লাইফস্টাইল
৪০ দেশের অংশগ্রহণে পাঁচ দিনব্যাপী ‘লিবারেশন ডকফেস্ট’ শুরু
শুরু হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত মুক্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব ‘লিবারেশন ডকফেস্ট’-এর দশম আয়োজন। শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে এ বছর আয়োজনটি আংশিক সরাসরি আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বছর বিশ্বের ১৯৬টি দেশ থেকে জমা হয়েছিল ২১ শতাধিক প্রামাণ্যচিত্র, যার মধ্য থেকে ৪০ দেশের ১৪০টি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে। আগারগাঁওস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে প্রতিদিন চারটি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি অনলাইনেও নির্বাচিত ছবিসমূহ প্রতিদিন স্ট্রিমিং করা হবে। গেল দু’বছরের মতো এবারও ‘কসমস ফাউন্ডেশন’ এক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদান করেছে।
আরও পড়ুন: ১০০ যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির যাত্রা উৎসব
ইউনাইটেড হাসপাতালে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত
প্রতি বছরের মতো এবারও ইউনাইটেড হাসপাতালে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক,নার্স ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হাসপাতালে আগত রোগীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালের লবীতে একটি হেলথ চেক বুথ উদ্ধোধনের মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করেন। দিনব্যাপী এই ফ্রি হেলথ চেক বুথে প্রায় পাঁচ শতাধিক রোগী ও তাদের স্বজনেরা স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুবিধা গ্রহণ করে। এছাড়াও দুপুরে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের উপস্থিতিতে সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এই উপলক্ষে হাসপাতালের ডিরেক্টর মেডিকেল সার্ভিসেস (ডিএমএস) ডা. শান্তি বানসাল বলেন, এ বছর কিডনি দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘সুস্থ কিডনি সবার জন্য- জ্ঞানের সেতুবন্ধনে সাফল্য’।
বিশ্ব কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তিনি বলেন, কিডনির যত্নে, জ্ঞানের শূন্যতা দূর করে, আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। মানুষকে জানাতে হবে, সচেতন করতে হবে। কিডনি ও এর জটিলতার সৃষ্ট সকল রোগের চিকিৎসায়,ইউনাইটেড হাসপাতালের প্রচেষ্টা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মেকানিক্যাল হার্ট ইমপ্ল্যান্ট সম্পন্ন
এ সময় ইউনাইটেড হাসপাতালের চিফ কনসালটেন্ট, নেফ্রোলজি এবং পরিচালক, রেনাল সেন্টার, প্রফেসর ডা. মো. নুরুল ইসলাম বলেন,ইউনাইটেড হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৩৯টি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এখন তা সাময়িক বন্ধ আছে। আশা করছি খুব অল্প সময়ের মধ্যে আবার ইউনাইটেড হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন শুরু হবে।
নেফ্রোলজি কনসালটেন্ট ডা.তানভীর বিন লতিফ বলেন, এ দেশে বেশ কিছু ডায়ালাইসিস সেন্টার গড়ে উঠেছে, যেখানে প্রধানত হেমোডায়ালাইসিসই দেয়া হয়ে থাকে। হেমোডায়ালাইসিস শুধুমাত্র একটি মেশিন নয়, এর সঙ্গে জড়িত আছে চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং কারিগরী দক্ষতা। যা ইউনাইটেড হসপিটালে অত্যন্ত মনোযোগ ও যত্ন সহকারে পরিচালনা করা হয়।
নেফ্রোলজি কনসালটেন্ট ডা. তানিয়া মাহবুব জানান, ডায়ালাইসিস চলাকালীন সময়ে মাসে ২-৩ বার নিয়মিত ফলোআপ করা জরুরি। এছাড়া নারী রোগীদের ঝুঁকি বেশী বিধায় তাদের ইউনাইটেড হসপিটালে বিশেষ স্ক্রীনিং এর আওতায় জরুরি রোগ নির্ণয় সুবিধা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পিংক সল্ট বা হিমালয় লবণের উপকারিতা
নারী দিবসে ৩ সম্মাননা পেলেন বিশ্বজয়ী বাংলাদেশি পর্যটক নাজমুন নাহার
বাংলাদেশের পতাকাবাহী সর্বাধিক রাষ্ট্র ভ্রমণকারী প্রথম বাংলাদেশি নাজমুন নাহার এবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দেশে-বিদেশে তিনটি সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
তিনি লন্ডনে স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশে উইমেন ওয়ারিয়র অ্যাওয়ার্ড ও ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
৬ মার্চ লন্ডনে রয়েল রিজেন্সি কনভেনশন হলে নোয়াখালী উৎসবের এক আয়োজনে বিলেতে প্রবাসী নোয়াখালী বাসীর পক্ষ থেকে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র জন বিগস ও বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে নাজমুন নাহারকে দেয়া হয় 'স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড।
আরও পড়ুন: ‘পিস রানার অ্যাওয়ার্ড' পেলেন বিশ্বজয়ী বাংলাদেশি পর্যটক নাজমুন নাহার
৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বাংলাদেশে রিয়াল হিরোস এক্সপো এন্ড কমিউনিকেশন আয়োজিত আইসিসিবি কনভেনশন হলে মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের কাছ থেকে বাংলাদেশ উইমেন ওয়ারিয়র অ্যাওয়ার্ডটি গ্রহণ করেন নাজমুন নাহারের বড় বোন কামরুন নাহার।
একই দিনে ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড পান নাজমুন নাহার। ই- ক্লাব(অন্ট্রাপ্রেনিওরস ক্লাব অব বাংলাদেশ) আয়োজিত গ্রীন হাউজ কনভেনশন হলে নেপালের রাষ্ট্রদূত কুমার রাজ এর হাত থেকে ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ডটি গ্রহণ করেন তাঁর বড় বোন জোবায়দাতুন নাহার।
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নাজমুন নাহার বিশ্বের ১৫২টি দেশ ভ্রমণের মাধ্যমে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক সৃষ্টি করেছেন।
ইতোপূর্বে তিনি 'পিস টর্চ বিয়ারার অ্যাওয়ার্ড' অনন্যা শীর্ষ দশ সম্মাননা,পিস রানার অ্যাওয়ার্ড, বিদ্রোহী নারী সম্মাননা, মিস আর্থ কুইন অ্যাওয়ার্ড, গেম চেঞ্জার অব বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড, মোস্ট ইনফ্লুয়েন্সিয়াল উইমেন অব বাংলাদেশ, গ্লোব অ্যাওয়ার্ড, অতীশ দীপঙ্কর গোল্ড মেডেল সম্মাননা, জনটা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড, তিন বাংলা সম্মাননা ও রেড ক্রিসেন্ট মোটিভেশনাল অ্যাওয়ার্ডসহ দেশে-বিদেশে মোট ৫০টির মতো সম্মাননা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বভ্রমণে ৫ দেশের জন্য বেঙ্গল এয়ারলিফট গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নাজমুন নাহার
১০০ যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির যাত্রা উৎসব
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে দেশব্যাপী ১০০টি যাত্রাপালা মঞ্চায়ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় আগামী ১২-৩০ মার্চ দেশব্যাপী ১০০টি নতুন যাত্রাপালা নিয়ে ‘বাংলাদেশ যাত্রা উৎসব ২০২২’ এর আয়োজন করছে প্রতিষ্ঠানটি।
উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আগামি ১২ মার্চ (শনিবার) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুরের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিয়ে বাড়িতে হলো ‘গুণিন’ সিনেমার প্রিমিয়ার!
আলোচক হিসেবে থাকবেন যাত্রা ব্যক্তিত্ব জ্যোৎস্না বিশ্বাস, যাত্রা গবেষক ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মার্জিয়া আক্তার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এবং স্বাগত বক্তব্য রাখবেন একাডেমির সচিব মো. আছাদুজ্জামান।
১২-১৬ মার্চ প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে যাত্রামঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরের যাত্রাদলের যাত্রাপালা মঞ্চায়িত হবে।
আরও পড়ুন: রুদ্র দ্য এইজ অব ডার্কনেস: ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সুপারস্টার অজয় দেবগন
নারীদের এগিয়ে চলা নিয়ে বইমেলায় আইরিশের ‘অপরাজিতা’
সময়ের সঙ্গে নারীরা এখন অনেক এগিয়ে। সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রায় সবক্ষেত্রে নারীরা নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ রাখছেন। মানুষের দুটি সত্তা নারী ও পুরুষ হলেও অধিকারের প্রশ্নে সবাই সমান। সেই কথাগুলো উঠে এসেছে বিশ্বের অনেক লেখদের বইতে। এই জায়গায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও।
দেশের তরুণ অনেক লেখকদের বইতে উঠে আসছে নারীদের নিয়ে আলোচনা। তেমনই একটি বই ‘অপরাজিতা’ এ বছরের একুশে বইমেলায় প্রকাশ হয়েছে। এটির লেখক আইরিশ পারভীন।
অনন্যা প্রকাশনী থেকে ‘অপরাজিতা’ উপন্যাসটি আইরিশ পারভীনের দ্বিতীয় প্রকাশিত বই।
বইটি সম্পর্কে আইরিশ বলেন, ‘নারী শব্দটি খুব দৃঢ় এবং শক্তিশালী এক শব্দ। শব্দের মতোই দৃঢ় এবং শক্তিশালী হয় নারী মানুষ হিসেবেও। নারী সুন্দর, নারী শাশ্বত। তবে আমাদের সমাজে নারী অসহায়, অবহেলিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত। এখানে নারীদের চালে বাঁধা, চলনে বাঁধা। সেসব বাঁধাকে তোয়াক্কা না করে যেসব নারীরা এগিয়ে চলে মনুষত্বের পথে স্বাধীনতার পথে মুক্তির পথে সেসব নারীদেরকে সম্মান ও সালাম জানিয়ে তাদের প্রতিনিধিত্বে এনেছি আমার গল্পের অপরাজিতা চরিত্রটি।’
তিনি আরও জানান, অপরাজিতা এমন একটি চরিত্র যে মনুষত্বের পথে ভালোবাসা বিলিয়ে চলে। যে তার নামের অর্থকে তার জীবনের মাহাত্ম বানাতে চেয়েছে।
পড়ুন: একুশে বইমেলা চলবে ১৭ মার্চ পর্যন্ত: প্রতিমন্ত্রী
এবারও হচ্ছে না জয় বাংলা কনসার্ট, থাকছে ভিন্ন আয়োজন
করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ২০২১ সালের মতই এবারও ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজন হচ্ছে না জয় বাংলা কনসার্টের। কিন্তু ৭ মার্চকে ঘিরে ভিন্ন কিছু আয়োজনের কথা জানিয়েছে জয় বাংলা কনসার্টের আয়োজকেরা।
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলা জানায়, কোভিড-১৯ স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে এবার ইয়াং বাংলা আয়োজিত ৭ই মার্চের জয় বাংলা কনসার্ট হচ্ছে না। তবে বেশ কিছু টিভি চ্যানেলে সোমবার সারাদিন কনসার্ট নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে।'
জয় বাংলা কনসার্ট নিয়ে এই বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে একাত্তর টিভি (বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে), মাছরাঙ্গা টিভি (সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে), চ্যানেল ২৪ (রাত ৮টা ৩০ মিনিটে) এবং গান বাংলা (রাত ৯টা)।
আরও পড়ুন: ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ২০ ডিসেম্বর
ইয়াং বাংলার পক্ষ থেকে জানানো হয়, অনুষ্ঠানগুলোতে জয় বাংলা কনসার্ট নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা জানাবেন সেখানে অংশ নেয়া শিল্পীরা। এর পাশাপাশি তারা গান গেয়েও শোনাবেন। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের গানও গেয়ে শোনানো হবে। আর সেই সঙ্গে কনসার্ট ঘিরে তাদের মজার সব অভিজ্ঞতা নিয়েও হবে কথা।
উল্লেখ্য ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে সিআরআই-এর অঙ্গ সংগঠন ইয়াং বাংলা। ২০১৫ সালে তারুণ্যের বৃহত্তম এই প্লাটফর্ম প্রথমবারের মত ৭ মার্চ আয়োজন করে জয় বাংলা কনসার্ট। এরপর টানা ৫ বছর নিয়মিত এই কনসার্টের আয়োজন করে এসেছে ইয়াং বাংলা।
গুলশান সোসাইটি আয়োজিত ‘বইমেলা ২’ শুরু
মহান ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গুলশান সোসাইটি লেক পার্কে শুরু হয়েছে বইমেলা। ৪ মার্চ (শুক্রবার) শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী এই মেলা সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে।
স্বনামধন্য প্রকাশক এবং পুস্তক বিক্রেতাদের ২৫টি স্টল নিয়ে সাজানো হয়েছে মেলা। এটি গুলশান সোসাইটি আয়োজিত দ্বিতীয় বইমেলা।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক শুক্লা সরোয়ার সিরাজ বলেন, ‘মহামারির মধ্যে গতবারের চেয়ে এ বছর মেলার আয়োজন আরও বড় পরিসরে আয়োজন হয়েছে। দুই দিনব্যাপী এই মেলা আয়োজনের প্রথম দিনের দর্শনার্থীদের যে সাড়া পেয়েছি তাতে আমরা মুগ্ধ।’
বইমেলায় বিভিন্ন স্টল থাকলেও সাহিত্য নির্ভর স্টলের অভাব রয়েছে। তবে সেটি আগামীতে থাকবে না বলে আরও জানান শুক্লা সরোয়ার সিরাজ। তিনি বলেন, ‘আমরা আসলে খুবই ছোট পরিসরে মেলা শুরু করেছি। আমাদের কমিউনিটির সাড়া কেমন পাব সেটির অপেক্ষায় ছিলাম বলা যায়। সেটি যেহেতু বেশ ইতিবাচক। তাই সামনে আরও অনেক দিকে আমরা নজর দিব।’
পড়ুন: ৪০০ বছর আগের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ‘কাজল রেখা’
ঢাকাবাসীর কাছে বইমেলা মানেই বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘একুশে বইমেলা’। কিন্তু সময় ও দূরত্বের দিক থেকে যারা সেখানে উপস্থিত হতে পারেননি তাদের অনেকের স্বস্তির কারণ গুলশান সোসাইটি আয়োজিক ‘বইমেলা ২’।
মেলায় দর্শনার্থীদের এমনই একজন নূরুল হক। সন্তানদের নিয়ে দুপুরের পরই বইমেলায় উপস্থিত হন। তিনি বলেন, ‘প্রতিবারই একুশে বইমেলায় যাওয়া হয়। বই পড়তে আমি সব সময় বই পড়তে ভালোবাসি। কিন্তু এবার এখনও যাওয়া হয়নি। গুলশান সোসাইটিকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটি মেলার আয়োজন করে।’
বইমেলা প্রাঙ্গণে আকর্ষণীয় স্টলগুলোর একটি কসমস বুকস। স্টলটির পক্ষ থেকে সৌরভ চৌধুরী বলেন, ‘গতবারের মতো এবারও বেশ সুন্দর আয়োজন হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বই কেনার প্রতি পাঠকদের বেশ আগ্রহ রয়েছে।’
অন্যদিকে ‘বেঙ্গল বই’ স্টলের পক্ষ থেকে মুনা রহমান বলেন, ‘অবশ্যই দারুণ একটি আয়োজন। তবে আয়োজকদের কাছে অনুরোধ থাকবে, বইমেলার সময়টা যদি বাড়ানো যেত। কারণ অনেকেই হয়তো মেলা সম্পর্কে জানতে সময় লেগে যায়। কিন্তু ততদিনে মেলা থাকে না। এছাড়া বলব সবকিছু মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি উদ্যোগ এটি।’
পড়ুন: জায়েদ খানই সাধারণ সম্পাদক: হাইকোর্ট
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মেকানিক্যাল হার্ট ইমপ্ল্যান্ট সম্পন্ন
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মেকানিক্যাল হার্ট ইমপ্ল্যান্ট বা যান্ত্রিকভাবে হৃদপিণ্ডের কাজ প্রতিস্থাপন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
ইউনাইটেড হসপিটালের প্রধান কার্ডিয়াক সার্জন ও কার্ডিয়াক সেন্টারের পরিচালক ডা. জাহাঙ্গীর কবির গতকাল বুধবার ইউনাইটেড হসপিটালে ৪২ বছর বয়স্ক এক নারীর হৃদপিণ্ডে মেকানিক্যাল হার্ট স্থাপন করেন। যিনি দীর্ঘদিন শেষ পর্যায়ের বা তীব্র হার্ট ফেইলিওর নামক হৃদপিণ্ডের নানা জটিলতায় ভুগছিলেন ।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের বর্তমান উৎকর্ষতায় উন্নত বিশ্বে এর একমাত্র চিকিৎসা আরেকটি সুস্থ হার্ট দিয়ে প্রায় অকার্যকর হার্টটি প্রতিস্থাপন। তবে যদি সুস্থ হার্ট না পাওয়া যায় কিংবা পেতে দেরী হচ্ছে এবং হার্টের অবস্থা যদি দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে তবে মেকানিক্যাল হার্ট ইমপ্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়। এতে রোগীর হার্ট কিছুটা বিশ্রাম পায় এবং সমস্ত শরীরের রক্ত চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে । ফলে শরীরে অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ যেমন কিডনি, লিভার ইত্যাদি সেরে ওঠার সুযোগ পায়। তীব্র হার্ট ফেইলিওরে আক্রান্ত কিছু রোগী হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট এর উপযুক্ত না হলে তাদের জন্য একমাত্র বিকল্প এল্ভ্যাড, যা স্থাপনের মাধ্যমে বাকি জীবন সুস্থভাবে অতিবাহিত করতে পারেন।
আরও পড়ুন: কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
ডা. জাহাঙ্গীর কবির ও তার দক্ষ সহকর্মীরা প্রায় ৪ ঘণ্টা সময় ধরে সফল অস্ত্রপচারের মাধ্যমে হার্টমেট-৩ নামের একটি মেকানিক্যাল হার্ট রোগীর হৃদপিণ্ডের বাম নিলয়ে স্থাপন করেন এবং তার পুরো হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনেন। আশা করা যাচ্ছে এর মাধ্যমে রোগীর মৃত্যুঝুঁকি অনেক কমে আসবে এবং হার্ট ফেইলিওরের লক্ষণ সমূহের উন্নতি ঘটবে।
বাংলাদেশে হার্ট সার্জারীর প্রথম সারির এ চিকিৎসক দল ইউনাইটেড হসপিটালের শুরু থেকেই ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষের হার্টের সফল সার্জারী করেছেন ।
বর্তমানে সারা বিশ্বে দশ মিলিয়ন এরও বেশি মানুষ ‘হার্ট ফেইলিওর’ রোগে আক্রান্ত । এশিয়ায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব এক দশমিক ২৬ শতাংশ থেকে ৬দশমিক সাত শতাংশ ।
আরও পড়ুন: শীতকালে কেনো বেশি ঘুম পায়?
‘বিশ্ব নন্দিত এক নক্ষত্র শেখ মুজিবুর রহমান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
অমর একুশে বইমেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটুর বিশ্ব নন্দিত এক নক্ষত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
সোমবার বিকেলে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য জাকিয়া পারভিন মনি এবং বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক।
বইটি প্রকাশ করেছে তৃণলতা প্রকাশ। অমর একুশে গ্রন্থমেলার ৩৭৩/৩৭৪ নং স্টলে এবং অনলাইনে রকমারি ডটকম থেকে বইটি সংগ্রহ করা যাবে।
প্রধান অতিথি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এই গ্রন্থটি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটুর একটি কালজয়ী উদ্যোগ। তিনি এই বইয়ের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের কাছে অত্যন্ত সাবলীল ও ব্যাপক তথ্য নির্ভরভাবে জাতির পিতাকে তুলে ধরেছেন। আশা করি এই বইটি পাঠ করার মাধ্যমে পাঠক বঙ্গবন্ধুর বিপ্লবী জীবন সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জনের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন: গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ ইতিহাসের এক অসাধারণ দলিল: জাফর ইকবাল
বিশিষ্ট লেখক ও কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন,বিশ্বের সকল বাংলা ভাষাভাষী মানুষের উচিত বঙ্গবন্ধুকে জানা, আর বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে অনেক বেশি বেশি পড়তে হবে। মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু রচিত বিশ্ব নন্দিত এক নক্ষত্র শেখ মুজিবুর রহমান গ্রন্থটি বঙ্গবন্ধুকে জানতে বিশেষভাবে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বইটি সংগ্রহ করতে সবার প্রতি আহবান জানান তিনি।
বইয়ের লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে বেড়ে উঠেছি। সবসময় বঙ্গবন্ধুর চেতনা ধারণ করে আমার পথচলা। আসলে বঙ্গবন্ধু এমন একজন ব্যক্তি, যাকে সামান্য কয় পৃষ্ঠা কাগজে লিখে শেষ করা দুঃসাধ্য কাজ। আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক জীবনের চুম্বক অংশ পাঠকের জন্য তুলে ধরেছি।
পাঠক ভালোভাবে বইটি পাঠ করলেই আমার স্বার্থকতা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সম্মানিত সদস্যরাসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে একুশে পদক পাবেন ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক
‘মাসুদ রানা’র লেখক-প্রকাশক কাজী আনোয়ার হোসেন আর নেই
জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে কি করবেন?
দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন কর্ম সম্পাদনে পরিচয় সংক্রান্ত প্রমাণাদির সাপেক্ষে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় নথি জাতীয় পরিচয়পত্র। এ কারণে স্বাভাবিকভাবেই ওয়ালেটের আইটেমগুলোর মধ্যে একটি নিত্য সংযোজন এই ছোট আইডি কার্ড। এ অবস্থায় ভুল বশত অনেকের মধ্যেই জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে ফেলার প্রবণতা দেখা যায়। পকেটমার কিংবা ছিনতাইয়ের ক্ষেত্রেও মানিব্যাগটির সাথে হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে দরকারি এই বস্তুটি। এই ভুল জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ছোটখাট হয়রানি থেকে একদম আইনি ঝামেলারও অবতারণা হতে পারে জাতীয় পরিচয়পত্র হারানো ফলে। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক, জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে করণীয়সমূহ।
জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে করণীয়
থানায় জিডি (জেনারেল ডায়েরি) করা
জাতীয় পরিচয়পত্র হারানোর সাথে সাথেই সর্বপ্রথম যে কাজটি করণীয় তা হচ্ছে নিকটস্থ থানায় তা লিখিতভাবে জানানো বা একটি সাধারণ ডায়েরি করা। থানা কর্তৃক জিডি গৃহীত হওয়ার পর জিডি গ্রহণকারী পুলিশ কর্মকর্তার নাম ও ফোন নম্বর সংগ্রহ করতে হবে। কেননা জিডির কপিটির সাথে এই তথ্যগুলোও পরবর্তীতে প্রয়োজন হবে।
পড়ুন: যেভাবে পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন করবেন
অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র রি-ইস্যুর জন্য আবেদন
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের আওতাভুক্ত জাতীয় পরিচয়পত্র সেবার ওয়েবসাইট বা এনআইডি উইংয়ে গিয়ে অনলাইন নিবন্ধন করতে হবে। ইতোমধ্যে নিবন্ধিত হয়ে থাকলে এনআইডি নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করা যাবে। আর পাসওয়ার্ড ভুলে গেলেও সমস্যা নেই। পাসওয়ার্ড রিসেট করে নতুন পাসওয়ার্ড সেট করে পুনরায় অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যাবে।
যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করে নিবন্ধনের সম্পন্ন করার পর ফেইস ভেরিফিকেশন হবে। এই প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হলেই পুনরায় লগ ইন করতে অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা যাবে।
অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করলেই পাওয়া যাবে রিইস্যু অপশনটি। এতে ক্লিক করার পর পাওয়া যাবে জাতীয় পরিচয়পত্র রিইস্যু করার আবেদন ফর্ম। ফর্মটি যথাযথভাবে পূরণ করে সাবমিটের পর আসবে ফি প্রদানের সেকশন। এখানে জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পাওয়ার জন্য বিতরণের ধরন (রেগুলার অথবা আর্জেন্ট) নির্বাচন করতে হবে। অতঃপর ফি প্রদান করার পর পরের স্ক্রিণে আসবে জিডির সেকশন।
পড়ুন: শিক্ষা সনদপত্র হারিয়ে গেলে করণীয়
এখানে থানা থেকে নিয়ে আসা জিডির কপিটি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে আপলোডের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন জিডির লেখাগুলো স্পষ্ট বোঝা যায়। জিডির যাবতীয় তথ্যাবলি প্রদান করা হলে চুড়ান্তভাবে আবেদনটি সম্পন্ন হয়ে যাবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে পাওয়া
সাধারণত অনলাইনে আবেদন জমা দেয়ার সাত থেকে পনের দিনের মধ্যে আবেদনটির অনুমোদন হয়ে যায়। জাতীয় পরিচয়পত্র রি-ইস্যুর আবেদন অনুমোদিত হলে আবেদনের সময় সরবরাহকৃত মোবাইল নাম্বারে একটি বার্তা দেয়া হবে। বার্তাটি পাওয়ার সাথে সাথেই এনআইডি উইংয়ে পুনরায় লগ ইন করে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করে নিতে হবে। নতুবা নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলে আর ডাউনলোড করা যায় না।
জাতীয় পরিচয়পত্রের এই অনলাইন কপি পরবর্তীতে প্রিন্ট ও লেমিনেটিং করে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
পড়ুন: বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করার নিয়ম
২০১৯-এর পর যাদের অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র হয়েছে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে, এই এনআইডি উইংয়ে লগ ইন করে বিনামূল্যেই জাতীয় পরিচয়পত্রটি ডাউনলোড করে নেয়া যাবে।
২০১৯-এর আগের ভোটারদের ক্ষেত্রে অথবা যারা ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন, তারা এই পোর্টাল থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে একটি নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে।
উল্লেখ্য যে, স্মার্ট কার্ড হাতে পাওয়ার জন্য সরাসরি নির্বাচন কমিশনের স্থানীয় কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। সেক্ষেত্রে জিডির কপিটি নিয়ে সরাসরি চলে যেতে হবে থানা বা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে। অতঃপর আবেদন করতে হবে পরিচালক বরাবর।
পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
জাতীয় পরিচয়পত্র রি-ইস্যু ফি
হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র উত্তোলন করতে বা রি-ইস্যুর জন্য আবেদন ফি সাধারণের ক্ষেত্রে ভ্যাট সহ ৩৪৫ টাকা। আর জরুরি ক্ষেত্রে ভ্যাট সহ দিতে হবে ৫৭৫ টাকা। ২০১৯ এর আগের ভোটারদের এনআইডি উইং থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে ২৩০ টাকা দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র রি-ইস্যুর আবেদন করতে হবে।
এই টাকা দেশের মোবাইল ব্যাংকিং সেবাগুলো যেমন রকেট, বিকাশ ব্যবহার করে অনায়াসেই পরিশোধ করা যেতে পারে।
পরিশিষ্ট
এভাবে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র ফিরে পাওয়া যায়। তবে এই ঝামেলা পোহাতে না চাইলে প্রথম থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত। এখন ব্যাংকের লেনদেন, পাসপোর্ট, বিভিন্ন লাইসেন্স প্রতি ক্ষেত্রেই যুক্ত হয়ে পড়ছে জাতীয় পরিচয়পত্র। তাই নিদেনপক্ষে জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বারটি আলাদা করে মোবাইল লিখে রাখা যেতে পারে। একাধিক জায়গায় বিশেষ করে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে (গুগল ড্রাইভ, ড্রপ বক্স, ওয়ান ড্রাইভ) সংরক্ষণ করা থাকলে বিভিন্ন কাজের সময় নাম্বারটা ব্যবহার করা যেতে পারে।
পড়ুন: স্মার্ট আইডি কার্ড: জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকলে যেভাবে সংশোধন করবেন