রবিবার করাচি জাতীয় স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ৮৪ রানে হারিয়েছে নুরুল হাসান-মোসাদ্দেকরা।
অবশ্য হেরেও রান রেটের কারণে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিতে গেছে পাকিস্তান। বিদায় নিতে হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও হংকংকে।
তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের রানার্স আপ হয়ে সেমির টিকিট পেয়েছে বাংলাদেশ। হংকং ও আরব আমিরাতের মধ্যকার ম্যাচে কোনো ফলাফল না আসায় বাংলাদেশের জন্য সেমিতে যাওয়ার হিসেবটা সহজ হয়ে যায়।
আগামী ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিপক্ষে কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন। একইদিন প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রুপের রানার্স আপ পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে। মাচ দুটি শুরু হবে সকাল সাড়ে ৯টায়।
বাঁচা মরার লড়াইয়ে রবিবার টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩০৯ রান করে বাংলাদেশ। মোসাদ্দেক ৪টি ছক্কা ও ৩টি চারের সাহায্যে ৭৪ বলে ৮৫ রান করেন। জাকির হোসাইন ৬৯, ইয়াসীর আলী ৫৬, নাজমুল হোসেন শান্ত ৪৯ এবং ওপেনার মিজানুর রহমান ২৫ রান করেন।
পাকিস্তানের খুশদি শাহ ৩ উইকেট লাভ করেন। মুসা খান পান ২টি উইকেট।
জবাবে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব ২৩ দল ৪৬ দশমিক ৫ ওভারে ২২৫ রানে অলআউট হয়। খুশদি শাহ সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন।
বাংলাদেশের হয়ে নাঈম হাসান ৩৬ রানে ৩টি উইকেট লাভ করেন। মোসাদ্দেক ও শফিউল নেন ২টি করে উইকেট।
ব্যাট ও বল হাতে দারুণ পারফর্ম করা মোসাদ্দেক টানা দ্বিতীয় বারের মতো ম্যাচসেরার পুরস্কার লাভ করেন।
আগামী ১৫ ডিসেম্বর টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।