অবশ্য সকালে শুরুটা ভালোই হয়েছিল জিম্বাবুয়ের। হ্যামিল্টন মাসাকাদজা আর চারি মিলে তুলেছেন ৩৫ রান। এরপর তাইজুল ব্রেক থ্রু এন দেন। ১৩ রানে বোল্ড হয়ে চারি ফিরে গেলেও ব্রেন্ডন ট্রেলর আর মাসাকাদজা মিলে রানের চাকা সচল রাখছিলেন। কিন্তু ব্রেন্ডন টেলরকেও ফিরিয়ে দেন তাইজুল। তাইজুলের বলে শর্ট লেগে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন নাজমুল হোসেন। সর্বশেষ ২.৭২ গড়ে জিম্বাবুয়ে রান তুলেছে ৮৫।
সকালের এই ধাক্কা সত্বেও অধিনায়ক মাসাকাদজা খেলছেন আত্মবিশ্বাস নিয়ে। এখন পর্যন্ত ৯৯ বলে ৫২ রান করে ফেলেছেন তিনি। তার সঙ্গি শন উইলিয়ামস। তিনি ৪১ বলে করেছেন ১৩ রান। এই দুজন জিম্বাবুয়েকে কতটুকু স্বপ্ন দেখাতে পারে তাই এখন দেখার বিষয়।
বাংলাদেশ একজন পেসার আর তিন স্পিনার নিয়ে খেলছে। পেসার হিসেবে আছেন আবু জায়েদ। তবে তাইজুলের সাফল্যে আশাবাদী হতেই পারেন স্পিনাররা। সিলেট স্টেডিয়ামের উইকেটে যে টার্ন আছে তাইজুলের সাফল্য তাই স্পিনারদের আশাবাদী করে তুলেছে ।
সিলেট স্টেডিয়ামে অভিষেক টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখতে টস হয়েছে বিশেষ কয়েনে। টসের সময় বিশেষ স্মারকও উপহার দেয়া হয় দুই দলের অধিনায়ককে।
এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে ২০১৩ সালে উদ্বোধনের পাঁচ বছর পর টেস্ট ভেন্যু হিসেবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অভিষেক হলো। এটি দেশের অষ্টম টেস্ট ভেন্যু।
এই টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশ দলে অভিষেক হয়েছে অলরাউন্ডার আরিফুল হক ও বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলামের। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের হয়ে অভিষেক হয়েছে স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ব্র্যান্ডন মাভুতার।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: হ্যামিলটন মাসাকাদজা (অধিনায়ক) ব্রায়ান চারি, ব্রেন্ডন টেইলর, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, পিটার মুর, রেজিস চাকাভা, ব্র্যান্ডন মাভুতা, কাইল জার্ভিস, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, টেন্ডাই চাতারা।
বাংলাদেশ একাদশ: মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ চৌধুরী, আরিফুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত, নাজমুল ইসলাম অপু।