খেলাধুলা
এবারের বিপিএলে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যত কার্যক্রম
সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল-২০১৫) পরিবেশবান্ধব করতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় একাধিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে। এর মধ্যে রয়েছে— মাঠের ভেতরে ও বাইরে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা। এছাড়া পরিবেশবান্ধব প্ল্যাকার্ড ও প্রপ ব্যবহারের পাশাপাশি চার-ছক্কা উদযাপনের উপকরণেও পরিবেশবান্ধব বার্তা সংযোজন করা হয়।
টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ও ফাইনাল ম্যাচে প্রতিটি দলের অধিনায়কের মধ্যে গাছ বিনিময়ের ব্যবস্থা রাখা হয়, যা পরিবেশ সচেতনতার প্রতীক হিসেবে কাজ করে। ম্যাচ চলাকালে এল আকৃতির বিজ্ঞাপন ও থিমেটিক টিভিসি সম্প্রচার, যেখানে জিরো ওয়েস্ট ক্যাম্পেইন, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বর্জন, বায়ু ও শব্দদূষণ রোধের বার্তা বোঝায়।
ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামের তিনটি ভেন্যুতে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ কর্নার স্থাপন করা হয়। এসব কর্নারে পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রম প্রদর্শনের পাশাপাশি দর্শকদেরও পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হয়।
পরিবেশদূষণ রোধে ইন্টারঅ্যাক্টিভ বিন স্থাপন করা হয়, যেখানে রঙ চিহ্নিত বিনের মাধ্যমে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হয়।
আরও পড়ুন: বিপিএল ২০২৫ টি২০ ক্রিকেটের প্রথম সারির প্রতিদ্বন্দ্বীরা
ম্যাচ চলাকালে রেডিওতে পরিবেশ সচেতনতামূলক বার্তা সম্প্রচারের জন্য জনপ্রিয় আরজেদের এনডোর্সমেন্ট যুক্ত করা হয়। পাশাপাশি বিপিএল সংশ্লিষ্ট ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটক প্ল্যাটফর্মে পরিবেশ সচেতনতা-বিষয়ক বার্তা প্রচার ও বুস্টিং করা হয়।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিপিএল-২০২৫ কেবল একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট নয়, বরং একটি পরিবেশ সচেতনতামূলক উৎসবে রূপ নেয়, যা তরুণদের পরিবেশ রক্ষায় উৎসাহিত করে। ক্রিকেট, ফুটবলসহ খেলাধুলা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডসহ সকল প্রকার অনুষ্ঠানের পরিবেশবান্ধব আয়োজন করতে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
৩১০ দিন আগে
শেষের নাটকীয়তায় পরও রেকর্ড গড়ে ফের বিপিএল চ্যাম্পিয়ন বরিশাল
বিপিএলের ফাইনালে শুরুতে ব্যাটিং করে রেকর্ড রান সংগ্রহ করে প্রথম শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল চিটাগাং কিংস। তবে তামিম ইকবাল ও কাইল মেয়ার্সের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তাদের সে স্বপ্ন গ্লানিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) টস হেরে শুরুতে ব্যাটিং করে ১৯৫ রানের লক্ষ্য দেয় কিংস। এটি ছিল বিপিএলের ফাইনালে প্রথম ইনিংসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ। ফলে শিরোপা ধরে রাখতে রেকর্ড করতে হতো বরিশালকে।
আর লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দুই ব্যাটারের ব্যাটিং ঝড় এবং শেষের নাটকীয়তার পর তিন বল বাকি থাকতেই শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে তামিম ইকবালের দল।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে সর্বোচ্চ ২৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ের ভীত গড়ে দেন অধিনায়ক তামিম। এরপর কাইল মেয়ার্সের ২৮ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংসটি সে কাজ আরও সহজ করে দেয়। যদিও শেষদিকে মেয়ার্স ও মাহমুদুল্লাহকে ফিরিয়ে দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল চিটাগাং, তবে রিশাদ হোসেনের ৬ বলে ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংসে সেই আশার গুড়েও বালি পড়ে।
চিটাগাংয়ের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন শরিফুল ইসলাম। চার ওভারে ৩৪ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এছাড়া নাঈম ইসলাম দুটি ও বিনুরা ফের্নান্দো নিয়েছেন একটি উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম ওভার থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন তামিম, আর তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে চলেন তৌহিদ হৃদয়। প্রথম ওভারে বিনুরাকে তামিম তিনটি চার মারলে ওই ওভারে ১৪ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। এরপর আরাফাত সানিকে দেখেশুনে খেলে তৃতীয় ওভারে ফের বিনুরার বলে তিনটি চার মেরে ১২ রান সংগ্রহ করেন তামিম।
চতুর্থ ওভারে খালেদ আহমেদ দেন ১১ রান। পরের দুই ওভারে উইকেট ধরে রাখায় মনোযোগী হলে রানের চাকা কিছুটা গতি হারায়। ফলে পাওয়ার প্লেতে চিটাগাংয়ের মতোই বিনা উইকেটে ৫৭ রান সংগ্রহ করে বরিশাল।
সপ্তম ওভারে একটি করে ডবল, চার ও ছক্কায় ১৩ রান সংগ্রহ করে বরিশাল, সেই সঙ্গে ২৪ বলে একটি ছক্কা ও ৯টি চারের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম।
অষ্টম ওভারটি দেখেশুনে খেলার পর নবম ওভারে বরিশাল শিবিরে জোড়া আঘাত হানে চিটাগাং। শরিফুল ইসলামের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ হয়ে ফিরতে হয় তামিমকে, আর চতুর্থ বলে শরিফুলের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন নতুন ব্যাটার ডাওইড মালান। শুরুতে আম্পায়ার আউট না দিলেও শরিফুল রিভিউ নিলে সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি। ফলে দলীয় ৭৬ ও ৭৮ রানে প্রথম ও দ্বিতীয় উইকেট হারায় বরিশাল।
তামিম ফিরে গেলে খোলস ছেড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তৌহিদ, তাতে কিছুটা সফলও হন তিনি; দশম ওভারে তৌহিদের দুটি চারসহ ১৫ রান তোলে বরিশাল। তবে পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন এই ওপেনার। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ২৮ বলে তিনটি চারে ইনিংসের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করে যান তিনি। এতে দলীয় সংগ্রহ একশ পূর্ণ করার আগেই বরিশালের তিন ব্যাটার বিদায় নেন।
চতুর্থ উইকেটে কাইল মেয়ার্স ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে বড় জুটি গড়ার আভাস মেলে। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুশফিক। দ্বাদশ ওভারে মেয়ার্স দুটি ছক্কা হাঁকালে পরের ওভারের প্রথম তিন বলে তিনটি চার আসে, এর দুটি মুশফিকের ব্যাট থেকে ও পরেরটি অতিরিক্ত হিসেবে। চতুর্থ বলে ফের উড়িয়ে ব্যাট চালিয়ে ডিপ লেগে নাফের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৯ বলে তিনটি চারে ১৬ রান করে অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ফিরে গেলে ভাঙ্গে ১৪ বলে ৩৪ রানের জুটি। পরে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জয়ের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন মেয়ার্স। এরই ধারাবাহিকতায় ১৫তম ওভারে দুটি ছক্কা ও একটি চার মেরে শেষ ৫ ওভারে জয়ের লক্ষ্য ৪৪ রানে নামিয়ে আনেন এই ক্যারিবীয়।
শেষের দিকে খালেদের বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন মেয়ার্স, তবে তা লুফে নিতে পারেননি শরিফুল। এরপর শেষ তিন ওভারে ২৫ রান নিতে হতো বরিশালকে। তবে অষ্টাদশ ওভারে আবারও দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন শরিফুল।
ওভারের তৃতীয় বলে শরিফুলের বলে ফের ক্যাচ দিলে মেয়ার্সের সেই ক্যাচ ধরতে ভুল হয়নি বদলি ফিল্ডার মার্শাল আইয়ুবের। তিনটি করে চার ও ছক্কায় ২৮ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন মেয়ার্স। এরপর পঞ্চম বলে মাহমুদুল্লাহকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ নিয়ে ফেরান মুশফিক। ফলে ৬ উইকেট হারানো বরিশাল শেষ দুই ওভারে পায় ২০ রানের লক্ষ্য।
১৯তম ওভারের প্রথম পাঁচ বলে রিশাদের একটি ছক্কাসহ মোট ১২ রান নিলে ম্যাচের পাল্লা বরিশালের দিকে ভারী হয়ে ওঠে। তবে পরের বলেই ফের নাটক। বিনুরার ওভারের শেষ বলে জোরে ব্যাট চালিয়ে শর্ট মিড-অনে ধরা পড়েন মোহাম্মদ নবি। ফলে শেষ ওভারে ৮ রান করতে হতো বরিশালকে।
এরপর শেষ ওভারের প্রথম বলেই লং অনে বিশাল ছক্কা হাঁকান রিশাদ। পরে দুই ব্যাটার একবার জায়গা পরিবর্তনের পর তৃতীয় বলে রান আউট হয়ে যান রিশাদ, কিন্তু আম্পায়ার দুহাত প্রসারিত করে ওয়াইড দিলে জয়োল্লাসে মেতে ওঠে বরিশালের সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: ইমন, খাওয়াজার ব্যাটে ফাইনালে পাহাড়সম লক্ষ্য পেল বরিশাল
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চিটাগাং কিংস: ১৯৪/৩ (ইমন ৭৮*, নাফে ৬৬, ক্লার্ক ৪৪; মোহাম্মদ আলি ১/২১, ইবাদত ১/৩৫)।
ফরচুন বরিশাল: ১৯৫/৭ (তামিম ৫৪, মেয়ার্স ৪৬, তৌহিদ ৩২; শরিফুল ৪/৩৪, নাঈম ২/১৮)।
ফলাফল: ফরচুন বরিশাল তিন উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তামিম ইকবাল।ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট: মেহেদী হাসান মিরাজ।
৩১১ দিন আগে
ইমন, খাওয়াজার ব্যাটে ফাইনালে পাহাড়সম লক্ষ্য পেল বরিশাল
ফাইনাল ম্যাচে মাঠে নেমেই সেই যে মারমুখী ব্যাটিং শুরু করল চিটাগাংয়ের ব্যাটাররা, শেষ পর্যন্ত ধরে রাখল তার ধারা। আর এতেই টপ-অর্ডার ব্যাটারদের কল্যাণে গতবারের চ্যাম্পিয়ন বরিশালকে বড় লক্ষ্য দিয়েছে মোহাম্মদ মিঠুনের দল।
প্রথম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে বিপিএলের ফাইনালে শুরুতে ব্যাটিং করে তিন উইকেটে ১৯৪ রান সংগ্রহ করেছে চিটাগাং কিংস। বিপিএলের ফাইনালে এখন পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ রান। ফলে শিরোপা ধরে রাখতে ফরচুন বরিশালকে রেকর্ড গড়তে হবে।
দলের হয়ে ৪৯ বলে চারটি ছক্কা ও ৬টি চারে সর্বোচ্চ ৭৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। এছাড়া অপর ওপেনার খাওয়াজা নাফের ব্যাট থেকে আসে ৬৬ রান (৪৪ বলে) এবং তিনে নেমে ২৩ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারে ৪৪ রান করেন গ্রাহাম ক্লার্ক।
অপরদিকে, বরিশালের বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ আলি ছাড়া আর সবাই ছিলেন খরুচে। আলি ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন।
টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভার একটু দেখেশুনে খেললেও তৃতীয় ওভার থেকে বোলারদের ওপর চড়াও হন চিটাগাংয়ের দুই ওপেনার। এর ধারাবাহিকতায় প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৫৭ রান সংগ্রহ করে কিংস।
একপর্যায়ে ৩০ বলে ইমন ও ৩১ বলে নিজের অর্ধশত পূরণ করেন নাফে। এরপর ১২.৪তম ওভারে ইবাদত হোসেনের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে ঠিকমতো ব্যাটের সংযোগ ঘটাতে না পেরে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় নাফেকে। এতে করে ভাঙে ১২১ রানের উদ্বোধনী জুটি।
তারপর ক্রিজে এসে ইমনের সঙ্গে ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন ক্লার্কও। ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতে ৪০ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়ে রান আউট হয়ে এই ইংলিশ ব্যাটার যখন ফিরে যাচ্ছেন, চিটাগাংয়ের স্কোর তখন ১৯১। এর পরের চার ওভারে শামীম হোসেন আউট এবং তিনটি রান হয়। ফলে বরিশালের জন্য ১৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে মাঠ ছাড়েন ইমন ও তালাত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চিটাগাং কিংস: ১৯৪/৩ (ইমন ৭৮*, নাফে ৬৬, ক্লার্ক ৪৪; মোহাম্মদ আলি ১/২১, ইবাদত ১/৩৫)।
৩১১ দিন আগে
সিটিকে বিধ্বস্ত করে লিভারপুলের ওপর চাপ অব্যাহত রাখল আর্সেনাল
টানা চার মৌসুম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর পঞ্চম মৌসুমে এসে দুঃস্বপ্নের মধ্যে সময় পার করছে ম্যানচেস্টার সিটি। ইতোমধ্যে শিরোপা-স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে তাদের, শেষ চারে থেকে লিগ শেষ করাই এখন লক্ষ্য। তবে আর্সেনালের সামনে পড়ে পেপ গার্দিওলার দলের জন্য সেই লক্ষ্যও যেন বহুদূর বলে মনে হলো।
এমিরেটস স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে আর্সেনাল।
নিজেদের শিরোপা জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখতে জয়ের বিকল্প ছিল না গানারদের সামনে। আর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে তা-ই করে দেখালেন মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই সিটিকে চেপে ধরে আর্সেনাল। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যায় তারা।
তুলনামূলক ধীরগতির ফুটবল খেলা সিটির খেলোয়াড়দের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে আক্রমণে উঠে বক্সের ভেতরে অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ডকে পাস দেন কাই হাভার্টস। আর প্রথম ছোঁয়াতেই তা থেকে দলকে এগিয়ে নেন এই নরওয়েজিয়ান। সিটির বিপক্ষে এটিই ওডেগার্ডের প্রথম গোল।
এর চার মিনিট পর আরও এক গোল করেন গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি, তবে অফসাইডে গোলটি কাটা পড়ে। এরপর সমতায় ফিরতে আক্রমণের ধার বাড়ায় সিটি। বেশ কয়েকটি সুযোগও পায় তারা, সুযোগ পায় আর্সেনালও। তবে কেউই আর গোল না পেলে ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আর্সেনাল।
৩১৬ দিন আগে
কাঙ্ক্ষিত জয় পেতে ঘাম ছুটল বার্সেলোনার
পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ হারায় ব্যবধান কমাতে নিজেদের ম্যাচটি জেতার প্রত্যাশায় মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা। তবে কাঙ্ক্ষিত সেই জয় পেতে রীতিমতো ঘাম ছুটে গেছে লামিন-রাফিনিয়া-লেভানডোভস্কিদের।
রবিবার কাতালুনিয়ার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে দেপোর্তিভো আলাভেসের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে হান্সি ফ্লিকের দল। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন রবের্ট লেভানডোভস্কি।
এদিন মাঠে নেমেই ফুটবলের পাশাপাশি শারীরিক সামর্থ্য দিয়ে বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের অস্বস্তিতে রাখে আলাভেসের ফুটবলাররা। পুরোটা সময় সেই চ্যালেঞ্জ ধরে রাখে তারা। ফলে বল পায়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই পাস দেওয়া তো দূরের কথা, পজেশন ধরে রাখাই মুশকিল হয়ে পড়ে কাতালান জায়ান্টদের। সেইসঙ্গে বল কেড়ে নিয়ে বার্সার রক্ষণে ত্রাস ছড়ানো তো ছিলই। ফলে গোলের সুযোগ তৈরি করতে হিমশিম খেতে হয় ফ্লিকের শিষ্যদের।
আলাভেসের চ্যালেঞ্জ সামলে ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই প্রথমবার গোলের সুযোগ তৈরি করে বার্সেলোনা। সতীর্থের কাছ থেকে আসা পাস ধরে ড্রিবলিং করতে করতে এগিয়ে গিয়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের সামনে থেকে বাঁ দিকে কিছুটা ফাঁকায় থাকা রাফিনিয়াকে পাস দেন লামিন। বল ধরে বক্সে ঢোকার মুখে জোরালো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করার চেষ্টা করেন রাফিনিয়া, তবে বল সামান্যের জন্য বাইরে দিয়ে চলে যায়।
আরও পড়ুন: এস্পানিওলে ধরাশায়ী রিয়াল মাদ্রিদ
পঞ্চদশ মিনিটে উড়ন্ত পাসে হেড করতে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বার্সা মিডফিল্ডার গাভি ও আলাভেস উইঙ্গার তমাস কোনেচনিকে। এর দুই মিনিট পর কাতালানদের বিপদে ফেলেই দিয়েছিল আলাভেস। তবে শটটি পোস্টের ধারেকাছেও রাখতে পারেনি তারা।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ শেষে ৪২তম মিনিটে আরও একবার আশা জাগানিয়া শট নেন পেদ্রি। তবে সেই শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন আলাভেস গোলরক্ষক হেসুস ওউয়োনো।
গোলশূন্য প্রথমার্ধ শেষে বিরতির পর কন্ট্রোলিং মিডফিল্ড থেকে মার্ক কাসাদোকে উঠিয়ে অভিজ্ঞ ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং এবং হলুদ কার্ড পাওয়া ডিফেন্ডার রোনালদ আরাউহোকে উঠিয়ে এরিক গার্সিয়াকে নামিয়ে দেন ফ্লিক। ফ্রেঙ্কির দক্ষতা ও সতীর্থদের সঙ্গে অসাধারণ সমন্বয়ে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ভোল পাল্টে ফেলে বার্সেলোনা।
৩১৬ দিন আগে
এস্পানিওলে ধরাশায়ী রিয়াল মাদ্রিদ
রিয়ালকে হারাতে পারবেন তো!—ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের বিদ্রুপাত্মক প্রশ্নটিতে বিরক্ত হয়েছিলেন এস্পানিওল কোচ মানোলো গন্সালেস, সেইসঙ্গে দিয়েছিলেন যোগ্য জবাব। এবার মাঠের খেলায় বাজিমাৎ করে সমালোচকদের মুখে কুলুপ এঁটে দিলেন তিনি।
শক্তির বিচারে রিয়াল মাদ্রিদের ঠিক বিপরীত দিকের দল হলেও সময়মতো কৌশলে পরিবর্তন, শিষ্যদের হার না মানা মনোভাব আর সমর্থকদের গলা ফাটানো উৎসাহের মিশেলে তারকায় ঠাঁসা বর্তমান লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে দিল গন্সালেসের এস্পানিওল।
লা লিগার ২২তম রাউন্ডের ম্যাচে শনিবার রাতে বার্সেলোনা শহরের আরসিডিই স্টেডিয়ামে রিয়াল মাদ্রিদকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফুটবল বিশ্বকে চমকে দিয়েছে চলতি মৌসুমে অবনমনের শঙ্কায় থাকা এস্পানিওল।
এর ফলে লা লিগায় ৬ ম্যাচের অপরাজিত যাত্রা থামল দলটির। পাশাপাশি চলতি মৌসুমে লিগে এটি রিয়ালের তৃতীয় হার।
নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে কার্লোস রোমেরোর গোলটিই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে। অবশ্য প্রথমার্ধে একটি গোল পেয়েছিল রিয়ালও, তবে ভিএআর রিভিউতে গোলের আগে ফাউলের সিদ্ধান্ত হলে সেটি বাতিল হয়ে যায়।
এদিন ম্যাচের শুরুতে এস্পানিওলের খেলায় রিয়ালকে সমীহ করার কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায়নি। এরপর ১৫ মিনিট যেতে না যেতেই পায়ে অস্বস্তি অনুভব করেন রিয়ালের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার আন্টোনিও রুয়েডিগার। ফলে তাকে উঠিয়ে তরুণ ডিফেন্ডার রাউল আসেন্সিওকে নামান আনচেলত্তি।
এরপর ২২তম মিনিটে বক্সে বল পেয়ে দারুণ নৈপুণ্যে তা জালে পাঠালেও গোল পাননি ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। গোলের আগে বক্সের মধ্যে কিলিয়ান এমবাপ্পে এস্পানিওল মিডফিল্ডার পল লোসানোকে ফেলে দেওয়ায় ফাউল ধরেন রেফারি।
বল দখলে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করলেও লক্ষ্যে প্রথম শট রাখতে ৩৯ মিনিট লেগে যায় রিয়ালের। জুড বেলিংহ্যামের সেই শট অনায়াসে ধরে ফেলেন এস্পানিওল গোলরক্ষক হোয়ান গার্সিয়া।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের ধার বাড়ায় রিয়াল। এর পরিপ্রেক্ষিতে একের পর এক সুযোগও তৈরি করতে থাকেন ভিনিসিউস-এমবাপ্পে-রদ্রিগো-বেলিংহ্যামরা। তবে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের প্রচেষ্টায় এবং গার্সিয়ার নৈপুণ্যে বারবার হতাশ হতে হচ্ছিল তাদের।
ম্যাচ শেষের ২০ মিনিটে গড়াতেই আরও চাপ বাড়ায় রিয়াল মাদ্রিদ। তবে খেলোয়াড় বদল করে রিয়ালের আক্রমণের হলকা সামলে সুযোগ পেলে পাল্টা আক্রমণে ওঠার মতো সক্ষমতা তৈরি করতে থাকেন গন্সালেস।
তারপরও গোলের খোঁজে রিয়ালের খেলোয়াড়রা যখন প্রায় হন্যে হয়ে আক্রমণের পর আক্রমণ চালানো শুরু করেছে, ঠিক তার মাঝেই ৮৫তম মিনিটে এক পাল্টা আক্রমণ থেকে সফরকারীদের স্তব্ধ করে দেয় স্বাগতিকরা। সতীর্থের ক্রস পেয়ে ছয় গজ বক্সের কোণা থেকে দুর্দান্ত এক ভলিতে ঠিকানা খুঁজে নেন রোমেরো।
এরপর নির্ধারিত সময়ের বাকিটুকুসহ ৭ মিনিটের অতিরিক্ত সময়েও আর সমতায় ফিরতে পারেনি আনচেলত্তির শিষ্যরা। ফলে দারুণ এক জয়ে উল্লাসে মাতে এস্পানিওলের সমর্থকরা। উদযাপন করেন দলটির খেলোয়াড়রাও।
স্মরণীয় এই জয়ে ম্যাচশেষে আনন্দাশ্রু ধরে রাখতে পারেননি মানোলো গন্সালেস। টেলিভিশন ক্যামেরায় ভেজা চোখে শিষ্যদের বুকে টেনে নিতে দেখা যায় এই কোচকে।
এই হারে টেবিলের শীর্ষে থাকলেও পয়েন্ট ব্যবধান কমে গেছে রিয়ালের। ২২ ম্যাচে ১৫ জয় ও ৪ ড্রয়ে ৪৯ পয়েন্ট তাদের। অপরদিকে, একই রাতে মায়োর্কাকে হারিয়ে সমান ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে রিয়ালের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
আতলেতিকোর ডাগআউটে দিয়েগো সিমিওনের ৫০০তম ম্যাচের রাতটি রাঙিয়েছেন তার শিষ্যরা। সামুয়েল লিনো ও আন্তোয়ান গ্রিজমানের গোলে ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতেছে লস রোহিব্লাঙ্কোসরা। একই সঙ্গে চূড়ায় থাকা রিয়ালের সঙ্গে তাদের ব্যবধান কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১ পয়েন্টে। লা লিগায় পরের ম্যাচে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।
রিয়ালের এই হারে ব্যবধান কমানোর সুযোগ এসেছে বার্সেলোনার সামনেও। এক ম্যাচ কম খেলা বার্সার পয়েন্ট ৪২। রবিবার সন্ধ্যায় টেবিলের তলানির দিকের দল দেপর্তিভো আলাভেসের বিপক্ষে জিততে পারলে রিয়ালের সঙ্গে ৭ পয়েন্টের ব্যবধান কমে দাঁড়াবে ৪-এ।
অন্যদিকে, দারুণ এই জয়ের ফলে অবনমন অঞ্চল থেকে বেরিয়ে এসেছে এস্পানিওল। ২২ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৭তম স্থানে উঠেছে দলটি।
৩১৭ দিন আগে
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ প্লে-অফের ড্র: রিয়ালকেই পেল সিটি
বায়ার্ন মিউনিখ নাকি রিয়াল মাদ্রিদ—চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্লে-অফে কে হবে ম্যানচেস্টার সিটির প্রতিপক্ষ, গত দুদিন ধরেই চলছে এই আলোচনা। এবার সেই আলোচনার অবসান ঘটিয়ে লস ব্লাঙ্কোসদের সামনে পড়ল সম্প্রতি ভুগতে থাকা সিটি।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে-অফ পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ হিসেবে নির্ধারণ হয়েছে সিটির নাম। এর ফলে শেষ ষোলোর আগেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যাত্রা থেমে যাবে গত দুই আসরের শিরোপাধারী দুই দলের একটির।
ড্রয়ে বায়ার্ন মিউনিখের প্রতিপক্ষে হিসেবে উঠে এসেছে সেল্টিকের নাম। এছাড়া মুখোমুখি হবে দুই ফরাসি ক্লাব ব্রেস্ত ও পিএসজি। তবে ইতালির দুই দল এসি মিলান ও ইয়ুভেন্তুসের অবশ্য প্লে-অফেই মুখোমুখি হতে হচ্ছে না। তুরিনের বুড়িরা খেলবে পিএসভি আইন্ডহোভেনের বিপক্ষে এবং ফেয়েনুর্ডের মোকাবিলা করবে মিলানের দলটি।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: শেষ ষোলো ও প্লে-অফে উঠল যারা
প্লে-অফের প্রথম লেগ আগামী ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি এবং ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি হবে দ্বিতীয় লেগের খেলা। এরপর আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি শেষ ষোলোর ড্র অনুষ্ঠিত হবে।
এক নজরে প্লে-অফ ড্র:
• ক্লাব ব্রুজ-আতালান্তা• স্পোর্তিং লিসবন-বরুশিয়া ডর্টমুন্ড• ম্যানচেস্টার সিটি- রিয়াল মাদ্রিদ• সেল্টিক-বায়ার্ন মিউনিখ• ইয়ুভেন্তুস-পিএসভি আইন্ডহোভেন• ফেয়েনুর্ড-এসি মিলান• ব্রেস্ত-পিএসজি• মোনাকো-বেনফিকা
লক্ষণীয়: পরের দলটি ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগ খেলার সুবিধা পাবে।
আরও পড়ুন: জেতাও পর্যাপ্ত হলো না রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্নের
৩১৮ দিন আগে
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: শেষ ষোলো ও প্লে-অফে উঠল যারা
নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্বের খেলা শেষ হয়েছে। বুধবার রাতে একযোগে মাঠে নামে ৩৬ দল, যেখানে জিতেছে ১৬টি দল আর বাকি দুই ম্যাচ ড্র হয়েছে।
অষ্টম ও শেষ রাউন্ডের ম্যাচের আগে সরাসরি শেষ ষোলোর টিকিট কাটে কেবল লিভারপুল ও বার্সেলোনা। এছাড়া বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় ৯ দলের। বাকি ২৫ দলের ভাগ্য ঝুলে ছিল শেষ ম্যাচের ওপর।
বাদ পড়ার শঙ্কায় থাকলেও এদিন দারুণ জয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। তবে সিটির কাছে ৩-১ গোলেও হেরেও ছিটকে যেতে হয়নি ক্লাব ব্রুজকে। আবার শীর্ষ আটে থেকে বার্সেলোনার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে মাঠে নেমে ড্র করেও সরাসরি শেষ ষোলোর টিকিট কাটা হয়নি আতালান্তার। একইভাবে টেবিলের নিচে থেকেও সেল্টিককে ৪-২ গোলে উড়িয়ে শীর্ষ আটে জায়গা করে নিয়েছে অ্যাস্টন ভিলা।
এমন বেশ কয়েকটি দারুণ ঘটনা শেষে চূড়ান্ত হয়েছে কারা সরাসরি শেষ ষোলোতে উঠেছে, কাদের প্লে-অফের কঠিন পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে এবং কাদেরই-বা বিদায় নিতে হচ্ছে প্রথম পর্ব থেকেই।
আরও পড়ুন: জেতাও পর্যাপ্ত হলো না রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্নের
পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ আট দল সরাসরি শেষ ষোলোর টিকিট কেটেছে। বাকি আটটি স্পটের জন্য দুই লেগের প্লে-অফ খেলবে নবম থেকে ২৪তম স্থানে থাকা ১৬টি দল। বাকি দলগুলো ঘরে ফিরে যাবে।
শীর্ষ আট দল
ক্রমানুসারে: লিভারপুল, বার্সেলোনা, আর্সেনাল, ইন্টার মিলান, আতলেতিকো মাদ্রিদ, বায়ের লেভারকুজেন, লিল ও অ্যাস্টন ভিলা।
প্লে-অফ নিশ্চিত হয়েছে যাদের
ক্রমানুসারে: আতালান্তা, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ, এসি মিলান, পিএসভি আইন্ডহোভেন, পিএসজি, বেনফিকা, মোনাকো, ব্রেস্ত, ফেইনুর্ড, ইয়ুভেন্তুস, সেল্টিক, ম্যানচেস্টার সিটি, স্পোর্তিং লিসবন ও ক্লাব ব্রুজ।
বাদ পড়ল যারা
ক্রমানুসারে: দিনামো জাগরেব, স্টুটগার্ট, শাখতার দোনেৎস্ক, বোলোনিয়া, রেড স্টার বেলগ্রেড, স্ট্রুম গ্রাৎস, স্পার্তা প্রাহা, লাইপসিগ, জিরোনা, রেড বুল জালৎসবুর্গ, স্লোভান ব্রাতিস্লাভা ও ইয়াং বয়েজ।
আরও পড়ুন: লিভারপুলের ‘প্রথম’ হার কাজে লাগাতে পারল না বার্সেলোনা
৩২০ দিন আগে
জেতাও পর্যাপ্ত হলো না রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্নের
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শীর্ষ আট নিশ্চিত করে সরাসরি শেষ ষোলোর টিকিট পেতে শুধু জিতলেই হতো না প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসের সফলতম দুটি দল—রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখের, সঙ্গে শীর্ষ আটে থাকা দলগুলোর পয়েন্ট খোয়ানোরও দিকেও চেয়ে ছিল তারা। তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ পেয়ে নিজেদের কাজ সারলেও শেষমেষ ভাগ্য সহায় হয়নি দলদুটির প্রতি। ফলে প্লে-অফের কঠিন পথেই যেতে হচ্ছে তাদের।
বুধবার রাতে লিগ পর্বের অষ্টম ও শেষ রাউন্ডের ম্যাচে ফরাসি ক্লাব ব্রেস্তের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। রিয়ালের হয়ে দুই অর্ধে দুটি গোল করেন রদ্রিগো, মাঝে আরেকটি গোল করেন জুড বেলিংহ্যাম। অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে (৫১তম মিনিটে) ব্রেস্তের একটি গোল বাতিল হয়।
এই জয়ে ৫ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানের কারণে টেবিলের একাদশ স্থানে ঠাঁই হয়েছে রিয়ালের। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে দ্বাদশ স্থানে বায়ার্ন মিউনিখ, গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে দশম স্থানে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও পিছিয়ে থেকে ত্রয়োদশ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে এসি মিলান। বার্সেলোনার সঙ্গে ড্র করে ১৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে আরও আতালান্তাও, তাদের অবস্থান নবম।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: শেষ ষোলো ও প্লে-অফে উঠল যারা
বায়ার্ন নিজেদের ম্যাচটি জিতেছে ৩-১ গোলে, স্লোভান ব্রাতিস্লাভার বিপক্ষে। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে থমাস মুলারের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ৬৩তম মিনিটে হ্যারি কেইন ও ৮৪তম মিনিটে গোল করেন কিংসলি কোমান। এরপর ৯০তম মিনিটে সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন ব্রাতিস্লাভার মার্কো তোলিচ।
এই হারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোনো পয়েন্ট সংগ্রহ না করেই ঘরে ফিরতে হচ্ছে স্লোভাকিয়ার ক্লাবটিকে। তাদের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসরে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে সুইস ক্লাব ইয়াং বয়েজও।
এছাড়া, শাখতার দোনেৎস্ককে ৩-১ গোলে ডর্টমুন্ড হারালেও দিনামো জাগরেবের কাছে ২-১ গোলে হেরে ১৫ পয়েন্টে থিতু হয়েছে এসি মিলান। তবে জিতেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় প্লে-অফ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে জাগরেব। প্লে-অফের সর্বশেষ দলের ঠিক পরেই (২৫তম স্থানে) জায়গা পেয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: লিভারপুলের ‘প্রথম’ হার কাজে লাগাতে পারল না বার্সেলোনা
৩২০ দিন আগে
লিভারপুলের ‘প্রথম’ হার কাজে লাগাতে পারল না বার্সেলোনা
নতুন ফরমেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্বের শেষ রাউন্ডে এসে অবশেষে হারল লিভারপুল। ইংলিশ ক্লাবটির এই হারে তাদের টপকে শীর্ষে থেকে লিগ পর্ব শেষ করার সুযোগ ছিল বার্সেলোনার সামনে। তবে অসংখ্য গোলের সুযোগ নষ্ট করে কাতালান ক্লাবটির পক্ষে তা আর হয়ে ওঠেনি।
বুধবার রাতে ইউরোপের এলিট লিগে অপরাজিত লিভারপুলকে মাটিতে নামিয়েছে ডাচ লিগ চ্যাম্পিয়ন পিএসভি আইন্ডহোভেন। দুবার পিছিয়ে পড়েও ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতে নিয়েছে পিটার বশের শিষ্যরা।
ম্যাচের ২৮তম মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে তা থেকে লিভারপুলকে এগিয়ে নেন কোডি গাকপো। এর ৭ মিনিট পর ইয়োহান বাকায়োকোর গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।
এরপর পাঁচ মিনিট যেতে না যেতেই ফের লিভারপুলকে এগিয়ে নেন হার্ভি ইলিয়ট। তবে ৪৫তম মিনিটে আবারও পিএসভিকে সমতায় ফেরান ইসমায়েল সাইবারি।
তারপর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের একেবারে শেষ সময়ে আমেরিকান স্ট্রাইকার রিকার্ডো পেপির গোলে ম্যাচ প্রথমবার এগিয়ে গিয়ে বিরতিতে যায় আইন্ডহোভেন।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: শেষ ষোলো ও প্লে-অফে উঠল যারা
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোলে আর তেমনভাবে শটই নিতে পারেনি আর্নে স্লটের শিষ্যরা। অন্যদিকে, বলের দখল কিছুটা বেশি সময় ধরে রেখে কয়েকবার ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করলেও আর গোল করতে পারেননি ডাচ ক্লাবটির খেলোয়াড়রা। এর মাঝে আবার নির্ধার্তি সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় লিভারপুলের জার্সিতে কয়েক মিনিট আগেই অভিষেক হওয়া ১৮ বছর বয়সী ইংলিশ ডিফেন্ডার আমারা নালোকে। ফলে ৩-২ গোলেই শেষ হয় ম্যাচটি।
এই ম্যাচ হেরে গেলে প্রথম পর্ব থেকেই ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা থাকলেও জিতে ভালোভাবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে ডাচ ক্লাবটি। ৮ ম্যাচে ৪ জয় ও ২ ড্রয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৪তম স্থানে থেকে প্রথম পর্বের খেলা শেষ করেছে তারা।
৩২০ দিন আগে