খেলাধুলা
আতলেতিকোকে টপকে ফের বার্সেলোনাকে ধরল রিয়াল
গত সপ্তাহে রিয়ালের হারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে যেমন দুইয়ে উঠেছিল আতলেতিকো, এ সপ্তাহে ঘটেছে তার ঠিক উল্টো ঘটনা। আতলেতিকোর হারের সুযোগ কাজে লাগিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। আর তাতে করে শিরোপার লড়াইয়ে ফের বার্সেলোনার সমান পয়েন্ট নিয়ে তাদের পাশে বসেছে মাদ্রিদ জায়ান্টরা।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে রবিবার (৯ মার্চ) লা লিগার ২৭তম রাউন্ডের ম্যাচে রায়ো ভায়েকানোকে ২-১ গোলে হারিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
এদিন ম্যাচের ৩০ ও ৩৪তম মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। এরপর বিরতির আগে একটি গোল পরিশোধ করে ভায়েকানো।
দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল মাদ্রিদের নিষ্প্রভ পারফরম্যান্সের সুযোগ কাজে লাগিয়ে একের পর এক চেষ্টাও চালায় সফরকারীরা। তবে কিছুতেই আর রিয়ালের জালে বল পাঠাতে পারেনি তারা। ফলে ২-১ গোলের হার নিয়েই ঘরে ফিরতে হয়েছে ভায়েকানোকে।
আরও পড়ুন: প্রথমে গোল পেয়েও হেরে সুযোগ হাতছাড়া করল আতলেতিকো
প্রথমার্ধে চেনা ছন্দে খেললেও বিরতির পর আর খুঁজে পাওয়া যায়নি রিয়ালের আক্রমণের ধার। প্রথমার্ধে ৫৬ শতাংশ সময় পজেশন ধরে রেখে মোট আটটি শট নেওয়া মাদ্রিদিস্তারা, যার পাঁচটি লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয়। অথচ বিরতির পর শট নেয় মাত্র দুটি, যার একটিও লক্ষ্যে ছিল না।
দ্বিতীয়ার্ধে বল দখলেও আধিপত্য বিস্তার করে ভায়েকানোর খেলোয়াড়রা। রিয়ালের ৩৭ শতাংশের বিপরীতে ৬৩ শতাংশ সময় পজেশন ধরে রেখে আটটি শট নেয় দলটি, যার তিনটি লক্ষ্যে ছিল। সব মিলিয়ে এদিন রিয়ালের গোলের উদ্দেশ্যে মোট ২০টি শট নিয়ে তাক লাগিয়ে দেয় ভায়েকাসের দলটি।
তাই জিতলেও চলতি মৌসুমে অন্য এক আশঙ্কার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে বর্তমান লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৬ ম্যাচে ৫১ গোল হজম করেছে রিয়াল। লা লিগার দলগুলোর মধ্যে এই সংখ্যাটি তৃতীয় সর্বোচ্চ। পয়েন্ট টেবিলের ১৬তম দল ভালেন্সিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে রিয়াল। তাদের চেয়ে বেশি গোল খাওয়া দল কেবল জিরোনা (৫২) ও রিয়াল ভায়াদোলিদ (৬৮)।
২৮১ দিন আগে
২৫ বছর পর প্রতিশোধ নিয়ে চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরল ভারত
সেই ২০০০ সালে তৎকালীন আইসিসি নক-আউট ট্রফির ফাইনালে ভারতকে চার উইকেটে হারিয়ে প্রথম এবং ওই একবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ২৫ বছর পর আরও একবার ফাইনালের দেখায় সেই নিউজিল্যান্ডকে একই ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছে ভারত।
রবিবার (৯ মার্চ) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে কিউইদের চার উইকেটে হারিয়েছে রোহিত শর্মার দল।
এর ফলে টুর্নামেন্টের ইতিহাসের এক মাত্র দল হিসেবে সর্বোচ্চ তিনবার সেরাদের এই শিরোপা ঘরে তোলার গৌরব অর্জন করল ভারত।
এদিন টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে এক ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় টিম ইন্ডিয়া।
ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমে ইনিংস-সর্বোচ্চ ৭৬ রান করে ভারতের জয়ে ভিত্তি গড়ে দেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এছাড়া প্রথম ইনিংসে বোলারদের সঠিকভাবে ব্যবহার করে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস বড় হতে না দেওয়ার পেছনেও দারুণ ভূমিকা ছিল তার নেতৃত্বের। ফলে ফাইনালের ম্যাচসেরার পুরস্কারটি তার হাতেই উঠেছে।
তিনি ছাড়াও মিডল অর্ডারে দলের হাল ধরেন শ্রেয়াস আইয়ার (৪৮) ও অক্ষর প্যাটেল (২৯)। এরপর শেষের দিকে বাকি কাজটুকু সারেন লোকেশ রাহুল (৩৪*)।
অন্যদিকে, দশ ওভার বোলিং করে একটি মেইডেনসহ মাত্র ২৬ রানের খরচায় দুই উইকেট তুলে নিলেও দলকে জেতাতে পারেননি মিচেল ব্রেসওয়েল।
২৮১ দিন আগে
প্রথমে গোল পেয়েও হেরে সুযোগ হাতছাড়া করল আতলেতিকো
ওসাসুনার বিপক্ষে বার্সেলোনার ম্যাচটি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় গেতাফেকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ওঠার সুযোগ ছিল আতলেতিকো মাদ্রিদের সামনে। সে লক্ষ্যে প্রথমে গোল করে এগিয়েও গিয়েছিল তারা, কিন্তু শেষের কয়েক মিনিটে সবকিছু হয়ে গেল এলোমেলো। লাল কার্ড ও দুই গোল খেয়ে ম্যাচটি তো হেরেছেই, পাশাপাশি টেবিলের তিনে নেমে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছে দলটি।
রবিবার (৯ মার্চ) মাদ্রিদের কলিসেউম স্টেডিয়ামে আতলেতিকো মাদ্রিদকে ২-১ গোলে হারিয়েছে পেপে বোরদালাসের গেতাফে।
এর ফলে আতলেতিকোর বিপক্ষে টানা ২৪ ম্যাচ জয়বঞ্চিত (২০ হার ও ৪ ড্র) থাকার পর সেই খরা কাটাল গেতাফে। আর ২৭ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে এক ম্যাচ কম খেলা বার্সেলোনার চেয়ে এক পয়েন্ট পিছিয়ে আপাতত দুইয়েই রইল সিমিওনের শিষ্যরা।
দিনের অপর ম্যাচে রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচটি জিততে পারলে আতলেতিকোর সমান ম্যাচে বার্সেলোনার সমান ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠবে রিয়াল।
আরও পড়ুন: দশজনের সোসিয়েদাদকে বিধ্বস্ত করে ফের চূড়ায় বার্সেলোনা
এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে দুদলের কেউ গোল না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধে ৭৪তম মিনিটে সফরকারীদের পেনাল্টি দিয়ে বসে গেতাফে। তা থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন আতলেতিকোর বদলি নামা স্ট্রাইকার আলেকজান্ডার সোরলথ। এর ফলে চলতি মৌসুমে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে বদলি নেমে গোল করাদের তালিকায় শীর্ষস্থান আরও মজবুত করলেন সোরলথ (৭)।
তবে মিনিট দশেক পেরোতেই ধাক্কাটা খায় আতলেতিকো মাদ্রিদ। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার দিয়েনেকে ফাউল করে প্রথমে হলুদ কার্ড এবং পরে ভিএআর রিভিউতে তা লাল কার্ডে উন্নীত হলে ৮৮তম মিনিটে মাঠ ছাড়তে হয় আনহেল কোররেয়াকে। এর ফলে বার্সেলোনার বিপক্ষে পরবর্তী ম্যাচে এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে দলে পাবে না মাদ্রিদের দলটি।
কোররেয়া মাঠ ছাড়ার পরপরই মাউরো আরামবারির গোলে সমতায় ফেরে গেতাফে। এরপর যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে আরও এক গোল করে সমর্থকদের আনন্দে ভাসান তিনি।
দশ মিনিটের যোগ করা সময় ১১ মিনিটে গিয়ে শেষ হলেও পরে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি আতলেতিকো মাদ্রিদ। ফলে হার নিয়েই ঘরে ফিরতে হয়েছে তাদের।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টাইন স্পাইডারম্যানের গোলে শীর্ষে উঠল আতলেতিকো মাদ্রিদ
২৭তম রাউন্ডের ম্যাচে শনিবার রাতে ওসাসুনার বিপক্ষে মাঠে নামার কথা ছিল বার্সেলোনার। কিন্তু ম্যাচ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে দলটির প্রধান চিকিৎসক কার্লেস মিনিয়েরো গার্সিয়ার আকস্মিক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দুই দলের অনুরোধের পর সব দিক বিবেচনায় নিয়ে ম্যাচটি স্থগিত করে লা লিগা। পরবর্তীতে ফাঁকা সূচিতে ম্যাচটির আয়োজন করা হবে বলে লা লিগার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
আগামী রবিবার বার্সেলোনার বিপক্ষে লা লিগার পরবর্তী রাউন্ডে মাঠে নামবে আতলেতিকো। তার আগে আসছে বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফিরতি লেগে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে আতিথ্য দেবে দলটি।
২৮১ দিন আগে
ফাইনালে ভারতের সামনে নিউজিল্যান্ডের লড়াকু পুঁজি
শুরুতে রাচিন রবীন্দ্রর উড়ন্ত শুরুর পর ভারতের স্পিনারদের দাপট, এরপর শেষের দিকে ফের কিউই ব্যাটারদের ঘুরে দাঁড়ানোয় লড়াকু পুঁজি পেয়েছে নিউজিল্যান্ড।
রবিবার (৯ মার্চ) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক মিচেল সান্টনার। এরপর ড্যারিল মিচেলের ধৈর্যশীল ইনিংস ও মিচেল ব্রেসওয়েলের ক্যামিওতে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করেছে দলটি।
দুবাইয়ের এই পিচে যে আড়াই শ বা তার আশপাশে তোলা সংগ্রহ প্রতিপক্ষের জন্য ভালো একটি চ্যালেঞ্জ, তা এই টুর্নামেন্টে ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত অন্যান্য ম্যাচগুলো থেকেই স্পষ্ট। এই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে প্রথম ইনিংসে আড়ই শ-ও করতে ব্যর্থ হয় ভারত (২৪৯)। এমনকি ওই রান করেও কিউইদের বিপক্ষে ৪৪ রানে জেতে তারা।
আরও পড়ুন: কোহলির সেঞ্চুরি, পাকিস্তানকে বিপদে ঠেলে সেমির পথে ভারত
এদিন পুরো ম্যাচজুড়ে দেখা গেছে ভারতীয় স্পিনারদের দাপট। দুই পেসার— মোহাম্মদ শামি ও হার্দিক পান্ডিয়া যেখানে ১২ ওভার বোলিং করে এক উইকেটের বিনিময়ে গড়ে ৮.৬৭ রান রেটে ১০৪ রান দিয়েছেন, সেখানে ৩৮ ওভারে ১৪৭ রান দিয়ে পাঁচটি উইকেট তুলে নেন স্পিনাররা। তাদের ইকোনমিক রেটও চোখে পড়ার মতো; ৩৮ ওভারে গড়ে ৩.৮৭ রান রেটে বোলিং করেছেন কুলদীপ, বরুণ, অক্ষর ও জাদেজারা।
ফাইনাল ম্যাচে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ডকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন রাচিন, আর তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন অপর ওপেনার উইল ইয়াং। এই দুই ব্যাটারের কল্যাণে টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে প্রথমবার কোনো দল প্রথম উইকেটজুটিতে ৫০ বা তার বেশি রান করতে সক্ষম হয়।
এরপর অষ্টম ওভারের পঞ্চম বলে বরুণ চক্রবর্তীর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ইয়াং। ফেরার আগে ২৩ বলে ১৫ রান করেন তিনি।
ইয়াং ফিরে গেলে কেইন উইলিয়ামসনকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতে স্কোরবোর্ডে ৬৯ রান তোলেন রাচিন। কিন্তু ব্যক্তিগত ২৮ ও ২৯ রানে পরপর দুবার জীবন পেয়েও ইনিংস খুব বেশি লম্বা করতে পারেননি তিনি। পাওয়ার প্লের পর প্রথম ডেলিভারিতেই কুলদীপের বলে বোল্ড হয়ে যান এই ব্যাটার। ২৯ বলে একটি ছক্কা ও চারটি চারের সাহায্যে ৩৭ রান করে ফিরতে হয় তাকে।
এরপর পাওয়ার প্লে শেষ হতেই আসে আরেক ধাক্কা, ত্রয়োদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপের কাছে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে যান উইলিয়ামসনও।
পটাপট দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড, আর এই সুযোগে স্পিন অ্যাটাক দিয়ে দলটির ব্যাটারদের কাবু করে ফেলেন রোহিত শর্মা।
এ সময় টম ল্যাথামকে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন ড্যারিল মিচেল। তবে দলীয় ১০৮ রানের মাথায় ৩০ বলে মাত্র ১৪ রান করে ফিরে যেতে হয় ল্যাথামকেও। লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে তাকে বধ করেন রবীন্দ্র জাদেজা।
পরে গ্লেন ফিলিপসের সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি গড়েন মিচেল। তবে ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৪.৩ ওভার থেকে আসে ওই রান। মূলত প্রথম পাওয়ার প্লের পর থেকেই নিউজিল্যান্ডের রানের গতি একেবারে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে ফাইনালে ভারত
দলীয় ১৬৫ রানে বরুণের বলে ফিলিপসও বোল্ড হয়ে গেলে ক্রিজে আসেন মিচেল ব্রেসওয়েল। তাকে নিয়ে ভালো সংগ্রহের দিকে এগোতে থাকেন ড্যারিল মিচেল। দুই ব্যাটারই এ সময় রান তোলায় মনোযোগী হন। তবে ব্রেসওয়েলের সঙ্গে বেশিক্ষণ থাকা হয়নি মিচেলের। ইনিংসের ২৬ বল বাকি থাকতে তাকে ফেরান শামি। আর এর মধ্য দিয়ে ১০১ বলে ৬৩ রানের ধৈর্যশীল একটি ইনিংসের পরিসমাপ্তি হয়।
পরবর্তীতে ব্রেসওয়েলের ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রানের ইনিংসে ২৫১ রান তুলে বিরতিতে যায় নিউজিল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ২৫১/৭ (মিচেল ৬৩, ব্রেসওয়েল ৫৩*, রাচিন ৩৭; কুলদীপ ২/৪০, বরুণ ২/৪৫)।
২৮১ দিন আগে
দুর্দান্ত বায়ার্নের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল লেভারকুজেন
সেই ২০২২ সালের অক্টোবরে শাবি আলোনসো দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বুন্দেসলিগায় দাপট দেখানো বায়ার্নের বিপক্ষে অজেয় হয়ে উঠেছিল লেভারকুজেন। তবে আড়াই বছরের বেশি সময় পর দলটি এমনভাবে হারল যে তা অসহায় আত্মসমর্পণের মতো হয়ে গেল।
আলিয়ান্স আরেনায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে বায়ের লেভারকুজেন।
এই হারের ফলে দলটির কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার স্বপ্নও মলিন হয়ে গেছে। টুর্নামেন্টে নিজেদের যাত্রা আরও দীর্ঘায়িত করতে হলে আগামী মঙ্গলবার ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে অসাধ্য সাধন করতে হবে আলোনসোর শিষ্যদের।
এদিন ম্যাচে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়ে তুলতে পারেনি লেভারকুজেন। ম্যাচজুড়ে মাত্র ৩৫ শতাংশ পজেশন ধরে রাখা লেভারকুজেন প্রথমার্ধে তিনটি শট নিয়ে একটি লক্ষ্যে রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধে কোনো শটই নিতে পারেনি। অন্যদিকে, ৬৫ শতাংশ সময় বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ রেখে ম্যাচজুড়ে মোট ১৭টি শট নেয় বায়ার্ন। এর মধ্যে লক্ষ্যে রাখা ৬টি শটের তিনটি থেকে গোল আদায় করে নেয় তারা।
ম্যাচের নবম মিনিটেই হ্যারি কেইনের গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। ওই এক গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করার পর দ্বিতীয়ার্ধে (৫৪তম মিনিটে) ব্যাবধান বাড়ান জামাল মুসিয়ালা।
এর আট মিনিট পর দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে নর্ডি মুকিয়েলে মাঠ ছাড়লে বাকি সময়ের জন্য ১০ জনের দলে পরিণত হয় লেভারকুজেন। পরে পেনাল্টি থেকে তৃতীয় গোলটি করে আলোনসোর শিষ্যদের আরও হতাশ করেন কেইন।
দিনের অপর ম্যাচে শুরুর দিকে দশজনের দলে পরিণত হয়েও বেনফিকার মাঠ থেকে ১-০ গোলে জিতে ঘরে ফিরেছে বার্সেলোনা। এছাড়া, ম্যাচ একপেশে করে ফেলেও লিভারপুলের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছে পিএসজি।
এর আগে, দিনের প্রথম ম্যাচে ফেয়েনুর্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টারের পথ পরিষ্কার করেছে ইন্টার মিলান।
আরও পড়ুন:
> অসীম ধৈর্য্য ও স্টান্সনির কৃতিত্বে জিতে ফিরল দশজনের বার্সেলোনা
> ২৭ শট নিয়েও ব্যর্থ পিএসজি, লিভারপুলের বাজিমাত
> ফেয়েনুর্ডকে হারিয়ে শেষ আটে এক পা ইন্টারের
২৮৫ দিন আগে
২৭ শট নিয়েও ব্যর্থ পিএসজি, লিভারপুলের বাজিমাত
ম্যাচজুড়ে ২৭টি শট নিয়ে তার দশটি লক্ষ্যে রেখেও গোল আদায় করতে পারল না প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি), অন্যদিকে মাত্র দুটি শটের একটি লক্ষ্যে রেখেই বাজিমাত করে এগিয়ে গেল লিভারপুল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হাইভোল্টেজ ম্যাচটির সারাংশ অনেকটা এমনই।
প্যারিসে বুধবার নিজেদের মাঠে লিভারপুলের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে লুইস এনরিকের দল।
ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে গোল করে উল্লাসে ফেটে পড়েন হার্ভি এলিয়ট। বদলি নামার ৪৭ সেকেন্ড পরই গোল করে আর্নে স্লটের তুরুপের তাস বনে যান ২১ বছর বয়সী এই ইংলিশ স্ট্রাইকার।
প্রিমিয়ার লিগে চলতি মৌসুমে আট ম্যাচ খেলে একটিও গোল করতে না পারা এলিয়ট চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৫ ম্যাচ মাঠে নেমেই তিনটি গোল করে ফেললেন।
আরও পড়ুন: ফেয়েনুর্ডকে হারিয়ে শেষ আটে এক পা ইন্টারের
এছাড়া চলতি মৌসুমে আগুনঝরা ফুটবল উপহার দিয়ে চলা মোহাম্মদ সালাহ এদিন ছিলেন একেবারে নিষ্প্রভ। ছয় সপ্তাহ পর তিনি প্রথমবার কোনো ম্যাচে গোল বা অ্যাসিস্ট—কোনোটিই করতে ব্যর্থ হলেন।
তবে ৫-৬টি দুর্দান্ত সেভের পাশাপাশি মোট ৯টি সেভ করে লিভারপুরের জয়ে বড় অবদান রাখেন গোলরক্ষক আলিসন বেকার।
এই জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইংলিশ ক্লাবটির অজেয় যাত্রা অব্যাহত রইল। এ পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে তার মাত্র একটি ড্র করে বাকি আট ম্যাচই জিতে নিয়েছে লিভারপুল।
অন্যদিকে, সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ২০ ম্যাচ (১৮ জয়, ২ ড্র) অপরাজিত থাকার পর অবশেষে হারের তেতো স্বাদ পেল পিএসজি।
অবশ্য ম্যাচের ২০তম মিনিটে একটি গোল পেয়েছিল পিএসজি, কিন্তু অফসাইডের কারণে খিচা কেভারাত্সখেলিয়ার (কেভারা) সেই গোলটি বাতিল করে দেয় ভিএআর। পরে শত চেষ্টা করেও আর ভাগ্য বদলাতে পারেনি তারা।
নাটকীয় এই ম্যাচ শেষে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়ে রইল লিভারপুল। আগামী মঙ্গলবার অ্যানফিল্ডে হবে ফিরতি লেগ।
আরও পড়ুন: অসীম ধৈর্য্য ও স্টান্সনির কৃতিত্বে জিতে ফিরল দশজনের বার্সেলোনা
দিনের অপর ম্যাচে শুরুর দিকে দশজনের দলে পরিণত হয়েও বেনফিকার মাঠ থেকে ১-০ গোলে জিতে ঘরে ফিরেছে বার্সেলোনা।
এছাড়া, লিগ প্রতিদ্বন্দ্বী বায়ের লেভারকুজেনকে পাত্তাই দেয়নি বায়ার্ন মিউনিখ, ম্যাচটি তারা জিতেছে ৩-০ গোলে। এর ফলে টানা ছয় ম্যাচ ব্যর্থ হওয়ার পর শাবি আলোনসোর দলকে অবশেষে হারাতে সক্ষম হয়েছে ভিনসেন্ট কোম্পানির শিষ্যরা।
এর আগে, দিনের প্রথম ম্যাচে ফেয়েনুর্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টারের পথ পরিষ্কার করেছে ইন্টার মিলান।
২৮৫ দিন আগে
অসীম ধৈর্য্য ও স্টান্সনির কৃতিত্বে জিতে ফিরল ১০ জনের বার্সেলোনা
শুরুতেই দশজনের দলে পরিণত হয়ে গত মৌসুমের মতো আরও একবার বিপর্যয়ের আশঙ্কা জাগিয়েছিল বার্সেলোনা, তবে হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া দলটি এদিন দিল অসীম ধৈর্যে্যর পরীক্ষা। সেইসঙ্গে প্রতিপক্ষের অসংখ্য শটের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন অবসর ভেঙে বার্সেলোনায় খেলতে আসা পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চিয়েখ স্টান্সনি। সব মিলিয়ে বিপদে হাল না ছেড়ে দুরন্ত বেনফিকাকে রুখে দিয়ে জয় নিয়ে ঘরে ফিরেছে কাতালান জায়ান্টরা।
বার্সেলোনার পাওয়া লাল কার্ডের সুযোগ নিতে কতটা মরিয়া ছিল পর্তুগলের ক্লাবটি, তা পরিসংখ্যানের ওপর চোখ মেললেই স্পষ্ট হয়ে যায়। ম্যাচজুড়ে মোট ২৬টি শট নিয়ে তার আটটি লক্ষ্যে রাখে তারা। সেখানে ১০টি শটের পাঁচটি লক্ষ্যে রাখতে পারে বার্সেলোনা।
অবশ্য আটটি শট নিলেও সেগুলোর অধিকাংশই ছিল গোল পাওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু স্টান্সনির দৈবিক পারফরম্যান্সের সামনে বেনফিকার খেলোয়াড়দের অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে বারংবার।
আটটি গোল সেভ করে নিজেদের জাল অক্ষত রেখেও ম্যাচসেরার মুকুটটি ওঠেনি স্টান্সনির মাথায়। তবে ম্যাচের সব আলো কেড়ে নিয়ে সমালোচকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন তিনি। এছাড়া অবসর থেকে ফিরে বার্সেলোনার জার্সি গায়ে জড়িয়ে নিজের অপরাজেয় যাত্রাটি আরও একবার দীর্ঘ করে নিলেন এই গোলরক্ষক। অবসর থেকে ফেরার পর এখন পর্যন্ত গ্লাভস পরে মাঠে নেমে হারেননি তিনি।
এছাড়া, ২০০৩-০৪ মৌসুমের পর এই প্রথম কোনো বার্সেলোনা গোলরক্ষক চ্যাম্পিয়ন্স লিগের একটি ম্যাচে আটটি সেভ করে ক্লিনশিট ধরে রাখল।
এবার আসা যাক খেলার ফলাফলে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচ খেলতে লিসবনে বার্সেলোনাকে আতিথ্য দেয় বেনফিকা। রাফিনিয়ার ৬১তম মিনিটের গোলে ম্যাচটি ১-০ ব্যাবধানে জিতেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
২৮৫ দিন আগে
ফেয়েনুর্ডকে হারিয়ে শেষ আটে এক পা ইন্টারের
তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পাওয়ায় ইন্টার মিলানের কোয়ার্টার ফাইনালের পথ কিছুটা সহজ হয়ে গিয়েছিল আগেই। এবার মাঠের খেলায়ও দেখা গেল তার প্রতিফলন।
বুধবার রাতে রটারডামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্ডকে তাদের মাঠেই ২-০ গোলে হারিয়েছে ইতালিয়ান জায়ান্ট ইন্টার মিলান।
ম্যাচের দুই অর্ধে ৩৮ ও ৫০তম মিনিটে গোলদুটি করেন যথাক্রমে মার্কাস থুরাম ও লাউতারো মার্তিনেস। ৬৫তম মিনিটে একটি পেনাল্টিও পেয়েছিল দলটি, তবে সেটি গোলে পরিণত করতে ব্যর্থ হন পিওতর জেলেনস্কি।
আরও পড়ুন: আতলেতিকোর অপরাজেয় যাত্রা থামিয়ে ‘মাইলফলক’ রাঙাল রিয়াল
ম্যাচজুড়ে আধিপত্য বিস্তার করা ইন্টার এদিন ৫৮ শতাংশ সময় বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে গোলের উদ্দেশে মোট ১৩ শট নেয়, যার সাতটি লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয় দলটি।
অন্যদিকে, তুলনামূলক শক্তিশালী ইন্টারকে মোটেও ছেড়ে কথা বলেনি স্বাগতিকরা। আটটি শট নিয়ে তার পাঁচটি লক্ষ্যে রাখে তারা। তবে গোলের দেখা পায়নি কোনোভাবেই।
এই জয়ে শেষ আটের পথ সুগম হয়েছে ইতালিয়ান দলটির। দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে নিজেদের সমর্থকদের সামনে খেলার সুযোগ পাবে তারা। ফলে ওই ম্যাচটি জিতে কিংবা ড্র করে, এমনকি এক গোলের ব্যবধানে হেরে গেলেও কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে নেরাজ্জুরিদের।
২৮৫ দিন আগে
ওয়ানডে ক্রিকেটকেও বিদায় বলে দিলেন মুশফিক
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যর্থতার পর দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার প্রেক্ষাপটে এবার এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন মুশফিকুর রহিম।
বুধবার (৫ মার্চ) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্ট করে নিজের অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
ইংরেজিতে দেওয়া ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আজ থেকে ওয়ানডে সংস্করণ থেকে অবসরের ঘোষণা দিচ্ছি আমি।’
‘সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ। বৈশ্বিক পর্যায়ে আমাদের অর্জন হয়তো সীমিত, তবে একটি জিনিস নিশ্চিত যখনই আমি আমার দেশের জন্য মাঠে নেমেছি, নিবেদন ও সততার সঙ্গে নিজের শতভাগের বেশি দিয়েছি।’
এভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েই ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছিলেন মুশফিক। এবার ওয়ানডে ক্রিকেট থেকেও সরে দাাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেন তিনি।
২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল মুশফিকের। তারপর কেটে গেছে ১৯টি বছর। এর মাঝে লাল-সবুজ জার্সি গায়ে জড়িয়ে ২৭৪ ম্যাচ খেলে অবশেষে থামালেন নিজের পথচলা।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মুশফিক। ৩৬ দশমিক ৪২ গড় ও ৭৯ দশমিক ৭০ স্ট্রাইক রেটে মোট ৭ হাজার ৭৯৫ রান করেছেন এই তারকা ব্যাটার। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৯টি শতক ও ৪৯টি অর্ধশতক।
তার বিদায়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের এমন একটি অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হলো যেখানে গৌরব, অর্জন, প্রাপ্তি যেমন আছে, তেমনই আছে কিছু ব্যর্থতা আর হতাশার ছোঁয়াও।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অনেক ভরসা করা হয়েছিল মুশফিকের ওপর। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের প্রথম বলেই আউট হন তিনি। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিদায় নেন মাত্র ২ রান করে। ওই ম্যাচে বাজে শটে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। দলের ব্যর্থতায় আঙুল ওঠে অভিজ্ঞতম ব্যাটসম্যান মুশফিকের দিকে। আর এতে তার ওয়ানডে ক্যারিয়ার পড়ে যায় প্রশ্নের মুখে। নতুন বছরে বিসিবি তাকে ওয়ানডের চুক্তিতে রাখবে কিনা তা নিয়েও তৈরি হয় সংশয়।
শুধু এই টুর্নামেন্টে নয়, বেশ কিছুদিন ধরেই প্রত্যাশার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছিল না তার পারফরম্যান্সে। সবশেষ ১৪ ইনিংসে তার ব্যাট থেকে ফিফটি এসেছে মাত্র একটি। এর সাত ইনিংসেই আউট হয়েছেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগে।
২০২৭ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী বিশ্বকাপের সময় তার বয়স হবে ৪০। বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তাকে রাখা হবে কি না, দল গোছানোর জন্য (মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের পেছনে রেখে) সামনে তাকানো উচিত কি না—গত কিছুদিন ধরেই দেশের ক্রিকেটে চলছে এসব নিয়ে আলোচনা।
গত সোমবার বিসিবির সভা শেষে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন এসব প্রশ্নের জবাবেই বলেন, ‘আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর খেলা কঠিন।’ বোর্ডের মনোভাবের আভাস মিলে যায় সেখানেই। তারই ধারাবাহিকতায় এলো মুশফিকের এই সিদ্ধান্ত।
সময়ের ডাক যে মুশফিক নিজেও শুনতে পারছিলেন, বিদায়ী বার্তায় ফুটে উঠেছে তা-ও।
‘গত কয়েক সপ্তাহ আমার জন্য ছিল ভীষণ চ্যালেঞ্জিং এবং উপলব্ধি করতে পেরেছি যে, এটিই আমার নিয়তি।’
‘সবশেষে আমি গভীরভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও ভক্তদের, যাদের জন্য গত ১৯ বছর ধরে ক্রিকেট খেলেছি।’
টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে থেকে বিদায়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুশফিকের সামনে এখন শুধুই টেস্ট ক্রিকেট। এখানে বড় এক মাইলফলকের সামনে রয়েছেন তিনি। দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলার কীর্তি গড়তে আর ছয়টি টেস্টে মাঠে নামতে হবে তাকে। সব ঠিকঠাক থাকলে তা হয়ে যেতে পারে এ বছরই।
২৮৫ দিন আগে
৭-১ গোলে জয়ের রাতে রেকর্ড গড়ে কোয়ার্টারের পথে আর্সেনাল
প্রিমিয়ার লিগে টানা দুই ম্যাচ জয়বঞ্চিত থেকে খানিকটা তেঁতে ছিল আর্সেনাল। এরপর চ্যাম্পিয়ন্সি লিগে পিএসভি আইন্ডভোনকে পেয়ে যেন সব ক্ষোভ উগরে দিল মিকেল আর্তেতার দল। আর এতে করে বিরল এক রেকর্ড গড়েছে নর্থ লন্ডনের ক্লাবটি।
মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে আইন্ডহোভেনের ফিলিপস স্টেডিয়ামে খেলতে গিয়েছিল আর্সেনাল। মাঠে নেমে স্বাগতিক দলটিকে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে তারা।
এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে নকআউট পর্বে অ্যাওয়ে ম্যাচে ৭ বা তার বেশি গোল করার কীর্তি গড়ল গানাররা।
এই ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন আর্সেনাল অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ড। এছাড়া একবার করে জালের দেখা পেয়েছেন ইউরিয়েন টিম্বার, ইথান নোয়ানেরি, মিকেল মেরিনো, লিয়ান্দ্রো ত্রোসা ও রিকার্দো কালাফিওরি।
আরও পড়ুন: আতলেতিকোর অপরাজেয় যাত্রা থামিয়ে ‘মাইলফলক’ রাঙাল রিয়াল
ম্যাচের শুরু থেকেই এদিন বড় স্কোর গড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিল আর্সেনাল। এর ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ মিনিটে ডেকলান রাইস গোল পেলেও অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়।
এরপর ষোড়শ মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করে পিএসভি, কিন্তু আট গজ দূর থেকে ইসমাইল সাইবারির নেওয়া শটটি ক্রসবারে লাগে।
পিএসভির ওই আক্রমণের পরই যেন দলটিকে শাস্তি দেয় আর্সেনাল। ১৮ ও ২১তম মিনিটে টিম্বার ও নোয়ানেরির দুই গোলে এগিয়ে যায় তারা।
এরপর ৩১তম মিনিটে মেরিনো আর্সেনালের তৃতীয় গোলটি পাওয়ার পর প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে লুক ডি ইয়ংকে বক্সের মধ্যে ফেলে দিয়ে স্বাগতিকদের পেনাল্টি দিয়ে বসেন থমাস পার্তি। ৪৩তম মিনিটে তা থেকে পাওয়া স্পট কিকে এক গোল পরিশোধ করে স্কোরলাইন ৩-১-এ রেখে বিরতিতে যায় পিএসভি।
২৮৬ দিন আগে