বুধবার রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) মিলনায়তনে ৪৬ ও ৪৭তম জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্রীড়া সামগ্রী, সনদ ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতি আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শারীরিক সুস্থতা ও মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাঠ্যপুস্তকের শিক্ষা এবং পড়াশুনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় অংশ নিতে হবে। সার্বিক বিকাশের জন্য সাংস্কৃতিক চর্চা ও খেলাধুলা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের মাদক ও জঙ্গিবাদ থেকে বাঁচাতে এসব কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষক ও অভিভাবকদেরও দায়িত্ব রয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য নতুন প্রজন্মকে আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে প্রস্তুত করা। এ জন্য তাদের সুস্বাস্থ্য ও ভালো মনের অধিকারী হতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. মাহাবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক এবং নায়েমের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সার্বিক বিবেচনায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৪০ হাজার ও ৩০ হাজার টাকার চেক দেয়া হয়। আগামী বছরের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জনকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ এবং দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী প্রতিষ্ঠানকে ৭০ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী।