ওই নারী বলেন, ধর্ষণের এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে সিআর সেভেনখ্যাত তারকা তাকে তিন লাখ ৭৫ হাজার ডলার দিয়েছেন।
সম্প্রতি জার্মান ম্যাগাজিন দের স্পিলগেলে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে একটি হোটেল কক্ষে রোনালদো ওই নারীকে ধর্ষণ করে। পরে পুলিশকে অভিযোগ করার পর বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে তিন লাখ ৭৫ হাজার মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ধামাচাপ দেয়া হয়েছিল।
সোমবার লাস ভেগাস পুলিশ অ্যাসেসিয়েটেড প্রেসকে নিশ্চিত করেন যে, গত সপ্তাহে ওই নারী তার অভিযোগটি পুনারায় অপরাধ হিসেবে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে ইমেইল পাঠিয়েও এ ব্যাপারে রোনালদোর আইনজীবী ক্রিশ্চিয়ান স্কার্টজের মতামত জানা যায়নি। কিন্তু জার্মান ম্যাগাজিনের রিপোর্টের পর বলা হয়, এই প্রতিবেদেনের মাধ্যমে আমাদের ক্লাইন্টের ব্যাপকভাবে ব্যক্তিগত অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।
অপরদিকে নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার পরই জুভেন্টাস তারকা রোনালদো তার ইন্সটাগ্রামে মুখে হাসি নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। যেখানে খবরটিকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেন তিনি।
পাঁচবারের ‘ওয়ার্ল্ড ফুটলার অব দ্যা ইয়ার’ ওই ভিডিওতে বলেন, ‘মিথ্যা, এটা মিথ্যা সংবাদ। তোমরা আমরা নাম ব্যবহার করে উপরে উঠতে চাও, এটা স্বাভাবিক! আমার নাম বলে ওরা বিখ্যাত হতে চাইছে। তবে আমি খুশি আছি। সব ভালই আছে।’
এছাড়াও অভিযোগকারী ওই নারীর আইনজীবীর সাথে অনেক চেষ্টা করেও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, এমনকি মুঠোফোনের বার্তর মাধ্যমেও জবাব দেননি।