প্রতি বছরের মতো এবারও ইউনাইটেড হাসপাতালে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক,নার্স ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হাসপাতালে আগত রোগীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালের লবীতে একটি হেলথ চেক বুথ উদ্ধোধনের মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করেন। দিনব্যাপী এই ফ্রি হেলথ চেক বুথে প্রায় পাঁচ শতাধিক রোগী ও তাদের স্বজনেরা স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুবিধা গ্রহণ করে। এছাড়াও দুপুরে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের উপস্থিতিতে সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এই উপলক্ষে হাসপাতালের ডিরেক্টর মেডিকেল সার্ভিসেস (ডিএমএস) ডা. শান্তি বানসাল বলেন, এ বছর কিডনি দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘সুস্থ কিডনি সবার জন্য- জ্ঞানের সেতুবন্ধনে সাফল্য’।
বিশ্ব কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তিনি বলেন, কিডনির যত্নে, জ্ঞানের শূন্যতা দূর করে, আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। মানুষকে জানাতে হবে, সচেতন করতে হবে। কিডনি ও এর জটিলতার সৃষ্ট সকল রোগের চিকিৎসায়,ইউনাইটেড হাসপাতালের প্রচেষ্টা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মেকানিক্যাল হার্ট ইমপ্ল্যান্ট সম্পন্ন
এ সময় ইউনাইটেড হাসপাতালের চিফ কনসালটেন্ট, নেফ্রোলজি এবং পরিচালক, রেনাল সেন্টার, প্রফেসর ডা. মো. নুরুল ইসলাম বলেন,ইউনাইটেড হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৩৯টি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এখন তা সাময়িক বন্ধ আছে। আশা করছি খুব অল্প সময়ের মধ্যে আবার ইউনাইটেড হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন শুরু হবে।
নেফ্রোলজি কনসালটেন্ট ডা.তানভীর বিন লতিফ বলেন, এ দেশে বেশ কিছু ডায়ালাইসিস সেন্টার গড়ে উঠেছে, যেখানে প্রধানত হেমোডায়ালাইসিসই দেয়া হয়ে থাকে। হেমোডায়ালাইসিস শুধুমাত্র একটি মেশিন নয়, এর সঙ্গে জড়িত আছে চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং কারিগরী দক্ষতা। যা ইউনাইটেড হসপিটালে অত্যন্ত মনোযোগ ও যত্ন সহকারে পরিচালনা করা হয়।
নেফ্রোলজি কনসালটেন্ট ডা. তানিয়া মাহবুব জানান, ডায়ালাইসিস চলাকালীন সময়ে মাসে ২-৩ বার নিয়মিত ফলোআপ করা জরুরি। এছাড়া নারী রোগীদের ঝুঁকি বেশী বিধায় তাদের ইউনাইটেড হসপিটালে বিশেষ স্ক্রীনিং এর আওতায় জরুরি রোগ নির্ণয় সুবিধা দেয়া হয়।