ফুটবল
ধ্রুপদী ফুটবলের রাতে গৌরবময় সময়ে ফেরার ইঙ্গিত বার্সেলোনার
হাজারো সংকটের মাঝেও কীভাবে লক্ষ্যে অটল থেকে, মাথা ঠান্ডা রেখে জয় ছিনিয়ে আনতে হয়, তা-ই যেন দেখিয়ে চলেছেন হান্সি ফ্লিক। একের পর এক খেলোয়াড়ের চোট এবং ক্লাবের আর্থিক সংকটে নতুন খেলোয়াড় না পেয়ে একাডেমি লা মাসিয়া থেকে যুবাদের মূল দলে এনে জোড়াতালি দিয়ে শিষ্যদের মাঠে নামিয়ে চলেছেন এই জার্মান কোচ। অথচ এমনই তার দলের পারফরম্যান্স যা কোটি বার্সাভক্তকে ভুলিয়ে দেয়— দলটি ঠিক কতটা সংকটের মধ্যে সময় পার করছে। আর তেমনই এক স্মরণীয় ম্যাচ তিনি উপহার দিলেন রবিবার রাতেও।
সবশেষ কয়েক ম্যাচ উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে আসার মাঝে দানি অলমো ও পাউ ভিক্তরের নিবন্ধন নিয়ে জটিলতা, রোনালদ আরাউহোর দল ছাড়ার গুঞ্জন— সব মিলিয়ে ঝটিকাসংকুল সময়ের মাঝে কে ভেবেছিল, এই বার্সেলোনা সম্প্রতি ছন্দে ফিরতে শুরু করা রিয়াল মাদ্রিদকে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত করবে? তাও আবার শেষের অন্তত ৪০ মিনিট দশজন নিয়ে খেলে? অথচ মাঠের খেলায় সেটিই বাস্তবতা হয়ে ধরা দিল। আর হাজারো সমস্যার মাঝে লাল-নীল জার্সির মায়ায় পড়া বিশ্বব্যাপী কোটি কুলেরের হৃদয় বিগলিত করা একটি রাত উপহার দিল দলটি।
পড়তে পড়তে অনেকেরই হয়তো চোখ ভরে উঠবে, কিন্তু মরুর বুকে যে বিজয়গাঁথা বার্সেলোনা রচনা করল, তা কি এসব উপমার তুলনায় কম কিছু?
১ দিন আগে
রিয়ালকে ৫ গোল দিয়ে সুপার কাপ জিতল ১০ জনের বার্সেলোনা
আর্থিক সংকটে পড়ে খেলোয়াড় নিবন্ধন করাতে না পারা নিয়ে সম্প্রতি সমালোচনা আর ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের স্বীকার হলেও রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ফের জ্বলে উঠল বার্সেলোনা। আর তাতে ম্যাচের শেষের ৩০ মিনিটের বেশি সময় একজন খেলোয়ড় কম নিয়ে খেলেও চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিধ্বস্ত করে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা জিতল হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাতে সৌদি আরবের জেদ্দায় সুপার কাপের ফাইনালে শিরোপাধারী রিয়াল মাদ্রিদকে ৫ গোল দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা। অবশ্য জয়ের পথে দুটি গোল হজমও করতে হয়েছে তাদের।
এই হারে সুপার কাপ জয়ের হিসাবে বার্সেলোনাকে এ বছর আর ছোঁয়ার প্রতীক্ষা আরও দীর্ঘ হলো রিয়াল মাদ্রিদের (১৩)। অপরদিকে, জিতে রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিল (১৫) ব্লাউগ্রানা খ্যাত দলটি।
এদিন ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে নেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তারপর কোথায় যেন হারিয়ে যায় দলটির সমন্বয়, সেইসঙ্গে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তাদের রক্ষণভাগও। আর দলীয় প্রচেষ্টা, সতীর্থদের দারুণ বোঝাপড়া আর নির্ভুল ফিনিশিংয়ে একের পর এক গোল করতে থাকে কাতালান জায়ান্টরা।
এরই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ২২তম মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান লামিন ইয়ামাল। এরপর ৩৬তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে লেভানডোভস্কির গোলে প্রথমবার এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। তারপর ৩৯ ও ৪৮তম মিনিটে রাফিনিয়ার জোড়া গোল ও প্রথমার্ধের যোগ করা দশম মিনিটে আলেহান্দ্রো বালদের গোলে ব্যাবধান ৫-১ করে ফেলে তারা।
আরও পড়ুন: হেরে বার্সেলোনার রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন ধূলিসাৎ রিয়ালের
দশজনের দলে পরিণত হওয়ার পর ৬০তম মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করেন রদ্রিগো। এরপর বার্সেলোনা রক্ষণে মনোযোগ দিলে আর গোল করা হয়ে ওঠে না কোনো দলেরই। ফলে ৫-২ গোলে শেষ হয় ম্যাচ।
এর ফলে সুপার কাপ জয়ের পাশাপাশি চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত দুবারের দেখায় দুবারই বড় ব্যবধানে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারাল বার্সেলোনা। গত ২৭ অক্টোবর লা লিগায় সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে অনুষ্ঠিত প্রথম এল ক্লাসিকো ৪-০ গোলে হেরেছিল কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
এদিকে, দায়িত্ব নেওয়ার পর বার্সেলোনাকে প্রথম শিরোপা জেতালেন হান্সি ফ্লিক। সেইসঙ্গে দুটি এল ক্লাসিকোতে ডাগআউটে থেকে দুটিই জিতলেন এই জার্মান কোচ।
বার্সেলোনার পরবর্তী ম্যাচ আগামী বুধবার (১৫ জানুয়ারি)। কোপা দেল রের শেষ ষোলোর ওই ম্যাচে রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে মাঠে নামবে কাতালানরা। একদিন পর সেল্তা ভিগোকে আতিথ্য দেবে রিয়াল মাদ্রিদ।
২ দিন আগে
সহজ জয়ে সুপার কাপের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
ধীরগতির ফুটবল ম্যাচে তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ ছাড়াই অনুমিত জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এর ফলে টানা দ্বিতীয়বারের মতো স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে উঠল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। পাশাপাশি আরও একটি এল ক্লাসিকো ফাইনাল দেখার সুযোগ মিলল ফুটবলভক্তদের।
সৌদি আরবে স্প্যানিশ সুপার কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মায়োর্কাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাড়েমেড়ে প্রথমার্ধ শেষে দ্বিতীয়ার্ধেও তেমন কোনো উত্তেজনা ছড়াতে পারেনি দুই দল। তবে তিনটি গোলই হয়েছে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে।
৬৩তম মিনিটে খানিকটা ভাগ্যের জোরে রিয়ালের গোলের খাতা খোলেন জুড বেলিংহ্যাম। ডান পাশ দিয়ে চমৎকার এক আক্রমণে উঠে মায়োর্কার বক্সে ঢুকে পেনাল্টি স্পটের দিকে ব্যাক পাস দেন ভিনিসিয়ুস। তা থেকে দূরের পোস্টে শট নিলে রদ্রিগোর সেই শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বল পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গোলে শট নেন এমবাপে, তবে দারুণ ক্ষিপ্রতায় মায়োর্কা গোলরক্ষক তা ফিরিয়ে দিলে সামনে থাকা বেলিংহ্যাম পেয়ে যান। এরপর ঠান্ডা মাথায় গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারদের মাঝ দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ফলে হতাশ হয় মায়োর্কা।
গোল খাওয়ার পরও সমতায় ফিরতে তেমন জোর চেষ্টা ছিল না দলটির। এর মাঝে সুযোগ তৈরি অব্যাহত রাখে রিয়াল মাদ্রিদ। আর তা প্রতিহত করতেই সময় যায় মায়োর্কার খেলোয়াড়দের।
আরও পড়ুন: বিলবাওকে হারিয়ে সুপার কাপের ফাইনালে বার্সেলোনা
এমতাবস্থায় নির্ধারিত নব্বই মিনিটের খেলা শেষ হলে ১-০ গোলেই ম্যাচ শেষ হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। তবে অতিরিক্ত যোগ করা ৬ মিনিটের তৃতীয় মিনিটে এমবাপের শট প্রতিহত করতে গিয়ে বলের দিক পরিবর্তন করে দেন মায়োর্কা ডিফেন্ডার মার্তিন ভালিয়েন্ত। আর বল জালে জড়িয়ে গেলে আত্মঘাতী গোলের গ্লানিতে পুড়তে হয় তাকে।
এর দুই মিনিট পর গোল পেয়ে যান রদ্রিগোও। লুকাস ভাসকেসের বাড়ানো বল থেকে গোল আদায় করে নিয়ে স্কোরলাইন ৩-০ করে ফেলেন তিনি। এতে দলকে ফাইনালে নেওয়ার পাশাপাশি গোল করে নিজের জন্মদিন উদযাপন করেন এই ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড।
আগামী রবিবার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। সেদিন জিতলে সুপার কাপ জয়ের হিসাবে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের পাশে বসবে রিয়াল (১৩)।
গত মৌসুমেও সুপার কাপে এল ক্লাসিকো ফাইনাল দেখেছিল ফুটবল বিশ্ব। সেবার বার্সাকে ৪-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বর্তমান লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাধারীরা। টানা দ্বিতীয়বার ফের ফিরতে চলেছে সেই একই ফাইনাল।
৫ দিন আগে
বিলবাওকে হারিয়ে সুপার কাপের ফাইনালে বার্সেলোনা
হান্সি ফ্লিকের অধীনে দুর্দান্তভাবে মৌসুম শুরু করলেও বছরের শেষদিকে এসে খেই হারিয়েছিল বার্সেলোনা। তবে পুরনো ক্লেশ ঝেড়ে ফেলে নতুন বছরে ফের জয়যাত্রা শুরু করেছে দলটি।
শনিবার কোপা দেল রের ম্যাচে চতুর্থ স্তরের দল বারবাস্ত্রোকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে বছর শুরু করা বার্সেলোনার সামনে দ্বিতীয় ম্যাচেই ছিল শক্ত প্রতিপক্ষ— আথলেতিক বিলবাও। তবে সেই পরীক্ষাতেও সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে নতুন বছরে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছে নানা সমস্যায় জর্জরিত কাতালানরা।
বুধবার রাতে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত স্প্যানিশ সুপার কাপের প্রথম সেমিফাইনালে বিলবাওকে ২-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা।
ম্যাচের ১৭তম মিনিটে গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন গাভি। অসংখ্য সুযোগ হাতছাড়া করার মাঝে ৫২তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন লামিন ইয়ামাল। সুযোগ পেয়েছিলেন বিলবাওয়ের খেলোয়াড়রাও তবে বার্সার অফসাইডের ফাঁদ আর নিজেদের ভুলের খেসারত দিতে হয়েছে দলটির।
আরও পড়ুন: হেরে ১২৬তম বছর শুরু বার্সেলোনার
এদিন ম্যাচের প্রথম থেকেই বিলবাওয়ের ওপর ছড়ি ঘোরাতে থাকে বার্সেলোনা। এর পরিপ্রেক্ষিতে চতুর্থ মিনিটেই পাল্টা আক্রমণে উঠে পরপর দুটি সুযোগ তৈরি করেন জুল কুন্দে-রাফিনিয়ারা। তবে ফিনিশিংয়ের অভাবে দুটিই মাঠে মারা যায়।
ম্যাচের প্রথম দশ মিনিট ৭০ শতাংশ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে মাঠে একক আধিপত্য বিস্তার করে বার্সেলোনা। তবে এর পর খানিকটা ঝিমিয়ে যায় তারা। এ সময় সুযোগ কাজে লাগানোর পরিবর্তে ধীর লয়ে খেলতে থাকে বিলবাও-ও। ফলে ম্যাচের গতি বেশ পড়ে যায়। অবশ্য এর মধ্যেই ম্যাচর সপ্তদশ মিনিটে চকিতে আক্রমণে উঠে গোল আদায় করে নেয় হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
পেদ্রির লং পাস ধরে বাঁ পাশ দিয়ে এগিয়ে গিয়ে বিলবাওয়ের ডিফেন্স চিরে ছয় গজ বক্সের মধ্যে নিচু ক্রস দেন আলেহান্দ্রো বালদে। আর দুই ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ সামলে তা থেকে গোল আদায় করে দলকে এগিয়ে নেন গাভি।
গোল পাওয়ার পর ফের উজ্জীবীত ফুটবলে ফেরে বার্সেলোনা। আরও পিছিয়ে পড়া ঠেকাতে মনোযোগী হয় এরনেস্তো ভালভের্দের শিষ্যরাও। ফলে আবারও জমে ওঠে ম্যাচ।
ম্যাচের ২৩তম মিনিটে বিলবাও গোলরক্ষক উনাই সিমোনকে একা পেয়েও ফিনিশিংয়ের অভাবে নিশ্চিত গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন রাফিনিয়া। তবে রাফিনিয়ার শট সিমোন ঠেকিয়ে দিলে তা চলে যায় পেছনে থাকা লামিনের কাছে। তিনি দুর্বল শট নিলে সেটিও প্রতিহত করে দলকে বিপদমুক্ত করেন সিমোন।
প্রথমার্ধের শেষের মিনিট দশেক সমতায় ফিরতে জোর চেষ্টা চালায় বিলবাও। একের পর এক আক্রমণেও ওঠে তারা। তবে ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতা আর বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তাদের আর গোলের মুখ দেখা হয়ে ওঠেনি। ফলে ব্যবধানে ধরে রেখেই বিরতিতে যায় কাতালানরা।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয়ার্ধের চরম নাটকীয়তা শেষে ডর্টমুন্ড বধ বার্সেলোনার
প্রথমার্ধে ৫৩ শতাংশ সময় বলের দখল রেখে ৬টি শট নেয় বার্সেলোনা, যার চারটিই লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয় তারা। অপরদিকে, বিলবাও পাঁচটি শট নিলেও তার মাত্র একটি লক্ষ্যে ছিল।
৬ দিন আগে
শাস্তি কমলেও ২ ম্যাচ নিষিদ্ধই থাকছেন ভিনিসিউস
ভ্যালেন্সিয়া গোলরক্ষকের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে লাল কার্ড দেখার পর এবার আরও বড় শাস্তি পেলেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় উইঙ্গার ভিনিসিউস জুনিয়র। পরবর্তী দুই ম্যাচের জন্য তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন।
লা লিগার ম্যাচে গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভালেন্সিয়া গোলরক্ষক স্তোলে দিমিত্রিয়েভস্কির মুখে আঘাত করায় লাল কার্ড দেখেন ভিনিসিউস। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও জুড বেলিংহ্যামের শেষ মুহূর্তের গোলে ২-১ ব্যবধানে ম্যাচটি জেতে রিয়াল মাদ্রিদ।
এক দিন পর রিয়াল বস কার্লো আনচেলত্তি দাবি করেন, ভিনিসিউসের ওই ঘটনাটি লাল কার্ড পাওয়ার মতো ছিল না এবং তার শাস্তি এড়ানোর ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন এই কোচ।
তবে আইন ভাঙায় সর্বোচ্চ শাস্তির মুখে না পড়লেও ন্যূনতম (২ ম্যাচ) শাস্তি পেতে হচ্ছে ২৪ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে। এই শাস্তি এড়াতে আপিল করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়ালের আপিলের পর শাস্তি না কমিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা কেবল লা লিগার ম্যাচে সীমাবদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) স্প্যানিশ সুপার কাপের ম্যাচে খেলতে আর বাধা থাকছে না ভিনির।
শাস্তির ঘোষণা আসার পর নিজের আচরণ নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন ভিনিসিউস।
সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হতে চলা চার দলের স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে এবার মায়োর্কার মোকাবিলা করবে রিয়াল মাদ্রিদ। আর আজ (বুধবার) রাতে আথলেতিক বিলবাউয়ের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা।
সুপার কাপ থেকে অব্যহতি পাওয়ায় লা লিগায় পরের দুই ম্যাচে ১৯ জানুয়ারি লাস পালমাস ও ২৬ জানুয়ারি রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে তাকে পাবে না রিয়াল মাদ্রিদ।
ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে জয়ের পর লা লিগায় ১৯ ম্যাচে ১৩ জয় ও ৪ ড্রয়ে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে নতুন বছরের শুরুতেই টেবিলের শীর্ষস্থানে বসেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এক ম্যাচ কম খেলে ২ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে রয়েছে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আতলেতিকো মাদ্রিদ। এছাড়া পয়েন্ট খোয়াতে খোয়াতে শীর্ষস্থান হারিয়ে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে নেমে গেছে হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া বার্সেলোনা।
৬ দিন আগে
কনকাকাফ গোল্ড কাপে খেলবে সৌদি আরব!
উত্তর ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট কনকাকাফ গোল্ড কাপে অংশ নিতে চলেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব।
বৃহস্পতিবার পৃথক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে সৌদি ফুটবল ফেডারেশন ও কনকাকাফ কর্তৃপক্ষ।
বিবৃতিতে সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৫ ও ২০২৭ সালের কনকাকাফ গোল্ড কাপ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে সৌদি আরবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
কনকাকাফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অতিথি দেশকে টুর্নামেন্টে আমন্ত্রণ জানানোর ঐতিহ্য ধরে রাখার অংশ হিসেবে আগামী দুই আসরের জন্য সৌদি আরবকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
উত্তর আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের ফুটবল সংস্থা কনকাকাফের (CONCACAF) টুর্নামেন্টে এই অঞ্চলের বাইরের দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো নতুন কিছু নয়। সবশেষ দুই আসরে এই টুর্নামেন্টে অতিথি দেশ হিসেবে অংশগ্রহণ করে কাতার।
এর আগে, ব্রাজিল (১৯৯৬, ১৯৯৮, ২০০৩), কলম্বিয়া (২০০০, ২০০৩, ২০০৫), ইকুয়েডর (২০০২), পেরু (২০০০), দক্ষিণ আফ্রিকা (২০০৫) ও দক্ষিণ কোরিয়াও (২০০০, ২০০২) অতিথি দেশ হিসেবে এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছে।
২০২৫ সালের ১৪ জুন শুরু হতে যাচ্ছে কনকাকাফ গোল্ড কাপের পরবর্তী আসর যা চলবে ৬ জুলাই পর্যন্ত।
১৬ দলের এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৯ বার শিরোপা জিতেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মেক্সিকো। ৭ বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া একবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে কানাডা। ফলে মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রই টুর্নামেন্টের ঐতিহ্যবাহী প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
এই তিন দেশ ছাড়াও আসন্ন গোল্ড কাপ আসরে ইতোমধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ডমিনিকান রিপাবলিক, এল সালভাদর, কুরাসাও, হাইতি ও পানামা। বাকি দলগুলো চূড়ান্ত হওয়ার পর আগামী ১০ এপ্রিল এবারের আসরের ড্র অনুষ্ঠিত হবে।
৩ সপ্তাহ আগে
পগবাকে অপহরণ মামলায় ভাইয়ের ৩ বছরের জেল
নিজের ভাইকে অপহরণ ও চাঁদাবাজির দায়ে ফরাসি ফুটবলার পল পগবার ভাই মাথিয়াস পগবাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) প্যারিসের অপরাধ আদালত মাথিয়াসকে মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেয়।
আগে থেকেই জেলে থাকা মাথিয়াসকে অবশ্য তিন বছরই শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে না। দুই বছর তিনি জেল খাটায় বাকি এক বছর এখন তাকে গৃহবন্দি ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে পুলিশি নজরদারিতে থাকতে হবে।
ঘটনাটি ২০২২ সালের। ওই বছরের মার্চে বন্দুকের মুখে পগবাকে তুলে নেয় কয়েক ব্যক্তি। এরপর তার কাছে ১৩ মিলিয়ন ইউরো দাবি করে তারা।
ফরাসি গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, মাথিয়াস এবং পগবার শৈশবের বন্ধুরা মিলে তাকে অপহরণ ও চাঁদাবাজির ষড়যন্ত্র করে। এরপর তিনি তাদের ১ লাখ ইউরো দিলেও তারা আরও টাকার জন্য তাকে চাপ দিতে থাকে।
এমনকি ভাইয়ের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দেবেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে হুমকিও দেন মাথিয়াস। শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন ফরাসি মিডফিল্ডার।
আরও পড়ুন: আমি প্রতারক নই: ডোপ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পগবা
এ ঘটনায় মাথিয়াস ছাড়া আরও পাঁচজনের নামে মামলা হয়। দুই বছর পর ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের মধ্যে থেকে রুশদেন নামের একজনকে প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। অন্য চার অভিযুক্তকেও চার থেকে আট বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ওই ঘটনায় পল পগবা আর্থিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হয়েছে বলে জানায় আদালত। আদালতের রায় অনুযায়ী, সে সময় তার মোট ১ লাখ ৯৭ হাজার ইউরো আর্থিক ক্ষতি হয়। এছাড়া যে মানসিক যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে তাকে ওই সময় পার করতে হয়েছে, আর্থিক মূল্যে তার পরিমাণ ৫০ হাজার ইউরো নির্ধারণ করেছে আদালত। এই অর্থের মোট অঙ্ক মাথিয়াস ছাড়া বাকি পাঁচজনকে পরিশোধ করারও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার শুনানিতে প্রকাশ পায়, মাথিয়াস ওই ষড়যন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
অবশ্য মাথিয়াসের আইনজীবী এই শাস্তিকে অত্যন্ত কঠোর বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তারা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
আইনজীবীর দাবি, মাথিয়াসকে এই ষড়যন্ত্রে জড়িত হতে প্রলুব্ধ করা হয়েছিল।
২০২৩ সালে ডোপ টেস্টের ফল পজিটিভ আসায় পেশাদার ফুটবলে নিষিদ্ধ হন পল পগবা। তারপর সম্প্রতি তার শাস্তি কমানো হলেও এরই মধ্যে তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে ইউভেন্তুস।
তবে সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে শিগগিরই মাঠে ফেরার প্রত্যয় ঝরেছে ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা ফুটবলারের কণ্ঠে।
৩ সপ্তাহ আগে
বেনজেমার চোখে মৌসুম-সেরা ফরাসি ফুটবলার নন এমবাপ্পে!
টানা দ্বিতীয়বারের মতো মৌসুমের সেরা ফরাসি ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফরাসি ক্রীড়া সাময়িকী ফ্রান্স ফুটবল গত সপ্তাহে তাকে এই সম্মানে ভূষিত করেছে।
অতীতে এই পুরস্কার জেতা ফুটবলারদের ভোটে প্রতি বছর দেশের সেরা ফুটবলার নির্বাচন করে থাকে ফ্রান্স ফুটবল।
২০২৩-২৪ মৌসুমের সেরা ফুটবলার নির্বাচনে মাত্র ৫ ভোটের ব্যবধানে আর্সেনাল অধিনায়ক উইলিয়াম সালিবাকে (৫১ ভোট) হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার সেরা হয়েছেন এমবাপ্পে (৫৬ ভোট)। এ নিয়ে মোট চারবার দেশের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হলেন পিএসজি থেকে চলতি মৌসুমে রিয়ালে যোগ দেওয়া এই ফুটবলার।
২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ের পর সে বছর প্রথমবার ফ্রান্স-সেরা হন ২৫ বছর বয়সী এমবাপ্পে। এরপর ২০১৯ ও ২০২৩ সালেও এই খেতাব জেতেন তিনি।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পেকে নিয়ে রোনালদোর ২ মাস আগের মন্তব্য আলোচনায়
তবে এবারের ভোটে বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলারের ভোটন পাননি এমবাপ্পে। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমা। দেশসেরা ফুটবলার নির্বাচন করতে তিনজনকে ভোট দিতে পারেন সাবেক বিজয়ীরা। বেনজেমার পছন্দের তালিকায় এই তিনজনের মধ্যে জায়গা হয়নি এমবাপ্পের।
গত মৌসুমে পিএসজিতে খেলা এমবাপ্পের পরিবর্তে বেনজেমার প্রথম পছন্দ ছিলেন তারই রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। এছাড়া পিএসজির প্রতিভাবান তরুণ ব্রাদলে বারকোলা ও ওয়ারেন জাইরে-এমেরিকে বাকি দুই ভোট দিয়েছেন তিনি।
শুধু তা-ই নয়, তাকে ভোট দেননি বেনজেমার বর্তমান ক্লাব সতীর্থ এন’গলো কান্তেও। আল-ইত্তিহাদের এই মিডফিল্ডার ভোট দিয়েছেন যথাক্রমে সালিবা, বার্সেলোনা ফুলব্যাক জুল কুন্দে ও কামাভিঙ্গাকে।
এই তালিকায় রয়েছেন আন্তোয়ান গ্রিজমানও। তবে আতলেতিকো মাদ্রিদের এই ফুটবলার এমবাপ্পেকে ভোট দিয়েছেন তার দ্বিতীয় পছন্দ হিসেবে। তার প্রথম ও তৃতীয় পছন্দ ছিলেন ফরাসি ক্লাব ব্রেস্তের আলেকজান্ডার লাকাসেত ও দেল কাস্তিয়ো।
আরও পড়ুন: এবার এমবাপ্পেকেই ছাড়াই ফ্রান্সের দল ঘোষণা
অন্যদিকে, সালিবার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও আর্সেনাল মিডফিল্ডারকেই সেরার ভোট দিয়েছেন এমবাপ্পে। তার বাকি দুই ভোট ছিল ক্লাব সতীর্থ কামাভিঙ্গা ও অরেলিয়েঁ চুয়ামেনির জন্য।
গত মৌসুমের সেরাদের তালিকায় এমবাপ্পে ও সালিবার পর রয়েছেন যথাক্রমে এসি মিলান গোলরক্ষক মাইক মাইনিয়ঁ (২৪), কামাভিঙ্গা (১৭) ও চুয়ামেনি (১৬)। আর ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ব্রেস্তের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পিয়েরে লিস-মেলুর সঙ্গে যৌথভাবে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেছেন গ্রিজমান।
১ মাস আগে
অবশেষে ইউরোপের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ড্র অনুষ্ঠিত
বেশ আগে থেকে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের খেলা শুরু হয়ে গেলেও ইউরোপ অঞ্চলের খেলা তো দূরের কথা, এ বিষয়ে কোনো আলোচনাই ছিল না। অবেশেষে এই অঞ্চলের বাছাইপর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সুইজারল্যান্ডের জুরিখে বিশ্বকাপের ইউরোপ অঞ্চলের বাছাই পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০২৬ সালে প্রথমবার আয়োজন করা হবে ৪৮ দলের বিশ্বকাপ। এর মধ্যে ইউরোপ থেকে মোট ১৬টি দেশ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করবে। এই ১৬টি স্পটের জন্য ১২টি গ্রুপে ভাগ হয়ে লড়বে ৫৩টি দেশ।
১২টি গ্রুপের সব গ্রুপে অবশ্য সমান প্রতিপক্ষ নেই। ছয়টি গ্রুপ সাজানো হয়েছে চারটি করে দল নিয়ে। অন্য ছয়টি গ্রুপে রাখা হয়েছে পাঁচটি করে দল। গ্রুপের প্রতিটি দল নিজেদের মধ্যে একটি করে হোম ও অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে। গ্রুপের শীর্ষ ১২টি দল সরাসরি বিশ্বকাপের মূলপর্বের টিকিট পাবে।
আরও পড়ুন: ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনালের ভেন্যুতেই হবে ২০২৫ ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনাল
বাকি চার দল বাছাই করতে গ্রুপগুলোর দ্বিতীয় সেরা ১২ দলের সঙ্গে যুক্ত হবে উয়েফা নেশন্স লিগ খেলা চার দল। নেশন্স লিগের গ্রুপ বিজয়ীদের মধ্যে সেরা, কিন্তু বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রথম বা দ্বিতীয় স্থান অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে- এমন চারটি দলসহ মোট ১৬ দলের প্লে-অফ অনুষ্ঠিত হবে।
এই ১৬টি দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করে নকআউট পদ্ধতিতে প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের মাধ্যমে বিশ্বকাপের জন্য একেকটি দল নির্বাচিত করা হবে।
বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ২১-২৫ মার্চ, ৬-১০ জুন, ৪-৯ সেপ্টেম্বর, ৯-১৪ অক্টোবর এবং ১৩-১৮ নভেম্বর। ২০২৬ সালের ২৬ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্লে-অফ পর্বের ম্যাচগুলো আয়োজন করা হবে। এরপর ওই বছরের ১১ জুন শুরু হবে বিশ্বকাপের মূল আসর।
২০১৬ সালের ১৯ জুলাই নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচের মাধ্যমে বিশ্ব ফুটবলের এই সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ আসরের পর্দা নামবে।
আরও পড়ুন: ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনে ১ বিলিয়ন ইউরো ঋণ নেবে মরক্কো
এক নজরে ইউরোপ অঞ্চলের গ্রুপগুলো
গ্রুপ এ: জার্মানি/ইতালি (নেশন্স লিগের ম্যাচ জয়ী), স্লোভাকিয়া, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও লুক্সেমবার্গ।
গ্রুপ বি: সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, স্লোভেনিয়া ও কসোভো।
গ্রুপ সি: পর্তুগাল/ডেনমার্ক (পরাজিত), গ্রিস, স্কটল্যান্ড ও বেলারুশ।
গ্রুপ ডি: ফ্রান্স/ক্রোয়েশিয়া (জয়ী), ইউক্রেন, আইসল্যান্ড ও আজারবাইজান।
গ্রুপ ই: স্পেন/নেদারল্যান্ডস (জয়ী), তুরস্ক, জর্জিয়া ও বুলগেরিয়া।
গ্রুপ এফ: পর্তুগাল/ডেনমার্ক (জয়ী), হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড ও আর্মেনিয়া।
গ্রুপ জি: স্পেন/নেদারল্যান্ডস (পরাজিত), পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া ও মাল্টা।
গ্রুপ এইচ: অস্ট্রিয়া, রোমানিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, সাইপ্রাস এবং সান মারিনো।
গ্রুপ আই: জার্মানি/ইতালি (পরাজিত), নরওয়ে, ইসরায়েল, এস্তোনিয়া ও মলদোভা।
গ্রুপ জে: বেলজিয়াম, ওয়েলস, নর্থ মেসিডোনিয়া, কাজাখস্তান ও লিখটেনস্টেইন।
গ্রুপ কে: ইংল্যান্ড, সার্বিয়া, আলবেনিয়া, লাটভিয়া ও অ্যান্ডোরা।
গ্রুপ এল: ফ্রান্স/ক্রোয়েশিয়া (পরাজিত), চেক প্রজাতন্ত্র, মন্টিনিগ্রো, ফারাও আইল্যান্ড ও জিব্রাল্টার।
১ মাস আগে
লামিনের মাঝে নিজের কৈশোর দেখতে পান মেসি
বাঁ পায়ের জাদু দিয়ে ইতোমধ্যে ফুটবল বিশ্বে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন বার্সেলোনার তরুণ স্প্যানিশ প্রতিভা লামিন ইয়ামাল। অসাধারণ ড্রিবলিং, ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো শটে গোলের জন্য বেশ আগে থেকে অনেকেই তাকে বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসির সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেছেন। এবার সেই কথায় সমর্থন দিলেন খোদ মেসি।
সম্প্রতি জার্মানিতে ক্রীড়া সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাসের সদর দপ্তরে একটি ইভেন্টে মেসির কাছে নতুন প্রজন্মের একজন খেলোয়াড়ের নাম জানতে চাওয়া হয়। সেখানে লামিন ইয়ামালের সম্পর্কে বলতে গিয়ে মেসি জানান, তার মধ্যে নিজের ছোটবেলার ছায়া দেখতে পান তিনি।
‘তরুণ ফুটবলারদের দারুণ একটি প্রজন্ম উঠে এসেছে, যাদের সামনে অনেক বছর পড়ে আছে। যদি কাউকে বেছে নিতে হয়, আর সেটা তার বয়স ও ভবিষ্যত বিবেচনায়, আমি শুনেছি অনেকেই লামিন ইয়ামালকে বেছে নিয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই আমিও তা–ই নেব, (এ বিষয়ে) আমি একমত।’
তিনি বলেন, ‘তবে এটি শুধু তার ওপর নয়, আরও অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে। কারণ, ফুটবল এমনই। কিন্তু সে-ই (ফুটবলের) বর্তমান এবং নিঃসন্দেহে দারুণ ভবিষ্যৎ তার সামনে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: বার্সার বিশেষ দিনে নিজের ‘বিশেষ দিন’ কোনটি, জানালেন মেসি
মেসির মতোই লা মাসিয়া ফুটবল অ্যাকাডেমিতে বেড়ে উঠে বার্সেলোনার জার্সিতে পেশাদার ফুটবলে হাতেখড়ি হয়েছে লামিনের। মাত্র ১৫ বছর বয়সে সিনিয়র ফুটবলে নাম লেখানোর পর থেকে যেখানেই খেলছেন, একের পর এক রেকর্ড নিজের নামে করে নিচ্ছেন গত জুলাইতে ১৭ বছরে পা দেওয়া এই উইঙ্গার।
বার্সেলোনার জার্সিতে অভিষেকের দিন ক্লাবটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ (১৫ বছর ২৯০ দিন) ফুটবলার হিসেবে মাঠে নামেন তিনি। এরপর স্পেন জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেই দেশটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলারদের অন্যতম বনে যান তিনি। তার চেয়ে কম বয়সে লা রোহাদের জার্সিতে মাঠে নেমেছেন মাত্র চারজন খেলোয়াড়।
গত বছরের অক্টোবরে গ্রানাদার বিপক্ষে প্রথম জালের দেখা পেয়ে লা লিগার ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে (১৬ বছর ৮৭ দিন) গোল করার কীর্তি গড়েন এই তরুণ প্রতিভা। এরপর ২০২৪ সালের ইউরো আসরেও চোখধাঁধানো পারফরম্যান্স উপহার দেন বাঁ পায়ের এই প্রতিভাবান ফুটবলার। টুর্নামেন্টের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ড গড়ার পর স্পেনকে রেকর্ড চতুর্থবার ইউরোপসেরার মুকুট পরাতে রাখেন বড় অবদান। একটি গোল ও চারটি অ্যাসিস্টে টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতার আগে টুর্নামেন্টটির ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ গোল ও অ্যাসিস্টদাতার স্বীকৃতি অর্জন করেন তিনি।
এরপর চলতি বছরের ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েও নতুন ইতিহাস গড়েন লামিন। সেখানে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে বর্ষসেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার কোপা ট্রফি জেতেন তিনি। সব মিলিয়ে এই তরুণ এখন শুধু বার্সেলোনারই নন, বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পাচ্ছেন।
তবে লিওনেল মেসির সঙ্গে নিজের তুলনা শুনতে ভালো লাগলেও আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রোর পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব নয় বলে মত তার।
সম্প্রতি একটি স্প্যানিশ টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লামিন বলেন, ‘আমাকে ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়, বিষয়টি মন্দ লাগে না। তবে মেসির পর্যায়ে পৌঁছানো অসম্ভব।’
আরও পড়ুন: লিওনেল মেসির পর্যায়ে পৌঁছানো অসম্ভব: ইয়ামাল
১ মাস আগে