ওপিসিডব্লিউতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং নেদারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলাল সম্প্রতি সংস্থার চতুর্থ রিভিউ কনফারেন্সে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের এ প্রস্তাবনা পেশ করেন।
বর্তমানে ইন্টার্ন এবং জুনিয়র প্রফেশনাল অফিসাররা (জেপিও) যদি তাদের অর্থায়ন নিশ্চিত করতে পারেন তাহলেই ওপিসিডব্লিউতে নিয়োগ পান। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রস্তাবনা হলো, যদি তাদের জন্য বৃত্তির সুযোগ সৃষ্টি করা যায় তবে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশ হতে অধিক সংখ্যক যোগ্য প্রার্থী ওপিসিডব্লিউতে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। বাংলাদেশের এই প্রস্তাব গৃহীত হলে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাতেও অনুরূপ সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে যা, একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।
দ্য হেগের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত বৃত্তি তহবিল বাংলাদেশি প্রার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ সৃষ্টি করবে। যার ফলে তারা দ্য হেগে এসে ওপিসিডব্লিউতে কাজ করতে সক্ষম হবেন।
এছাড়া, রিভিউ কনফারেন্সের কার্যবিধিতে বাংলাদেশ কর্তৃক ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি তার সমর্থন পুনব্যক্ত করা হয়েছে এবং একই সাথে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করা হয়েছে। ফিলিস্তিন ইতিমধ্যে ওপিসিডব্লিউর ১৯৩তম সদস্য হিসেবে যোগদান করেছে।
চলতি রিভিউ কনফারেন্সের ক্রেডেনশিয়াল কমিটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলাল চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত হন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলো কলাম্বিয়া, গুয়াতেমালা, মালয়েশিয়া, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুদান ও মেসিডোনিয়া।
উল্লেখ্য, ওপিসিডব্লিউ সব সদস্য রাষ্ট্রের অংশগ্রহণে প্রতি পাঁচ বছর পর পর রিভিউ কনফারেন্সের আয়োজন করে। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই সংগঠনটি সমগ্র বিশ্বকে রাসায়নিক অস্ত্রমুক্ত রাখার লক্ষ্যে নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।