খেলাধুলা
সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪: শিরোপাজয়ী বাংলাদেশি তারকাদের কথা
গত ৩০ অক্টোবর নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪ এর ফাইনালে নেপালকে ২-১ গোলে পরাজিত করেছে বাংলাদেশ। এটি বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের মেয়েদের দ্বিতীয়বারের মতো সাফ জয়। এর আগে ২০২২-এর ১৯ সেপ্টেম্বর শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে একই ভেন্যুতে একই দলকে ৩-১ গোলে পরাস্ত করেছিলেন বাংলার বাঘিনীরা।
এবারের আসরে গ্রুপ পর্বের ৩ খেলায় একটি জয় ও একটি ড্র নিয়ে সেমিফাইনালে যায় বাংলাদেশ। সেখানে ভুটানকে ৭-১-এর বিরাট ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে। তারপর কাঙ্ক্ষিত শিরোপা জয় লাল-সবুজের পতাকাবাহীদের।
চলুন, তাদের মধ্যে সেরা কয়েকজন নারী ফুটবল তারকার কথা জেনে নেওয়া যাক।
২০২৪ সাফ নারী ফুটবল শিরোপাজয়ী বাংলাদেশি তারকারা
.
ঋতুপর্ণা চাকমা
২০০৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটির কাউখালীতে জন্ম ঋতুপর্ণার। ফুটবল ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই খেলে আসছেন মিডফিল্ডার হিসেবে। সাফের এবারের আসরের চূড়ান্ত পর্বের খেলায় ৮১-তম মিনিটে তার গোলটিই বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত জয় এনে দেয়।
মাঠের বামপ্রান্ত দিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে তার হাওয়ায় ভাসানো শটটি ছিল দুর্দান্ত। আপ্রাণ চেষ্টার পরেও তা ধরতে পারেননি নেপালের গোলরক্ষক আনজিলা তুম্বাপো। তার হাত ছুঁয়ে ক্রসবারে লেগে গোললাইনে গন্তব্য খুঁজে নেয় ঋতুপর্ণার শট। এই মোড় ঘোরানো পারফর্মেন্সের জন্য তাকে ম্যাচের সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড় হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
সেমিফাইনালে ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৭ গোলের বিধ্বংসী পারফর্মেন্সেও একটি গোল রয়েছে ঋতুপর্ণার। ২০২২-এর সাফ তথা গতবারের মতো এবারও তার সংগ্রহে মোট গোলসংখ্যা দুইটি।
উষ্ণ অভ্যর্থনায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে বরণ
রুপনা চাকমা
দলের দুর্গসম গোলরক্ষক রুপনা চাকমার জন্ম ২০০৪ সালের ২ জানুয়ারি। তার নিবাস রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরের ঘিলাছড়ি পাহাড়ে অবস্থিত ভূইয়োদম গ্রাম। এবারের সাফে তিনি টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষকের খেতাব পেয়েছেন। এ নিয়ে পরপর দু’বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা গোলরক্ষের ট্যাগ যুক্ত হলো তার নামের সঙ্গে।
বর্তমান টুর্নামেন্টে মাত্র চারটি গোল রুপনার প্রহরা এড়াতে সক্ষম হয়েছে। ফাইনালে কয়েকটি শট তার হাত ফসকালেও দলের জন্য সেগুলো খুব একটা বিপর্যয় হয়ে আসেনি। বরং সীসা ঢালা প্রাচীরের মতো অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু বড় বড় গোল বাঁচিয়েছেন তিনি। বিগত টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার প্রতিপক্ষের আক্রমণগুলো যথেষ্ট বিচক্ষণতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। যার কারণে শট নেওয়ার জন্য প্রতিপক্ষ অধিকাংশ সময় খুব একটা সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে ছিল না।
বিগত সাফে পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তার দৃঢ় প্রহরা ভেদ করে শুধু একবার (ফাইনালে) বল জালে প্রবেশ করেছিল। তার আগের চারটি ম্যাচেই তিনি ছিলেন দুর্ভেদ্য, যা স্বভাবতই এবারের প্রতিপক্ষদের বার বার দুশ্চিন্তায় ফেলেছে।
সাবিনা খাতুন
দলের মধ্যে জ্যেষ্ঠ এবং অধিনায়ক সাবিনার জন্ম ১৯৯৩-এর ২৫ অক্টোবর খুলনার সাতক্ষীরায়।
ফরোয়ার্ডে খেলা এই ফুটবলার এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে সর্বোচ্চ সংখ্যক গোলদাতা। এবারের টুর্নামেন্টে তিনি মোট তিনটি গোল করেছেন।
এর আগের সাফে সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়ের খেতাবটি যুক্ত হয়েছিল তার নামের সঙ্গে। তাছাড়া তিনি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরারও (৮ গোল) হয়েছিলেন।
মনিকা-ঋতুপর্ণার গোলে আবারও সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
তহুরা খাতুন
ময়মনসিংহের কলসিন্দুর নিবাসী তহুরার জন্ম ২০০৩ সালের ৫ মে। দলের প্রতিভাবান এই ফরোয়ার্ড এবার সেমিফাইনালে ভূটানের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন। গোটা টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের ১৩টি গোলের মধ্যে তার গোল সংখ্যা ৫টি।
পূর্বে ২০১৬-এর এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ গালস রিজিওনাল (সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল) চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড ছিল তার দখলে। সেখানে ফাইনালে হ্যাটট্রিকসহ মাত্র ৪ ম্যাচে মোট ১০টি গোল করেছিলেন তিনি।
২০১৭ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে তার একটি হ্যাটট্রিক আছে। এছাড়া ২০১৮ সালের চার জাতি টুর্নামেন্ট জকি সিজিআই অনূর্ধ্ব-১৫’তে তিনি ৩ ম্যাচে ৮ গোল করে সর্বোচ্চ স্কোর অর্জন করেন।
মাসুরা পারভিন
সেন্টার ব্যাকে খেলা সাতক্ষীরার মেয়ে মাসুরার জন্ম ২০০১-এর ১৭ অক্টোবর। এখন পর্যন্ত ফুটবল ক্যারিয়ারে খুব কমই গোলের দেখা পেয়েছেন মাসুরা। তবে ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৮ সাফে নেপালের বিপক্ষে চরম সংকটপূর্ণ মুহূর্ত সৃষ্টি হয়েছিল বাংলাদেশ দলের। এমন জরুরি অবস্থায় মাসুরার একটি গোল যেন সোনার হরিণ পাইয়ে দিয়েছিল সাবিনাদের। এই একটি গোল নিয়েই সেবার জয় পায় বাংলার বাঘিনীরা।
মনিকা চাকমা
খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ির অন্তর্গত সুমন্তপাড়া গ্রামের মেয়ে মনিকা খেলেন মিডফিল্ডার হয়ে। তার জন্ম ২০০৩-এর ১৫ সেপ্টেম্বর।
২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের বাংলাদেশ বনাম মঙ্গোলিয়ার সেমিফাইনালটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল থাইল্যান্ডে। সেখানে মঙ্গোলিয়া ৩-০ ব্যবধানে বাংলাদেশের কাছে হেরে যায়। এই ৩টি গোলের মধ্যে একটি ছিল মনিকার, যেটি ফিফা ‘জাদুকরী গোল’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। সেই সঙ্গে মনিকার নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল ‘ম্যাজিকাল চাকমা’ উপাধিটি। বিশ্ব ফুটবলের শীর্ষ সংস্থাটির ওয়েবসাইটে সেরা গোলগুলোর তালিকায় যুক্ত আছে এই নজরকাড়া পারফর্মেন্সটি।
২০২৪-এর সাফে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে পুরো প্রথমার্ধটাই ছিল গোলশূন্য। অতঃপর দ্বিতীয়ার্ধের সূচনা হয় মনিকার গোল দিয়ে, যা গোটা দলের জন্য অনেকটা স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছিল।
সাবিনাদের রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
মারিয়া মান্দা
মিডফিল্ডার মারিয়ার জন্ম ২০০৩ সালের ১০ মে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার মন্দিরঘোনা গ্রামে। সাবিনার মতো এই ফুটবলারেরও রয়েছে নেতৃত্বের গুণাবলি। বাংলাদেশ তার সহ-অধিনায়কত্বে তাজিকিস্তানে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ রিজিওনাল চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল। ২০১৭ সালে তার অধিনায়কত্বে গোটা অনূর্ধ্ব-১৫ সাফে অপরাজেয় হিসেবে ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ দল। অতঃপর জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে ভারতকে হারিয়ে তারা শিরোপা নিশ্চিত করে। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ কোয়ালিফায়ারেও অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন দলের সহঅধিনায়ক ছিলেন মারিয়া। এমনকি অনূর্ধ্ব-১৮ সাফেও তার দল ছিল অপ্রতিরোধ্য। অনূর্ধ্ব-১৯-এও তিনি অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন, কিন্তু সেবার একটানা শিরোপা জয়ে বাধা পড়ে।
শামসুন্নাহার সিনিয়র
ময়মনসিংহের কলসিন্দুর থেকে আগত প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের মধ্যে শামসুন্নাহার নামে রয়েছেন দু’জন। তন্মধ্যে শামসুন্নাহার সিনিয়র খেলেন ডিফেন্ডার হিসেবে, যার জন্ম ২০০৩ সালের ৩১ জানুয়ারি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পজিশনে খেললেও শেষ পর্যন্ত লেফ্ট-ব্যাকেই তিনি প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। দক্ষিণ রাণীপুর গ্রাম নিবাসী এই ফুটবলার ২০২২-এর সাফে ডিফেন্ডে নিজের জাত চিনিয়েছেন।
ভুটানকে ৭-১ গোলে হারিয়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশ
শামসুন্নাহার জুনিয়র
অপর শামসুন্নাহারের জন্ম ২০০৪-এর ৩০ মার্চ কলসিন্দুরের মুক্তাগাছা গ্রামে। তিনি সর্বদাই খেলেন ফরওয়ার্ডে। এবারের সাফ টুর্নামেন্টের বাংলাদেশের প্রথম গোলটি আসে তার পক্ষ থেকে।
২০২৩ ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেখানে মোট চার ম্যাচে তার সংগ্রহ এক হ্যাটট্রিকসহ মোট পাঁচটি গোল। এই অবদানের জন্য তিনি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার পাশাপাশি সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান।
পূর্বে ২০১৮’তে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত জকি ক্লাব চার জাতি টুর্নামেন্টেও তিনি সেরা খেলোয়াড় মনোনীত হয়েছিলেন।
সানজিদা আক্তার
কলসিন্দুর নিবাসী সানজিদার জন্ম ২০০১ সালের ২০ মার্চ। এই মিডফিল্ডার অর্থনীতি বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করছেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে।
২০১৯ সালে বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপে তিনি টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের খেতাব জিতেন। খেলাধুলার বাইরে তাকে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে। মিডিয়া পাড়ায় তিনি বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের পোস্টার গার্ল হিসেবে পরিচিত।
শেষাংশ
সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪ বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের পথে এক সফল অগ্রযাত্রা। যে পথে হেটে দেখালেন ঋতুপর্ণা, রুপনা, সাবিনা, তহুরা, সানজিদা, মারিয়া, মনিকা, মাসুরা, এবং শামসুন্নাহার সিনিয়র ও জুনিয়র প্রত্যেকেই স্বনৈপূণ্যে উজ্জ্বল। তারা সম্মিলিতভাবে প্রতিনিধিত্ব করছেন নতুন এক বাংলাদেশের। চিত্তাকর্ষক এই ফলাফলের নেপথ্যের যাত্রাপথ খুব একটা ফুলেল ছিল না বৈকি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠী; সেই সঙ্গে একজন নারী হওয়াটা কোনোভাবেই প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি তাদের সামনে। বরং যোগ্যতা ও ফুটবলের প্রতি অদম্য আবেগের বলে নিজেদের দেশকে তারা পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বের সম্মানজনক পর্যায়ে।
নারী ফুটবলারদের বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধের আশ্বাস শফিকুল আলমের
৪০৭ দিন আগে
অবশেষ জয়যাত্রা থামল সিটির
হারতে যেন ভুলেই গিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। গত মৌসুম থেকে টানা অপরাজিত থেকে আরও একবার প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা জাগাচ্ছিল ছিল তারা। তবে বোর্নমাউথের কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়েছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের।
ভাইটাইলিটি স্টেডিয়ামে শনিবার সন্ধ্যায় প্রিমিয়ার লিগের দশ রাউন্ডের ম্যাচে সিটিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বোর্নমাউথ।
ঘরের মাঠে ম্যাচের নবম মিনিটে আন্সো সেমেনিয়ো গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে বোর্নমাউথের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইভানিলসন। এরপর ৮০তম মিনিটে ইয়োশকো গেভার্দিওল একটি গোল শোধ করেন। পরে স্বাগতিকদের চেপে ধরেও হার এড়াতে ব্যর্থ হয়েছে গার্দিওলার দল।
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত জয়ে নিজেদের রেকর্ড ছুঁয়েছে সিটি
চোটজর্জর দল নিয়ে এদিন সিটি খেলতে নামার পর শুরু থেকেই এই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে থাকে বোর্নমাউথ; যার ফলও তারা পেয়েছে। ম্যাচে শেষে একই কথা ঝরেছে গার্দিওলার কণ্ঠেও।
‘ম্যাচের রাশ বারবার টেনে ধরতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছি আমরা। আজকে ওদের (প্রতিপক্ষের) গতি ছিল অন্যরকম। আমরা চেষ্টা করেও ওই গতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারিনি।’
এই হারে প্রিমিয়ার লিগে টানা ৩২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর হরের মুখে দেখল সিটি। এটি অবশ্য লিগে সর্বোচ্চ সংখ্যক ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড। গত ৫ অক্টোবর ফুলহ্যামকে ৩-২ গোলে হারিয়ে নিজেদেরই ৩০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড স্পর্শ করে দলটি। এরপর উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স ও সাউথহ্যাম্পটনের বিপক্ষে জিতে রেকর্ডটি আরও উঁচুতে তোলে তারা। তবে ৩২ ম্যাচ পর আর তা লম্বা করা হয়ে উঠল না গার্দিওয়ালার শিষ্যদের।
এই হারে লিগের পয়েন্ট টেবিলেও অবনমন হয়েছে সিটির। দশ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নেমে গেছে তারা। আর একই দিন একই সময়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে ব্রাইটনকে হারিয়ে সিটির চেয়ে ২ পয়েন্টে এগিয়ে গিয়ে শীর্ষে উঠেছে লিভারপুল।
আরও পড়ুন: নিউক্যাসলের বিপক্ষে হেরে পিছিয়ে পড়ল আর্সেনাল
দিনের অপর ম্যাচে নিউ ক্যাসলের মাঠে হেরে শিরোপার দৌড় থেকে খানকিটা পিছিয়ে পড়েছে আর্সেনাল। তবে চমক দেখিয়ে ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে টেবিলের তিনে উঠেছে ইউলেন লোপেতেগির নটিংহ্যাম ফরেস্ট।
রবিবার একে অপরের মুখোমুখি হবে টটেনহ্যাম হটস্পার ও অ্যাস্টন ভিলা এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও চেলসি।
৪০৮ দিন আগে
নিউক্যাসলের বিপক্ষে হেরে পিছিয়ে পড়ল আর্সেনাল
সেই অক্টোবরের ১৯ তারিখ থেকে শুরু। ওইদিন থেকে দুঃস্বপ্নের শুরু আর্সেনালের। প্রিমিয়ার লিগে তখন থেকে তিনটি ম্যাচ খেলে ফেললেও একটিতেও জয়ের মুখ দেখেনি মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। উল্টো দুই ম্যাচ হেরে শিরোপার দৌড়ে হঠাৎ করেই খেই হারিয়ে ফেলল তারা।
নিউ ক্যাসলের মাঠে শনিবার প্রিমিয়ার লিগের দশম রাউন্ডের ম্যাচটি ১-০ গোলে হেরেছে আর্সেনাল।
ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটে আলেকজান্ডার ইসাকের চমৎকার এক হেডারে এগিয়ে যায় নিউক্যাসল, এরপর দুদলের কেউই আর লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। অবশ্য ম্যাচজুড়ে বল দখলে দাপট দেখালেও গোলে শট রাখতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে আর্সেনালের খেলোয়াড়রা। পুরো ম্যাচে মাত্র একটি শট লক্ষ্যে ছিল তাদের।
আরও পড়ুন: লেস্টারের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের পর শেষ সময়ের গোলে জিতল আর্সেনাল
এর ফলে, লিগে সবশেষ তিন ম্যাচের দুটিই হারল গানাররা, দুটিই প্রতিপক্ষের মাঠে। মাঝে লিভারপুলের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করে তারা।
গত মৌসুমেও নিজেদের মাঠে আর্সেনালকে একই ব্যবধানে হারিয়েছিল দ্য ম্যাগপাইস।
অথচ চলতি মৌসুমের প্রথম সাত ম্যাচ অপরাজিত থেকে টেবিলের শীর্ষে আরোহণ করে সিটি-লিভারপুলদের সমানে টক্কর দিয়ে আসছিল আর্তেতার শিষ্যরা। শুধু তা-ই নয়, চলতি বছর প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ২৫ ম্যাচে আর্সেনালের হার ছিল কেবল একটি (বাকি ২১ ম্যাচে জয় ও ৩টিতে ড্র)।
এই হারে দশম রাউন্ড শেষে ৫ জয় ও ৩ ড্রয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে আর্সেনাল। আর সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে আটে নিউক্যাসল।
অপরদিকে, দশ রাউন্ডের খেলা শেষে শনিবার চমক দেখিয়েছে নটিংহ্যাম ফরেস্ট। একইদিনে ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দশ ম্যাচের পাঁচটি জিতে ও চারটি ড্র করে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে উঠেছে ইউলেন লোপেতেগির দল।
অবশ্য এক ম্যাচ কম খেলা অ্যাস্টন ভিলা ও চেলসির পয়েন্ট যথাক্রমে ১৮ ও ১৭। রবিবার স্ব স্ব ম্যাচে ইতিবাচক ফল আনতে পারলে নটিংহ্যামকে পেছনে ফেলে দেবে দুই দলই। সেক্ষেত্রে আরও পেছনে পড়ে যাবে আর্সেনাল।
৪০৮ দিন আগে
ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে ইউনাইটেডকে বের করতে পারবেন আমোরিম?
মাত্র ৩৯ বছর বয়সেই কোচিং দিয়ে ইউরোপীয় ফুটবলে হইচই ফেলে দিয়েছেন সাবেক পর্তুগিজ ফুটবলার রুবেন আমোরিম। গত কয়েক মৌসুম ধরে বড় কোনো ক্লাবের কোচের পদ খালি হলেই তাকে নিয়ে ছড়ায় গুঞ্জন। অবশ্য সেসবে পাত্তা না দিয়ে গত চার বছর ধরে লিসবনের ক্লাব স্পোর্তিংয়েই সুখে ছিলেন আমোরিম। তবে শেষ পর্যন্ত সে জায়গায় আর থিতু হয়ে থাকতে পারলেন না তিনি।
আগামী ১১ নভেম্বর থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটের ডাগআউটে দেখা যাবে এই পর্তুগিজ কোচকে। ১০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিমিয়ে স্পোর্তিং থেকে তাকে ম্যানচেস্টারে উড়িয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে ইউনাইটেড।
২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত ওল্ট ট্র্যাফোর্ডে থাকবেন তিনি। তবে পারফরম্যান্স বিবেচনায় চাইলে আরও এক মৌসুম সেখানে থেকে যেতে পারবেন এই কোচ।
এর আগে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, টটেনহ্যাম, চেলসি, এমনকি লিভারপুলের কোচের পদ শূন্য হলেও আমোরিমকে দলে ভেড়ানোর গুঞ্জন ওঠে। এমনকি শাভি এরনান্দেসকে বরখাস্ত করার পর বার্সেলোনাও তাকে পেতে চেয়েছিল বলে খবর চাউর হয়।
অবশ্য অল্প সময়েই নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে কোচিংয়ে যে সাফল্যের দেখা তিনি পেয়েছেন, তাতে ইউরোপের বড় বড় ক্লাবগুলোর তার প্রতি আগ্রহ দেখানোটা মোটেও অযৌক্তিক নয়।
১৮ বছর বয়সে নিজ শহরের ক্লাব বেলেনেন্সেসের জার্সিতে পেশাদার ফুটবলে যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৫ সালে লিসবনে জন্ম নেওয়া আমোরিমের। সেখানে ২০০৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত কাটিয়ে ফুটবলার হিসেবে তিনি উজ্জ্বল সময় পার করেন লিসবনেরই জনপ্রিয় ক্লাব বেনফিকায়। ২০১৭ সালে খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার আগে এই ক্লাবটির হয়ে তিনবার লিগ চ্যাম্পিয়ন হন তিনি।
অবসরের পরের বছরই কোচিং পেশায় নাম লেখান আমোরিম। পর্তুগালের তৃতীয় সারির ক্লাব সাসা পিয়ার কোচ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও কোচিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা না থাকায় ফেডারেশন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এরপর সাসা পিয়ার দায়িত্ব থেকে সরে গিয়ে জটিলতার অবসান করে এক বছর পরই আবার ফেরেন কোচিংয়ে।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে এবার পর্তুগিজ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ব্রাহার রিজার্ভ দলের কোচ হন তিনি। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসেই ক্লাবটির তৎকালীন কোচ রিকার্দো সা পিন্তো বরখাস্ত হলে মুল দলের কোচ হিসেবে আমোরিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তার অধীনে লিগ কাপ জেতে ব্রাহা।
২০২০ সালের মার্চে ব্রাহা ছাড়ার আগে দলটিকে মাত্র ১৩ ম্যাচের ১০টিই জেতান তিনি। ফলে দেশজুড়ে তার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। তবে ইউরোপীয় ফুটবলের নজর কাড়েন তিনি ২০২১ সালে।
আরও পড়ুন: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নতুন কোচ আমোরিম
ওই বছরের ৪ মার্চ স্পোর্তিংয়ের ম্যানেজার হয়ে রাজধানীতে আলোচনার জন্ম দেন এই কোচ। নগর প্রতিদ্বন্দ্বী বেনফিকার ফুটবলারকে কীভাবে স্পোর্তিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তা নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। তবে সমালোচকদের পাত্তা না দিয়ে নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট ফ্রেদেরিকো ভেরান্দাস।
যাইহোক, ২০১৯-২০ মৌসুমের শেষ কয়েক মাস চেষ্টা করেও দলের উন্নতি করতে ব্যর্থ হন তিনি। ওই মৌসুমের শেষ তিন ম্যাচ জয়বঞ্চিত থেকে ব্রাহার কাছেই তৃতীয় স্থান খুইয়ে চারে নেমে মৌসুম শেষ করে স্পোর্তিং।
এরপর গ্রীষ্মের দলবদলে দুই পর্তুগিজ জায়ান্ট বেনফিকা ও পোর্তো যখন জলের মতো টাকা ঢেলে শক্তিশালী দল গড়ছে, সে সময় আর্থিক সংকটের কারণে আমোরিমের আবদার মেটাতে ব্যর্থ হয় স্পোর্তিং। উপায়ান্তর না দেখে অ্যাকাডেমি থেকে নুনো মেন্দেস ও গনসালো ইনাসিওর মতো তরুণ খেলোয়াড় দলে নিয়ে আসেন তিনি। পাশাপাশি, স্বল্প খরচে (মাত্র সাড়ে ৬ মিলিয়ন পাউন্ডে) পেদ্রো গনসালভেস এবং ধারে জোয়াও মারিও ও পেদ্রো পোরোকে দলে ভেড়ান এই কোচ। আর এখানেই বাজিমাৎ করে দেন তিনি।
তরুণ খেলোয়াড়দের নিজের ক্ষিপ্র গতি ও পজেশনাল ফুটবলের তালিম দিয়ে দুর্দান্তভাবে ২০২১-২২ মৌসুম শুরু করেন এই কোচ। নতুন এসব খেলোয়াড়দের দক্ষতা ও কোচের নতুন কৌশলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লেগে যায় প্রতিপক্ষ দলগুলোর। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ১৯ বছরের শিরোপাখরা কাটিয়ে স্পোর্তিংকে লিগ শিরোপা এনে দেন তিনি। এর পাশাপাশি ওই মৌসুমে আরও তিনটি ঘরোয়া ট্রফি জেতে স্পোর্তিং।
ফলে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে সমর্থকদের মন জয় করে নেন এই কোচ। এরপর গত মৌসুমে বেনফিকাকে হটিয়ে ফের লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় তার দল।
চলতি মৌসুমেও ৯ রাউন্ডের খেলা শেষে সবগুলো ম্যাচ জিতে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে স্পোর্তিং। শুধু তা-ই নয়, ঘরোয়া প্রতিযোগিতা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে একমাত্র তার দলই এখনও অপরাজিত।
গত চার বছরে তার অধীনে ২২৮ ম্যাচ খেলে তার ১৯৫টিতেই অপরাজিত স্পোর্তিং। এর মধ্যে ১৬২ ম্যাচে জয়, ৩৩ ম্যাচ ড্র এবং মাত্র ৩৩ ম্যাচ হেরেছে তার দল। ফলে স্পোর্তিংয়ে তার জয়ের হার ৭৩.৭ শতাংশ।
তাই স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের বিদায়ের পর থেকে ঠিক এমন একজনকেই যে খুঁজছিল ইউনাইটেড, তা বলাই বাহুল্য।
অবশ্য ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে এসে তার কাজ শুরুর দিকে একেবারেই সহজ হবে না। এক দশকের বেশি সময় ধরে যে দুর্দশার মধ্যে দিয়ে চলেছে ক্লাবটি, সেখান থেকে খেলোয়াড়দের মনোভাবে পরিবর্তন এনে ইতিবাচক ধারায় ফেরাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে এই কোচকে।
তবে হারের বৃত্তে ঘুরপাক খেতে খেতে ইউনাইটেডের খেলোয়াড়রাও খুঁজছে আশার আলো। তাই নাবিক হয়ে সেই আশার কূল দলটিকে তিনি দেখাতে পারেন কিনা, সেদিকে চাতকপ্রাণ হয়ে বসে থাকবে রেড ডেভিলস সমর্থকরা।
৪০৯ দিন আগে
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নতুন কোচ আমোরিম
গুঞ্জন ডালপালা মেলার আগেই তা ছেঁটে দিয়ে নতুন কোচের নাম ঘোষণা করেছে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। অবশ্য গুঞ্জন সত্যি করেই স্পোর্তিং লিসবনের পর্তুগিজ কোচ রুবেন আমোরিমকে ক্লাবটির দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইউনাইটেড।
শুক্রবার ক্লাবের ওয়েবসাইটে একটি সংক্ষিপ্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সুদিন ফেরাতে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ৩৯ বছর বয়সী এই কোচের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ক্লাবটি।
তবে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আমোরিমকে পেতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ইউনাইটেড। স্পোর্তিং আন্তর্জাতিক বিরতির আগে আমোরিমকে ছাড়তে রাজি না হওয়ায় ১১ নভেম্বর ইউনাইটেডের কোচ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তিনি।
ফলে বিরতির আগে তিন ম্যাচের জন্য ইউনাইটেডের দায়িত্ব সামলাবেন অন্তর্বর্তীকালীন কোচ রুড ফন নিস্টলরয়। এরপর আগামী ২৪ নভেম্বর ইপসইউচ টাউনের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগে যাত্রা শুরু করবেন আমোরিম।
আরও পড়ুন: এক মাস পর জয়ের দেখা পেল ইউনাইটেড
গত ২৮ অক্টোবর এরিক টেন হাগকে বরখাস্ত করার পর থেকেই নতুন কোচের সন্ধানে ছিল ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ। মৌসুমের মাঝেই দল অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়ায় শিগগিরই কাউকে দায়িত্ব দিতে চাইছিল তারা। এক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দ আমোরিমই ছিল বলে জানান ট্রান্সফার গুরু ফাব্রিৎসিও রোমানো।
এ কারণে ২৮ অক্টোবরই স্পোর্তিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইউনাইটেড। আমোরিমকে পেতে রিলিজ ক্লসের ১০ মিলিয়ন ইউরো এবং তার কোচিং স্টাফের জন্য আরও এক মিলিয়ন ইউরো পরিশোধ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
তবে চুক্তির আরও একটি শর্তে আটকে যায় আমোরিমের তাৎক্ষণিক দলবদল। স্পোর্তিংয়ের সঙ্গে চুক্তির একটি শর্ত ছিল যে, নতুন কোনো ক্লাবে যেতে হলে অন্তত এক মাস আগে ক্লাবটিতে নোটিশ দিতে হবে। পরে এ বিষয়ে ক্লাবটির কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে নোটিশ পিরিয়ড এক সপ্তাহে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয় ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ। এরপর আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত, অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বিরতি শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত আমোরিমকে ক্লবে রাখার প্রস্তাব দিলে স্পোর্তিংয়ের সে প্রস্তাবও গ্রহণ করে ইউনাইটেড।
এর ফলে মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে খেলে ঘরের মাঠের সমর্থকদের সামনে থেকেই বিদায় নেবেন এই পর্তুগিজ কোচ।
আরও পড়ুন: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে স্যার ফার্গুসনের
আলোচনার মাধ্যমে সব ঝামেলা শেষ করার পর আমোরিমকে পরবর্তী কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউনাইটেড।
এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘রুবেন ইউরোপিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ উঁচুমানের কোচদের একজন। খেলোয়াড় ও কোচ উভয় ক্যারিয়ারেই বর্ণিল সময় কাটানো এই কোচ ১৯ বছরের শিরোপাখরা কাটিয়ে স্পোর্তিংকে দুটি লিগ জিতিয়েছেন।’
‘তিনি যোগ না দেওয়া পর্যন্ত রুড ফন নিস্টলরয় ক্লাবে নিজের দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।’
আগামী রবিবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে চেলসিকে আতিথ্য দেবে ইউনাইটেড। লিগের নবম রাউন্ডের খেলা শেষে তিন জয় ও দুই ড্রয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্দশ স্থানে রয়েছে ইউনাইটেড। আর পাঁচ জয় ও দুই ড্রয়ে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে এনসো মারেসকার চেলসি।
৪০৯ দিন আগে
সাফজয়ী দলকে বিসিবিও দেবে আর্থিক পুরস্কার
নেপালকে তাদের মাটিতেই টানা দ্বিতীয়বার হারিয়ে সাফের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। অসামান্য এই কীর্তির পর নানা দিক থেকে প্রশংসায় ভাসছেন সাবিনা-ঋতুপর্ণারা। তবে শুধু প্রশংসা নয়, আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণাও আসছে।
এশিয়ার মঞ্চে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করায় সাফজয়ী বাংলাদেশ দলকে এক কোটি টাকা পুরস্কার দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকেও ঘোষণা করা হয়েছে আর্থিক পুরস্কার। পুরস্কার হিসেবে সাফজয়ী মেয়েদের ২০ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিসিবি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুরস্কার প্রদানের এ ঘোষণা দেয় বিসিবি।
আরও পড়ুন: সাফজয়ী নারী দলকে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কোটি টাকা পুরস্কার
পুরো দলকে অভিনন্দন জানিয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, ‘আমাদের নারী ফুটবল দল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে যা করেছে, আমরা গর্বিত। পুরো ক্রীড়াঙ্গনের এ সাফল্য উদ্যাপনে বিসিবিও যোগ দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘তাদের এই জয় অন্য সব খেলার খেলোয়াড়দের এবং বাংলাদেশের মেয়েদের অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমরাও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নারী ফুটবল বিভাগকে অভিনন্দন জানাই।’
ক্রীড়াক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে বিসিবির সমর্থনের কথা জানিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘বিসিবি খেলায় মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সব সময় বদ্ধপরিকর। এই ঐতিহাসিক জয় খেলায় মেয়েদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে আগ্রহ বাড়াবে এবং পুরো দেশের সমর্থন জোগাবে।’
আরও পড়ুন: নারী ফুটবলারদের বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধের আশ্বাস শফিকুল আলমের
এর আগে, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে সাবিনাদের হাতে এক কোটি টাকার আর্থিক পুরস্কারের চেক তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এ সময় মেয়েদের বকেয়া বেতনের প্রসঙ্গটিও তোলেন তিনি। বলেন, ‘দেশের মানুষ যেভাবে তাদের বরণ করেছে, এজন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। নারীদের ক্রীড়াক্ষেত্রে কিছু অভিযোগ আছে, যেমন: বেতনবৈষম্য। এ বিষয়ে বিসিবি ও বাফুফের সঙ্গে কথা বলেছি; দ্রুতই সমাধান করব।’
৪১০ দিন আগে
সাফজয়ী নারী দলকে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কোটি টাকা পুরস্কার
নেপালকে তাদের মাটিতেই টানা দ্বিতীয়বার হারিয়ে সাফের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। অসামান্য এই কীর্তির পর নানা দিক থেকে প্রশংসায় ভাসছেন সাবিনা-ঋতুপর্ণারা। এবার মেয়েদের এক কোটি টাকা পুরস্কার দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে সাবিনাদের হাতে পুরস্কারের চেক তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এ সময় ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। দেশে ফেরার পর তাদের সংবর্ধনা দিতে আমি বাফুফেতে এসেছি।’
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় নারী ফুটবল দলের সঙ্গে দেখা করার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা। আগামী শনিবার বেলা ১১টায় তিনি তার বাসভবনে নারী ফুটবল দলকে দাওয়াত দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: নারী ফুটবলারদের বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধের আশ্বাস শফিকুল আলমের
এ সময় মেয়েদের বকেয়া বেতনের প্রসঙ্গটিও তোলেন তিনি। বলেন, ‘দেশের মানুষ যেভাবে তাদের বরণ করেছে, এজন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। নারীদের ক্রীড়াক্ষেত্রে কিছু অভিযোগ আছে, যেমন: বেতনবৈষম্য। এ বিষয়ে বিসিবি ও বাফুফের সঙ্গে কথা বলেছি; দ্রুতই সমাধান করব।’
‘বাংলাদেশের নারীরা যেভাবে আন্তর্জাতিক ট্রফি ছিনিয়ে এনেছে, তারা আরও ট্রফি ছিনিয়ে আনতে পারবে বলে আমি আশাবাদী।’
এদিকে, শিগগিরই মেয়েদের বেতন ও অন্যান্য পাওনা নিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলমও।
তিনি বলেছেন, দেশের নারী ক্রীড়াবিদদের বেতনবৈষম্য নিয়ে আলোচনা করছে সরকার। নারী অ্যাথলেটরাও যাতে পুরুষদের সমান বেতন পায়, তা নিয়ে বিসিবি ও বাফুফের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
আরও পড়ুন: উষ্ণ অভ্যর্থনায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে বরণ
এর আগে, সাফের শিরোপা জিতে বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে ঢাকায় এসে পৌঁছায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।
ঐতিহাসিক এই অর্জনের পর তাদের বরণ করে নিতে বিশেষ আয়োজন করে বাফুফে। তাদের জন্য বিমানবন্দরে রাখা ছিল ছাদখোলা বাস, যাতে চড়ে গোটা শহর প্রদক্ষিণ করে দল।
এ সময় রাস্তার দুই পাশে অনেকেই তাদের অভিবাদন জানান। সব সামলে নির্দিষ্ট রুট দিয়ে বাফুফে ভবনে আসতে তাদের তিন ঘণ্টা সময় লেগে যায়।
চ্যাম্পিয়নদের শুভেচ্ছা জানাতে বিকাল সোয়া পাঁচটা থেকে সেখানে অপেক্ষায় ছিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুইয়া। সাবিনারা আসার পর বাফুফের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স রুমে যান উপদেষ্টা। সেখানে খেলোয়াড়দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মনিকা-ঋতুপর্ণার গোলে আবারও সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
৪১০ দিন আগে
নারী ফুটবলারদের বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধের আশ্বাস শফিকুল আলমের
টানা দ্বিতীয়বার বাংলাদেশকে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা এনে দিয়েছে মেয়েরা। অথচ তাদের আর্থিক প্রাপ্তির খাতায় কেবলই শূন্যতা। তবে শিগগিরই তাদের বেতন ও অন্যান্য পাওনা নিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম।
গত কয়েকদিনে বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের বেতন না পাওয়ার প্রসঙ্গ অনেকবারই উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমে। শুধু মেয়েরা কেন, তাদের কোচ পিটার বাটলারও আজ ক্ষোভ-অভিমান নিয়ে দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার সময় জানিয়েছেন, তিন মাস ধরে বেতন পান না তিনিও।
বাফুফে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নারী ফুটবলারদের বেতন বাড়ানো হলেও স্পন্সর সংকটে ফিফার বার্ষিক তহবিল থেকে তাদের বেতন দেওয়া হতো বলে জানা যায়। যদিও তখন বেতন দিতে দেরি হতো, কিন্তু বর্তমানে দুই মাসের বেতনই বকেয়া হয়ে গেছে।
সাফ শিরোপাজয়ের পর মেয়েদের বেতন বকেয়া থাকার বিষয়টি ফের আলোচনায় আসে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিং চলাকালে এ নিয়ে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম।
আরও পড়ুন: উষ্ণ অভ্যর্থনায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে বরণ
মেয়েদের বেতন বকেয়া থাকার দায় বাফুফের সদ্যসাবেক সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের ঘাড়ে চাপিয়ে তিনি বলেন, ‘সাফ নারী ফুটবল টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়েছে। বেশ কয়েকটি পত্রিকায় নারী ফুটবল দলের দুই মাসের বেতন বকেয়া থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। সেটি সালাউদ্দিনের আমলের সমস্যা। তাদের বেতনের সমস্যা দ্রুত সময়ে সমাধান করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের নারী ক্রীড়াবিদদের বেতনবৈষম্য নিয়ে আলোচনা করছে সরকার। নারী অ্যাথলেটরাও যাতে পুরুষদের সমান বেতন পায়, তা নিয়ে বিসিবি ও বাফুফের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মনিকা-ঋতুপর্ণার গোলে আবারও সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
উল্লেখ্য, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ বিজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সংবর্ধনা দেবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
এদিকে, সাফের শিরোপা জিতে বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে ঢাকায় এসে পৌঁছায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।
ঐতিহাসিক এই অর্জনের পর তাদের বরণ করে নিতে বিশেষ আয়োজন করে বাফুফে। তাদের জন্য বিমানবন্দরে রাখা ছিল ছাদখোলা বাস, যাতে চড়ে গোটা শহর প্রদক্ষিণ করেছে দল।
৪১০ দিন আগে
রেকর্ড রান ও ইনিংস ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
প্রথম ইনিংসে ১৫৯ করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে দেড়শও পেরোতে পারল না বাংলাদেশ। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে তোলা ৫৭৫ রানের চেয়ে ২৭৩ রান পেছনে থেকে নিদারুণ পরাজয় বরণ করে নিতে হয়েছে টাইগারদের।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিনেই এক ইনিংস ও ২৭৩ রানে হেরে প্রোটিয়াদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ।
কেবল তৃতীয় দিনেই ১৬ উইকেট খুইয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
এর আগে, টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং করে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৭৫ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৫৯ রানে অলআউট হয়ে গেলে ৪১৬ রানে এগিয়ে থাকে সফরকারীরা। ফলে ব্যাটিংয়ে নেমে আর সময় নষ্ট না করে বাংলাদেশকে ফলো-অন করানোর সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসেও মাত্র ৪৩.৪ ওভারে ১৪৩ রানের মাথায় টাইগারদের ইনিংস গুটিয়ে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। ফলে ২৭৩ রানের জয় পায় মার্করামের দল।
আরও পড়ুন: রানপাহাড়ে চাপা পড়ার পর ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ
নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে হারের রেকর্ড। ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ইনিংস ও ৩১০ রানে বিপর্যস্ত হয়েছিল টাইগাররা।
অন্যদিকে, নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়ের স্বাদ পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগের রেকর্ডটিও ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষেই। ২০১৭ সালে ঘরের মাঠ ব্লুমফন্টেইনে ইনিংস ও ২৫৪ রানের ব্যবধানে জিতেছিল তারা। এবার টাইগারদের ডেরায় ঢুকে সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন করে গড়ল তারা।
প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া কাগিসো রাবাদা দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য সাফল্যের দেখা পাননি। পাবেনই বা কী করে? কেশব মহারাজ ও সেনুরান মুথুসামি যথাক্রমে ৫টি ও ৪টি উইকেট নিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস: ৫৭৫/৬ ডিক্লে. (ডি জর্জি ১৭৭, স্টাবস ১০৬, মুল্ডার ১০৫*; তাইজুল ৫২.২-৫-১৯৬-৫, নাহিদ ২৪-২-৮৩-১)।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১৫৮/১০ (মুমিনুল ৮২, তাইজুল ৩০, অতিরিক্ত ২২; রাবাদা ৯-১-৩৭-৫, প্যাটারসন ১০-১-৩১-২, মহারাজ ১৬.২-৪-৫৭-২)।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ১৪৩/১০ (হাসান ৩৮, শান্ত ৩৬, অঙ্কন ২৯; মহারাজ ১৬.৪-০-৫৯-৫, মুথুসামি ১৩-৩-৪৫-৪)।
ফলাফল: দক্ষিণ আফ্রিকা এক ইনিংস ও ২৪৩ রানে জয়ী।
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: টনি ডি জর্জি।
প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ: কাগিসো রাবাদা।
৪১০ দিন আগে
উষ্ণ অভ্যর্থনায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে বরণ
সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪ জয়ের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় ফিরেছে বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দল। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) কর্মকর্তা ও ভক্তরা উষ্ণ অভ্যর্থনা ও উল্লাসের মাধ্যমে তাদের এই অসাধারণ সাফল্য উদযাপন করেছেন।
দুপুর সোয়া ২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে বাফুফে কর্মকর্তারা খেলোয়াড়দের ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন এবং আন্তরিক অভিনন্দন জানান। টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের মাধ্যমে অসাধারণ দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন তারা।
কাঠমান্ডুতে বুধবারের ফাইনাল ম্যাচে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। এই জয়ের মাধ্যমে টুর্নামেন্ট জুড়ে তারা অপরাজিত ছিলেন। ২০২২ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতে তাদের প্রথম শিরোপা অর্জন করেন।
টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য টুর্নামেন্ট সেরা খেতাব পেয়েছেন ঋতু পর্ণা চাকমা এবং সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পেয়েছেন রুপনা চাকমা।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে উল্লাস শোভাযাত্রা বের করে দলটি মতিঝিলে বাফুফের প্রধান কার্যালয়ের দিকে যাত্রা করে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে খোলা ছাদে বাসে ভ্রমণ করেন এবং সাফ ট্রফি প্রদর্শন করেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের আয়োজনে আজ বিকেলে এক বিশেষ সংবর্ধনার মাধ্যমে দলটিকে সম্মানিত করা হবে। বিকেল ৫টায় বাফুফের প্রধান কার্যালয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার খেলোয়াড়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা।
আরও পড়ুন: পোশাক নিয়ে মুসলিম নারী ফুটবলারদের পাশে এফএ
৪১০ দিন আগে