বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারিয়ে সপ্তমবারের মতো শিরোপা হাতে নেয় ভারত। সেই সাথে টানা দুই আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেল তারা।
এর আগে ২০১৬ সালে এশিয়া কাপের টি২০ আসরে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় ভারত।
এদিকে শিরোপা আক্ষেপে আরেকবার পুড়লো বাংলাদেশ দল ও কোটি কোটি সমর্থক।
২০১২ সালে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ জয়ের সুযোগ আসে সাকিব-মুশফিকদের কাছে। সেবার হোম অব গ্রাউন্ড মিরপুরে ওই আসরের ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ২ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমদের সাথে কান্নায় ভাসেন কোটি কোটি টাইগার ভক্ত।
১৪তম আসরের ফাইনালে শুক্রবার রাতে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয়বারের এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলতে নামে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন ভারত।
টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত। লিটন-মিরাজের উদ্বোধনী জুটির ১২০ রানের উড়ন্ত সূচনার পরও ২২২ রানে থেমে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস। খেলতে পেরেছে ৪৮ ওভার ৩ বল।
টাইগারদের পক্ষে একমাত্র সফল ছিলেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। ১১৭ বলে ১২টি চার ও ২টি ছক্কার মারে করেছেন ক্যারিয়ার সেরা ১২১ রান।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে (৪৫ বলে ৩৩ রান)। আরেক ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ ৫৯ বল খেলে করেছেন ৩২ রান। এছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের ঘর পেরোতে পারেননি।
২২৩ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে স্বস্তি দেয়নি টাইগার বোলাররা। সর্বোচ্চ ৪৮ রান করতে পেরেছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের একপেশে ম্যাচ খেলতে দেয়নি মুস্তাফিজ-রুবেলরা। বরং শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ উপহার দেয় মাশরাফির দল। শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করে বীরের মতো হারে বাংলাদেশ।