ফুটবল
মেসিকে ছুঁয়ে রোনালদোর দিকে ছুটছেন রাফিনিয়া
হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় বার্সেলোনার সব ফুটবলারের মধ্যেই এসেছে দারুণ ইতিবাচক পরিবর্তন। তবে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছেন যিনি, তিনি রাফিনিয়া। মৌসুম শুরুর আগে ক্লাবটি যাকে বিক্রি করে দেবে বলে চর্চা চলছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, যিনি নিজেই কাতালুনিয়া ছেড়ে অন্যত্র ঠিকানা খুঁজছিলেন, সেই রাফিনিয়াই এখন বার্সেলোনার একাদশের মধ্যমণি; দলের সবচেয়ে পরিশ্রমী ও ফলপ্রসূ খেলোয়াড়।
লা লিগা, কোপা দেল রে হোক কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, বার্সার আক্রমণভাগের অপরিহার্য নামে পরিণত হয়েছেন ২৮ বছর বয়সী এই ব্রাজিলীয়। নিজে গোল করে এবং সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়ে ইউরোপীয় ফুটবলের সমালোচকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন এই ফরোয়ার্ড। আগামী ব্যালন দ’রের জন্যেও তাকে যোগ্যতমদের তালিকার উপরের দিকে স্থান দিচ্ছেন অনেকে। এরই মাঝে একের পর এক রেকর্ড ছুঁয়ে চলেছেন তিনি।
গতরাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে সেমিতে এক পা দিয়ে রেখেছেন হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। এই ম্যাচে একটি গোল ও দুটি অ্যাসিস্ট করে দলের জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখেন রাফিনিয়া।
এতে করে ইউরোপের এলিট ক্লাবগুলোর ফ্ল্যাগশিপ এই টুর্নামেন্টের চলতি আসরে তার গোলসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২টি। ১১ ম্যাচে ১২ গোল করার পাশাপাশি ৭টি অ্যাসিস্টও করে ফেলেছেন তিনি। আর এতেই বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনের মেসির পাশে লিখিয়েছেন নিজের নাম।
৪ ঘণ্টা আগে
আতলেতিকোকে বিদায় করল বার্সেলোনা, কোপায় এল ক্লাসিকো ফাইনাল
সব প্রতিযোগিতা থেকে কার্যত ছিটকে যাওয়ায় কেবল কোপা দেল রে-ই ছিল আতলেতিকো মাদ্রিদের সামনে একমাত্র শিরোপা। ফলে ফাইনালে উঠতে যে দলটি চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখবে না, তা আগেই আন্দাজ করেছিলেন অনেকে। তবে চেষ্টা চালালেও ধারহীন ফিনিশিংয়ে সাফল্য পায়নি দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। হেরে বিদায় নিতে হয়েছে তাদের।
বুধবার রিয়াদ এয়ার মেত্রোপলিতানোয় কোপা দেল রের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে বার্সেলোনার কাছে ১-০ গোলে হেরেছে লস রোহিব্লাঙ্কোসরা।
২৭তম মিনিটে ম্যাচের এক মাত্র গোলটি করেন ফেররান তোরেস। অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে একবার জালে বল পাঠান আতলেতিকোর অলেকসান্দার সোরলথ, কিন্তু অফসাইডের কারণে গোলটি আর গোনায় ধরা হয়নি। ফলে ৫-৪ অগ্রগামিতায় ফাইনাল নিশ্চিত করেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
আরও পড়ুন: ৮ গোলের রোমাঞ্চকর লড়াই ড্র করেও ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
ম্যাচজুড়ে এদিন বেশ কয়েকবার বার্সেলোনার ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করলেও একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি আতলেতিকো মাদ্রিদ। তাদের নেওয়া মোট ৬টি শটের পাঁচটি ছিল পোস্টের বাইরে, অন্যটি রক্ষণে কাটা পড়ে। অপরদিকে, বার্সেলোনার ১৪টি শটের পাঁচটি লক্ষ্যে ছিল।
গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম লেগের ম্যাচে শুরুর ৬ মিনিটের মধ্যে ২ গোল খেয়ে বসা বার্সেলোনা ঘুরে দাঁড়িয়ে ৮৩ মিনিট পর্যন্ত ৪-২ গোলে এগিয়ে ছিল। কিন্তু শেষ দিকে দুই গোল করে ম্যাচটি ৪-৪ গোলের সমতায় শেষ করে আতলেতিকো। ফলে ফিরতি এই লেগের ওপরই নির্ভর করছিল সেমিফাইনালের ভাগ্য। তাতে শেষ হাসি ফুটল কাতালান জায়ান্টদের মুখে।
এই জয়ে ২০২৫ সালে অপরাজেয় যাত্রা অব্যাহত রইল বার্সেলোনার। নতুন বছরে ২১টি ম্যাচ খেলে এখনও হারের মুখ দেখেনি দলটি। এর মধ্যে মাত্র দুটি ম্যাচ ড্র করেছে তারা, বাকি সবগুলোতে পেয়েছে জয়ের দেখা।
এছাড়া অবসর থেকে ফেরার পর বার্সেলোনার জার্সি গায়ে জড়িয়ে ১৯ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন গোলরক্ষক ভয়চিয়েখ স্টান্সনি, যার ১৭ জিতেছেন এবং দুটি ম্যাচ ড্র হয়। এর মধ্যে ১০ ম্যাচে ক্লিনশিট ধরে রেখেছেন এই পোলিশ গোলরক্ষক।
৭ দিন আগে
৮ গোলের রোমাঞ্চকর লড়াই ড্র করেও ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
বারবার এগিয়ে গিয়েও পা হড়কাতে বসা রিয়াল মাদ্রিদ প্রত্যাবর্তনের আরও একটি গল্প লিখে যখন ফাইনালের পথ ধরেছে, তখন যোগ করা সময়ে ফের গোল করে আরও একবার ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন মিকেল ওইয়ারসাবাল। তবে অতিরিক্ত সময় শেষে ম্যাচ যখন টাইব্রেকারের দিকে এগোচ্ছে, তখন শেষ গোলটি করে রিয়ালকে ফাইনালে পৌঁছে দিলেন আন্টোনিও রুয়েডিগার।
অতি সংক্ষেপে কোপা দেল রের প্রথম সেমিফাইনালের ফিরতি লেগের বর্ণনা মোটামুটি এমনই। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাতে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ৪-৪ গোলে ড্র করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
তবে দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান হয়ে থাকল প্রথম লেগে রিয়ালের করা একমাত্র গোলটি। ওই গোলের সুবাদে অগ্রগামিতায় ৫-৪ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে সোসিয়েদাদকে চেপে ধরে অগ্রগামিতায় দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু করে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ষোড়শ মিনিটে দুর্দান্ত এক পাল্টা আক্রমণে উঠে ঘরের মাঠের সমর্থকদের স্তব্ধ করে দেন আন্দের বারেনেচিয়া।
পাবলো মারিনের হেডারে বাড়ানো পাস ধরে ক্ষিপ্র গতিতে এগিয়ে গিয়ে ওয়ান-অন-ওয়ানে আন্দ্রেই লুনিনকে পরাস্ত করেন এই স্প্যানিশ। ফলে রিয়ালের প্রথম লেগের অগ্রগামিতা ফিরতি লেগের শুরুতেই মিলিয়ে যায়।
তবে ৩০তম মিনিটে এন্দ্রিকের একক নৈপুণ্যে উল্লাসে মাতে বের্নাবেউ। ফলে আবারও লিড নেয় রিয়াল। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে কোনোভাবেই আর এগিয়ে যাওয়া হয়ে উঠছিল না স্বাগতিকদের। অন্যদিকে, চাপে কোণঠাসা লা রিয়াল সমতায় ফেরার কথা যেন ভুলেই গিয়েছিল। এর মাঝে আক্রমণে ধার বাড়াতে এন্দ্রিককে উঠিয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নামান আনচেলত্তি। তবে ৭২তম মিনিটে উল্টো এক আত্মঘাতী গোল খেয়ে বসে রিয়াল মাদ্রিদ।
আরও পড়ুন: আট গোলের থ্রিলারে শেষ হাসি আতলেতিকো মাদ্রিদের
প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে দুরূহ কোণ থেকে দূরের পোস্টের দিকে শট নেন মারিন। গোলমুখ থেকে তা ক্লিয়ার করতে গেলে ডাভিড আলাবার পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। ফলে অগ্রগামিতায় ২-২-এ সমতায় ফিরে পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পায় সোসিয়েদাদ।
দ্বিতীয়বার সমতায় ফেরার আট মিনিট পর গোল করে লা রিয়ালকে জয়ের বন্দর দেখান ওইয়ারসাবাল। এবারও দুর্ভাগা আলাবার পায়ে লেগে ঠিকানা খুঁজে নেয় ওইয়ারসাবালের শট।
ম্যাচের তখন আর মিনিট দশেক বাকি। এ সময় প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় ইমানোলের শিষ্যরা। তবে অবিশ্বাস্যভাবে চার মিনিটে দুই গোল করে ম্যাচভাগ্য নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে নেয় মাদ্রিদ।
৮২তম মিনিটে বেলিংহ্যাম ও ৮৬তম মিনিটে অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি গোল করে চকিতে রিয়ালকে এগিয়ে নেন। অগ্রগামিতায় ফল তখন রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষে, ৪-৩।
কিন্তু না! যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ফের সোসিয়েদাদের ত্রাতা হয়ে ওঠেন ওইয়ারসাবাল। ফলে ৪-৩ গোলে সোসিয়েদাদ ম্যাচে এগিয়ে থাকলেও ৪-৪ অগ্রগামিতায় অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় খেলা।
আরও পড়ুন: কোপা দেল রে: আরও একটি এল ক্লাসিকো ফাইনালের সম্ভাবনা
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে কেউ গোল না পাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধেও সেই ধারা অব্যাহত থাকে। শেষে ম্যাচ যখন টাইব্রেকারের দিকে গড়াচ্ছে, তখনই গর্জন করে ওঠে বের্নাবেউ।
১১৫তম মিনিটে কর্নার থেকে আর্দা গুলেরের নেওয়া ক্রসে হেড দিয়ে রিয়ালকে কাঙ্ক্ষিত জয়সূচক গোলটি এনে দেন রুয়েডিগার। এরপর আর সোসিয়েদাদের ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি। ফলে ফাইনালে পা রাখে রিয়াল মাদ্রিদ। আর মাদ্রিদ জায়ান্টদের তাদের মাঠে এসে চার গোল দিয়েও হতাশা নিয়ে ঘরে ফিরতে হয় সোসিয়েদাদকে।
দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে বুধবার রাতে মাঠে নামবে আতলেতিকো মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। প্রথম লেগে এই দুই দলের লড়াই শেষ হয় ৪-৪ ড্রয়ে। ফলে ফিরতি লেগে জয়ী দলই ফাইনালে রিয়ালের মুখোমুখি হবে।
৮ দিন আগে
আতলেতিকোর ফের হোঁচট, জিতে বার্সেলোনার ঘাড়ে নিঃশ্বাস রিয়ালের
অবনমন থেকে বাঁচার প্রতিযোগিতায় থাকা লেগানেসের বিপক্ষে জয় পেতে রিয়াল মাদ্রিদের যে খুব একটা কষ্ট হবে না— অনেকে আগে থেকেই তা অনুমান করেছিলেন। তবে মাঠের খেলায় সেই পুঁচকে দলের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নিতে ঘাম ছুটে গেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের। এতে করে বার্সেলোনার ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে বর্তমান লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা।
শনিবার (২৯ মার্চ) রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে লা লিগার ২৯তম রাউন্ডের ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতেছে রিয়াল।
জোড়া গোল করে এদিন দলকে জয়ের পথ দেখান কিলিয়ান এমবাপ্পে। মাঝে আরেকটি গোল করেন জুড বেলিংহ্যাম।
তবে ম্যাচের প্রথমার্ধে চমক দেখিয়ে রিয়ালকে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেয় লেগানেস। ভিনিসিয়ুস-রদ্রিগোদের বিশ্রামে রেখে আনচেলত্তির সাজানো দলের বিপক্ষে এদিন শুরু থেকেই রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে বোরহা হিমেনেসের শিষ্যরা।
আরও পড়ুন: আতলেতিকোর অপরাজেয় যাত্রা থামিয়ে ‘মাইলফলক’ রাঙাল রিয়াল
স্বাগতিকদের একের পর এক আক্রমণ ফিরিয়ে দিলেও খেলার আধঘণ্টা গড়াতেই পেনাল্টি পেয়ে যায় রিয়াল। ৩০তম মিনিটে বক্সের মধ্যে আর্দা গুলেরকে ফেলে দিয়ে দলকে বিপদে ফেলে দেন লেগানেসের অস্কার রদ্রিগেস। দুই মিনিট পর সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন এমবাপ্পে।
তবে এর পরের মিনিটেই অভানীয় এক গোল করে লেগানেসকে সমতায় ফেরান দিয়েগো গার্সিয়া। সতীর্থের বাড়ানো বল প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে দূরের পোস্টের দিকে চলে যায়। সেখানে একপ্রকার একা দাঁড়িয়ে ছিলেন গার্সিয়া। ট্যাপ-ইনে বল ঠিকানায় পাঠানো ছিল তার বাঁ পায়ের খেল।
গোল পেয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় সফরকারীদের। এরপর ৪১তম মিনিটে বের্নাবেউকে স্তব্ধ বরে দিয়ে এগিয়ে যায় তারা। এ সময় বাইলাইন থেকে অস্কার রদ্রিগেসের পাস ছয় গজ বক্সের মধ্যে পেয়ে নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন ফরোয়ার্ড দানি রাবা।
ফলে অপ্রত্যাশিতভাবে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লেগানেস।
১১ দিন আগে
গ্রীষ্মে প্রিমিয়ার লিগে ২ দফায় দলবদলের সিদ্ধান্ত
প্রতি বছরের মতো নয়, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আসন্ন গ্রীষ্মে নির্ধারিত সময়ের আগেই শুরু হবে দলবদল। শুধু তা-ই নয়, গ্রীষ্মকালীন দলবদলে এবার দুই দফায় খেলোয়াড় দলে ভেড়ানোর সুযোগ পাবে ক্লাবগুলো।
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের পরিবর্তিত ফরম্যাট ও সূচির কারণেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ।
আগামী ১৫ জুন পর্দা উঠবে ক্লাব বিশ্বকাপের যা চলবে ১৩ জুলাই পর্যন্ত। অথচ প্রিমিয়ার লিগে গ্রীষ্মকালীন দলবদল সাধারণত শুরু হয় ১৪ জুন এবং তা চলে আগস্টের শেষ বা ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
চলতি মৌসুম থেকে নতুন আঙ্গিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা লিগসহ উয়েফার প্রতিযোগিতাগুলোর পরিসর বাড়ানোর ফলে ইউরোপীয় ফুটবলের সূচি এমনিতেই ঠাঁসা। তার ওপর নেশন্স লিগ, ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচও অনুষ্ঠিত হচ্ছে ফাঁকে ফাঁকে। সব মিলিয়ে ফুটবলারদের একদমই দম ফেলার জো নেই।
আরও পড়ুন: ক্লাব বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত: মুখোমুখি ভিনিসিউস-নেইমার
দুই ম্যাচের মাঝে শরীর পুনরুদ্ধারের পর্যপ্ত সময়ও অনেকে পাচ্ছেন না গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা। ফলে ইউরোপীয় লিগগুলোতে এ মৌসুমে বারবার দেখা যাচ্ছে চোটের ছোবল।
এ অবস্থায় লিগগুলোর মৌসুম শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হতে চলেছে ক্লাব বিশ্বকাপ। ফলে একদিকে যেমন খেলোয়াড়দের ছুটির সময়ে কাটছাঁট হবে, তেমনই কতজন খেলোয়াড় শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার মতো সুস্থ থাকবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই ক্লাব বিশ্বকাপ শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত পরিসরে ক্লাবগুলোকে খেলোয়াড় কেনার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) এ প্রস্তাবের ওপর প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো ভোট দেয়। তাতে দুই দফায় দলবদলের সিদ্ধান্তটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন: ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনালের ভেন্যুতেই হবে ২০২৫ ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনাল
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৫ জুন ক্লাব বিশ্বকাপ শুরুর আগে ১ থেকে ১০ জুন ছোট্ট পরিসরে দলবদল চলবে। এরপর দ্বিতীয় দফায় নিয়মিত গ্রীষ্মকালীন দলবদল অনুষ্ঠিত হবে ১৬ জুন থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
এ বিষয়ে গত বছরের অক্টোবরেই কথা ওঠে। সে সময় একটি অন্তর্বর্তী দলবদলের নিয়ম করার প্রস্তাব দেয় ফিফা। এতে করে ৩০ জুন যেসব খেলোয়াড়ের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে, তারা ফ্রি এজেন্ট হয়ে নতুন ক্লাবে ভিড়তে পারবেন বলে জানানো হয়।
সেই ঘোষণার পর এবার দলবদলের আঙ্গিকেই পরিবর্তন নিয়ে এলো প্রিমিয়ার লিগ।
১৪ দিন আগে
ব্রাজিলকে বিধ্বস্ত করে ‘সবার আগে’ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা
ম্যাচের আগে রোমারিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আর্জেন্টিনাকে হারানোর প্রত্যয় প্রকাশের পর কেবল রাফিনিয়ার চেষ্টাটাই চোখে পড়ল, ভিসিনিয়ুস-রদ্রিগোদের খুঁজেই পাওয়া গেল না। অপরদিকে, দলীয় ও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের দুর্দান্ত প্রদর্শনীতে ব্রাজিলকে নিয়ে ছেলেখেলা করল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।
বুয়েনস আইরেসের মনুমেন্তালে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার ভোরে ব্রাজিলকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
এর ফলে লাতিন আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে আগেভাগে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছে আলবিসেলেস্তেরা।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই গোল করে দলকে এগিয়ে নেন ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে চলতি মৌসুমে আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে উড়তে থাকা হুলিয়ান আলভারেস। চতুর্থ মিনিটে থিয়াগো আলমাদার পাস বক্সে পেয়ে তা হারানোর মুখে কোনোমতে জালে জড়িয়ে দেন লা আরানিয়া।
শুরুর ধাক্কা সামলে নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার আগে ফের আরও এক ধাক্কা খায় ব্রাজিল। ছোট ছোট পাসে আক্রমণে উঠে প্রতিপক্ষের বক্সের মধ্যে পাস বাড়ান নাহুয়েল মলিনা। বল ব্রাজিলের এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে চলে যায় ছয় গজ বক্সে থাকা এনসো ফের্নান্দেসের কাছে। গোলের অত কাছাকাছি থেকে বল ঠিকানায় পাঠাতে ভুল হয়নি চেলসি মিডফিল্ডারের।
এরপর ২৬তম মিনিটে এক গোল পরিশোধ করে লড়াইয়ে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল ব্রাজিল। নিজেদের বক্সের কিছুটা বাইরে বল নিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন ক্রিস্তিয়ান রোমেরো। এরপর ছুটে গিয়ে তার কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন উলভারহ্যাম্পটন ফরোয়ার্ড মাথেউস কুনিয়া।
এর দশ মিনিট পর অবশ্য ফের এগিয়ে যেতে পারত আর্জেন্টিনা, কিন্তু আলমাদার শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন ব্রাজিল গোলরক্ষক বেন্তো।
তবে পরের মিনিটে দারুণ ছন্দে খেলতে থাকা দলটিকে আটকে রাখতে পারেনি সেলেসাওরা। এনসোর পাঠানো ক্রসে চমৎকার এক ভলিতে ঠিকানা খুঁজে নেন লিভারপুল মিডফিল্ডার আলেক্সিস মাক আলিস্তের।
ফলে ৩-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লাতিন আমেরিকার সবশেষ দুবারের চ্যাম্পিয়নরা।
১৫ দিন আগে
সুযোগ নষ্ট করে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ড্র
ম্যাচ শুরুর বাঁশি পড়তেই এলো সুযোগ, তা নষ্ট করার পরও আরও বেশ কয়েকবার গোল করে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ কড়া নাড়ল, তবে সবই নষ্ট করে ভারতের বিপক্ষে জয়ের সুযোগ হাতছাড়া করল বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে বাংলাদেশ।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ফুটবল উপহার দিতে থাকে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। এর পরিপ্রেক্ষিতে কিক অফের পরই আসে সুযোগ।
হামজা চৌধুরীর উদ্দেশে কিক অফের শট নেন শাহরিয়ার ইমন। বল রিসিভ করেই মজিবুর রহমান জনির উদ্দেশে ডান দিকে লং পাস বাড়ান তিনি। এ সময় জনি প্রস্তুত না থাকলেও ক্লিয়ার করতে গিয়ে তার পায়েই বল দিয়ে বসেন ভারতীয় গোলকিপার বিশাল কাইথ। এরপর ফাঁকা পোস্ট পেয়েও তাড়াহুড়ায় জালের বাইরে বল মারেন বাংলাদেশ ফরোয়ার্ড।
এরপর দশম মিনিটে শাকিল আহাদ তপুর ক্রসে ইমনের হেডার পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর ভারতীয় গোলরক্ষকের গোলকিক শাকিল আহাদ তপুর পিঠে লেগে চলে যায় বক্সের ভেতরে থাকা হৃদয়ের পায়ে। তবে তাকে কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে গোল করা থেকে বঞ্চিত করেন শুভাশিষ বোস।
অষ্টাদশ মিনিটে ফের সুযোগ আসে ডেডলক ভাঙার। তবে শেখ মোরসালিনের পাঠানো ক্রসে ঠিকঠাক মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হয়ে সেটি নষ্ট করেন ইমন।
৩১তম মিনিটে অবশ্য দুর্দান্ত এক আক্রমণ শাণায় ভারত, তবে ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষক মিতুলের কল্যাণে যে যাত্রায় জাল অক্ষত থাকে বাংলাদেশের।
দশ মিনিট পর গোল করার আরও একটি সুবর্ণ সুযোগ পায় বাংলাদেশ। মাঝমাঠ থেকে উড়ে আসা বলে হেড পাস দিয়ে তা জনির কাছে পাঠান ইমন। বল ধরে প্রতিপক্ষের বক্সেও ঢুকে পড়েন তিনি। সে সময় তার সামনে শুধুই ভারতীয় গোলরক্ষক। অথচ, বোকার মতো সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে শেষ পর্যন্ত গোলরক্ষককে বল দিয়ে দেন তিনি।
প্রথমার্ধে কিছুটা নিষ্প্রভ ভারত দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দে ফেরে। ২০তম মিনিটের দিকে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়া অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার তপু বর্মনের অনুপস্থিতিও টের পায় তার সতীর্থরা।
এ সময় থেকে বাংলাদেশের রক্ষণে ত্রাস ছড়াতে থাকেন ভারতীয় ফুটবলাররা। মাঝেমধ্যে অবশ্য বাংলাদেশও আক্রমণে উঠে গোল করার চেষ্টা অব্যাহত রাখে।
শেষ মুহূর্তে গোল করার ভালো একটি সম্ভাবনাও জাগান ফাহিম। তবে বিশাল কাইথের নৈপুণ্যে হতাশ হতে হয়ে কাবরেরার শিষ্যদের।
ফলে স্কোরলাইনে কোনো পরিবর্তন আনতে না পেরেই মাঠ ছাড়তে হয় দুদলকে।
১৬ দিন আগে
আতলেতিকো-বার্সেলোনা: অবিশ্বাস্য সব ঘটনার জন্ম দিয়ে ম্যাচজুড়ে যা হলো
চলতি মৌসুমে ইউরোপের বদলে যাওয়া দলগুলোর মধ্যে অন্যতম দুটি নাম আতলেতিকো মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। এক দল বিপুল অর্থ খরচ করে সাজিয়েছে দুর্দান্ত এক দল, অন্যটি টাকার অভাবে একাডেমির কিশোর ফুটবলারদের তুলে দিয়েছে নতুন এক কোচের হাতে।
আতলেতিকোর অর্থ আর হান্সি ফ্লিকের জাদুকরি ছোঁয়ায় দুই দলেই এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন। চলতি মৌসুমে এই দুই দলের আগের দুই ম্যাচেও মিলেছিল ধ্রুপদী লড়াইয়ের দেখা। তবে তৃতীয়বারের দেখায় যা হলো তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য।
দুপক্ষই ম্যাচে অবিশ্বাস্য সব ঘটনার জন্ম দিয়েছে। চলুন দেখে নেই উত্তেজনাকর এই ম্যাচটি শুরু হয়ে কীভাবে শেষ হলো।
এদিন মাঠে নেমেই দুর্লভ এক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন আতলেতিকো মাদ্রিদ, এরপর বার্সেলোনা এবং পরে আবারও লস রোহিব্লাঙ্কোসদের জার্সি গায়ে চাপানো ফরাসি ফরোয়ার্ড আন্তোয়ান গ্রিজমান। লা লিগায় ৫২০তম ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি। আর এতে করে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা খেলোয়াড় বনে গেছেন সোনালি চুলের এই ফুটবল তারকা।
এই কীর্তি আছে মাত্র আর একজনের। আর্জেন্টিনা থেকে শৈশবে স্পেনে পাড়ি জমিয়ে সে দেশটিকেই নিজের ঘরবাড়ি বানিয়ে ফেলা লিওনেল মেসির। তবে শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও আর এক ম্যাচ মাঠে নামলে মেসিকে ছাড়িয়ে যাবেন গ্রিজমান।
সেইসঙ্গে চলতি মৌসুম তো বটেই আরও কয়েক বছর সিমিওনের অধীনে খেলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না এই আতলেতিকো কিংবদন্তির। সেক্ষেত্রে মেসিকে ছাড়িয়ে বহুদূর এগিয়ে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ী এই ফরাসি তারকা।
২৪ দিন আগে
আরও একটি প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে শীর্ষে ফিরল বার্সেলোনা
অসাধারণ পারফর্ম করেও ভাগ্যের ফেরে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে দুর্দান্ত আতলেতিকো যখন জয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে, তার মাঝেই প্রায় অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করে বার্সেলোনাকে পথ দেখালেন রবের্ট লেভানডোভস্কি। আর সেই পথে এগিয়ে গিয়েই দিয়েগো সিমিওনের রক্ষণাত্মক ফুটবল ভেঙেচুরে একাকার করে অবিশ্বাস্য এক জয় তুলে নিল বার্সেলোনা।
রিয়াদ এয়ার মেত্রোপলিতানোয় রবিবার রাতে লা লিগার ম্যাচটি ৪-২ গোলে জিতেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
ম্যাচের ৪৫ ও ৭০তম মিনিটে আতলেতিকোকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন হুলিয়ান আলভারেস ও আলেকজান্ডার সোরলথ। এর পরপরই আরও জ্বলে ওঠে বার্সেলোনা। ৭২তম মিনিটে সেই আক্রমণের সুর বেঁধে দেন লেভানডোভস্কি। এরপর ৭৮তম মিনিটে ফেররান তোরেস দলকে সমতায় ফেরানোর পর যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে বার্সাকে প্রথমবার এগিয়ে নেন লামিন ইয়ামাল। শেষ মুহূর্তে ফেররানের আরও এক গোলে জয় নিশ্চিত করে সফরকারীরা।
এই জয়ে ২৭ ম্যাচে ১৯ জয় ও তিন ড্রয়ে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠল কাতালান দলটি। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্টও ৬০, তবে মুখোমুখি লড়াই ও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় দ্বিতীয় স্থানে নেমে যেতে হয়েছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের।
অন্যদিকে, লিগে টানা দুই ম্যাচ হেরে শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা অনেকটা ফিকে হয়ে গেছে আতলেতিকো মাদ্রিদের। রিয়ালের সমান ২৮ ম্যাচে দলটির সংগ্রহ ৫৬ পয়েন্ট। তবে ওসাসুনার বিপক্ষে নিজেদের বাকি থাকা ম্যাচটি জিতে দলটির সঙ্গে ব্যবধান ৭ পয়েন্ট এবং রিয়ালের সঙ্গে ৩ পয়েন্ট বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকবে বার্সেলোনার।
আরও পড়ুন: প্রথমে গোল পেয়েও হেরে সুযোগ হাতছাড়া করল আতলেতিকো
লিগের মাঝামাঝি সময় থেকে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদকে সমানে টক্কর দিয়ে এলেও মাত্র ১০ ম্যাচ বাকি থাকতে পরপর দুই ম্যাচ থেকে কোনো পয়েন্ট সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হলো দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। এছাড়া সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা চার ম্যাচ হারল দলটি। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর দুই লেগে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে প্রতিযোগিতাটি থেকে ছিটকে গেছে তারা।
এখন কোপা দেল রের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে এই বার্সেলোনাকেই তাদের মাঠে ৪-৪ গোলে রুখে দিয়ে প্রতিযোগিতাটিতে এখনও নিজেদের ধরে রেখেছে আতলেতিকো। আর লা লিগায় নিভু নিভু করে জ্বলছে তাদের শিরোপাস্বপ্ন।
অপরদিকে, নতুন বছরে বার্সেলোনার অপরাজেয় যাত্রা অব্যাহত রইল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তা বেড়ে দাঁড়াল ১৮ ম্যাচে (১৫ জয়, ৩ ড্র)। এছাড়া চলতি মৌসুমে ঘরের মাঠে লিগের প্রথম ম্যাচে ২-১ গোলে হারের পর কোপা দেল রের সেমিফাইনালে ৪ গোল করেও ড্র করতে হয় ফ্লিকের শিষ্যদের; দুই ম্যাচ জয়বঞ্চিত থাকার পর আতলেতিকোর মাঠে এসে অবশেষে দলটির বিপক্ষে জয়ের দেখা পেল তারা।
শুধু তা-ই নয়, বার্সেলোনার দায়িত্ব নেওয়ার পর সিমিওনের দলের বিপক্ষে হান্সি ফ্লিকেরও প্রথম জয় এটি।
শনিবার রাতে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোলে ভিয়ারিয়ালকে ২-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
আরও পড়ুন: ২৭ সেকেন্ডের গোলে ম্যাচ জিতেও টাইব্রেকারে আতলেতিকোর হার, কোয়ার্টারে রিয়াল
আতলেতিকো-বার্সা ম্যাচের মধ্যে দিয়ে দুই সপ্তাহের আন্তর্জাতিক বিরতিতে গেল লা লিগা। আগামী ৩০ মার্চ আরেক কাতালান দল জিরোনার বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরবে বার্সেলোনা। তার এক দিন আগে আরও এক কাতালান ক্লাব এস্পানিওলের মুখোমুখি হবে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
এরপর আগামী ২ এপ্রিল একই ভেন্যুতে কোপা দেল রের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে মাঠে নামবে এই দুই দল।
২৪ দিন আগে
২৭ সেকেন্ডের গোলে ম্যাচ জিতেও টাইব্রেকারে আতলেতিকোর হার, কোয়ার্টারে রিয়াল
১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় লেগ খেলতে নামা আতলেতিকো মাদ্রিদ ম্যাচ শুরু হতেই পেয়ে গেল সমতাসূচক গোল। সেই গোলে ম্যাচটি জিতলেও টাইব্রেকারে কপাল পুড়েছে দলটির। আর পুরো ম্যাচজুড়ে গোল না পেলেও টাইব্রেকারে দুবার ভাগ্য সহায়তায় কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
রিয়াদ এয়ার মেত্রোপলিতানোয় বুধবার (১২ মার্চ) রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগের ম্যাচটি নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ১-০ গোলে হারে কার্লো আনচেলত্তির দল।
ম্যাচের ২৭তম সেকেন্ডে রদ্রিগো দে পলের গোলমুখে বাড়ানো ক্রস জালে জড়িয়ে দিয়ে আতলেতিকোকে এগিয়ে নেন কনর গ্যালাগার। এরপর ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে রিয়ালকে পেনাল্টি দিয়ে বসেন ক্লেমন লংলে। তবে সেই পেনাল্টি শটটি উড়িয়ে মেরে গোল করতে ব্যর্থ হন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
এরপর আর কোনো গোল না হলে অগ্রগামিতায় ১-১ সমতায় শেষ হয় নির্ধারিত নব্বই মিনিটের খেলা। পরে অতিরিক্তি ৩০ মিনিটেও দুদলের কেউ গোল করতে না পারলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ।
আরও পড়ুন: লামিন, রাফিনিয়ার রেকর্ডের রাতে সবার আগে কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
এরপর দুই দলই নিজেদের প্রথম দুটি স্পট কিকে সফল হলেও হুলিয়ান আলভারেসের নেওয়া শটে আতলেতিকোর দ্বিতীয় গোলটি বাতিল করে দেয় ভিএআর।
কিক নেওয়ার মুহূর্তে পা পিছলে পড়ে যাওয়ার মুখেও বল ঠিকানায় পাঠাতে সক্ষম হন হুলিয়ান, কিন্তু ভিএআর জানায়, কিক নেওয়ার সময় তার দুই পা-ই বলে স্পর্শ করেছে। ফলে গোলটি বাতিল করে দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে আতলেতিকো।
তৃতীয় কিকে দুই দলই সফল হওয়ার পর রিয়ালের চতুর্থ কিকটি ফিরিয়ে দেন ইয়ান ওবলাক। ফলে ফের ৩-৩ সমতায় ফেরার সুযোগ তৈরি করে দলটি। কিন্তু মার্কোস ইয়োরেন্তের নেওয়া আতলেতিকোর তৃতীয় শটটি ক্রসবারে লেগে মাটিতে আছড়ে পড়েও বাইরে চলে আসে। ফলে সমতায় ফেরা আর হয়ে ওঠে না তাদের।
এরপর আন্টোনিও রুয়েডিগারের চতুর্থ শটটি ওবলাকের হাতে লাগলেও তিনি তা ঠেকিয়ে রাখতে পারেননি। ফলে ৪-২ গোলে জয় নিশ্চিত করে উল্লাসে মাতে রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা।
দিনের অপর ম্যাচে পিএসভি আইন্ডহোভেনের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেও ৯-৩ অগ্রগামিতায় শেষ আট নিশ্চিত করা আর্সেনালের মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। এছাড়া মঙ্গলবার রাতে লিভারপুলকে টাইব্রেকারে হারানো পিএসজি কোয়ার্টারে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে অ্যাস্টন ভিলাকে। প্রথম লেগে ৩-১ গোলে জয়ের পর ফিরতি লেগেও ৩-০ গোলে জিতে ৬-১ অগ্রগামিতায় শেষ আট নিশ্চিত করেছে উনাই এমেরির দল।
আরও পড়ুন: টাইব্রেকারে হেরে লিভারপুলের বিদায়, শেষ আটে পিএসজি
নকআউটের অপর পাশে থাকা বার্সেলোনা শেষ আটে তাদের প্রতিপক্ষ পেয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে। প্রথম লেগে ১-১ গোলে সমতার পর ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে লিলের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে নিকো কোভাকের শিষ্যরা। আর ফিরতি লেগে ফেয়েনুর্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ৪-১ অগ্রগামিতায় কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করা ইন্টার মিলান পড়েছে বায়ার্ন মিউনিখের সামনে।
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ ও ৯ এপ্রিল। এরপর ১৫ ও ১৬ এপ্রিল হবে ফিরতি লেগের ম্যাচ।
২৮ দিন আগে