টাইগারদের পক্ষে একমাত্র সফল ছিলেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। ১১৭ বলে ১২টি চার ও ২টি ছক্কার মারে করেছেন ক্যারিয়ার সেরা ১২১ রান।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে (৪৫ বলে ৩৩ রান)। আরেক ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ ৫৯ বল খেলে করেছেন ৩২ রান। এছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের ঘর পেরোতে পারেননি।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৫টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত।
শুরুতে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই ওপেনার লিটন ও মিরাজ। ১২০ রানের মাথায় কেদার যাদবের বলে রাইডুর হাতে ধরা পরেন মিরাজ। এরপর ক্রিজে এসে লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চেহেলকে পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করতে গিয়ে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে ১২ বলে ২ রানে ফেরেন ইমরুল কায়েস।
ইমরুলের পর কেদার যাদবের বলে বাজে শটে ফিরে যান টুর্নামেন্টে দলের সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম (৯ বলে ৫ রান)।
এরপরই রান আউটের শিকার হয়ে ফিরে যান আগের ম্যাচে দুর্দান্ত অর্ধশতক হাঁকানো মোহাম্মাদ মিঠুন (৪ বলে ২)। যুজবেন্দ্র চেহেলকে ড্রাইভ করেছিলেন লিটন। কিন্তু প্রায় এক প্রান্তে দুজন চলে যাওয়ায় সহজেই সুযোগ কাজে লাগায় ভারত।
দলের এমন বিপর্যয়ে ক্রিজে এসে ছক্কা হাঁকিয়ে চাপ মুক্ত হতে গিয়ে উল্টো দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ (১৬ বলে ৪)। স্পিনার কুলদীপ যাদবের অফ স্টাম্পের বাইরের ফুল লেংথ বল স্লগ করে ছক্কা উড়াতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তার লক্ষ্য পূরণ হয়নি, সীমানায় ক্যাচ মুঠোয় জমান জাসপ্রিত বুমরাহ। এছাড়া দলের অন্যরাও ছিলেন আসা যাওয়ার মধ্যে।
বাংলাদেশ একাদশে আনা হয়েছিল একটি পরিবর্তন। ব্যাটসম্যান মমিনুল হকের বদলে জায়গা দেয়া হয় স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু।
এশিয়া কাপের এবারের আসরে গ্রুপ পর্ব এবং সুপার ফোর মিলিয়ে তিনটি জয় ও দুটি পরাজয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ভারত এখনো টুর্নামেন্টে হারের স্বাদ পায়নি। সর্বশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারতে হারতে ড্র করেছে তারা।
গত কয়েক বছর ধরে ভারতের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ উপহার দিয়ে আসছে বাংলাদেশ। গত টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের মাটিতে ১ রানে হারে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের ভুলের কারণে এই পরাজয় কান্নার সাগরে ভাসিয়ে দেয় টাইগার ভক্তদের।
এছাড়া সর্বশেষ নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে শেষ ওভারে এসে পরাজয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।