ফলে শীতকালে ঠোঁট ফাটে, ত্বক শুষ্ক হয়ে ওঠে। তাই এ সময় আমাদের ঠোঁটের যত্নের প্রয়োজন। তবে আপনি জেনে খুশি হবেন যে রান্নাঘরে রোজকার প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যেই ঠোঁটের যত্নের উপাদান লুকিয়ে আছে।
শীতকালে ঠোঁটের যত্নের কিছু টিপস দেয়া হল -
ঘনঘন জিহবা দিয়ে ঠোঁট ভেজানো থেকে বিরত থাকুন। ক্যামফার, ইউক্যালিপটাস ও মেন্থল থাকে এমন বাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। সব সময় বাম বা অন্য কোনও ঠোঁটে লাগানোর বস্তু রাতে ঠোঁটে লাগান কারণ রাত্রে আমাদের শরীর নিজেকে মেরামত করে তোলে। দোকান থেকে কেনা পেট্রোলিয়াম জেলি, অ্যাসেনশিয়াল অয়েল বা গ্লিসারিন আছে কিনা দেখে নিন। নিয়মিত ঠোঁটে সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না। শীতকালে শরীরে যেন পানি ঘাটতি না হয় তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। শরীরকে সতেজ রাখতে ভিটামিন, খনিজ পদার্থে পূর্ণ খাবার খান।
শীতে ঠোঁটের যত্নে কিছু ঘরোয়া টোটকা:
অ্যালোভেরা- এটি একটি সহজলভ্য গাছ, আপনি নিজের বাড়ির বাগানের এই গাছ লাগিয়ে রাখতে পারেন। অ্যালোভেরা রস ঠোঁটে লাগিয়ে রাখলে শুষ্ক ঠোঁটের হাত থেকে মুক্তি পাবেন।
ঘি- এক ফোঁটা ঘি ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। এটি ঠোঁটের শুষ্কতা কমিয়ে ঠোঁট নরম রাখতে সাহায্য করবে।
মধু- মধু ও গ্লিসারিনের পেস্ট বানিয়ে ঠোঁটে লাগান আর নরম ঠোঁট পান।
গোলাপের পাপড়ি ও দুধ- টাটকা গোলাপের পাপড়ি নিয়ে কাঁচা দুধে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর দিনে অন্তত তিন বার করে এটি ঠোঁটে লাগান। ঠোঁট হবে কোমল ও মসৃণ।
চিনি- চিনি স্ক্র্যাবার হিসেবে কাজ করে এবং মৃত কোষ ঠোঁট থেকে তুলে ঠোঁটকে নরম করে তোলে।
নারকেল তেল- প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে নারকেল তেলের গুরুত্ব অনেক। অল্প একটু নারকেল তেল গরম করে ঠোঁটে সারা রাত লাগিয়ে রাখুন , দেখবেন সকালে উঠে নরম তুল তুলে ঠোঁট ।
এই শীতে উপরোক্ত পদ্ধতিগুলি প্রয়োগ করুন এবং আপনার ঠোঁটকে শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা করুন।