বিসিবি একাদশের হয়ে ৭৮ রানের ইনিংস উপহার দেন তিনি।
এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে সুযোগ পান সৌম্য। সেঞ্চুরি করে আস্থার প্রতিদান দেন এ বামহাতি ব্যাটসম্যান। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে জায়গা হয়নি তার।
ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস দুই টেস্টের প্রতিটি ম্যাচে ব্যর্থতার পরিচয় দেন। পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট দলে জায়গা পান সৌম্য।
মূল সিরিজের আগে সোমবার চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের শেষ দিনে ১০৩ বলে ১০টি চার ও ৩টি ছয়ের সাহায্যে ৭৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন তিনি।
তবে শুধু সৌম্য সরকার নয় ভালো খেলেছেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামও।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩০৩ রানে ইনিংস ঘোষণার পর বিসিবি একাদশের পক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালোই শুরু এনে দিয়েছিলেন সৌম্য ও সাদমান। তাদের জুটিতেই আসে ১২৬ রান।
সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত দলীয় ১২৬ রানের মাথায় বাঁহাতি স্পিনার ওয়ারিক্যানের বলে শর্ট লেগে ধরা পড়েন এক বছর পর টেস্ট খেলার পথে থাকা ওপেনার সৌম্য।
অপরদিকে রান আউট হয়ে থামে আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামের ৭৩ রানের ইনিংস। ১৬৯ বলে এই রান করতে ১০টি চার ও এক ছক্কার মার মারেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সফররত ওয়েস্ট ই্ন্ডিজদের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট আগামী ২২ নভেম্বর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে। আগামী ৩০ নভেম্বর ঢাকার মিরপুরে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শেষ টেস্ট শুরু হবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
উইন্ডিজ ইনিংস: ৮৬.৩ ওভারে ৩০৩/৭ ( শায় হোপ ৮৮, কাইরন পাওয়েল ৭২, রসটন চেস ৩৫, শিমরন হেটমায়ার ২৪, শেন ডাওরিচ ২৪, নাঈম হাসান ২/১০৪, সৌম্য সরকার ১/১০, ফজলে মাহমুদ ১/১১. শফিউল ইসলা, ১/২৩, রুবেল হোসেন ১/৪০)
বিসিবি একাদশ ইনিংস: ৭৫ ওভারে ২৩২/৫ (সাদমান ৭৩, সৌম্য ৭৮, শান্ত ২১, মিঠুন ২৭*, জাকির ১৮, লিটন ১, মাহমুদ ২*; রোচ ১/১৮, গ্যাব্রিয়েল ২/২৪, চেইস ০/৩৫, পল ০/১৩, লুইস ০/১৯, ওয়ারিক্যান ১/৫১, ব্র্যাথওয়েট ০/১৬, বিশু ০/৪১, রেইফার ০/৮)।