অন্যদিকে দূর্দান্ত খেলেও প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার খুব কাছে থেকেও হতাশ হতে হয় জাপানকে।
রোস্তভ অ্যারেনায় শেষ আটে ওঠার লড়াইয়ে খেলতে নামে বিশ্বকাপে ‘ইউরোপের কালো ঘোড়া’ বেলজিয়াম এবং শেষ ষোলেতে পৌঁছানো এশিয়ার একমাত্র প্রতিনিধি জাপান।
ম্যাচের আগে বেলজিয়ামকে ফেভারিট ধরা হলেও ম্যাচ শুরুর পর দেখা যায় জাপানও কোনো অংশে কম যায় না।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। কিন্তু প্রথমার্ধে কাঙ্খিত গোলের দেখা পায়নি কোনো দল।
বিরতির পর এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ম্যাচ উপহার দেয় বেলজিয়াম ও জাপান। ৪৮ ও ৫২ তম মিনিটে জাপানিজ উপাখ্যান রচনা করেন গেনকি হারাগুচি ও তাকাশি ইনুই। চার মিনিটের ব্যবধানে এবারের বিশ্বকাপে দারুণ ফর্মে থাকা বেলজিয়ামকে তাক লাগিয়ে দেয় এশিয়ার এই সেরা প্রতিনিধি।
কিন্তু শেষ আটে ওঠার জন্য তখনো আশা ছাড়েনি বেলজিয়াম। অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৬৯ ও ৭৪ মিনিটে দুই গোল শোধ করেন বেলজিয়ামের ভার্টোনেন ও মারোয়ান ফেলাইনি।
এরপর গতি আর আক্রমণে জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে দুদল। কিন্তু জাপানের বুকে তীর বেঁধে শেষ হাসি হাসে লুকাকুরাই।
যোগ করা ৪ মিনিটের একেবারে শেষের দিকে গোল করে বেলজিয়ামকে শেষ আটে নিয়ে যান বদলি হিসেবে মাঠে নামা নাসের শাদলি।
শুক্রবার সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বেলজিয়ামের প্রতিপক্ষ পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।