এদিন ইমরুলের ১৪৪ রান, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের ৫০ ও মোহাম্মদ মিঠুনের ৩৭ রানের ভর করে ২৭১ রানের লড়াকু সংগ্রহ গড়ে মাশরাফি বাহিনী।
তবে রবিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে মাশরাফির দলের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। ১৫ ওভারের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা।
একপ্রান্ত আগলে রেখে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যান ইমরুল কায়েস। চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে ৭১ রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে ইমরুল। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেন এই ব্যাটসম্যান।
সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড জুটিতে ১২৭ রানের ইনিংস খেলেন ইমরুল-সাইফ। ১৩ চার ও ৬টি ছক্কায় ১৪৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দেন ইমরুল। অন্যদিকে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করেন নবাগত মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
এই দুজনের ওপর ভর করে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বাংলাদেশ।
এ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছে অলরাউন্ডার ফজলে মাহমুদ রাব্বির। তবে লিটন দাসের আউটের পর ব্যাটে নেমে উইকেট থেকে শূন্য রানেই ফিরে আসতে হয় তাকে।
বাংলাদেশ দলে ধস নামানো জিম্বাবুয়ের কাইল জার্ভিস ৩৭ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন।
অপরদিকে জিম্বাবুয়ের শুরুটা ভালোভাবে শুরু করলেও টাইগার হৃদয়ে ভীতির সঞ্চার সৃষ্টি করতে পারেনি সফরকারীরা। হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও সেফাস জুয়াও ৭ ওভারে ঝড়ো ব্যাটিং করে তোলেন ৪৮ রান। পরে কাটার মাস্টার মুম্তাফিজের বলে শুরুতেই কাটা পরেন ২৪ বলে ৩৫ রান করা জুয়াও।
এরপর আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি জিস্বাবুয়ে। নবম উইকেটে শন উইলিয়ামস ও কাইল জার্ভিসের ৬৭ রানের জুটি হারের ব্যবধানটাই শুধু কমিয়েছে।