চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা হলেন- প্যাকেজিং বিভাগের সরদার মো. মোরশেদ আলী শেখ, যান্ত্রিক বিভাগের হেডমিস্ত্রী মো. লিটন গাজী, সহকারী মিস্ত্রী মো. মাসুম ও মিস্ত্রী সুমন ফারাজী।
চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা জানান, তারা প্রতিদিনের মতো সকালে কাজ করতে মিলে এসে দেখেন তাদের গেট পাশ বাতিল করা হয়েছে। নোটিস বোর্ডে দেখেন চাকরিচ্যুত করার নোটিশ রয়েছে। এ খবর শ্রমিকরা জানতে পেরে সবাই কাজে যোগ না দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন।
শ্রমিকরা জানান, এ জুট মিলে ৯০০ শ্রমিকের মধ্যে ৫ ০০ শ্রমিকই নারী।
প্যাকেজিং বিভাগের সরদার মো. মোরশেদ আলী শেখ বলেন, এখানে একজন শ্রমিকের সর্বনিম্ন বেতন ১৬৫ টাকা। প্রতিবছর আমাদের মজুরি দিনপ্রতি বাড়ানো হতো ২৫-৩০ টাকা। আমাদের সঙ্গে আলোচনাও করা হতো। কিন্তু এবার আলোচনা না করে বাড়িয়েছে মাত্র ১৫ টাকা। যে কারণে ১৭ জানুয়ারি আমরা মালিকপক্ষকে বেতন বাড়ানোর জন্য দাবি জানিয়েছি। তারা রাজি হন। কিন্তু পরে তারা কথা রাখেননি। আজ এসে দেখি ওই সময় যারা মজুরি বাড়ানোর দাবি জানানোর নেতৃত্ব দিয়েছিলাম তাদের চাকরি নেই।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের চাকরিতে ফিরিয়ে না নেয়া পর্যন্ত তারা কাজে যোগ না দিয়ে মিলের সামনে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
মিলের জিএম নজরুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে আমাদের কিছু অফিসারদের এরা মারপিট করেছে। যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা।
চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা অফিসে যাচ্ছি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে দেখছি।