল্যমান ‘1000’ রং পরিবর্তনশীল উন্নতমানের নিরাপত্তা কালি দ্বারা মুদ্রিত; যাতে নোটটি নাড়াচাড়া করলে এর রং ম্যাজেন্টা থেকে সবুজ রংয়ে পরিবর্তিত হয়এবং মূল্যমানের ভেতরে কোনাকুনিভাবে মুদ্রিত ‘১০০০’ লেখাটি দৃশ্যমান হয়।
পাশাপাশি, নোটের সম্মুখভাগের পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলা ইউভি ফ্লুরুসিন ম্যাজেন্টা কালি দ্বারা মুদ্রিত যা ইউভি ডিটেক্টর মেশিনে দেখা যায়।
নোটটিতে গভর্নর স্বাক্ষরের ডানপাশে স্বচ্ছ ছবি হিসেবে একটি প্যাটার্ন মুদ্রিত রয়েছে; যা আলোর বিপরীতে ধরলে ‘১০০০' লেখা দৃশ্যমান হবে। এছাড়া, নোটের সম্মুখভাগের বাঁদিকে ‘BANGLADESH BANK' লেখার নিচে মাইক্রোপ্রিন্ট হিসেবে উলম্বভাবে ‘BANGLADESH BANK' মুদ্রিত রয়েছে। পাশাপাশি নোটের পেছনভাগে বামদিকের উপরে ‘১০০০' এবং নিচে ‘1000' লেখার ব্যাকগ্রাউন্ডে 'BANGLADESH BANK এবং এর নিচে 'ONE THOUSAND TAKA' পুনঃপুন মুদ্রিত রয়েছে; যা শুধু Magnifying Glass দ্বারা দেখা যাবে।
ব্যাংক নোটটিতে অন্যান্য নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য হিসেবে অসমতল ছাপা (সম্মুখভাগে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি, 'বাংলাদেশ ব্যাংক' লেখা, গ্যারান্টি ক্লজ, বাংলা ও ইংরেজি মূল্যমান, আড়াআড়িভাবে ৬টি সমান্তরাল লাইন, পেছনভাগে জাতীয় সংসদ ভবন এর ছবি, “BANGLADESH BANK', 'ONE THOUSAND TAKA' লেখা ইত্যাদি ইন্টাগ্লিও কালিতে মুদ্রিত), লুকানো ছাপা (সম্মুখভাগের নিচে মূল্যমান 1000), Iridescent Stripe (পেছনভাগে উলম্বভাবে হালকা সোনালী রংয়ে ‘BANGLADESH BANK' লেখা) দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সুবিধার্থে ৬টি বৃত্ত রয়েছে।
৫০ টাকার নোটের ডিজাইন ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর স্বাক্ষরিত ৫০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩০ মিমি x ৬০ মিমি। নোটটি ১০০ শতাংশ কটন কাগজে মুদ্রিত এবং নোটে জলছাপ হিসেবে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার এর মুখ, ‘50' এবং ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম রয়েছে। নোটটিতে গাঢ় বাদামী রঙের আধিক্য রয়েছে। ব্যাংক নোটটির সম্মুখভাগের বামপাশে আহসান মঞ্জিল, ঢাকা এর ছবি এবং মাঝখানে 'প্রতিশ্রুত বাক্য' (Guarantee clause) ও মূল্যমান (পঞ্চাশ টাকা) মুদ্রিত রয়েছে। নোটের মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলা'র ছবি মুদ্রিত রয়েছে। এছাড়া, নোটের উপরে বামদিকে মূল্যমান ‘৫০’, ডানকোণে ‘50’ও নিচে ডানকোণে ‘৳৫০' মুদ্রিত রয়েছে। নোটের পেছনভাগে জলছাপ এলাকার ডানপাশে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন এর বিখ্যাত চিত্রকর্ম 'সংগ্রাম' মুদ্রিত রয়েছে। নোটের উপরে বামকোণে মূল্যমান ‘৫০’ ও ডানকোণে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম এবং নিচে ডানকোণ এবং বামকোণে মূল্যমান ‘50' মুদ্রিত রয়েছে। এছাড়া, নোটের ডানপাশে উলম্বভাবে ‘50' মুদ্রিত রয়েছে। নোটটিতে মোট ৮ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংযোজন করা হয়েছে। নোটটির সম্মুখভাগে বামপাশে ২ মিমি চওড়া নিরাপত্তা সুতা সংযোজন করা হয়েছে যাতে ‘৫০ পঞ্চাশ টাকা' খচিত রয়েছে। নোটটি নাড়াচাড়া (Tilt) করলে নিরাপত্তা সুতার রং লাল হতে সবুজ রংয়ে পরিবর্তিত হয়। নোটটিতে গভর্নর স্বাক্ষরের ডানপাশে See Through image হিসেবে একটি প্যাটার্ন মুদ্রিত রয়েছে; যা আলোর বিপরীতে ধরলে ‘৫০’ লেখা দৃশ্যমান হবে। এছাড়া নোটের সম্মুখভাগে আহসান মঞ্জিল, ঢাকা-লেখাটির উভয়পাশে Microprint হিসেবে ‘BANGLADESH BANK এবং পেছনভাগের বামদিকের উপরে ‘৫০' ও নিচে ‘50' লেখার ব্যাকগ্রাউন্ডে Microprint হিসেবে যথাক্রমে ‘50 TAKA' এবং 'BANGLADESH BANK' মুদ্রিত রয়েছে। ব্যাংক নোটটিতে অন্যান্য নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য হিসেবে অসমতল ছাপা (সম্মুখভাগের আহসান মঞ্জিল এর ছবি, 'বাংলাদেশ ব্যাংক, গ্যারান্টি ক্লজ, বাংলা ও ইংরেজিতে মূল্যমান, আড়াআড়িভাবে ৬টি সমান্তরাল লাইন ইত্যাদি ইন্টাগ্লিও কালিতে মুদ্রিত), লুকানো ছাপা (সম্মুখভাগের নিচে মূল্যমান 50), দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সুবিধার্থে ২টি বৃত্ত রয়েছে।
২০ টাকার নোটের ডিজাইন ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর স্বাক্ষরিত ২০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটটির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৭ মিমি x ৬০ মিমি। নোটটি ১০০ শতাংশ কটন কাগজে মুদ্রিত এবং নোটে জলছাপ হিসেবে 'রয়েল বেঙ্গল টাইগার এর মুখ', '20' এবং ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম' রয়েছে। নোটটিতে সবুজ রঙের আধিক্য রয়েছে। ব্যাংক নোটটির সম্মুখভাগের বামপাশে ঐতিহাসিক স্থাপনা কান্তজিউ মন্দির, দিনাজপুর এর ছবি এবং নোটের মাঝখানে ‘প্রতিশ্রুত বাক্য (Guarantee clause) ও মূল্যমান (বিশ টাকা) মুদ্রিত রয়েছে। নোটের মাঝখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা ও কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলা'র ছবি মুদ্রিত রয়েছে। এছাড়া, নোটের উপরে বামদিকে মূল্যমান ‘২০’,ডানকোণে ‘20’ ও নিচে ডানকোণে ‘৳২০' মুদ্রিত রয়েছে। নোটের পেছন ভাগে জলছাপ এলাকার ডানপাশে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, নওগাঁ এর ছবি মুদ্রিত রয়েছে। নোটের উপরে বামকোণে মূল্যমান ‘২০’ ও ডানকোণে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম' এবং নিচে ডানকোণে মূল্যমান '20' মুদ্রিত রয়েছে। এছাড়া, নোটের ডানপাশে উলম্বভাবে ‘20' মুদ্রিত রয়েছে। নোটটিতে মোট ৫ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংযোজন করা হয়েছে। নোটটির সম্মুখভাগে বামপাশে ২ মিমি চওড়া নিরাপত্তা সুতা সংযোজন করা হয়েছে যাতে ‘৳২০ বিশ টাকা' খচিত রয়েছে। নোটটি নাড়াচাড়া (Tilt) করলে নিরাপত্তা সুতার রং লাল হতে সবুজ রংয়ে পরিবর্তিত হয়। নোটটিতে গভর্নর স্বাক্ষরের ডানপাশে See Through image হিসেবে একটি প্যাটার্ন মুদ্রিত রয়েছে; যা আলোর বিপরীতে ধরলে ‘২০’ লেখা দৃশ্যমান হবে। এছাড়া, নোটের সম্মুখভাগের ডানদিকে এবং পেছন ভাগের বামদিকের গ্লিউইশ প্যাটার্নের ভিতরের অংশে Microprint হিসেবে উলম্বভাবে ‘BANGLADESH BANK' মুদ্রিত রয়েছে।
২০০ দিন আগে