উইকেট শূন্য থেকে যেখানে এগিয়ে যাওয়ার কথা, সেখানে দিনের প্রথম সেশনেই নেই পাঁচ উইকেট। লাঞ্চ বিরতিতে যাওেয়ার পূর্বে লিটন, মুমিনুল, ইমরুল, মাহমুদুল্লাহ ও নাজমুল হোসেনের মতো টপ অর্ডার ব্যাটনম্যানকে হারিয়ে এখন যেন পরাজয়কেই বরণ করতে প্রস্তুত হচ্ছেন তারা!
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের এই টেস্টের বর্ণিল আয়োজনের মাধ্যমে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম কি তবে বাংলাদেশিদের কাছে মলিন হয়ে যাবে? তা নির্ভর করছে পরের ব্যাটসম্যানদের ওপর।
মঙ্গলবার চতুর্থ দিনে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ সতর্ক ব্যাটিংয়ে। ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস জুটি অর্ধশত রানের জুটিও করেছিল। কিন্তু একটু পরেই লিটন দাসকে এলবিডব্লিউ করে বাংলাদেশের শুরুর জুটির প্রতিরোধ ভেঙেছেন সিকান্দার রাজা।
রাজার অফ স্পিনারের বলের লেংথ বুঝতে ভুল করলে লাইন মিস করে প্যাডে লাগে লিটনের। শুরুতে অ্যাম্পায়ার আউট না দিলেও জিম্বাবুয়ের রিভিউয়ে ২৩ রানেই ফিরতে হয় লিটনকে।
লিটনের পর ক্রিজে নাম মুমিনুলও ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়ে আবারো দলকে হতাশায় ডুবিয়ে ৯ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। কাইল জার্ভিসের বলে বাজে শট খেলতে গিয়ে আউট হন তিনি।
এদিকে পরপর দুই উইকেট হারালে আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েস ভালোই খেলছিলেন। কিন্তু ৪৩ রান করা এই ব্যাটসম্যান হঠাৎ সিকান্দার রাজার বলটা সুইপ করে খেলতে যেয়ে বোল্ড হয়ে যান।
ক্রিজে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু দলের অন্যতম ধৈর্য্যশীল ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ভালো করতে পারলেন না। ৪৫ বলে ১৬ রান করে সেই রাজার বলোই কুপোকাত হলেন তিনিও।
লাঞ্চ বিরতি যাওয়ার পূর্বে জিম্বাবুয়ে সর্বশেষ আঘাত আনে নাজমুল হোসেন শান্তর ওপর। নির্বাচকরা যে আস্থা নিয়ে তাকে বার বার দলে সযোগ দিচ্ছেন সে আস্থার যোগ্য প্রতিদান দিতে আবারও ব্যর্থ হলেন প্রতিভাবান এই ব্যাটসম্যান। দলের অন্য টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিলে মাত্র ১৩ রান করে ফেরত যান তিনিও।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১১ রান। জিততে হলে বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ২১০ রান। আর জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন পাঁচ উইকেট।