আট কর্মকর্তা হলেন-সাবেক এমডি হাবীব উদ্দিন আহমেদ, কোম্পানির সাবেক দুই সচিব আবুল কাসেম এবং মোশাররফ হোসেন সরকার, জিএম (জেনারেল সার্ভিস) মাসুদুর রহমান হাওলাদার, ব্যবস্থাপক (উৎপাদন ব্যবস্থাপনা) অশোক কুমার হালদার, ব্যবস্থাপক (রক্ষণাবেক্ষণ ও অপারেশন) আরিফুর রহমান, ব্যবস্থাপক (নকশা, নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ) জাহিদুল ইসলাম এবং উপ ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা) একরামুল হক।
পেট্রোবাংলার ৩২ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১৩ আগস্ট নোটিশ পাঠায় দুদক। প্রথম ধাপে গত ১৬ আগস্ট পেট্রোবাংলার সাত কর্মকর্তাকে এবং গত মঙ্গলবার আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তৃতীয় ধাপে বুধবার সকাল ৯টা থেকে রাজধানীতে দুদকের কার্যালয়ে আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, দুদকের উপপরিচালক সামসুল আলম যিনি তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন, তিনি আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
প্রণব কুমার আরো জানান, বাকি কর্মকর্তাদের বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে বিপুল পরিমাণ কয়লা রহস্যজনকভাবে গায়েব হওয়ার পর বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়।
গয়লা গায়েবের ঘটনা সামনে আসে গত ২২ জুলাই। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা কয়লাখনি পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান, সেখানে পর্যাপ্ত কয়লার মজুত নেই।
তদন্তের পর ১ লাখ ৪৮ হাজার টন কয়লা ঘাটতি রয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা।
গত ২৪ জুলাই ১৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পার্বতীপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে তদন্তের জন্য মামলাটি দুদকে স্থানান্তর করা হয়।