২০২২ সালের এই বিশ্বকাপ হবে মধ্যপ্রাচ্যে আয়োজিত প্রথম বিশ্বকাপ। ৮০ হাজার আসনের লুসাইল স্টেডিয়ামে ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটিও খেলা হবে। খবর এনডিটিভি’র
দেশটির শাসক শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি এবং জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেসেসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই নকশা প্রকাশ করা হয়।
বিশ্বকাপ আয়োজক সংস্থা, ডেলিভারি ও লেগ্যাসি শীর্ষ কমিটির প্রধান হাসান আল-থাওয়াডি বলেন, ‘আমাদের জন্য প্রতিটি মাইলস্টোনই সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। স্টেডিয়ামের নকশা তাই এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শেষ স্টেডিয়ামও’।
কাতার বিশ্বকাপের জন্য লুসাইল স্টেডিয়ামটি অষ্টম এবং চূড়ান্ত স্থান।
আরব স্থাপত্য কৌশল থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই ব্রিটিশ স্থপতি ফস্টার অ্যান্ড পার্টনার্স এই স্টেডিয়ামটির নকশা করেছেন বলে বিশ্বকাপ কমিটি জানিয়েছে।
স্টেডিয়ামটি কাতারের রাজধানী দোহা থেকে ১৫ কিলোমিটার (নয় মাইল) উত্তরে অবস্থিত এবং এটি নির্মাণে ৪৫ কোটি ডলার (৪০ বিলিয়ন ইউরো) খরচও হয়েছে। এটি কাতারের সবচেয়ে বড় পরিকাঠামো প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি, যা বিশ্বকাপের জন্য ব্যাপকভাবে রূপান্তরিত হচ্ছে।
কাতার ও চীনের যৌথ প্রকল্পের নির্মাণে কাজটি ২০২০ সালে শেষ হবে।
বিশ্ব ফুটবলের গভর্নিং সংস্থা ফিফা যদিও এখনও বিবেচনা করছে যে টুর্নামেন্টটি ৩২টি দল থেকে ৪৮টি দলে প্রসারিত করা যাবে কিনা। যদি এই বিস্তার ঘটে তাহলে সম্ভবত এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলির মধ্যে টুর্নামেন্টের খেলাগুলি ভাগ করে নেয়া হবে।
থাওয়াডি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত সম্প্রসারণের সিদ্ধান্তটি ফিফা এবং কাতারের সিদ্ধান্তে গৃহীত হবে।’