বিনোদন
স্কুইড গেম সিজন-২: জনপ্রিয় যেসব চরিত্র
একসঙ্গে ৭টি পর্বে মুক্তি পেলো বহুল প্রতীক্ষিত কোরিয়ান ধারাবাহিক স্কুইড গেমের দ্বিতীয় কিস্তিটি। গত বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) নেটফ্লিক্সে একসঙ্গে ৭টি পর্বে মুক্তি পায় ধারাবাহিক স্কুইড গেমের দ্বিতীয় কিস্তিটি।
হোয়াং ডুং-হিয়কের পরিচালনায় খেলাকে ঘিরে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে প্রতিটি চরিত্রের সুখ-দুঃখ, হতাশা ও আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে পরিপূর্ণ জটিল মনস্তত্ত্ব। প্রথম কিস্তির মতো এবারেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে থ্রিলার সিরিজটির বৈচিত্র্যপূর্ণ চরিত্রগুলো। চলুন, সেগুলোর মধ্য থেকে সর্বাধিক জনপ্রিয় ৮টি চরিত্রের নানা দিক সম্বন্ধে পর্যালোচনা করা যাক।
স্কুইড গেম সিজন ২-এর শীর্ষ ৮টি চরিত্র
.
সংগি-হন: প্লেয়ার ৪৫৬| লি ঝুং-জে
বিজয়ী হিসেবে বেঁচে থাকা একমাত্র ব্যক্তি সং গি-হন তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে খুঁজে চলেছে বেনামী ‘রিক্রুটার’কে। উদ্দেশ্য একটাই, আর তা হচ্ছে অমানবিক স্কুইড গেমকে ধ্বংস করা। দ্বিতীয় সিজনে তার এক বিস্ময়কর এবং অনুপ্রেরণাদায়ক রূপান্তর দেখা গেছে। আর তা হচ্ছে- এক সময়ের ঋণগ্রস্ত জুয়ারি থেকে পাল্টে গিয়ে আবেগপ্রবণ ও নৈতিক দ্বন্দ্বে জর্জরিত ব্যক্তির আগমন। ইল-নাম (প্লেয়ার ০০১)’কে রক্ষা করা থেকে শুরু করে পুরো সিস্টেমের বিরুদ্ধে তার একাকী ভূমিকা প্রধান চরিত্র হিসেবে ন্যায্যতা পেয়েছে। কোমলতা ও অটল সংকল্পের নিবিষ্ট মেলবন্ধনের চিত্রায়নের জন্য থ্রিলারপ্রেমিরা আলাদাভাবে মনে রাখবেন লি ঝুং-জে’কে।
আরো পড়ুন: কবে আসছে ‘স্কুইড গেম: সিজন ৩’?
কিম ঝুন-হি: প্লেয়ার ২২২| ঝো ইউ-রি
পেছনের গল্পটা না জানা গেলেও গর্ভবতী অবস্থায় টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া কিম ঝুন-হি বেশ শক্তিশালী একটি চরিত্র। সহ প্রতিযোগী লি মাইয়ং-গি’র পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টি তার নৈতিক অবস্থানকে বিশেষায়িত করে। এছাড়াও কিম ইয়ং-মি’র ভাগ্য নির্ধারণের দৃশ্যগুলোতে কিম ঝুন-হি’র বাস্তববাদী চিন্তা চরিত্রটিতে নতুন পর্যায় যোগ করে। তার শান্ত আচরণ এবং পক্ষপাতহীনতা তাকে স্বতন্ত্রতার পাশাপাশি দিয়েছে মর্যাদা। গল্পে অন্যান্য প্রতিযোগীদের মতো পর্দার বাইরে থেকে দর্শকরাও তার এই স্বকীয়তাকে গভীরভাবে অনুভব করেছে।
ছো হিয়ন-জু: প্লেয়ার ১২০| পার্ক সং-হুন
অস্ত্রপোচারের মাধ্যমে শারীরিক পরিবর্তনের খরচ যোগাতে খেলায় অংশ নেয় ট্রান্সজেন্ডার ছো হিয়ন-জু। তার অংশগ্রহণের আরও একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে তার মতো জীবনধারণ করা মানুষগুলোকে অনুপ্রাণিত করা। তার এই মহানুভব দিকটি প্রকাশিত হয় প্রতিযোগিতার ‘গ্লাস ব্রিজ’ নামের শ্বাসরুদ্ধকর পর্বটিতে। যখন তার স্বীকারোক্তিতে উঠে আসে যে, সে শুধু নিজের জন্য এখানে আসেনি। তার আবেগঘন মুহূর্তগুলো গেমের নিষ্ঠুরতা ও বিশৃঙ্খলার মাঝে এক চিলতে মানবিক পরশ হিসেবে কাজ করেছে। সেই সঙ্গে তার সাহসিকতা তাকে করে তুলেছে সিজনের সবচেয়ে প্রভাবশালী।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশি চলচ্চিত্র ২০২৫: দর্শক মাতাতে মুক্তির মিছিলে যেসব ঢালিউড সিনেমা
ঝাং জিয়ম-ঝা: প্লেয়ার ১৪৯| খাং এ-শিম
ছেলে ইয়ং-সিককে ঋণের বোঝা থেকে মুক্ত করতে মা ঝাং জিয়ম-ঝায়ের প্রবেশ ঘটে এই প্রাণঘাতী খেলায়। কিন্তু টুর্নামেন্টে প্রবেশের পর তার ছেলেকেও সে একজন প্রতিযোগী রূপে দেখতে পায়। সবচেয়ে মর্মান্তিক রেড লাইট গ্রিন লাইট রাউন্ডে তার আকস্মিক ধাক্কা ও অনুশোচনা সত্ত্বেও সে অদম্য স্পৃহা নিয়ে সামনে অগ্রসর হয়। হৃদয়ের গহীনে লুকিয়ে থাকা প্রজ্জ্বলন ও ভিয়েতনাম যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ভিন্ন মাত্রা লেপন করেছে এই চরিত্রের ওপর। কুসংস্কারাচ্ছন্নতা ও ছো হিয়ন-জুয়ের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব চিহ্নিত করেছে তার বৈশিষ্ট্যের চড়াই-উৎড়াইগুলোকে। সব মিলিয়ে ঝাং জিয়ম-ঝা একাই পুরো নির্দয় উপাখ্যানকে টেনে নিয়ে গেছেন ফ্যামিলি ড্রামার রজ্জুতে বেঁধে।
৩৪৯ দিন আগে
কবে আসছে ‘স্কুইড গেম: সিজন ৩’?
সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত সিজন ২- এর রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও সামনে এলো সাড়া জাগানো কোরিয়ান সিরিজ স্কুইড গেমের সিজন ৩- এর ঘোষণা। অবশ্য দ্বিতীয় কিস্তির ইতি যেভাবে টানা হয়েছে তাতে আরও যে একটি নতুন সিজন আসতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। তবে এবার আসন্ন সেই কিস্তির মধ্যে দিয়েই শেষ হতে যাচ্ছে নেটফ্লিক্স অরিজিনাল সিরিজটি। চলুন, বিগত সিজনগুলোর পটভূমিতে নতুন সিজনের ব্যাপারে ভক্তদের উৎকণ্ঠা এবং সেই কাঙ্ক্ষিত স্কুইড গেম তৃতীয় সিজন মুক্তির দিনক্ষণটি জেনে নেওয়া যাক।
স্কুইড গেম বৃত্তান্ত
শিশুদের খেলা দিয়ে হলেও ভয়ঙ্কর প্রাণঘাতী ফলাফল সমন্বিত একটি প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই ডিস্টোপিয়ান সিরিজ। প্রাণের ভয় থাকার পরেও ৪৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন ওন জেতার লোভে গেমে অংশ নেয় ৪৫৬ জন তরুণ-তরুণী। এই প্রতিযোগিদের মধ্যকার আবেগ ও উৎকণ্ঠার সন্নিবেশে সার্ভাইভাল সিরিজটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন হোয়াং ডুং-হিয়ক। তার সঙ্গে যৌথভাবে সিরিজটির নির্বাহী প্রযোজনায় ছিলেন কিম ঝি-ইয়ান, যিনি সিজন-২ তে সরাসরি প্রযোজনায় সম্পৃক্ত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন লি ঝুং-জে এবং গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র দ্যা ফ্রন্ট ম্যানের ভূমিকায় আছেন লি বিয়ং-হান।
আরো পড়ুন: মাস্তি ৪: আসছে বলিউডের জনপ্রিয় কমেডি মুভির চতুর্থ সংস্করণ
এক নজরে বিগত দুই সিজন
২০২১ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রিমিয়ার হওয়া প্রথম সিজনে দর্শকরা পরিচিত হন স্কুইড গেমের সঙ্গে। প্রতিযোগিতায় মূল চরিত্র সং গি-হানের জয়লাভের মধ্য দিয়ে শেষের দিকে আবির্ভাব ঘটে গেমের নেপথ্যে থাকা রহস্যময় দ্যা ফ্রন্ট ম্যানের। তারপর তিন বছরের দীর্ঘ বিরতির পর গত ২৬ ডিসেম্বর নেটফ্লিক্সে আসে সিজন-২। এ অংশে বিজয়ী গি-হান পুনরায় অংশ নেয় গেমে। কিন্তু এবার জিততে নয়, বরং তার একমাত্র উদ্দেশ্য থাকে পুরো গেমকে ধ্বংস করা।
সিজন ৩ নিয়ে ভক্তদের উত্তেজনা
দ্বিতীয় কিস্তির সিজন ফিন্যালের পরিণতিসহ পোস্ট-ক্রেডিট সিনটি দর্শকদের নতুন সিজন দেখার আগ্রহকে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। সেখানে দেখা যায় খেলার রেড লাইট-গ্রীন লাইট পর্বের সেই স্কুল ইউনিফর্ম পরিহিত ভয়ঙ্কর রোবট কিশোরীকে। নির্মাতা হোয়াং নিজেও নতুন সিজনের সম্ভাব্য গন্তব্যের ব্যাপারে বলতে যেয়ে এই ক্লিপটি ভালভাবে দেখার ইঙ্গিত দিয়েছেন। পরিচালকের বিবৃতির অনুসারে, তৃতীয় সিজনে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে দর্শকদের সামনে আবির্ভূত হবে গি-হান চরিত্রটি। এই ঘোষণা ভক্তদের কৌতূহলে রীতিমত অগ্নুৎপাত ঘটিয়েছে। সকলের চিন্তা ভাবনা এখন গি-হানের পরিবর্তন নিয়ে। কাছের সব বন্ধুদের হারানো এবং একের পর এক ব্যর্থতার মুখোমুখি হওয়া গি-হানের আবির্ভাবটা কেমন হতে যাচ্ছে! তার পরের পদক্ষেপ কী হবে? তার ভেতর কি অন্য কোনও রূপ লুকিয়ে আছে? দ্যা ফ্রন্ট ম্যানের প্রতি তার প্রতিক্রিয়াটা কেমন হতে যাচ্ছে? এরকম প্রশ্ন উত্তেজনার খোরাক যোগাচ্ছে কোরিয়ান থ্রিলারপ্রেমিদের মধ্যে।
আরো পড়ুন: ‘ব্ল্যাক মানি’: পূজা চেরী ও রুবেলকে নিয়ে রায়হান রাফীর প্রথম ওয়েব সিরিজ
কবে মুক্তি পাচ্ছে ‘স্কুইড গেম’ সিজন ৩
দ্বিতীয়টি সম্প্রচারের আগেই রিনিউ করা হয়েছিলো তৃতীয় সিজন, যেখানে ইতোমধ্যে শেষ করা হয়েছে সমাপ্তি পর্বগুলোর শুটিং। হোয়াংয়ের বিবৃতিতে সুনির্দিষ্ট তারিখটি না থাকলেও বলা হয়েছে যে, ২০২৫ সালের সামার বা ফলে প্রিমিয়ারের সম্ভাবনা রয়েছে চূড়ান্ত সিজনের।
শেষাংশ
নির্মাতা হোয়াংয়ের বিবৃতি অনুসারে আশা করা যাচ্ছে, ২০২৫ সালের জুন পরবর্তী সময়ের মধ্যে মুক্তি পেতে পারে স্কুইড গেম সিজন ৩। দ্বিতীয় কিস্তির রূদ্ধঃশ্বাস পরিণতিতে সমূহ উত্তেজনার জোয়ারে ভাসছে ভক্তরা। আসন্ন মৌসুমে তাই সং গি-হানের নতুন রূপটা দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন কোরিয়ান সিরিজপ্রেমিরা। এই পরিপ্রেক্ষিত নিশ্চিত করছে যে, আগের সিজন দুটোর সাফল্যের ধারাবাহিকতা শেষ পর্যন্ত থাকবে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশি চলচ্চিত্র ২০২৫: দর্শক মাতাতে মুক্তির মিছিলে যেসব ঢালিউড সিনেমা
৩৫১ দিন আগে
বাংলাদেশি চলচ্চিত্র ২০২৫: দর্শক মাতাতে মুক্তির মিছিলে যেসব ঢালিউড সিনেমা
শুরু হয়ে গেছে পুরোনো বছর পেরিয়ে নতুন বছরের আগমনের লগ্ন। এই উৎসবমুখর লগ্নকে কেন্দ্র করে রকমারি চলচ্চিত্র জগতেও চলছে সাজসাজ রব। পরিবর্তনের জোয়ারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন আঙ্গিকে প্রস্তুতি চলছে নতুন বছরের সিনেমার। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশি চলচ্চিত্রগুলো ঢেলে সাজাতে পারে ঢালিউডকে। কেননা প্রেক্ষাগৃহের ছবির পাশাপাশি যুগপৎভাবে ওয়েব ফিল্ম মুক্তিও দর্শকদের প্রত্যাশার খোরাপ যোগাচ্ছে। চলুন, সেগুলোর মধ্যে থেকে ১০টি সম্ভাবনাময় ঢালিউড সিনেমার ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
২০২৫ সালে মুক্তির অপেক্ষায় শীর্ষ ১০ বাংলাদেশি সিনেমা
বরবাদ
‘প্রিয়তমা’ (২০২৩)-এর পর শাকিব খান ও ইধিকা পালের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘বরবাদ’। সিনেমাটির নির্দেশনার মধ্য দিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য পর্দায় অভিষেক হতে যাচ্ছে নাট্য নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয়ের।
রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন প্রযোজিত ছবিটির বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে আছেন ভারতের অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত। আইটেম গানে থাকছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। এছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মানব সাচদেব ও মিশা সওদাগর।
আরো পড়ুন: ‘ব্ল্যাক মানি’: পূজা চেরী ও রুবেলকে নিয়ে রায়হান রাফীর প্রথম ওয়েব সিরিজ
অ্যাকশন ঘরানার ছবিটির দৃশ্য পরিচালনা করেছেন টলিউড ও বলিউডের অ্যাকশন ডিরেক্টর রবি বর্মা। ছবির কণ্ঠশিল্পী হিসেবে রয়েছেন প্রীতমসহ বলিউডের কিছু শিল্পী।
প্রায় ১৫ কোটি টাকা বাজেটে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্রটি, যা মুক্তির লগ্নে বাংলাদেশি সিনেমার জন্য রেকর্ড সৃষ্টি করবে! এখন পর্যন্ত ২০২৫-এর ঈদুল ফিতরে এই চলচ্চিত্রের মুক্তির দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়ে আছে।
দাগি
‘সুড়ঙ্গ’ (২০২৩)-এ ব্যাপক জনপ্রিয়তার রেশ ধরে আফরান নিশো ও তমা মির্জাকে নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ‘দাগি’। এর প্রযোজনায় রয়েছে যৌথ ভাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি ও এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড। পরিচালনায় রয়েছেন শিহাব শাহীন এবং ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ (২০১৫)-এর পর বড় পর্দায় এটি নির্মাতার দ্বিতীয় কাজ।
নিশো-তমা জুটির পাশাপাশি একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত তারকা সুনেরাহ বিনতে কামাল।
আরো পড়ুন: মাস্তি ৪: আসছে বলিউডের জনপ্রিয় কমেডি মুভির চতুর্থ সংস্করণ
রোমান্স, ড্রামা ও অ্যাকশনের মিশেলে গড়া চিত্রনাট্যে ছবিতে পরিবেশন করা হবে মূল চরিত্রের প্রায়শ্চিত্য ও মুক্তির গল্প। আসছে বছর রোযার ঈদে শাকিবের ‘বরবাদ’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে চলচ্চিত্রটি।
৩৫৪ দিন আগে
‘ব্ল্যাক মানি’: পূজা চেরী ও রুবেলকে নিয়ে রায়হান রাফীর প্রথম ওয়েব সিরিজ
নতুন বছরের একদম শুরুতে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজ নিয়ে হাজির হচ্ছেন বর্তমান সময়ের হিট নির্মাতা রায়হান রাফী। ২০২৫-এর ২ জানুয়ারি দেশীয় ওটিটি (ওভার-দ্যা-টপ) প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিরিজটি। বরাবরের মতো এবারও রাফীর কাস্টিংয়ে থাকছে নতুন চমক। ওয়েব কন্টেন্টটির শ্রেষ্ঠাংশে পূজা চেরীর সঙ্গে দেখা যাবে এক সময়ের প্রখ্যাত চিত্রনায়ক ও মার্শাল আর্ট হিরো মাসুম পারভেজ রুবেলকে। চলুন, বাংলা ওটিটি প্লাটফর্ম বঙ্গতে আসন্ন ‘ব্ল্যাক মানি’ সিরিজটির কলাকুশলী এবং গল্পের থিম নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
‘ব্ল্যাক মানি’ নির্মাণের নেপথ্যে
ওটিটির জন্য এর আগে তার বেশ কিছু ওয়েব ফিল্ম থাকলেও ওয়েব সিরিজ পরিচালনায় এই প্রথম রায়হান রাফী। ২০১৮ সালে তার সফল অভিষিক্ত চলচ্চিত্র ‘পোড়ামন ২’ এবং ‘দহন’ বঙ্গ’র স্ট্রিমিং তালিকায় স্থান পেয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো প্রযোজক হিসেবে রাফীর সঙ্গে কাজ করেছে স্ট্রিমিং সাইটটি। যৌথ প্রযোজনায় সঙ্গে রয়েছে কানন ফিল্মস।
ভিএফএক্স (ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট)-এর দায়িত্বে ছিল ফোর্থ ডাইমেন্শন ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট।
আরো পড়ুন: আল্লু অর্জুনের পুষ্পা-২ রিভিউ: ছবি নিয়ে যত হইচই
সিরিজের গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আকাশ সেন এবং বাংলাদেশের দিলশাদ নাহার কণা। আরও আছেন র্যাপ সঙ্গীতশিল্পী সাইফ খান ও তার টিম সিএফইউ-৩৬।
কস্টিউম ডিজাইনে কাজ করেছেন এদিলা ফারিদ তুরিন। সাউন্ড ডিজাইনে রিপন নাথ এবং ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর করেছেন আরাফাত মহসিন। সিনেমাটোগ্রাফিতে তাহসিন রহমান, শিল্প নির্দেশনায় শিহাব নুরুন নবী এবং সার্বিক সম্পাদনায় ছিলেন সিমিত রায় অন্তর।
‘ব্ল্যাক মানি’ ওয়েব সিরিজের গল্প
রাতের অন্ধকারে একটি হোটেলের সামনে এসে থামে বস্তা ভর্তি একটি ট্রাক। প্রত্যেকটি বস্তা ভর্তি কাড়ি কাড়ি টাকা। কিন্তু এগুলো কার কাছে এসেছে, কোত্থেকেই বা এসেছে! আসল মালিকানা নিয়ে যখন দানা বেধে উঠছে রহস্য, অন্যদিকে তখনি এই টাকা নিতে সংঘর্ষে মেতে উঠেছে শহরের দুর্ধর্ষ দুই গ্যাংস্টার। একের পর এক পড়তে থাকে লাশ, যেখানে শহরের প্রভাবশালী মাফিয়া, শীর্ষ সন্ত্রাসী, ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ কেউই বাদ যাচ্ছেন না। এত সব লাশের মিছিল পেরিয়ে অবশেষে কোথায় এই কালো টাকার গন্তব্য- এই প্রশ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছে সিরিজের কাহিনী।
আরো পড়ুন: ঈদুল ফিতর ২০২৫-এ মুক্তি বরবাদ ও দাগি: আবারও মুখোমুখি শাকিব খান ও আফরান নিশো
ছয় পর্বের সিরিজটিতে একই সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটানো হয়েছে অ্যাকশন, ড্রামা, কমেডি ও থ্রিলার।
বাংলাদেশে চলমান প্রেক্ষাপটের কালো টাকা বিদেশে পাচারকে ঘিরে সৃষ্ট জটিলতাগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সিরিজে। পটভূমির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সবচেয়ে সার্বজনীন শব্দটিকেই শিরোনাম হিসেবে নির্বাচন করেছেন রাফী। গল্পটি রচনাও তিনিই করেছেন। চিত্রনাট্য রচনায় তার সঙ্গে ছিলেন আনাম বিশ্বাস ও আশরাফুল আলম শাওন।
‘ব্ল্যাক মানি’র অভিনয়শিল্পীরা
বঙ্গ অরিজিনাল সিরিজটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হিসেবে থাকছেন ৯০’দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রুবেল। এখানে গ্যাংস্টারের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ওয়েব কন্টেন্টে অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে অ্যাকশন হিরোর।
আরও একটি প্রধান চরিত্রে থাকা পূজা চেরীরও এটি প্রথম ওয়েব ধারাবাহিক। রাফীর সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মের এই তারকারও বড় পর্দায় অভিষেক ঘটেছিল ‘পোড়ামন ২’-এর মাধ্যমে। তারপর দীর্ঘ ৬ বছরের বিরতির পর দর্শক আবারও দেখতে যাচ্ছে এই নায়িকা-পরিচালক জুটির কাজ।
আরো পড়ুন: মুক্তি পাচ্ছে মেহজাবীনের প্রথম চলচ্চিত্র ‘প্রিয় মালতী’
এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে পূজা অনেক গুণী অভিনয়শিল্পীদের সংস্পর্শ পেলেন। এদের মধ্যে রয়েছেন প্রথিতযশা পরিচালক ও অভিনেতা সালাহউদ্দিন লাভলু, ইন্তেখাব দিনার, সুব্রত ফারদিন এবং এজাজুল ইসলাম। সমসাময়িক চলচ্চিত্রকর্মীদের মধ্যে আছেন শিবা শানু, রাশেদ মামুন অপু, মীর নওফেল আশরাফী জিসান, সুমন আনোয়ার এবং আরফান মৃধা শিবলু।
ছোট পর্দার সুপরিচিত মুখগুলোর মধ্যে দেখা যাবে জয় রাজ, কচি খন্দকার, সাইদুর রহমান পাভেল, মুকিত জাকারিয়া, ইকবাল বাবু এবং ফরহাদ লিমন।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন তাশদিক নমিরা আহমেদ, মাহমুদ আলম এবং শাহরিয়ার ফেরদৌস সজীব।
পরিশিষ্ট
একসঙ্গে অনেক অভিষেকের অবতারণা নিয়ে বাংলা ওটিটি বঙ্গতে মুক্তি পেতে চলেছে পূজা, রুবেল, ও রাফীর ওয়েব সিরিজ ‘ব্ল্যাক মানি’। দুটি ভিন্ন সময়ের অভিনয়শিল্পী হিসেবে পূজা ও রুবেল দুজনেরই রয়েছে নিজস্ব দর্শক। অন্যদিকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হল ও ওটিটি উভয় মাধ্যমে চলচ্চিত্র দিয়ে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন রায়হান রাফী। তাই সমসাময়িক বাস্তবমুখী গল্পের চিত্রনাট্যে দুর্দান্ত পরিবেশনার প্রতিশ্রুতি রাখছে ওয়েব কন্টেন্টটি। একই সঙ্গে দেশীয় বিনোদন জগতের প্রেক্ষাগৃহ থেকে ওয়েবমুখী হওয়ারও অন্যতম এক নিদর্শন স্থাপিত হতে যাচ্ছে এই নির্মাণের মধ্য দিয়ে।
আরো পড়ুন: মাস্তি ৪: আসছে বলিউডের জনপ্রিয় কমেডি মুভির চতুর্থ সংস্করণ
৩৫৭ দিন আগে
বাংলাদেশের সংগীত নিয়ে কাজ করতে চান রাহাত ফাতেহ আলী খান
বাংলাদেশের সংগীত নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খান। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক উন্নয়নেও কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তিনি।
সচিবালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে রবিবার (২২ ডিসেম্বর) তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে নিজের এই আগ্রহের কথা জানান তিনি।
এ সময় তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘রাহাত ফাতেহ আলী খান একজন গুণী ব্যক্তি। তিনি শুধু পাকিস্তানের নন, উপমহাদেশ তথা সারা বিশ্বের সংগীত জগতের সম্পদ। বাংলাদেশে তার অনেক ভক্ত রয়েছে।’
শনিবার ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে কনসার্টের জন্য রাহাত ফাতেহ আলীকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর এ ধরনের একটি কনসার্ট আয়োজনের প্রয়োজন ছিল।’
বাংলাদেশে আমন্ত্রণের জন্য রাহাত ফাতেহ আলী খানও বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ ওয়াসিফ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৩৫৮ দিন আগে
মাস্তি ৪: আসছে বলিউডের জনপ্রিয় কমেডি মুভির চতুর্থ সংস্করণ
শুরুটা ছিল ২০০৪ সালে ‘মাস্তি’ মুভির মধ্য দিয়ে। তারপর দীর্ঘ ৯ বছরের ব্যবধানে ২০১৩ সালে মুক্তি পায় ‘গ্র্যান্ড মাস্তি’। অতঃপর মাত্র ৩ বছর পর আসে পরিণত হয়ে ওঠা মাস্তি ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় মুভি
‘গ্রেট গ্র্যান্ড মাস্তি’। তারপর একটানা ৮ বছরের দীর্ঘ বিরতি। অবশেষে এই ২০২৪-এ এলো বলিউডের সাড়া জাগানো কমেডি মুভি সিরিজটির চতুর্থ সংস্করণের ঘোষণা। গত ১৪ ডিসেম্বর মুম্বাইতে শুরু হলো মাস্তি ৪-এর শুটিং। সেই থেকে প্রতীক্ষার বাধ ভাঙা জোয়ারে ভাসছে গোটা সিনেমা পাড়া। কেমন হতে যাচ্ছে এবারের পর্ব? আগের সেই মজার চরিত্রগুলো কি আবার ফিরছে?- চলুন জেনে নেওয়া যাক।
মাস্তি ৪ নির্মাণের নেপথ্যে
প্রথম তিন কিস্তি পরিচালনা করেছিলেন ইন্দ্র কুমার। কিন্তু এবার তার জায়গায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নাম। তবে তিনি বাইরের কেউ নন, মাস্তি পরিবারেরই সদস্য মিলাপ জাভেরি। তিনি প্রথম দুই সংস্করণে সংলাপ রচয়িতা ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে ছিলেন। প্রথম দুই কিস্তিতে নির্দেশনার পাশাপাশি স্ক্রিপ্টের দায়িত্বও পালন করেছিলেন কুমার। নতুন সংস্করণে নির্দেশনা ও রচনা দুটোই করবেন জাভেরি।
আরো পড়ুন: ৩৬-২৪-৩৬: কারিনা কায়সার বনাম সমাজে নারীর প্রথাগত সৌন্দর্য্যের মাপকাঠি
প্রযোজনায় একদম শুরু থেকেই ছিল মারুতি ইন্টারন্যাশনাল। তৃতীয় কিস্তিতে যুক্ত হয়েছিল বালাজি মোশন পিকচার্স এবং শ্রী অধিকারী ব্রাদার্স। এবার মারুতি এবং বালাজি টেলিফিল্মসের সাথে থাকছে জি স্টুডিওস এবং ওয়েভব্যান্ড প্রোডাকশন।
এবারের ‘মাস্তি’তে কারা থাকছেন
সিরিজের বিগত চলচ্চিত্রগুলোর মতো এবারেও মিত মেহতা, প্রেম চাওলা ও অমর সাক্সেনা চরিত্রে ফিরছেন যথাক্রমে বিবেক ওবেরয়, আফতাব শিবদাসানি এবং রিতেশ দেশমুখ। পুরো সিরিজ জুড়ে যথারীতি অপরিবর্তিত ছিলেন এই তিন তারকা। তবে তাদের বিপরীতে প্রধান নারী অভিনয়শিল্পীসহ অন্যান্য সহশিল্পীদের বদলটা হয়েছে বেশ নিয়ম করেই।
প্রথমটিতে ছিলেন অমৃতা রাও, তারা শর্মা এবং জেনেলিয়া ডি’সুজা। সঙ্গে আরও ছিলেন অজয় দেবগন ও লারা দত্ত।
আরো পড়ুন: আল্লু অর্জুনের পুষ্পা-২ রিভিউ: ছবি নিয়ে যত হইচই
দ্বিতীয়টিতে দেখা গেছে সোনালী কুলকার্নি, কারিশ্মা তান্না ও মাঞ্জারি ফাড়নিসকে। আর সবশেষে ছিলেন পূজা ব্যানার্জি, মিষ্টি চক্রবর্তী এবং শ্রদ্ধা দাশ।
সেই ধারাবাহিকতায় এবারেও থাকবে তিনটি নতুন মুখ। কিন্তু সেই তিন নায়িকার ব্যাপারে নির্মাতাদের পক্ষ থেকে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি।
শুটিংয়ের কয়েকটি ছবি হৈচৈ-এর খোরাক যোগাচ্ছে পুরো নেট দুনিয়া জুড়ে। একটিতে দেখা যাচ্ছে মাস্তি ৪-এর ক্ল্যাপারবোর্ড হাতে হাস্যজ্জ্বল আফতাবকে। কোনোটিতে আফতাব ও রিতেশের সঙ্গে রয়েছেন পরিচালক জাভেরি। আরেকটিতে রিতেশ ও আফতাবসহ মুভির অন্যান্য কলাকুশলীদের সঙ্গে ফ্রেমবন্দি হয়েছেন প্রবীণ অভিনেতা জিতেন্দ্র। সুতরাং মুভিতে জিতেন্দ্রেরও যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তা বলাই বাহুল্য।
আরো পড়ুন: ঈদুল ফিতর ২০২৫-এ মুক্তি বরবাদ ও দাগি: আবারও মুখোমুখি শাকিব খান ও আফরান নিশো
রিতেশ ও জাভেরির হাস্যরসে ভরপুর একটি ভিডিও নিজের ইন্স্টাগ্রাম প্রোফাইলে পোস্ট করে বিবেকও শিঘ্রই তার শুটিং-এ যোগ দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন।
মাস্তি সিনেমার এবারের জনরা
প্রথম সংস্করণটি সব মিলিয়ে ছিল একটি অ্যাডাল্ট কমেডি ছবি। অবিরাম হাস্যরসে ভরপুর থাকলেও দ্বিতীয় কিস্তির সঙ্গে প্রথমটির গল্পের কোনো সম্পর্ক ছিল না। সর্বশেষ সংস্করণে কমেডির সঙ্গে সংমিশ্রণ ঘটেছিল হরর জনরার। আর সদ্য ঘোষিত মুভিটি হতে যাচ্ছে রোমান্টিক-কমেডি ঘরানার। সিনেমার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করার সময় ইন্স্টাগ্রাম পোস্টের ক্যাপশনে তারই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিবেক।
শেষাংশ
বিবেক, আফতাব ও রিতেশ-এর স্ব স্ব চরিত্রে প্রত্যাবর্তন 'মাস্তি ৪'-এর প্রতি প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছে। চিত্রনাট্যকার মিলাপ জাভেরি নির্দেশনায় কতটা ইন্দ্র কুমারকে ছাড়িয়ে যাবেন তা নিয়ে ব্যাপক উদ্দীপনা মাস্তি ভক্তদের মাঝে। সেই সঙ্গে যোগ হচ্ছে মিত, প্রেম ও অমরের বিপরীতে কাদের দেখা যাবে তা-র কৌতূহল। উপরন্তু, শুটিংয়ের খবর প্রকাশের ভঙ্গিমাই বলে দেয়- কমেডি মুভিপ্রেমিদের জন্য হাস্যরসে ভরা দারুণ এক নির্মাণের নকশা হতে চলেছে।
আরো পড়ুন: মুক্তি পাচ্ছে মেহজাবীনের প্রথম চলচ্চিত্র ‘প্রিয় মালতী’
৩৫৯ দিন আগে
ক্ষমা চেয়ে টিএসসিতে 'প্রিয় মালতি'র পোস্টার ছিঁড়লেন মেহজাবিন
আগামীকাল শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) শঙ্খ দাশগুপ্ত পরিচালিত 'প্রিয় মালতি' সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় অভিষেক হতে যাচ্ছে ছোট পর্দার অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরীর।
এই অভিনেত্রী ও পুরো টিম যখন সিনেমার প্রচারে ব্যস্ত, তখন বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) সোহাগী জাহান তনুর দেয়ালচিত্রের ওপর পোস্টার লাগানো নিয়ে হঠাৎ বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
২০১৬ সালের মার্চে কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী এবং ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের সদস্য সোহাগী জাহান তনুকে ধর্ষণ করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
পোস্টার লাগানোর ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনদের ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠলে অবশেষে বুধবার সন্ধ্যায় টিএসসিতে গিয়ে সোহাগী জাহান তনুর দেয়ালচিত্রের ওপর লাগানো পোস্টারটি ছিঁড়ে ফেলেন মেহজাবিন।
এর আগে সিনেমার প্রচারের জন্য টিএসসিতে গিয়ে নিজ হাতে বিভিন্ন দেয়ালে 'প্রিয় মালতি'র পোস্টার লাগিয়ে দেন এই অভিনেত্রী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে মেহজাবিনকে তনুর গ্রাফিতি আঁকা দেয়ালে পোস্টার লাগাতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ওস্তাদ রাহাত ফতেহ আলী খানের ঢাকা কনসার্টের টিকেট কিনবেন যেভাবে
বিষয়টি নিয়ে অভিনেত্রী সমালোচনার মুখে পড়েন এবং নেটিজেনদের কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন, তার মতো একজন তারকা কীভাবে তনু বা জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতিতে পোস্টার লাগিয়ে নিজের সিনেমার প্রচার করতে পারেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রিফাত রশিদ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মেহজাবিনকে নেটিজেনদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান তারা।
রিফাত ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘মেহজাবিন আমার শহীদ বোন তনুকে চেনে না? দেয়ালচিত্রের উপর পোস্টার লাগানোর সাহস হয় কী করে? টিএসসিতে এই পোস্টার আমরা ছিঁড়ব না, মেহজাবিন চৌধুরী। আপনারা নিজেরাই এসে এই পোস্টারটি ছিঁড়ে ফেলবেন।’
এর কিছুক্ষণ পর মেহজাবিন টিএসসিতে হাজির হয়ে নিজ হাতে সরিয়ে ফেলেন তার প্রথম চলচ্চিত্র 'প্রিয় মালতি'র পোস্টার। বুধবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে এক পোস্টে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।
ওই পোস্টে মেহজাবিন লেখেন, 'প্রিয় মালতি' ছবির প্রচারণার জন্য আমাদের দল আজ (১৮ ডিসেম্বর) টিএসসিতে গিয়েছিল। ছবিটির প্রচারে অনেকে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন এবং প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে প্রচারটি দ্রুত শেষ করতে হয়েছিল। প্রয়াত সোহাগী জাহান তনুর দেয়ালচিত্রের ওপর ভুল করে ও অনিচ্ছাকৃত একটি পোস্টার লাগানো হয়। তনুর মর্মান্তিক ঘটনার কথা আমরা সবাই জানি এবং তার হত্যার বিচারের জন্য লড়াই এখনও চলছে।’
তিনি আরও বলেন, 'পোস্টার নিয়ে যা ঘটেছে তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত, ভুল। আমরা তৎক্ষণাৎ পোস্টারগুলো সরিয়ে ফেলি এবং এক মিনিটের নীরবতাও পালন করি। আশা করি আমাদের অনিচ্ছাকৃত অব্যবস্থাপনা ক্ষমা করে দেবেন।’
তবে অনেক নেটারিক এই ঘটনাকে নেতিবাচক প্রচার এবং বিপণন কৌশল বলে অভিহিত করেছেন। ঘটনাটিকে বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন।
'প্রিয় মালতি' ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মেহজাবিন চৌধুরী। সামাজিক সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরা নিম্ন-মধ্যবিত্ত নারীর চরিত্র মালতি রানী দাস। প্রাথমিকভাবে টেলিভিশন এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ১৫ বছরের ক্যারিয়ারের পরে চলচ্চিত্রটি তার প্রথম বড় পর্দায় উপস্থিতি।
২০ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাওয়া 'প্রিয় মালতি' সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে 'ইউ' রেটিং (সব বয়সের দর্শকদের জন্য উপযুক্ত) পেয়েছে এবং এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন উৎসব থেকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকির সহযোগিতায় ফ্রেম পার সেকেন্ড প্রযোজিত এই ছবির লেখক ও পরিচালক শঙ্খ দাশগুপ্তের ফিচার ফিল্ম।
আরও পড়ুন: কবি হেলাল হাফিজ মারা গেছেন
৩৬১ দিন আগে
ওস্তাদ রাহাত ফতেহ আলী খানের ঢাকা কনসার্টের টিকেট কিনবেন যেভাবে
বহুল প্রতীক্ষিত ‘ইকোস অফ রিভোলিউশন’ কনসার্টের মাহেন্দ্রক্ষণ একদম সন্নিকটে। আগামী ২১ ডিসেম্বর শনিবার কনসার্টের মধ্যমণি হয়ে পারফর্ম করবেন প্রখ্যাত পাকিস্তানি সঙ্গীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান। এই জমকালো আয়োজন উপভোগের জন্য রাখা হয়েছে ডিজিটাল টিকেট বুকিং পদ্ধতি। ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে অনলাইন টিকেট বিক্রির কার্যক্রম। চলুন, রাহাত ফতেহ আলী খানের ঢাকা কনসার্টের টিকেট কেনার এই ইলেক্ট্রনিক প্রক্রিয়া সহ কনসার্টটির বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ফতেহ আলী খানের কনসার্টের টিকেট কেনার উপায়
প্রথমে সরাসরি চলে যেতে হবে গেট সেট রক নামক অনলাইন টিকেটিং প্ল্যাটফর্মে (https://getsetrock.com/buy-ticket/echoes-of-revolution-j01)। শুরুতেই দেখা যাবে তিন ধরনের টিকেট ক্যাটাগরি, যেগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে কনসার্টে অবস্থানের ভিত্তিতে। ভিআইপি (১০ হাজার টাকা), ফ্রন্ট রো ( সাড়ে ৪ হাজার টাকা) এবং জেনারেল (আড়াই হাজার টাকা)।
তিনটির যেকোনোটিতে ক্লিক করলে নিচে ‘বাই এ টিকেট নাউ’ শিরোনামের ফর্মটি আসবে। এখানে ক্রমানুসারে নাম, ই-মেইল ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার ও জন্ম তারিখ বসাতে হবে।
আরো পড়ুন: ঈদুল ফিতর ২০২৫-এ মুক্তি বরবাদ ও দাগি: আবারও মুখোমুখি শাকিব খান ও আফরান নিশো
এই সিস্টেমের মাধ্যমে একবারে সর্বোচ্চ ৫টি টিকেট বুক দেওয়া যাবে। তাই সে অনুসারে প্রযোজ্য সংখ্যাটি টিকেট কোয়ান্টিটির ঘরে বসাতে হবে। তবে প্রত্যেকটিতেই থাকবে একক ও অদ্বিতীয় টিকেট নাম্বার এবং একটি টিকেট শুধুমাত্র একজনের জন্যই প্রযোজ্য।
ফর্মের নিচে উল্লেখিত র্শত স্বীকারক্তিতে টিক চিহ্ন দিয়ে ‘বাই নাউ’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর আসবে টিকেট মূল্য পরিশোধের পালা। এখানে অনলাইন পরিশোধের মাধ্যম হিসেবে মোবাইল পেমেন্ট গেটওয়ে, অনলাইন ব্যাংকিং এবং কার্ড ব্যবহার করা যাবে। এই পরিশোধের সঙ্গে সঙ্গেই কনসার্টের জন্য টিকেট নিশ্চিত হয়ে যাবে। আর এর ফলে টিকেট ক্রেতার নাম চূড়ান্তভাবে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে কনসার্টের জন্য নিবন্ধিত হবে।
‘ইকোস অফ রিভোলিউশন’ কনসার্টে প্রবেশের নির্দেশনা
শুধুমাত্র অনলাইন নিবন্ধনই কনসার্টের দর্শক হিসেবে তালিকাভুক্তির একমাত্র মাধ্যম। কোনো ধরনের কাগজের টিকেট অনুমোদনযোগ্য নয়। প্রবেশের সময় ছবির মাধ্যমে যাচাইয়ের জন্য টিকেটধারীদের অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের মতো বৈধ নথি সঙ্গে রাখতে হবে।
আরো পড়ুন: আল্লু অর্জুনের পুষ্পা-২ রিভিউ: ছবি নিয়ে যত হইচই
প্রবেশকালে যাচাইকরণ সম্পন্ন হয়ে গেলে একটি টোকেন দেওয়া হবে। আর এই টোকেনটিই মূলত টিকেটের হার্ডকপি হিসেবে কাজ করবে, যার মাধ্যমে দর্শকরা কনসার্টে প্রবেশ করতে পারবেন। তাই এটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে সংরক্ষণ করতে হবে।
রাহাত ফতেহ আলীর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য কনসার্টের বৃত্তান্ত
কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে শনিবার (২১ ডিসেম্বর)। দর্শকদের জন্য প্রধান ফটক খোলা হবে দুপুর ২টায় এবং কনসার্ট বিকাল ৪টায় শুরু হয়ে চলবে সন্ধ্যা ৭টার আগ পর্যন্ত।
ফতেহ আলী খান ছাড়াও এই আয়োজনে থাকবে আর্টসেল, চিরকুট এবং আফটারম্যাথ ব্যান্ডের সঙ্গীত পরিবেশনা। বিনোদনে বৈচিত্র্য আনতে যোগ করা হয়েছে র্যাপ শিল্পী শেজান ও হান্নান এবং কাওয়ালি শিল্পীগোষ্ঠী সিলসিলাকে। এছাড়াও রয়েছে জুলাই বিপ্লব নিয়ে গ্রাফিতি প্রদর্শনী এবং একটি মঞ্চ নাটক।
আরো পড়ুন: ৩৬-২৪-৩৬: কারিনা কায়সার বনাম সমাজে নারীর প্রথাগত সৌন্দর্য্যের মাপকাঠি
আয়োজক হিসেবে রয়েছে শহীদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৈরি সংগঠন ‘স্পিরিট অব জুলাই’। সামগ্রিক অর্থায়নে রয়েছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি।
কনসার্টটির মূল উদ্দেশ্য জুলাই আন্দোলনে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের সহায়তা করা। তাই এর টিকেট বিক্রি থেকে আয়কৃত অর্থ কাজে লাগানো হবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা প্রদানে।
উল্লেখ্য যে, ফতেহ আলী খান তার এই পরিবেশনের জন্য কোনো পারিশ্রমিক নিচ্ছেন না।
আরো পড়ুন: লাকি ভাস্কর মুভি রিভিউ: সততা বনাম লোভের এক জমজমাট গল্প
পরিশিষ্ট
ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ওস্তাদ রাহাত ফতেহ আলী খানের ‘ইকোস অফ রিভোলিউশন’ কনসার্টের বিশেষত্বের নেপথ্যে রয়েছে বিগত জুলাই বিপ্লবের চেতনা। আয়োজনে ব্যান্ড, র্যাপ, কাওয়ালি সঙ্গীত, গ্রাফিতি প্রদর্শন এবং মঞ্চ নাটকের বৈচিত্র্যময় সংযোজন দর্শকদের আগ্রহের খোরাক যোগাচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আয়োজনে আগ্রহীদের যোগদানের প্রক্রিয়াকে সহজ করে তুলেছে গেট সেট রক। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মটির সহজবোধ্য ইন্টারফেস কারিগরি জটিলতামুক্ত থেকে টিকেট সংগ্রহের ক্ষেত্রে সহায়ক। কনসার্টের টিকেট বিক্রি থেকে সংগৃহীত অর্থ ব্যয় হবে বিপ্লবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তার কাজে।
আরো পড়ুন: মুক্তি পাচ্ছে মেহজাবীনের প্রথম চলচ্চিত্র ‘প্রিয় মালতী’
৩৬২ দিন আগে
মুক্তি পাচ্ছে মেহজাবীনের প্রথম চলচ্চিত্র ‘প্রিয় মালতী’
প্রথমে মিসরের কায়রো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৪৫তম আসরে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার। তারপর ভারতের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালের ৫৫তম আসরে একমাত্র বাংলাদেশি চলচ্চিত্র হিসেবে প্রদর্শনী। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের এই বিশাল অর্জন নিয়ে এবার দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে ‘প্রিয় মালতী’।
আগামী ২০ ডিসেম্বর এই ছবি মুক্তির মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মত পূর্ণদৈর্ঘ্য পর্দায় দেখা যাবে মেহজাবিন চৌধুরীকে। ওটিটি কন্টেন্ট ওয়েব ফিল্মে নিজের বৈচিত্র্যময় অভিনয় দিয়ে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।
চলুন, সিনেমাটির নির্মাণ ও গল্পের পাশাপাশি জেনে নেয়া যাক- এতে কারা হতে যাচ্ছেন মেহজাবিনের সহ-অভিনয়শিল্পী।
চলচ্চিত্র নির্মাণের নেপথ্যে
এই সিনেমাটি পরিচালনার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটল তরুণ নির্মাতা শঙ্খ দাশগুপ্তর। ছবির মূল গল্পও তারই লেখা। চিত্রনাট্যে তার সঙ্গে কাজ করেছেন আবু সাঈদ রানা, চিত্রগ্রাহক হিসেবে ছিলেন তাহসিন রহমান। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে ফ্রেম পার সেকেন্ড, ফিল্মি ফিচার্স এবং ওটিটি ভিডিও স্ট্রিমিং সেবা চরকি।
ছায়াছবির গল্প
‘হুইসপার্স অব অ্যা থার্স্টি রিভার’ ইংরেজি শিরোনামের চলচ্চিত্রটির মূল গল্প মালতী রানী দাশ নামের একজন নিম্ন-মধ্যবিত্ত নারীকে নিয়ে। স্বামী পলাশ কুমার দাশকে নিয়ে তার সদ্য দাম্পত্য জীবন কাটছে খুনসুটি, ভালোবাসা, আর ছোট ছোট আনন্দে।
এই স্বপ্নীল জীবন নিমেষেই দুঃস্বপ্নে পরিণত হয় আকস্মিক এক দুর্ঘটনায়। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে শহরের এক ব্যস্ততম বাণিজ্যিক ভবনে, যেখানে কাজ করত পলাশ। খবরটি পাওয়ার পর থেকে মালতী কোনোভাবেই তাকে ফোনে পায় না। নানা আশঙ্কা ও উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে স্বামীকে খুঁজতে মালতীর শুরু হয় এক দীর্ঘ সংগ্রামী যাত্রা। দিন গড়িয়ে যায়, মাস পেরিয়ে বছর হয়; এরপরও কোনো হদিস মেলে না তার। বরং সামাজিক রীতিনীতি ও প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা মালতীর প্রতিটি পদক্ষেপকে আরও কঠিন করে তোলে।
সত্য ঘটনা-নির্ভর অপরাধ ঘরানার ছবিটির কাহিনী এভাবে প্রধান চরিত্রের নানা চড়াই-উৎড়াইকে নিয়ে এগোতে থাকে ক্লাইম্যাক্সের দিকে। সেইসঙ্গে নাটকীয়তায় যুক্ত হতে থাকে মিস্ট্রি ও সাসপেন্স।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের জন্য থাইল্যান্ডের ই-ভিসা চালুর তারিখ ঘোষণা
৩৬৩ দিন আগে
কবি হেলাল হাফিজ মারা গেছেন
দ্রোহ আর প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ মারা গেছেন। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) শাহবাগের সুপার হোম হোস্টেল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
সুপার হোস্টেলের ওয়াশরুমের দরজা খুলে মৃত অবস্থায় দেখতে পাওয়া গেছে। দুপুর সোয়া ২টার দিকে ওয়াশরুমের দরজা খোলা হয়।
জানা যায়, পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন, এতে রক্তক্ষরণও হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে তার মরদেহ আছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, ‘বেলা আড়াইটার দিকে হোটেলের লোকজন তাকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসেন। পুলিশ বিষয়টি তত্বাবধায়ন করছে।’
আরও পড়ুন: জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার আর নেই
গত কয়েক বছর ধরে গ্লুকোমা, কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস ও স্নায়বিক ব্যাধিসহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন প্রতিভাধর এই কবি।
সাংবাদিক মাহমুদ হাফিজ জানিয়েছেন, আগামীকাল (শনিবার) বাদ জোহর জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে কবির জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
কবি হেলাল হাফিজ ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার বড়তলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা খোরশেদ আলী তালুকদার পেশায় ছিলেন স্কুলশিক্ষক আর মা কোকিলা বেগম গৃহিণী।
অনেকটা বোহেমিয়ান জীবন কাটালেও সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন কবি হেলাল হাফিজ।
সাংবাদিক ও সাহিত্য সম্পাদক হিসাবে বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করেছেন তিনি। সর্বশেষ দৈনিক যুগান্তরে কর্মরত ছিলেন কবি।
হেলাল হাফিজের প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'যে জলে আগুন জ্বলে' প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। তার দ্বিতীয় এবং শেষ কাব্যগ্রন্থ 'বেদনাকে বলেছি কেঁদো না' প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে।
সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৩ সালে তিনি কবিতায় বাংলা একাডেমী পুরস্কার পান।
৩৬৭ দিন আগে