খেলাধুলা
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা তামিম ইকবালের
হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাতে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ।’
এর আগে, ২০২৩ সালের জুলাইতে বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তদের চমকে দিয়ে প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম। তবে নাটকীয়ভাবে একদিন পরই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে ক্রিকেটে ফেরেন তিনি।
আজ ফেসবুক পোস্টে তামিম লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেক দিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ।’‘অনেক দিন ধরেই এটা নিয়ে ভাবছিলাম। এখন যেহেতু সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় একটি আসর সামনে, আমি চাই না আমাকে ঘিরে আবার অলোচনা হোক এবং দলের মনোযোগ ব্যাহত হোক।’
তিনি বলেন, ‘এটা অবশ্য আগেও চাইনি। চাইনি বলেই অনেক আগে নিজেকে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছি। যদিও অনেকেই বলেছেন, অনেক সময় মিডিয়ায় এসেছে, আমিই নাকি ব্যাপারটি ঝুলিয়ে রেখেছি। কিন্তু বিসিবির কোনো ধরনের চুক্তিতে যে নেই, এক বছরের বেশি সময় আগে যে নিজ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে, তাকে পরিকল্পনায় রাখা বা তাকে নিয়ে আলোচনারও তো কিছু নেই।’
‘তারপরও অযথা আলোচনা হয়েছে। অবসর নেওয়া বা খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একজন ক্রিকেটার বা যেকোনো পেশাদার ক্রীড়াবিদের নিজের অধিকার। আমি নিজেকে সময় দিয়েছি। এখন মনে হয়েছে, সময়টা এসে গেছে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আন্তরিকভাবেই আমাকে ফেরার জন্য বলেছে। নির্বাচক কমিটির সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। আমাকে এখনও উপযুক্ত মনে করার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তবে আমি নিজের মনের কথা শুনেছি।’
এই ক্রিকেট তারকা আরও বলেন, ‘২০২৩ বিশ্বকাপের আগে যা হয়েছে, আমার জন্য তা বড় ধাক্কা ছিল, যেহেতু ক্রিকেটীয় কারণে আমি দলের বাইরে যাইনি। তারপরও আমি যেখানেই গিয়েছি, ক্রিকেট ভক্তদের অনেকে বলেছেন, আমাকে আবার জাতীয় দলে দেখতে চান। তাদের ভালোবাসার কথা ভেবেছি আমি। আমার ঘরেও একজন অনুরাগী আছে। আমার ছেলে কখনও আমাকে সরাসরি বলেনি, কিন্তু তার মাকে বারবার বলেছে, বাবাকে আবার দেশের জার্সিতে খেলতে দেখতে চায়।’
‘ভক্তদের হতাশ করার জন্য আমি দুঃখিত। ছেলেকে বলছি— তুমি যেদিন বড় হবে, সেদিন বাবাকে বুঝতে পারবে,’ বলে শেষ করেন তিনি।
৩৩৯ দিন আগে
খুলনাকে প্রথম হারের স্বাদ দিল রাজশাহী
চিটাগাং কিংস ও ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে বিপিএলের মাত্র দ্বিতীয় দল হিসেবে অপরাজিত থাকলেও তৃতীয় ম্যাচে এসে খেই হারাল খুলনা টাইগার্স। খুলনাকে হারিয়ে টানা দুই ম্যাচ হারের পর আবারও জয়ে ফিরেছে দুর্বার রাজশাহী।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) খুলনাকে ২৮ রানে হারিয়েছে এনামুল হক বিজয়ের দল।
এদিন টস জিতে রাজশাহীকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান খুলনা অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান তোলে রাজশাহী।
দলের হয়ে ২৯ বলে অপরাজিত সর্বোচ্চ ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন রায়ান বার্ল। এছাড়া ইয়াসির আলী ২৫ বলে ৪১ এবং মোহাম্মদ হারিস, জিসান আলম ও আকবার আলী যথাক্রমে ২৭, ২৩ ও ২১ রানের ইনিংস উপহার দেন।
খুলনার বোলারদের মধ্যে নাসুম আহমেদ সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: তাসকিনের রেকর্ড গড়া ম্যাচটি জয়ে রাঙাল রাজশাহী
১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় খুলনা। জিশান আলমের অফস্পিনে উইলিয়াম বসিস্তো একবার লেগ বিফোরের আবেদন থেকে বেঁচে গেলেও পঞ্চম বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এরপর ৭ বলে মাত্র ১ রান করে তাসকিনের বলে আউট হয়ে ফেরেন অধিনায়ক মিরাজ।
২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন নাইম শেখ আর আফিফ হোসেন। এ সময় রান তোলার গতি একেবারেই পড়ে যায়। ১৭৯ রানের লক্ষ্য থাকলেও ২৮ বল খেলে ২৪ রান করে আউট হন নাইম আর ৩০ বলে ৩৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন আফিফ।
তারা যখন ফিরে যান তখন জয়ের জন্য ৭ ওভারে খুলনার প্রয়োজন ছিল ৮৯ রান। আর রান রেটের পাহাড় মাথায় নিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে একের পর এক বাকি উইকেটগুলো হারাতে থাকে তারা। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের তিন বল বাকি থাকতেই ১৫০ রানে গুটিয়ে যায় খুলনার ইনিংস।
দলের হয়ে আফিফ ও নাইমের ইনিংসদুটিই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। এছাড়া শেষদিকে ১৫ বলে ১৮ রান করেন নাসুম।
রাজশাহীর ৭ বোলারের সবাই এই ম্যাচে উইকেট পেয়েছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট গিয়েছে রায়ান বার্ল, তাসকিন আহমেদ ও সোহাগ গাজীর ঝুলিতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দুর্বার রাজশাহী: ১৭৮/৫ (বার্ল ৪৮*, ইয়াসির ৪১, হারিস ২৭; নাসুম ২/২০)।
খুলনা টাইগার্স: ১৫০/১০ (১৯.৩ ওভার) (আফিফ ৩৩, নাইম ২৪, অঙ্কন ১৮; বার্ল ২/১৩, তাসকিন ২/৩০)।
ফলাফল: দুর্বার রাজশাহী ২৮ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রায়ান বার্ল।
৩৩৯ দিন আগে
সহজ জয়ে সুপার কাপের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
ধীরগতির ফুটবল ম্যাচে তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ ছাড়াই অনুমিত জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এর ফলে টানা দ্বিতীয়বারের মতো স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে উঠল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। পাশাপাশি আরও একটি এল ক্লাসিকো ফাইনাল দেখার সুযোগ মিলল ফুটবলভক্তদের।
সৌদি আরবে স্প্যানিশ সুপার কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মায়োর্কাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাড়েমেড়ে প্রথমার্ধ শেষে দ্বিতীয়ার্ধেও তেমন কোনো উত্তেজনা ছড়াতে পারেনি দুই দল। তবে তিনটি গোলই হয়েছে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে।
৬৩তম মিনিটে খানিকটা ভাগ্যের জোরে রিয়ালের গোলের খাতা খোলেন জুড বেলিংহ্যাম। ডান পাশ দিয়ে চমৎকার এক আক্রমণে উঠে মায়োর্কার বক্সে ঢুকে পেনাল্টি স্পটের দিকে ব্যাক পাস দেন ভিনিসিয়ুস। তা থেকে দূরের পোস্টে শট নিলে রদ্রিগোর সেই শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বল পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গোলে শট নেন এমবাপে, তবে দারুণ ক্ষিপ্রতায় মায়োর্কা গোলরক্ষক তা ফিরিয়ে দিলে সামনে থাকা বেলিংহ্যাম পেয়ে যান। এরপর ঠান্ডা মাথায় গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারদের মাঝ দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ফলে হতাশ হয় মায়োর্কা।
গোল খাওয়ার পরও সমতায় ফিরতে তেমন জোর চেষ্টা ছিল না দলটির। এর মাঝে সুযোগ তৈরি অব্যাহত রাখে রিয়াল মাদ্রিদ। আর তা প্রতিহত করতেই সময় যায় মায়োর্কার খেলোয়াড়দের।
আরও পড়ুন: বিলবাওকে হারিয়ে সুপার কাপের ফাইনালে বার্সেলোনা
এমতাবস্থায় নির্ধারিত নব্বই মিনিটের খেলা শেষ হলে ১-০ গোলেই ম্যাচ শেষ হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। তবে অতিরিক্ত যোগ করা ৬ মিনিটের তৃতীয় মিনিটে এমবাপের শট প্রতিহত করতে গিয়ে বলের দিক পরিবর্তন করে দেন মায়োর্কা ডিফেন্ডার মার্তিন ভালিয়েন্ত। আর বল জালে জড়িয়ে গেলে আত্মঘাতী গোলের গ্লানিতে পুড়তে হয় তাকে।
এর দুই মিনিট পর গোল পেয়ে যান রদ্রিগোও। লুকাস ভাসকেসের বাড়ানো বল থেকে গোল আদায় করে নিয়ে স্কোরলাইন ৩-০ করে ফেলেন তিনি। এতে দলকে ফাইনালে নেওয়ার পাশাপাশি গোল করে নিজের জন্মদিন উদযাপন করেন এই ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড।
আগামী রবিবার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। সেদিন জিতলে সুপার কাপ জয়ের হিসাবে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের পাশে বসবে রিয়াল (১৩)।
গত মৌসুমেও সুপার কাপে এল ক্লাসিকো ফাইনাল দেখেছিল ফুটবল বিশ্ব। সেবার বার্সাকে ৪-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বর্তমান লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাধারীরা। টানা দ্বিতীয়বার ফের ফিরতে চলেছে সেই একই ফাইনাল।
৩৪০ দিন আগে
টানা ৩ উইকেট পতনের পর ৬ বলে ৩০ রান, রংপুরের অবিশ্বাস্য জয়
শেষ দুই ওভারে যখন ৩৯ রানের প্রয়োজন, সেখানে ১৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে ইফতিখার আহমেদ দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে রংপুরের সমর্থকদের মনে অনেকটা আশার সঞ্চার করলেও পরের তিন বলে তিন উইকেট পড়ে গেলে আশার সেই বেলুনর চুপসে যায়। এরপর শেষ ওভারে নুরুল হাসান সোহান যা করলেন, তার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিল না।
শেষ ওভারে যখন ২৬ রান প্রয়োজন, তখন ব্যাট হাতে অভাবনীয় কায়দায় জ্বলে উঠলেন তিনি। প্রথম চার বলে ৬, ৪, ৪ ও ৬ হাঁকানোয় শেষ ২ বলে দরকার ছিল ৬ রান। পঞ্চম বলে হাঁকালেন ৪ আর শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিলেন রংপুর রাইডার্সের নাবিক সোহান।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৭ রান করে বরিশাল। জবাবে শেষ বল পর্যন্ত খেলে জয় নিশ্চিত করে সোহানের দল।
এ নিয়ে ৬ ম্যাচের সবগুলোতেই জিতল রংপুর। অন্যদিকে ৫ ম্যাচে বরিশালের দ্বিতীয় হার এটি। দুই দলের প্রথম দেখাতেও বরিশালকে হারিয়েছিল রংপুর। ওই ম্যাচটি তারা জেতে ৮ উইকেটে।
আরও পড়ুন: বরিশালকে হেসেখেলে হারিয়ে রংপুরের জয়যাত্রা অব্যাহত
গত কয়েক ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করা অ্যালেক্স হেলস এদিন শুরুতেই আউট হয়ে যান। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে এই ওপেনারকে হারিয়ে বেশ কিছুটা চাপে পড়ে যায় রংপুর, যার প্রভাব পড়ে তাদের রানরেটে। তবে অষ্টম ওভার থেকে লক্ষ্য তাড়ায় মনোযোগী হয় তারা।
সপ্তম ওভারের শেষ বলে ২২ রান করে (১৯ বলে) সাইফ হাসান সাজঘরে ফিরলে ইফতিখার আহমেদের সঙ্গে ১২ বলে ২৫ রানের ঝড়ো জুটি গড়েন তৌফিক খান। ২৮ বলে ৩৮ রান করে তিনিও ফিরে গেলে আরেক পাকিস্তানি ব্যাটার খুশদিল শাহের সঙ্গে ৫৩ বলে ৯১ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান ইফতিখার।
এরপর ১৭.৫তম ওভারে শাহিন আফ্রিদির বলে ইফতিখার ফিরে গেলে পরের ওভারের প্রথম দুই বলে দুটি ছক্কা মেরে লক্ষ্য একরমক বাগে নিয়ে আসেন খুশদিল। কিন্তু পরের বলে তিনি আউট হয়ে গেলে তার পরের দুই বলে জাহান্দাদ খান শেখ মেহেদী ও সাইফউদ্দীনকেও ফিরিয়ে দিলে অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বরিশাল। আর সেখান থেকে প্রত্যাবর্তনের অভাবনীয় গল্প লিখে বরিশালের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেন সোহান।
রংপুরের হয়ে ২৪ ও ৩৬ বলে সর্বোচ্চ ৪৮ করে রান করেন যথাক্রমে খুশদিল ও ইফতিখার; তৌফিক করেন ৩৮ আর ৭ বল খেলে অধিনায়ক সোহানের রান ৩২।
অপরদিকে, বরিশালের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন জাহানান্দ খান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফরচুন বরিশাল: ১৯৭/৫ (কাইল মেয়ার্স ৬১*, শান্ত ৪১, তামিম ৪০; কামরুল ২/৪৭, আকিফ ১/১৬)।
রংপুর রাইডার্স: ২০২/৭ (খুশদিল ৪৮, ইফতিখার ৪৮, তৌফিক ৩৮, সোহান ৩২*; জাহান্দাদ ২/৪৮)।
ফলাফল: রংপুর রাইডার্স ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নুরুল হাসান সোহান।
৩৪০ দিন আগে
লিভারপুলকে মাটিতে নামাল টটেনহ্যাম
চলতি মৌসুমে হারতে যেন ভুলেই গিয়েছিল লিভারপুল, রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি, এসি মিলান, লাইপসিগ— বড় বড় দলগুলোর কে হারেনি তাদের কাছে! উড়তে থাকা সেই লিভারপুলকে এবার মাটিতে নামাল টটেনহ্যাম হটস্পার।
টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে ক্যারাবাও কাপের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে আর্নে স্লটের অপ্রতিরোধ্য দলটিকে ১-০ গোলে পরাজিত করে ফাইনালের দৌড়ে এগিয়ে গেছে চলতি মৌসুমে ভুগতে থাকা আগ্নে পোস্তেকোগ্লুর শিষ্যরা।
ম্যাচজুড়ে লিভারপুলকে সমানে টক্কর দিয়ে ৮৬তম মিনিটে জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন টটেনহ্যামের ১৮ বছর বয়সী সুইডিশ মিডফিল্ডার লুকাস বেয়ার্গভাল।
নিজেদের বক্সের সামান্য বাইরে থেকে পেদ্রো পরোর কাছ থকে উড়ন্ত লং পাস পেয়ে লিভারপুলের বক্সে ঢুকে গোলমুখে পাস বাড়ান ডমিনিক সোলাঙ্কে, তা থেকে গোল আদায় করে ঘরের সমর্থকদের আনন্দে ভাসান বেয়ার্গভাল।
এর ফলে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বরের পর চলতি মৌসুমে মাত্র দ্বিতীয়বার হারের মুখ দেখল অল রেডরা। সেদিন প্রিমিয়ার লিগের চতুর্থ ম্যাচে নটিংহ্যাম ফরেস্টের কাছে ১-০ গোলে হারে তারা। এরপর টানা ২৪ ম্যাচ অপরাজিত (২০ জয় ও ৪ ড্র) ছিল লিভারপুল।
এছাড়া চলতি মৌসুমে সব মিলিয়ে ২৯ ম্যাচে দ্বিতীয়বার হারল তারা। এর মধ্যে ২৩ ম্যাচে জয় এবং ৪টি ম্যাচ ড্র করে স্লটের শিষ্যরা।
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি অ্যানফিল্ডে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে টটেনহ্যামকে আতিথ্য দেবে লিভারপুল। ফাইনালে পৌঁছাতে হলে ওই ম্যাচে ২ গোলের ব্যবধানে জয়ের বিকল্প নেই দলটির।
আরও পড়ুন: বিলবাওকে হারিয়ে সুপার কাপের ফাইনালে বার্সেলোনা
৩৪১ দিন আগে
বিলবাওকে হারিয়ে সুপার কাপের ফাইনালে বার্সেলোনা
হান্সি ফ্লিকের অধীনে দুর্দান্তভাবে মৌসুম শুরু করলেও বছরের শেষদিকে এসে খেই হারিয়েছিল বার্সেলোনা। তবে পুরনো ক্লেশ ঝেড়ে ফেলে নতুন বছরে ফের জয়যাত্রা শুরু করেছে দলটি।
শনিবার কোপা দেল রের ম্যাচে চতুর্থ স্তরের দল বারবাস্ত্রোকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে বছর শুরু করা বার্সেলোনার সামনে দ্বিতীয় ম্যাচেই ছিল শক্ত প্রতিপক্ষ— আথলেতিক বিলবাও। তবে সেই পরীক্ষাতেও সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে নতুন বছরে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছে নানা সমস্যায় জর্জরিত কাতালানরা।
বুধবার রাতে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত স্প্যানিশ সুপার কাপের প্রথম সেমিফাইনালে বিলবাওকে ২-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা।
ম্যাচের ১৭তম মিনিটে গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন গাভি। অসংখ্য সুযোগ হাতছাড়া করার মাঝে ৫২তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন লামিন ইয়ামাল। সুযোগ পেয়েছিলেন বিলবাওয়ের খেলোয়াড়রাও তবে বার্সার অফসাইডের ফাঁদ আর নিজেদের ভুলের খেসারত দিতে হয়েছে দলটির।
আরও পড়ুন: হেরে ১২৬তম বছর শুরু বার্সেলোনার
এদিন ম্যাচের প্রথম থেকেই বিলবাওয়ের ওপর ছড়ি ঘোরাতে থাকে বার্সেলোনা। এর পরিপ্রেক্ষিতে চতুর্থ মিনিটেই পাল্টা আক্রমণে উঠে পরপর দুটি সুযোগ তৈরি করেন জুল কুন্দে-রাফিনিয়ারা। তবে ফিনিশিংয়ের অভাবে দুটিই মাঠে মারা যায়।
ম্যাচের প্রথম দশ মিনিট ৭০ শতাংশ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে মাঠে একক আধিপত্য বিস্তার করে বার্সেলোনা। তবে এর পর খানিকটা ঝিমিয়ে যায় তারা। এ সময় সুযোগ কাজে লাগানোর পরিবর্তে ধীর লয়ে খেলতে থাকে বিলবাও-ও। ফলে ম্যাচের গতি বেশ পড়ে যায়। অবশ্য এর মধ্যেই ম্যাচর সপ্তদশ মিনিটে চকিতে আক্রমণে উঠে গোল আদায় করে নেয় হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
পেদ্রির লং পাস ধরে বাঁ পাশ দিয়ে এগিয়ে গিয়ে বিলবাওয়ের ডিফেন্স চিরে ছয় গজ বক্সের মধ্যে নিচু ক্রস দেন আলেহান্দ্রো বালদে। আর দুই ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ সামলে তা থেকে গোল আদায় করে দলকে এগিয়ে নেন গাভি।
গোল পাওয়ার পর ফের উজ্জীবীত ফুটবলে ফেরে বার্সেলোনা। আরও পিছিয়ে পড়া ঠেকাতে মনোযোগী হয় এরনেস্তো ভালভের্দের শিষ্যরাও। ফলে আবারও জমে ওঠে ম্যাচ।
ম্যাচের ২৩তম মিনিটে বিলবাও গোলরক্ষক উনাই সিমোনকে একা পেয়েও ফিনিশিংয়ের অভাবে নিশ্চিত গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন রাফিনিয়া। তবে রাফিনিয়ার শট সিমোন ঠেকিয়ে দিলে তা চলে যায় পেছনে থাকা লামিনের কাছে। তিনি দুর্বল শট নিলে সেটিও প্রতিহত করে দলকে বিপদমুক্ত করেন সিমোন।
প্রথমার্ধের শেষের মিনিট দশেক সমতায় ফিরতে জোর চেষ্টা চালায় বিলবাও। একের পর এক আক্রমণেও ওঠে তারা। তবে ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতা আর বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তাদের আর গোলের মুখ দেখা হয়ে ওঠেনি। ফলে ব্যবধানে ধরে রেখেই বিরতিতে যায় কাতালানরা।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয়ার্ধের চরম নাটকীয়তা শেষে ডর্টমুন্ড বধ বার্সেলোনার
প্রথমার্ধে ৫৩ শতাংশ সময় বলের দখল রেখে ৬টি শট নেয় বার্সেলোনা, যার চারটিই লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয় তারা। অপরদিকে, বিলবাও পাঁচটি শট নিলেও তার মাত্র একটি লক্ষ্যে ছিল।
৩৪১ দিন আগে
শাস্তি কমলেও ২ ম্যাচ নিষিদ্ধই থাকছেন ভিনিসিউস
ভ্যালেন্সিয়া গোলরক্ষকের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে লাল কার্ড দেখার পর এবার আরও বড় শাস্তি পেলেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় উইঙ্গার ভিনিসিউস জুনিয়র। পরবর্তী দুই ম্যাচের জন্য তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন।
লা লিগার ম্যাচে গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভালেন্সিয়া গোলরক্ষক স্তোলে দিমিত্রিয়েভস্কির মুখে আঘাত করায় লাল কার্ড দেখেন ভিনিসিউস। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও জুড বেলিংহ্যামের শেষ মুহূর্তের গোলে ২-১ ব্যবধানে ম্যাচটি জেতে রিয়াল মাদ্রিদ।
এক দিন পর রিয়াল বস কার্লো আনচেলত্তি দাবি করেন, ভিনিসিউসের ওই ঘটনাটি লাল কার্ড পাওয়ার মতো ছিল না এবং তার শাস্তি এড়ানোর ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন এই কোচ।
তবে আইন ভাঙায় সর্বোচ্চ শাস্তির মুখে না পড়লেও ন্যূনতম (২ ম্যাচ) শাস্তি পেতে হচ্ছে ২৪ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে। এই শাস্তি এড়াতে আপিল করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়ালের আপিলের পর শাস্তি না কমিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা কেবল লা লিগার ম্যাচে সীমাবদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) স্প্যানিশ সুপার কাপের ম্যাচে খেলতে আর বাধা থাকছে না ভিনির।
শাস্তির ঘোষণা আসার পর নিজের আচরণ নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন ভিনিসিউস।
সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হতে চলা চার দলের স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে এবার মায়োর্কার মোকাবিলা করবে রিয়াল মাদ্রিদ। আর আজ (বুধবার) রাতে আথলেতিক বিলবাউয়ের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা।
সুপার কাপ থেকে অব্যহতি পাওয়ায় লা লিগায় পরের দুই ম্যাচে ১৯ জানুয়ারি লাস পালমাস ও ২৬ জানুয়ারি রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে তাকে পাবে না রিয়াল মাদ্রিদ।
ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে জয়ের পর লা লিগায় ১৯ ম্যাচে ১৩ জয় ও ৪ ড্রয়ে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে নতুন বছরের শুরুতেই টেবিলের শীর্ষস্থানে বসেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এক ম্যাচ কম খেলে ২ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে রয়েছে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আতলেতিকো মাদ্রিদ। এছাড়া পয়েন্ট খোয়াতে খোয়াতে শীর্ষস্থান হারিয়ে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে নেমে গেছে হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া বার্সেলোনা।
৩৪১ দিন আগে
বিপিএল: সিলেটকে ৮ উইকেটে হারাল রংপুর রাইডার্স
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে অ্যালেক্স হেলসের সেঞ্চুরিতে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পরাজয়ের মুখে পড়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ২০৫ রান করে সিলেট। তাদের হয়ে রনি তালুকদার, জাকির হাসান ফিফটি করেন এবং জাকের আলী ও অ্যারন জোন্সের জ্বলে উঠে তাদের শক্তিশালী স্কোর এনে দেয়।
শেষ পাঁচ ওভারে ৭৪ রান তুলতে সক্ষম হয় সিলেট। শেষ ওভারে আকিফ জাভেদের বোলিংয়ে জোন্স ও জাকের ৪টি ছক্কা হাঁকান। অন্যদিকে রংপুর রাইডার্সের হয়ে সবচেয়ে দক্ষতার সঙ্গে বল করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। নিজের চার ওভারে ৩১ রান দিয়ে দুটি উইকেট তুলে নেন তিনি।
অপর পক্ষে ব্যাটসম্যান আজিজুল হাকিমকে শূন্য রানে হারায় রাইডার্স। তবে অ্যালেক্স হেলস এবং সাইফ হাসান তাদের বড় অঙ্কের মোট রান তুলে মূল ভিত্তি গড়েন।
অ্যালেক্স ১০টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৫৬ বলে ১১৩ রান এবং সাইফ ৪৯ বলে ৩টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৮০ রান করেন।
তাদের ব্যাটিং দক্ষতা পুরো রান সংগ্রহ করার সময় কাঙ্ক্ষিত হার নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। ১৮তম ওভারে সাইফ আউট হলেও লক্ষ্যে পৌঁছানোর দূরত্বে ছিল রংপুর রাইডার্স।
রাইডার্স ১৯ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ২ উইকেটে ২১০ রান তুলে নেয়। ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন অ্যালেক্স হেলস।
আরও পড়ুন: বিপিএল: রংপুরের বিপক্ষে বড় স্কোর সিলেটের
৩৪৩ দিন আগে
বিপিএল: রংপুরের বিপক্ষে বড় স্কোর সিলেটের
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সিলেট পর্ব শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরের দর্শকদের সামনে জ্বলে উঠলেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের স্থানীয় খেলোয়াড়রা।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) ঘরের মাঠে জাকির হাসান (৫০) ও জাকের আলীর (৫ বলে ২০) ব্যাটিং, রনি তালুকদিয়েরের হাফ সেঞ্চুরি ও অ্যারন জোন্সের ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ৪ উইকেটে ২০৫ রান করে সিলেট।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সাবেক চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স।
জর্জ মুনসে ১৮ রানে আউট হওয়ার আগে পাঁচ ওভারে ৪৭ রান নিয়ে দারুণভাবে শুরু করেন সিলেটের দুই ওপেনার।
৩২ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৪ রানের ইনিংস খেলে ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন রনি তালুকদার। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা জাকির হাসান ৩৮ বলে ৪টি ছক্কাসহ ৫০ রান করেন।
শেষ পাঁচ ওভারে অ্যারন জোন্স ও জাকের আলীর দুরন্ত সমাপনীতে ৭৪ রান যোগ করে সিলেট। শেষ ওভারে আকিফ জাভেদের বলে চার ছক্কা হাঁকান তারা।
রাইডার্সের হয়ে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন দুটি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: পিএসএল প্লেয়ার্স ড্রাফটে ৮ বাংলাদেশি ক্রিকেটার
৩৪৩ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননায় ভূষিত হয়েও পুরস্কার নিতে যাননি মেসি
নিজের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বহু পুরস্কার জেতা লিওনেল মেসির সাফল্যের মুকুটে যোগ হয়েছে আরও একটি পালক। ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় এবং প্রথম পুরুষ ফুটবলার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘মেডেল অব ফ্রিডম’ জিতেছেন এই আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো। তবে ফুটবলকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি তিনি।
শৈশবের ক্লাব বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজি হয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন মেসি। সেখানে ডেভিড বেকহ্যামের ক্লাব ইন্টার মায়ামির পোস্টার বয় তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে পা দিয়েই দেশটির ফুটবলের ভোল পাল্টে দিয়েছেন মেসি। ফুটবলকে ‘সকার’ বলা আমেরিকানরা একসময় ফুটবলের চেয়ে হাতে নিয়ে দৌড়ানো কলেজ ফুটবলকে বেশি গুরুত্ব দিলেও লিওনেল মেসি যখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মাঠে নামতে শুরু করেছেন, তখন থেকেই ফুটবল মাঠে শুরু হয়েছে উপচে পড়া ভিড়।
বরাবর টেবিলের তলানিতে থাকা ইন্টার মায়ামির জার্সি গায়ে জড়ানোর দুই বছরের মধ্যে তিনি ক্লাবটিকে জিতিয়েছেন ইতিহাসের প্রথম সাপোর্টার্স শিল্ড ট্রফি। হয়েছেন সৌমুমসেরা ফুটবলারও। এবার দেশটির ফুটবলে অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে মেডেল অব ফ্রিডম জিতলেন মেসি।
প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের নানা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় এই পুরস্কার। যুক্তরাষ্ট্রের নারী ফুটবলার মেগান রাপিনোর পর মাত্র দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে এ বছর এই পুরস্কার জিতলেন মেসি।
গতকাল (শনিবার) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছ থেকে পদক বুঝে নেওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু হোয়াইট হাউসের ওই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
ইন্টার মায়ামির অনুশীলনের সময়ের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় নিজ হাতে পুরস্কার গ্রহণ করতে পারেননি মেসি। তার পক্ষে পুরস্কারটি গ্রহণ করে ইন্টার মায়ামি কর্তৃপক্ষ।
তবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। এ বিষয়ে ক্লাবের মাধ্যমে মেসি হোয়াইট হাউসে একটি চিঠি পাঠান।
আরও পড়ুন: লামিনের মাঝে নিজের কৈশোর দেখতে পান মেসি
চিঠিতে মেসি লেখেন, আমি এই পুরস্কার পেয়ে খুবই সম্মানিত বোধ করছি। এই খেতাবে ভূষিত করায় আমি যুক্তরাষ্ট্র ও প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। দুর্ভাগ্যবশত, অন্যান্য ব্যস্ততার কারণে আমি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারিনি।
মেসিকে পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস লিখেছে, তিনি পেশাদার ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল খেলোয়াড়। লিওনেল মেসি ফাউন্ডেশন এবং ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে বিশ্বজুড়ে শিশুদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার বিষয়েও তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
মেসি ছাড়াও এ বছর অন্যদের মধ্যে মেডেল অব ফ্রিডম পেয়েছেন বাস্কেটবল কিংবদন্তি ম্যাজিক জনসন, হলিউড তারকা ডেনসেল ওয়াশিংটন, মাইকেল জে ফক্স, সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটনসহ মোট ১৯ জন।
৩৪৪ দিন আগে