বিশ্ব
সুইজারল্যান্ড: বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে লাখ ডলার জরিমানার মুখে চালক
সড়কে অতিরিক্ত গতির কারণে সুইজারল্যান্ডে এক অতি ধনী চালককে ৯০ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক বা ১ লাখ ১০ হাজার ডলার জরিমানা করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবর অনুযায়ী, ওই চালক লোজান শহরের এক রাস্তায় গতিসীমা অতিক্রম করে ২৭ কিলোমিটার (১৭ মাইল) প্রতি ঘণ্টা বেশি গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে এই জরিমানার মুখোমুখি হয়েছেন।
কেন এত বড় পরিমাণ জরিমানা?
জানা গেছে, ওই চালক সুইজারল্যান্ডের অন্যতম ধনী ব্যক্তি। তিনি গতিসীমা লঙ্ঘনের এই ধরনের অপরাধ বারবার করে আসছেন। ভৌদ অঞ্চলে ব্যক্তির আয়, সম্পদ ও পরিবারের আর্থিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে জরিমানা নির্ধারিত হয়।
পড়ুন: মিয়ানমারের বন্দিশিবিরগুলোতে নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ
এ অঞ্চলের বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, দারিদ্র্যগ্রস্তরা কেউ এই অপরাধের জন্য জরিমানার বদলে এক রাতের কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়, আর অতি ধনী চালকদের ক্ষেত্রে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক থেকে শুরু করে জরিমানা গুণতে হয়। সম্প্রতি এই অঞ্চলের একটি আদালত রায় অনুযায়ী, গতিসীমা লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিদের প্রথমে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক (১২ হাজার ৩০০ ডলার) জরিমানা বহন করতে হবে এবং পরবর্তী তিন বছরে অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে আরও ৮০ হাজার ফ্রাঙ্ক জরিমানা হতে পারে।
সুইজ সংবাদপত্র ‘টুয়েন্টি ফোর হিউয়ারস’ প্রথমে এই ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই চালক একজন ফরাসি নাগরিক, সুইজারল্যান্ডের শীর্ষ ৩০০ ধনী ব্যক্তির মধ্যে অন্যতম এবং তার শত মিলিয়ন ডলারের সম্পদ রয়েছে।
পুলিশের স্বয়ংক্রিয় রাডার চালককে প্রতি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) গতিসীমায় ৭৭ কিমি প্রতি ঘণ্টার গতি রেকর্ড করতে দেখেছে। এরপরই আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ জরিমানা হিসাব করা হয়।
পড়ুন: সেই ‘সুপারম্যান’ এখন মার্কিন অভিবাসন এজেন্ট
ভৌদ অঞ্চলের পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসের মুখপাত্র ভিনসেন্ট ডেরৌয়া জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি জানাননি। ঘটনা ঘটেছে গত বছরের আগস্টে এবং চলতি বছরের জুনে জরিমানার রায় দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ওই চালককে ৮ বছর আগেও একই ধরনের অপরাধের জন্য ১০ হাজার ফ্রাঙ্ক জরিমানা করা হয়েছিল।
সুইজারল্যান্ডে গতিসীমা লঙ্ঘনের জরিমানা সবার জন্যই কঠোর, এমনকি পুলিশের জন্যও। ২০১৬ সালে জেনেভা শহরের এক পুলিশকর্মী চোর ধারার প্রায় দ্বিগুণ গতিতে গাড়ি চালানোর অপরাধে জরিমানা গুণেছিলেন।
১২৪ দিন আগে
মিয়ানমারের বন্দিশিবিরগুলোতে নির্যাতনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ
জাতিসংঘ সমর্থিত একটি স্বাধীন তদন্ত দল মিয়ানমারের বিভিন্ন বন্দিশিবিরগুলোতে গত এক বছরে সুনিয়ন্ত্রিত নির্যাতন ও যৌন সহিংসতার ব্যাপক প্রমাণ পেয়েছে। নির্যাতনের ধরনগুলোর মধ্যে রয়েছে বৈদ্যুতিক শক, গলাকাটা, গণধর্ষণ ও যৌনাঙ্গ দাহসহ নানা অবর্ণনীয় বর্বরতা।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) আন্তর্জাতিক এই স্বাধীন তদন্ত দলটির সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানান দলের প্রধান নিকোলাস কোউমজিয়ান। প্রতিবেদনে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মিয়ানমার ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকার থেকে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে গৃহযুদ্ধের কবলে পড়েছে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের ওপর নির্মম নিগ্রহের পর সামরিক শাসনের বিরোধীরা অস্ত্র হাতে নিয়েছেন এবং বর্তমানে দেশটির বৃহৎ অংশে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।
তদন্ত দল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের শনাক্তকরণে বেশ অগ্রগতি করেছে। এসব নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বন্দি ক্যাম্পগুলো অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার যোদ্ধা ও নিরীহ বেসামরিকদের নির্বিচারে হত্যা করেছে। এসব হত্যাকাণ্ডে সামরিক বাহিনী, যুক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং বিরোধী সংগঠনের সদস্যরা জড়িত।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের আটক কেন্দ্রগুলোতে লাঠি দিয়ে মারধর, চালানো, বৈদ্যুতিক শক দেওয়া, গলাকাটা, গণধর্ষণ, যৌনাঙ্গ দাহসহ অন্যান্য যৌন সহিংসতার ঘটনা নিয়মিত ঘটছে।
নিকোলাস কোউমজিয়ান বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে মিয়ানমারে বর্বরতার মাত্রা ও ঘনত্ব বাড়ছে। আমরা প্রত্যাশা করি শীঘ্রই এই অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। আমরা চোখ দেখা ও অন্যান্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছি, যা মিয়ানমারের বন্দি ক্যাম্পগুলোতে নির্যাতনের প্রমাণে যথেষ্ট।’
পড়ুন: তহবিল সংকটে বর্ষায় স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রোহিঙ্গারা: জাতিসংঘ
তদন্ত দল দেশটির রাখাইন রাজ্যের সংঘর্ষ ও নির্যাতনের বিষয়ে নতুন অনুসন্ধান শুরু করেছে, যেখানে বর্তমানে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও বিরোধী আরাকান আর্মির মধ্যে লড়াই চলছে।
২০১৭ সালে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। গত বছর রাখাইনের সংঘর্ষ বৃদ্ধির কারণে আরও প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
২০১৮ সালে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের অধীনে প্রতিষ্ঠিত ‘মিয়ানমার স্বাধীন অনুসন্ধান যন্ত্র’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে আসছে। এই দল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ও জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা সংক্রান্ত মামলার প্রমাণাদি সরবরাহ করেছে।
১২৫ দিন আগে
রাশিয়াকে ভুখণ্ড দিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত, ট্রাম্পের কূটনীতিতে পূর্ব ইউক্রেনে আতঙ্ক
ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে যেকোনো চুক্তিতে যেতে উভয় পক্ষকেই কিছু ভূখণ্ড ছাড়তে হতে পারে ইঙ্গিত দিয়েছে ওয়াশিংটন। এতে করে এক অজানা ভয় জেঁকে বসেছে ইউক্রেনীয়দের মনে।
আগামী শুক্রবার (১৫ আগস্ট) আলাস্কা সম্মেলনে ইউক্রেন ভূখণ্ড নিয়ে সম্ভাব্য চুক্তির আলাপ কী পরিণতি নিয়ে আসবে, সেই শঙ্কায় দিন কাটছে পূর্ব ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার বাসিন্দাদের।
তেমনই একটি স্থান স্লোভিয়ানস্ক। ছোট্ট লবণাক্ত হ্রদের তীরে অবস্থিত এই শহরটি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্ক অঞ্চলে অবস্থিত।
স্লোভিয়ানস্ক থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরেই রাশিয়া-ইউক্রেনের সম্মুখ যুদ্ধ চলছে। তা সত্ত্বেও এই জায়গাটুকু যুদ্ধের ভয়াহতা থেকে কিছুটা শান্তি এনে দেয়। তবে আলাস্কায় আদৌ কোনো চুক্তি হবে কিনা, হলেওে তার কার্যকারিতা নিয়ে সন্দিহান স্থানীয় বাসিন্দারা।
লবণাক্ত হ্রদে নামতে নামতে স্থানীয় সাংবাদিক মিখাইলো সিএনএনকে বলেন, ‘মনে হয় আমি যেন এই বাস্তবতা থেকে ভেসে দূরে চলে যাচ্ছি!’
তবে এই শান্ত সৈকতও তার মনে একটি আতঙ্ক জন্ম দিয়েছে। কারণ ডনবাসের যেসব এলাকা এখনো রাশিয়া নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি, সেসব এলাকার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের কাছে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে ক্রেমলিন। এতে স্লোভিয়ানস্কসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকা হুট করেই মস্কোর ভুখণ্ডে পরিণত হতে পারে।
মিখাইলো বলেন, ‘আমরা অনেক বন্ধুই এখানেই থাকতে চান, তবে আমাদের হয়তো এই জায়গাটি ছাড়তে হবে।’ তাই ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তড়িঘড়ি করে যে চুক্তি করতে চাইছেন ট্রাম্প, আপাত দৃষ্টিতে তা রাশিয়ার জন্য লাভজনক বলে মনে হলেও স্থানীয়দের মতামতের কারণে পরিস্থিতি জটিল হয়ে যেতে পারে। এতে চুক্তিটির বাস্তবায়ন ব্যর্থ হতে পারে বলে মনে করেন মিখাইলো।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে পুতিনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
ট্রাম্পের প্রতি হতাশা নিয়ে এই যুবক আরও বলেন, একের পর পর এক ইউক্রেনীয় যে প্রাণ হারাচ্ছেন তা নিয়ে ট্রাম্পের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। বরং তিনি কাঁদামাটি থেকে রুশ প্রেসিডেন্টকে টেনে তুলে বলছেন, ‘পুতিন আমি তোমার সঙ্গে কথা বলতে চাই। আমি তোমাকে পছন্দ করি।’
দুই বছর আগে ল্যান্ডমাইনে পা দেওয়ায় আহত ল্যুডমিলারের শারীরিক কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করে এই লবণাক্ত হ্রদ। তিনি বলেন, ‘তারা যে এসব কূটনীতির কথা বলে, সবই আসলে লোক দেখানো। তারা চিন্তা করে এক, বলে আরেক, আর করে অন্যকিছু। রাজনীতি সবসময়ই এমন।’
আলাস্কা সম্মেলনে দোনেৎস্ক অঞ্চল নিয়ে যে প্রস্তাব দেওয়া দেওয়া হয়েছে, তা পুরোপুরি বিভ্রান্তিকর আখ্যা দিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই প্রত্যাখ্যান করেছে কিয়েভ। সেই সঙ্গে এই চুক্তির খবর যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের জীবনকে আরও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
১২৫ দিন আগে
চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধবিরতি আরও ৯০ দিন বাড়ালেন ট্রাম্প
চীনের ওপর পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপসহ অন্যান্য বাণিজ্যনীতি কার্যকর করার দিনক্ষণ আরও ৯০ দিনের জন্য পিছিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পক্ষান্তরে একই ধরনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে চীনও। এতে করে বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ কিছুদিনের জন্য হলেও বিরতি পেয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (১১ আগস্ট) ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান ট্রাম্প।
পোস্টে তিনি জানান, বাণিজ্য যুদ্ধবিরতি ৯০ দিন বাড়িয়ে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তিনি। তবে এটি ছাড়া চুক্তির অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেইজিং থেকেও বাণিজ্য যুদ্ধবিরতির সময় বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর ফলে চীনা পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ৩০ শতাংশ শুল্কই বহাল থাকছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বাণিজ্য যুদ্ধবিরতির আগের সময়সীমা শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগেই সময় বাড়িয়ে নতুন নির্বাহী আদেশে সই করলেন ট্রাম্প। ফলে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের পরিস্থিতি আপাতত হচ্ছে না।
এই সময়ের মধ্যে দুই দেশই নিজেদের মধ্যকার মতপার্থক্যের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার সুযোগ পেল। এর মাধ্যমে এ বছরের শেষের দিকে ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে এক শীর্ষ বৈঠকের পথও সুগম হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকদের অনেকে।
এদিকে, নতুন এই সিদ্ধান্তে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায় পরিচালনাকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
চীন-যুক্তরাষ্ট্র ব্যবসায় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট শন স্টেইন বলেছেন, এই সময়সীমা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে দুই দেশের সরকার একটি বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা করার সময় পাবে।
দেশদুটির মধ্যে চুক্তি হলে তা চীনা বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ প্রবেশাধিকার বাড়াবে। সেইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোকে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করার জন্য প্রয়োজনীয় নিশ্চয়তা দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সবে তো শুরু, আরও দেখতে পাবেন: শুল্কারোপ নিয়ে ট্রাম্প
ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পরই চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের খড়গ নেমে আসে। এর জবাবে চীনও পাল্টা শুল্ক আরোপ করে। বিশেষত চীনের কাছে বিরল খনিজ ও চুম্বক থাকায় তারা একে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে।
চলতি বছরের মে মাসে চীনা পণ্যে ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কারোপ করেন ট্রাম্প। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করে চীন।
দীর্ঘমেয়াদে এই শুল্ক সংঘাত কোনো দেশের জন্যই সুখকর হতো না বলে সতর্ক করে আসছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এরপর মে মাসে জেনেভায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে শুল্ক কমিয়ে আনতে সম্মত হয় দুই দেশ। তাতে চীনা পণ্যে শুল্কহার কমিয়ে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করে যুক্তরাষ্ট্র, আর ১০ শতাংশে নামিয়ে আনে চীন।
পরে জুন মাসে উত্তেজনা প্রশমনে একটি চুক্তিতে পৌঁছায় চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। ওই সময় কম্পিউটার চিপ প্রযুক্তি ও পেট্রোকেমিক্যাল উৎপাদনে ব্যবহৃত ইথেনের ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ঘোষণা দেয় ওয়াশিংটন। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর জন্য বিরল খনিজ পাওয়ার পথ সহজ করতে রাজি হয় বেইজিং।
তবে ওয়াশিংটন ও বেইজিং বড় কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত। বিভিন্ন বিষয়ে দেশদুটির মধ্যে মতপার্থক্য রয়েই গেছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন না করলে কম্পিউটার চিপে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
আর্নল্ড অ্যান্ড পোর্টারের জ্যেষ্ঠ পর্ষদ ও যুক্তরাষ্ট্রেও চীন-বিষয়ক সাবেক মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির সহকারী ক্লেয়ার রিড বলেন, দেশদুটির মধ্যে সীমিত আকারে একটি চুক্তি হতে পারে। যেমন চীন বলবে যে তারা আরও বেশি আমেরিকান সয়াবিন কিনবে, ফেন্টানিল তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক প্রবাহ বন্ধে আরও পদক্ষেপ নেবে এবং বিরল খনিজ চুম্বকের প্রবাহ অব্যাহত রাখবে।
তবে কঠিন বিষয়গুলো থেকে যাবে এবং বাণিজ্যযুদ্ধ আগামী বহু বছর ধরে ধীরে ধীরে চলতে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক মার্কিন কূটনীতিক ও বাণিজ্য কর্মকর্তা এবং বর্তমানে ‘চায়না মুন স্ট্র্যাটেজিস’ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রধান জেফ মুন।
১২৫ দিন আগে
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আল-জাজিরার ৫ সাংবাদিক নিহত
গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার পাঁচজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় রোববার (১০ আগস্ট) গাজা উপত্যকার আল-শিফা হাসপাতালের বাইরে একটি তাঁবুতে হামলা চালালে তারা নিহত হন।
আলনজাজিরার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, নিহত সাংবাদিকরা হলেন— সংবাদদাতা আনাস আল-শরিফ ও মোহাম্মেদ কুরেইকেহ, ক্যামেরাম্যান ইব্রাহিম জাহের, মোহাম্মেদ নৌফাল এবং মোয়ামেন আলিয়া। এ হামলায় পাঁচ সাংবাদিকসহ মোট সাতজন নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
হামলার সময় তারা হাসপাতালের মূল গেইটের কাছে সাংবাদিকদের জন্য তৈরি করা একটি তাঁবুতে অবস্থান করছিলেন বলে আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আল জাজিরা। এতে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডটি ছিলো প্রেস ফ্রিডমের ওপর আরেকটি স্পষ্ট ও পূর্বপরিকল্পিত হামলা।
এই হামলার কিছুক্ষণ পরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সাংবাদিক আনাস আল-শরিফকে লক্ষ্য করে তারা হামলা চালিয়েছে। ওই সাংবাদিক হামাসের সন্ত্রাসী সেলের প্রধান হয়ে কাজ করতেন বলে দাবি করেছে তারা। এমনকি তিনি ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক ও সেনাদের ওপর রকেট হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় আইআরজিসি গোয়েন্দা প্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
এদিকে সাংবাদিকদের ওপরে হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিক সুরক্ষা কমিটি (সিপিজে) বলেছে, আল-শরীফের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েল।
সিপিজের প্রধান নির্বাহী জোডি গিন্সবার্গ বিবিসিকে বলেন, ইসরোয়েলের বহু পুরনো কৌশল এটি। যখনই তারা কোনো সাংবাদিককে হত্যা করে, এরপর দাবি তোলে ওই সাংবাদিক সন্ত্রাসী ছিলেন। যদিও এসব দাবির পক্ষে খুব কমই প্রমাণ হাজির করে তারা।
আল-জাজিরার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোহাম্মদ মোয়াওয়াদ বলেন, আল-শরীফ একজন সুপরিচিত সাংবাদিক ছিলেন। গাজা উপত্যকায় যা ঘটছে, তা বিশ্ববাসীর জানার জন্য একমাত্র কণ্ঠস্বর ছিলেন তিনি।
যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশ করে স্বাধীনভাবে সংবাদ সংগ্রহের অনুমতি দেয়নি ইসরায়েল। ফলে অনেক গণমাধ্যমই স্থানীয় সাংবাদিকদের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হয়েছে।
মোয়াওয়াদ জানান, তারা তাদের তাঁবুতেই হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন। তারা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে কাভার করছিলেন না।
তিনি আরও বলেন, বাস্তবতা হলো গাজার ভেতর থেকে যে কোনো চ্যানেলের সংবাদ পরিবেশন বন্ধ করে দিতে চায় ইসরায়েলি সরকার।
নিহত হওয়ার কিছুক্ষণ আগে এক্সে (সাবেক টুইটার) আল-শরীফ লিখেছেন, গাজা নগরীর পূর্ব ও দক্ষিণ অংশে তীব্র বোমাবর্ষণ শুরু করেছে ইসরায়েল। তার শেষ ভিডিওতে ইসরায়েলের ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এতে অন্ধকার আকাশ মুহূর্তের জন্য কমলা আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে।
বিবিসির যাচাই করে নিশ্চিত করা হামলার পরের দুটি ভয়াবহ ভিডিওতে দেখা যায়, নিহতদের মরদেহ বহন করছেন কয়েকজন।
কারও কারও মুখে শোনা যায় কুরেইকেহ-এর নাম। আর একজন মিডিয়া ভেস্ট পরা ব্যক্তি বলেন, মৃতদেহগুলোর একটি আল-শরীফের।
আরও পড়ুন: শাসক পরিবর্তনে গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় ইসরায়েল: নেতানিয়াহু
এর আগেও গাজায় আল-জাজিরার সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। পরে তারার হামাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে দাবি করেছেন। গত বছরের আগস্টে নিজ গাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছিলেন সাংবাদিক আল গোল।
সিপিজের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৮৬ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। গত মাসে গাজায় কর্মরত সাংবাদিকদের ব্যাপারে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে যৌথ বিবৃতি দেয় বিবিসি, রয়টার্স, এপি ও এএফপি।
১২৬ দিন আগে
সবে তো শুরু, আরও দেখতে পাবেন: শুল্কারোপ নিয়ে ট্রাম্প
রাশিয়ার জ্বালানি পণ্য কেনা অব্যাহত রাখা দেশগুলোর জন্য আরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি রাশিয়ার তেল কেনার অভিযোগে ভারতের ওপর তিনি অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। তবে বিষয়টি এখানেই শেষ নয় বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
স্থানীয় সময় বুধবার (১০ আগস্ট) ওভাল অফিসে এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘সবে তো শুরু, আপনারা আরও অনেক কিছু দেখতে যাচ্ছেন। আরও অনেক নিষেধাজ্ঞা (সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞা) আসতে যাচ্ছে।’
ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়ার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান ট্রাম্প।
এর আগে, শান্তিচুক্তি করার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তা না হলে এই অর্থনৈতিক শাস্তি কার্যকর হবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার তেল আমদানি করায় যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক ‘অন্যায্য ও অযৌক্তিক’: ভারত
ট্রাম্পের আগে বাইডেন প্রশাসনও রাশিয়ার ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন, তবে তাতেও যুদ্ধ থামানো যায়নি। ট্রাম্প নিজের শুল্ক হাতিয়ারকে এবার ভিন্ন আঙ্গিকে ব্যবহার করেছেন। তিনি ‘সেকেন্ডারি ট্যারিফ’ বা গৌণ শুল্কারোপ শুরু করেছেন। অর্থাৎ এই শুল্কের মাধ্যমে ট্রাম্প তৃতীয় পক্ষের দেশগুলোকে এমন একটি অবস্থানে ফেলেছেন যেখানে রাশিয়া কিংবা যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো এক পক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হবে।
শুল্কের মুখে রয়েছে চীনও
রাশিয়ার জ্বালানি পণ্যের সবচেয়ে বড় ত্রেতা হলো চীন। দেশটির সঙ্গে বর্তমানে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প। মার্কিন কর্মকর্তারা এসব আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা জানিয়েছেন। তবে তা সত্ত্বেও দেশটির ওপর নতুন করে শুল্কারোপের হুমকি দেওয়া বাদ দেননি ট্রাম্প।
তিনি বলেন, ‘আমি যাদের ওপর শুল্কারোপ করতে যাচ্ছি, চীনও তাদের মধ্যে থাকতে পারে। আমি জানি না আসলে। এই মূহুর্তে কিছু বলতে পারছি না।’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে চীনা দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ ও অযৌক্তিক একতরফা নিষেধাজ্ঞার বরাবরই বিরোধিতা করে আসছে চীন।
দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ সিএনএনকে বলেন, ‘শুল্কযুদ্ধে কোনো বিজয়ী নেই। জবরদস্তি ও চাপ প্রয়োগ কোনো সুফল বয়ে আনবে না।’
বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে আরোপিত পাল্টাপাল্টি শুল্ক কার্যকর হওয়া ঠেকিয়ে রাখতে বাণিজ্যবিরতি বাড়ানোর জন্য কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন না করলে কম্পিউটার চিপে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার থেকে তেল কেনার কারণে বুধবার (৬ আগস্ট) ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করেছেন ট্রাম্প। এর ফলে আগের ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্কসহ ভারতীয় পণ্যে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার থেকে ২১ দিন পর এই নতুন শুল্কহার কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
ভারতকেও এ বিষয়ে আগেভাগে হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তখন তার অভিযোগ ছিল, রাশিয়া থেকে তেল কিনে ইউক্রেনে হামলায় মস্কোকে সহায়তা করছে ভারত। ভারতের পর এবার যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্কের মুখে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে চীন।
১২৬ দিন আগে
যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের’ সমর্থনে বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ৪৬৬
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে যুক্তরাজ্যের ফিলিস্তিনপন্থি সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’কে ব্রিটিশ সরকার সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করার পর লন্ডনে সংগঠনটির সমর্থনে বিক্ষোভ হয়েছে। সেই বিক্ষোভ থেকে চার শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সময় শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পার্লামেন্ট স্কয়ার এবং হোয়াইটহলে বিক্ষোভরতদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাত ৯টা পর্যন্ত প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সমর্থনের অভিযোগে ৪৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ছাড়া পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলার অভিযোগে পাঁচজনসহ অন্যান্য অভিযোগে আরও আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এর আগে, গতকাল (শনিবার) বিকেলে পার্লামেন্ট স্কয়ারে ‘ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস’ নামের এক প্রচার সংগঠন এক বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে। সেখানে প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার হাতে জড়ো হয় হাজারখানেক মানুষ।
ওই সংগঠনের এক মুখপাত্র বলেন, গ্রেপ্তার ও সম্ভাব্য কারাবাসের ঝুঁকি নিয়েই বহুসংখ্যক মানুষ আজ রাস্তায় নেমেছে। (গাজায়) অব্যাহত গণহত্যায় (যুক্তরাজ্য) সরকার যেভাবে জড়িত, তাতে মানুষ কতটা ক্ষুব্ধ ও লজ্জিত— তারই প্রমাণ এই জনসমাগম।
আরও পড়ুন: তথ্য ফাঁসের পর গোপন প্রকল্পে যুক্তরাজ্যে স্থানান্তরিত হাজারো আফগান
গতকাল দুপুর ১টা নাগাদ পার্লামেন্ট স্কয়ারের বাইরের সবুজ চত্বরের পাশে প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের সমর্থকরা পোস্টার হাতে জড়ো হতে থাকে। তাদের মধ্যে এক নারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘আপনাদের সবারই প্রিয়জন আছে, কিন্তু আপনারা ভুল মানুষকে গ্রেপ্তার করছেন।’
তিনি পার্লামেন্টের দিকে নির্দেশ করে বলেন, ‘ওখানে যান। যারা গণহত্যায় জড়িত, তাদের গ্রেপ্তার করুন।’
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক নারী দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, রয়্যাল এয়ার ফোর্সের (আরএএফ) বিমানে প্যালেস্টাইন অ্যাকশন সদস্যদের কর্মকাণ্ড ছিল একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি। তা মোটেও সন্ত্রাসবাদ নয়।
তার দাবি, ওই বিমানগুলোই আসল সন্ত্রাসী। বিমানগুলো গাজায় গিয়ে শিশুদের হত্যা করেছে।
ওই নারী আরও বলেন, ‘আমি কেবল একটা কাগজের টুকরো ধরে আছি। এ তো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হতে পারে না। বরং ইচ্ছা করে ২০ লাখ মানুষকে অনাহারে রাখা হলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।’
১২৭ দিন আগে
গাজার ‘পূর্ণ দখল’ প্রস্তাব ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সম্পূর্ণ গাজা উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা।
শুক্রবার ( ৮ আগস্ট) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের বরাতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানা যায়। গাজায় প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে এই অভিযান শুরুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) গাজা দখল অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করবে। এটি গাজা পূর্ণ দখল অভিযানের প্রথম ধাপ হিসেবে ধরা হচ্ছে, যা কয়েকমাস পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিএননের খবর অনুযায়ী, আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে বাসিন্দাদের গাজা ছেড়ে চলে যাওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এই আদেশ বাস্তবায়নের জন্য উপত্যকায় ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
গাজার ভবিষ্যৎ কী?
এর আগে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল পুরো গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়।
তবে দীর্ঘমেয়াদে দখলে রাখার পরিকল্পনা নেই জানিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা গাজাকে নিজেদের দখলে রাখতে চাই না। আমরা সেখানে একটি নিরাপত্তা বলয় চাই।’
নেতানিয়াহু জানান, তিনি গাজার শাসনভার আরব বাহিনীর হাতে তুলে দিতে চান, যারা ইসরায়েলের জন্য হুমকি হবে না। গাজাবাসীকে এই ব্যবস্থা ভালো জীবন দেবে বলে মনে করেন তিনি।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, হামাসকে সরানো এবং গাজার মানুষকে মুক্ত করে সমগ্র উপত্যকাকে বেসামরিক শাসনের আওতায় আনতেই আমরা গাজার নিয়ন্ত্রণ নিতে ইচ্ছুক।’
পড়ুন: শাসক পরিবর্তনে গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় ইসরায়েল: নেতানিয়াহু
গাজা দখলের পরিকল্পনায় জাতিসংঘ ও বিশ্বনেতাদের তীব্র সমালোচনা
এদিকে, জাতিসংঘ ও বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা ইসরায়েলের নতুন এই পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেছেন।জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন, গাজা শহর দখলের পরিকল্পনা অবিলম্বে বন্ধ করা হোক।
ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের এই সিদ্ধান্ত ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের গাজায় গণহত্যা ঠেকানোর আদেশের অবমাননা হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এই পরিকল্পনাকে ‘মারাত্মক ভুল’ আখ্যা দিয়ে ইসরায়েলকে ‘তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার’ আহ্বান জানিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের এমন পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, স্পেন ও নেদারল্যান্ডস।
সূত্র: বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা
১২৯ দিন আগে
সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করলেন রুশনারা আলী
সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেছেন যুক্তরাজ্যের গৃহহীনতা-বিষয়ক মন্ত্রী ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রাজনীতিক রুশনারা আলী। পুরোনো ভাড়াটিয়াকে সরিয়ে ব্যক্তিগত একটি সম্পত্তির ভাড়া রাতারাতি ৭০০ পাউন্ড বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর সমালোচনার মুখে এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিট তার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বুধবার সন্ধ্যায় আবাসন-বিষয়ক দাতব্য সংস্থা ও বিরোধী দলগুলোর তীব্র সমালোচনার কয়েক ঘণ্টা পর পদত্যাগের ঘোষণা দেন রুশনারা। বাড়িটি বিক্রি না হওয়ার পর বেশি দামে পুনরায় ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত এবং ভাড়াটেদের উচ্ছেদের ঘোষিত কারণের মধ্যে বিরোধিতা নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য তিনি চাপে ছিলেন।
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি রুশনারা আলী। গত বছর লেবার পার্টি সরকার গঠনের পর গৃহায়ন, কমিউনিটি ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারি হন তিনি।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ‘দ্য আই পেপার’ এর এক প্রতিবেদনে এই বিতর্ক শুরু হয়। তাতে বলা হয়, গত নভেম্বর মাসে রুশনারা আলীর পূর্ব লন্ডনের বাড়িটির ভাড়াটেদের জানানো হয়েছিল, তাদের নির্দিষ্ট মেয়াদের চুক্তি নবায়ন করা হবে না, কারণ বাড়িটি বিক্রির জন্য তোলা হচ্ছে। এরপরই ওই সম্পত্তিটি ভাড়া দিতে পুনরায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। তবে আগের ভাড়ার চেয়ে মাসিক ৭০০ পাউন্ড বেশি চাওয়া হয়।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ভাড়াটেদের অধিকার-সংক্রান্ত এমন একটি আইন আগামী বছর কার্যকর হওয়ার কথা যেখানে সম্পত্তি বিক্রির জন্য ভাড়াটেদের উচ্ছেদ করে পরে বেশি ভাড়ায় পুনরায় ভাড়া দেওয়া যাবে না। তাছাড়া নির্দিষ্ট মেয়াদে ভাড়ার চুক্তিও করা যাবে না।
আরও পড়ুন: অবশেষে পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক
রুশনারা আলীকে নিয়ে এই বিতর্কের পর প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সমালোচনা করে কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান কেভিন হলিনরেক বলেন, তিনি ‘ভণ্ডামি ও স্বার্থসেবামূলক’ একটি সরকার পরিচালনা করছেন। রুশনারার পদত্যাগকে সঠিক সিদ্ধান্ত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
এদিকে রুশনারার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভাড়াটেরা তাদের নির্দিষ্ট মেয়াদের চুক্তি অনুযায়ী ছিলেন। সম্পত্তি বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে থাকতে পারেন বলেও জানানো হয়েছিল, কিন্তু ভাড়াটেরা সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি এবং সম্পত্তি ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
পদত্যাগপত্রে যা লিখেছেন
কিয়ের স্টারমারকে লেখা পদত্যাগপত্রে রুশনারা আলী লিখেছেন, তিনি সব আইনি বাধ্যবাধকতা মেনে চলেছেন এবং গুরুত্ব সহকারে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি পদে থাকলে বিষয়টি সরকারের উচ্চাভিলাষী কাজ থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেবে। তাই তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পদত্যাগের পর রুশনারার শ্রম ও নিবেদনের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী স্টারমার। তার অনুপস্থিতি হাউজিং, কমিউনিটি ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আশাপ্রকাশ করেন, রুশনারা আলী পেছন থেকে সরকারে সমর্থন অব্যাহত রাখবেন এবং বেথনাল গ্রিন ও স্টেপনি আসনের জনগণের সেবা করে যাবেন।
এর আগে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আরেক এমপি টিউলিপ সিদ্দিকও সরকার থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। এই ঘটনা সরকারি পদে থাকা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ক্রমবর্ধমান সমালোচনার তালিকায় আরেকটি সংযোজন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে টিউলিপের চিঠি
২০১০ সালে লেবার পার্টির মনোনয়নে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি হওয়ার গৌরব অর্জন করেন রুশনারা। গতবছরের নির্বাচনে তিনি টানা পঞ্চমবারের মত পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন।
রুশনারার জন্ম ১৯৭৫ সালে সিলেটে। মাত্র সাত বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে চলে যান লন্ডনে।
বাংলাদেশে রুশনারার পৈতৃক নিবাস সিলেটের বিশ্বনাথের বুরকি গ্রামে। রাজনীতি, অর্থনীতি ও দর্শন পড়েছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে। তিনি পরামর্শক সংস্থা ইয়ং ফাউন্ডেশনের সহযোগী পরিচালক।
১২৯ দিন আগে
শাসক পরিবর্তনে গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় ইসরায়েল: নেতানিয়াহু
ইসরায়েল পুরো গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়, তবে দীর্ঘমেয়াদে ধরে রাখতে চায় না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হামাসকে সরিয়ে গাজার শাসনভার আরব বাহিনীর হাতে তুলে দিতে চান তিনি।
তবে এমন পদক্ষেপের বাস্তবায়ন ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানি, বাস্তুচ্যুতি ও গাজায় এখন পর্যন্ত আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের জীবনের ঝুঁকি বাড়াবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব বলেন তিনি।
গাজা পুরোপুরি দখলে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, ‘নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, হামাসকে সরানো এবং গাজার মানুষকে মুক্ত করে সমগ্র উপত্যকাকে বেসামরিক শাসনের আওতায় আনতেই আমরা গাজার নিয়ন্ত্রণ নিতে ইচ্ছুক।’
‘আমরা গাজাকে নিজেদের দখলে রাখতে চাই না। আমরা সেখানে একটি নিরাপত্তা বলয় চাই।’
নেতানিয়াহু জানান, তিনি গাজার শাসনভার আরব বাহিনীর হাতে তুলে দিতে চান যারা ইসরায়েলের জন্য হুমকি হবে না। গাজাবাসীকে এই ব্যবস্থা ভালো জীবন দেবে বলে মনে করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেতানিয়াহু পুরো গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার অনুমোদন পাওয়ার আশা করছিলেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো। তবে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার যেকোনো প্রস্তাবে পূর্ণ মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেতে হবে। তবে রবিবারের আগে তেল আবিববের পূর্ণ মন্ত্রিসভার বৈঠক হবার সম্ভাবনা কম।
আরও পড়ুন: স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত অস্ত্র ত্যাগ করবে না হামাস
এদিকে, গত ২২ মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে নেতানিয়াহুর নতুন এই পরিকল্পনার খবর আসার পর গাজায় বাস্তুচ্যুতদের একটি শিবিরে থাকা মাইসা আল-হেইলা নামে এক ফিলিস্তিনি বলেন, ‘দখল করার মতো কিছুই আর বাকি নেই। গাজা বলে কিছু আর অবশিষ্ট নেই।’
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, গাজায় দুই ধাপের একটি অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সেখানকার প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। মধ্য গাজায় বেসামরিক অবকাঠামো স্থাপনের জন্য সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে এই পরিকল্পনা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।
ইসরায়েলের চ্যানেল ১২–এর তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘমেয়াদি দখল নিয়ে আশঙ্কায় থাকা সামরিক শীর্ষ কর্মকর্তাদের সন্তুষ্ট করতে এই প্রস্তাবকে পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের বদলে সীমিত অভিযান হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আবার কিছু ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য হামাসকে আলোচনায় ফেরাতে চাপ সৃষ্টি করা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা খোলা চোখে ভিয়েতনাম মডেলের দিকে এগোচ্ছি।’
এদিকে, ইসরায়েলের এই পরিকল্পনাকে যুদ্ধবিরতি আলোচনার বিরুদ্ধে ‘প্রকাশ্য অভ্যুত্থান’ বলে অভিহিত করেছে হামাস।
হামাস কর্মকর্তা ওসামা হামদান আল জাজিরাকে বলেছেন, গাজা শাসনের জন্য গঠিত যেকোনো বাহিনীকে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত ‘দখলদার বাহিনী’ হিসেবেই গণ্য করবে।
এই পরিকল্পনার বিষয়ে জর্ডানের এক সরকারি সূত্র জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনিরা যা চাইবে, আরব দেশগুলো তাতেই সম্মতি দেবে। তাছাড়া গাজার নিরাপত্তা ‘বৈধ ফিলিস্তিনি প্রতিষ্ঠানের’ দ্বারাই পরিচালিত হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আমরা ধীরে ধীরে মরে যাচ্ছি: ক্ষুধার্ত গাজাবাসীর আর্তনাদ
নেতানিয়াহু এমন এক সময়ে এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন, যখন গাজা যুদ্ধ থামাতে এবং সেখানে আরও মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ছে।
গাজার মানবিক পরিস্থিতি ইতোমধ্যে ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছেছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা।
এমন পরিস্থিতিতে গাজা উপত্যকা নিয়ে নেতানিয়াহুর নতুন এই পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবায়িত হবে এবং এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলে কি ধরনের প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে, তা-ই এখন দেখার বিষয়।
১২৯ দিন আগে